প্লাবিত
শেরপুরে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৫০ হাজারের বেশি
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং পানিবন্দি রয়েছেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এদিকে ঝিনাইগাতী মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া পানিবন্দিদের উদ্ধারে দমকল বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছেন।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শেরপুরে ঝিনাইগাতীর মহরশি, নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালি এবং শ্রীবরদীর সোমেশ্বরি নদীর পানি বাড়তে থাকে। রাতে বিভিন্ন স্থানে নদীগুলোর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: বসনিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৪ জনের মৃত্যু
ভোগাই নদীর তীরবর্তী নয়াবিল শিমুলতলা, ঘাকপাড়া, মন্ডালিয়াপাড়া, ভজপাড়া ও পৌরসভার গড়কান্দা এবং নিচপাড়াসংলগ্ন বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। নালিতাবাড়ী পৌর শহর থেকে নয়াবিল, নালিতাবাড়ী বাজার থেকে ঘাকপাড়া যাতায়াতের সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বারমারি, বাতকুচি, সন্ন্যাসীভিটা এলাকায় বাঁধ ভেঙেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজিরখামার সড়ক। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে বাতকুচি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসময় গ্রামটির অন্তত ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিতে কাজ করছে দমকল কর্মীরা।
নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. আবদুল্লাহ বলেন, টানা বর্ষণ ও চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে নন্নী ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সড়ক ডুবে আছে। এছাড়া নদীপাড়ের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মাটি সংকটের কারণে ঘর নির্মাণ হচ্ছে না বন্যার্ত শতাধিক পরিবারের
২ মাস আগে
ভারত ফারাক্কা খুলে দিলেও নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি: উপদেষ্টা
ফারাক্কার গেট খুলে দিলেও নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢামেকে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
বাংলাদেশে চলমান ভয়াবহ বন্যার মধ্যেই ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়ায় নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হয়েছে কি না জানতে চাইলে ত্রাণ উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নতুন কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি।’
সরকার সবার সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণের কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘যে স্থান থেকে পানি নেমে যাচ্ছে সেখানে যে সমস্ত জায়গায় ত্রাণ পরিবহন করা যায় সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সব উপজেলায় ত্রাণ পৌঁছানো গেছে এবং ত্রাণ মজুত করা গেছে।’
এছাড়া চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত করা গেছে এবং ক্রমান্বয়ে এগুলো ধারাবাহিকভাবে হচ্ছে বলেও জানান ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।
ত্রাণ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দুর্গম এলাকা এখন আর নেই। সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছাতে পেরেছি। অধিকাংশ এলাকায় পানি নেমে যাচ্ছে। যেসব এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সেগুলো প্রবাহিত পানি, দ্রুত নেমে যাবে বলে আশা করছি। ত্রাণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব।’
এছাড়া জনগণের স্বেচ্ছাসেবা আমাদের শক্তি যোগাচ্ছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মান্টিটস্কির সাক্ষাৎ
পাহাড়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
কসবায় প্লাবিত ৩২টি গ্রাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সীমান্তবর্তী বায়েক ও গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ৩২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির তোড়ে কসবা-নয়নপুর সড়ক ভেঙে গিয়ে তৈরি হয়েছে জনদুর্ভোগ। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র হলেও অধিকাংশ মানুষই পানিবন্দি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সালদা নদীর পানি বেড়ে রাস্তার ওপর উঠে যায় এবং বাড়িঘর ডুবে যায়। মানুষ ছোট ছোট শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে থাকেন। রাস্তাঘাট বাড়িঘর তলিয়ে কোথাও হাটু পানি আবার কোথাও কোমর থেকে বুক অবধি পানি।
আরও পড়ুন: বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু, ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
বায়েক ইউনিয়নের ৩৪ গ্রামের মধ্যে প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। এদিকে খাবারের অভাবে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। এছাড়া পানিবন্দি পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দিচ্ছেন এলাকার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দিদের শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হয়েছে।’
এছাড়া আটকা পড়া পানিবন্দি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যায় ৩ উপজেলায় ৫ জন নিহত
৩ মাস আগে
বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, সাজেকে আটকা আড়াই শতাধিক পর্যটক
বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ৪ দিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার কাচাঁলং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঘাইছড়ির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। গত ৩ মাসের ব্যবধানে এটি তৃতীয় দফার বন্যা।
অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলাধীন দীঘিনালার কবাখালীতে সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ি থেকে দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলায় দূর পাল্লার যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে: এফএফডব্লিউসি
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে গিয়ে রাঙ্গামাটির সাজেকসহ বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলা সঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাজেক যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ডুবে যাওয়ায় পানি না কমা পর্যন্ত আটকা থাকবেন সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।
এদিকে, বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতলী সড়ক ও পৌর এলাকার উগলছড়ি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের উগলছড়ি, বেপারী পাড়া, নিউলাইল্ল্যা ঘোনা এবং পৌরসভার বটতলী, মাদরাসা পাড়া, হাজী পাড়ার কিছু অংশ পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আখতার বলেন, ‘বাঘাইছড়িতে আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৫৫ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং বন্যা দূর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্তরা আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে। যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সাজেক সড়কের দীঘিনালার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গত সোমবার ও মঙ্গলবার সাজেকে যারা বেড়াতে এসেছেন তারা মূলত আটকে পড়েছেন। আনুমানিক পর্যটকের সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক হবে। সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে তারা গন্তব্যে ফিরে যাবেন।’
এদিকে বাঘাইছড়ির মাটি ও মানুষকে বন্যার কবল থেকে রক্ষায় বাঘাইছড়ির বেশ কিছু স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে বাঘাইছড়িবাসী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বন্যার আশঙ্কা, ফেনী-চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত: এফএফডব্লিউসি
৪ মাস আগে
বিপৎসীমার ওপরে মুহুরীর পানি, ফেনীর বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত
ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক ও ফুলগাজী বাজার প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে, সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার থেকে ফুলগাজী কাঁচা বাজার-সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ফের দেখা দিয়েছে বন্যা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি-সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মালিপাথর, নিলক্ষ্মী ও পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দক্ষিণ শালধর এলাকার মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। গত বছরের ভাঙা স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে।’
ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হারুন মজুমদার বলেন, ‘বাঁধ ভাঙার কথা জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। লোকালয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।’
উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী আবু হেনা মেহেদী বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৬ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। পুরো আমন মৌসুমে ৩০০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হবে। তবে আমন ধান রোপণের আরও মাসখানেক দেরি থাকায় ক্ষতির তেমন সম্ভাবনা নেই।’
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহরিয়ার হাসান বলেন, ‘গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি থাকায় নদীতে পানির চাপ বেড়েছে। সোমবার দুপুর থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর পানির চাপ আরও বাড়ায় ফুলগাজী বাজারসহ আশপাশে কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁধের বিভিন্ন অংশ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।’
পানি বাড়লে বাঁধের আরও কয়েকটি অংশে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৬
বন্যার আশঙ্কায় মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চল ছাড়ছে বাসিন্দারা
৫ মাস আগে
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীসহ ১৬ নদীর পানি প্রতিদিনই বেড়েই চলছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি হয়েছে।
শুক্রবার তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ির শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৭ লাখ ৭২ হাজারের বেশি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত: ইউনিসেফ
শুক্রবার কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান, বিকাল ৩টায় দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি সামান্য কমে এখন বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি ২৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে নদীর পানি বাড়ার কারণে তিস্তা ও ধরলা নদীসহ অন্যান্য নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন কাঁচা সড়ক। অনেকেই কলার গাছের ভেলা দিয়ে বাড়িতে যাতায়াত করছে।
ডুবে গেছে বাদাম,পাটখেত,ভুট্টা,মরিচ ও শাক সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল। এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। নতুন করে ঢাকা থেকে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ১০ লাখ টাকা, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ৫০০ টন চাল।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (ওয়েস্ট রিজিওন) এ কে এম তাহমিদুল ইসলাম উলিপুরের বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, একদিকে বন্যা আবার আর একদিকে নদী ভাঙন এ জেলার জন্য দুর্ভাগ্য। এ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট বড় ১৬টি নদ-নদীর সবই ভাঙনপ্রবণ। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার সবচেয়ে বেশি ভাঙনপ্রবণ। নদী ভাঙন প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিরসনে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় তা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিবেচনা করবে।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
৬ মাস আগে
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত শতাধিক গ্রাম
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে করে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখ মানুষ।
এছাড়া চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে সুনামগঞ্জের সাধারণ মানুষ।
এদিকে সুনামগঞ্জে নদীর পানি কমলেও বাড়ছে হাওরের পানি। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় অনেকেই উঠেছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
জানা যায়, তেঘরিয়া, বড়পাড়া, পশ্চিম হাজিপাড়া, কালিপুর, মল্লিকপুর, হাছননগর, শান্তিবাগ, ধোপাখালি, ষোলঘর, নবীনগর, বাঁধনপাড়া, কাজির পয়েন্ট, ওয়েজকালী সুলতানপুরসহ সবকটি পাড়া-মহল্লার বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করেছে।
এছাড়া শহরের মধ্যবাজার, কাঁচাবাজার বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা মাফুজ আলী বলেন, আমার বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। বাসার আসবাবপত্রসহ জরুরি জিনিস গুছিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছি।
ওয়েজকালী এলাকার বাসিন্দা জালালি বলেন, আমার বাসায় পানি উঠেছে। ঘরবন্দি আছি।
মোহনপুর ইউনিয়নের খামারি তৈয়বুর বলেন, আমার খামারে পানি ঢুকে পড়েছে। পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। এলাকার মানুষ পানিবন্দি আছেন।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ২০০ হেক্টর আউশ ধানের ক্ষতি হয়ে গেছে। পানি কমে গেলে দেড় কোটি টাকার ধান উৎপাদন হতো।
মৎস্য কর্মকর্তা শামসুল করিম বলেন, জেলার দুই হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। টাকার অংকে অনুমান পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জ পৌর শহরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে সুরমার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, সেজন্য পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ভারী বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের কিছু পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বিশেষ করে ছাতক, সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শহরের কিছু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। জেলায় আমরা ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। যাদের প্রয়োজন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, আশ্রয়কেন্দ্রে ৫৫ পরিবার
সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, আরও ৩ জেলায় বন্যার আশঙ্কা
৬ মাস আগে
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। একইসঙ্গে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। পরে রাতে পানি প্রবাহ আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার ৩০ গ্রাম প্লাবিত
শনিবার বিকাল ৩টার দিকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একই সময় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার মাত্র ২১ সেন্টিমিটার নিচে।
এছাড়া পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের আরও কিছু নিম্নাঞ্চল আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, মহিষাশহর কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি ঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করে। এসব এলাকার খেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
সদর উপজেলার গোকুন্ডা এলাকার কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভারতে পাহাড়ি ঢলের পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ জলকপাট খুলে দেওয়ার কারণে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে হুহু করে পানি প্রবেশ করেছে। এতে আমাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এছাড়া আরও বেশি পরিমাণ পানি আমাদের বাংলাদেশের দিকে এলে এ এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।
আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন এলাকার এরশাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে আমাদের ঘরে পৌঁছে গেছে। পানি আরেকটু বাড়লে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢল, ৩টি গ্রাম প্লাবিত
৬ মাস আগে
ভারী বর্ষণে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢল, ৩টি গ্রাম প্লাবিত
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তত ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি মারিশ্যা দীঘিনালা সড়কে ১০টি স্থানে পাহাড় ধসে সকাল থেকে সারাদেশের সঙ্গে বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সাজেকের মাচালং ও বাঘাইহাট বাজার তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে আটকে পড়েছেন ১২০ জন পর্যটক। পাহাড় ধসে হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও সড়কের আটকা পড়েছে বহু যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
এদিকে এক টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কাচালং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হয়ে বাঘাইছড়ির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে তলিয়ে গেছে বহু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, স্কুল, মাছের পুকুর ও কৃষি জমি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার পাহাড় ধসের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধস ও নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়ক জনপদ বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন সমন্বয়ে সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।
এসময় ওসি ইশতিয়াক বলেন, সড়কের কয়েকটি স্থানে সব মাটি সরাতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। সড়ক থেকে পুরো মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে আনুমানিক দুইদিন লেগে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার ৩০ গ্রাম প্লাবিত
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার দুর্গম ঢাল চর ও চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এতে করে জোয়ারের অন্তত ৫ ফুট পানিতে প্রায় ২০ হাজার লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অসংখ্য কাঁচাঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। এতে করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাধ হুমকির মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'
ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, তার ইউনিয়নের কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। সেখানে জোয়ারে পানিতে প্রায় ১২ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। নদী উত্তাল হওয়ায় সেখান থেকে মূল ভূখণ্ডে মানুষকে সরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কিছু লোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার এলাকার বহু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চরে অতি জোয়ারের পানিতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বলেন, তার এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে চর পাতিলাসহ বিভিন্ন এলাক প্রায় সাত হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। উঁচু স্থানে গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে কাচা ঘর বাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাটে নিম্ন অঞ্চল, কলাতলি, চর সামসুদ্দিন ও কাজির চর, চর নিজাম চার থেতদকে পাঁচ ফুট পানিতে প্লাবিত।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠে মেঘনা নদী।
নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কোস্টগার্ড সতর্ক বার্তা প্রচার করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি-জলোচ্ছ্বাস
৬ মাস আগে