ইউএসএআইডি
ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ইউএসএআইডির প্রতিনিধি দল
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক আইলিন লাউবাচার; ইউএসএআইডির সহকারী প্রশাসক ও ব্যুরো ফর এশিয়ার মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন।
প্রতিনিধি দল বৈঠকে 'কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতিতে একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার'- উপায় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন।’
শনিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসির প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তাদের এই সফরে তরুণ কর্মী ও সুশীল সমাজের নেতা, শ্রমিক সংগঠক এবং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরিতে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তারা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর ও সম্প্রসারিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি দিয়েছেন তা দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গত ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, 'অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্পের ২২ নারী পেলেন ব্র্যাক ব্যাংকের 'জীবিকা লোন'
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণ সেবা ‘জীবিকা লোন’র আওতায় ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্প-২ (এনজেপি-২) এর মাধ্যমে হতদরিদ্র থেকে উত্তীর্ণ ২২ জন নারীকে ৩০ হাজার টাকা করে ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের (ডব্লিউভিবি) বাস্তবায়নাধীন ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্প-২ (এনজেপি-২) আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৈখালী মহিলা উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের ১৪ জন এবং ধরনী মহিলা উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের ৮ জন নারীর হাতে ঋণ হস্তান্তর করে ব্র্যাক ব্যাংক ডিজিটাল।
অনুষ্ঠানে প্রকল্প-২ এর চিফ অব পার্টি লিমা হান্না দারিং বলেন, ‘ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্প-২ প্রায় ৩০ হাজার হতদরিদ্র গ্রামীণ নারীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করছে। এই নারীরা এখন ১ হাজার ৬০০ টিরও বেশি গ্রামীণ সঞ্চয় ও ঋণ সমিতি (ভিএসএলএ) পরিচালনা করছে। প্রকল্পের সহায়তায় এই ক্ষুদ্র দলগুলো স্থানীয় সরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছে।’
আরও পড়ুন: করপোরেট সেবার জন্য ফুডপ্যান্ডা’র সঙ্গে ব্র্যাক আইটি’র চুক্তি
তিনি আরও বলেন, ‘হতদরিদ্র পিছিয়ে পড়া এই নারীরা এখন আগের অবস্থায় নেই। তারা আজ একত্রিত, সাবলম্বী ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩৩টি সমবায় সমিতির নিবন্ধন পেয়েছে সমবায় অধিদপ্তর থেকে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড এমএফআই ফাইন্যান্স তাপস কুমার রায় বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রান্তিক গ্রামীণ নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জন্য কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ পরিষেবা 'জীবিকা লোন' আমাদের একটি নতুন প্রোডাক্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও ইউএসএআইডির নবযাত্রা প্রকল্প-২ (এনজেপি-২) এর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আজকে আমরা ২২ জন নারীকে ঋণ দিচ্ছি। এই লোন বিতরণ প্রক্রিয়ার পুরোটাই হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। গ্রাহকেরা স্থানীয় ব্যাংকিং আউটলেটগুলো থেকে টাকা তুলতে পারবেন। তারা চাইলে বিকাশ নম্বরেও টাকা নিতে পারবেন।’
তাপস কুমার রায় আরও বলেন ‘নবযাত্রার মতো দেশের অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গেও আমরা অংশীদার হিসেবে কাজ করবে।’
ঋণ গ্রহীতা ও ধরনী মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি স্বপ্না পারভীন বলেন, ‘আমি আমার মাছের খামারে এই টাকা বিনিয়োগ করব। 'জীবিকা লোন'-এর মাসিক কিস্তি দেওয়ার পদ্ধতিটা আমার কাছে সহজ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও বেসরকারি খাত এনগেজমেন্টের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার প্রদীপ কুমার মণ্ডল, কৃষি, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজার ব্যবস্থা এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সমন্বয়কারী আজনবী সুলতানা ও অপারেশনস ম্যানেজার কুহু হাগিদকসহ অন্যরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ব্র্যাক স্কুল পরিদর্শনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার
ইউএসএআইডি’র ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর বাংলাদেশ সফরে
ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এশিয়ার ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর কৃষি, ব্যবসা ও নারীর ক্ষমতায়নে ইউএসএআইডি’র বিনিয়োগ তুলে ধরতে ২২-২৬ অক্টোবর বাংলাদেশে সফর করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কৃষির মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চলমান অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কৌর।
ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কৌর ইউএসএআইডি’র প্রকল্প পরিদর্শন এবং কৃষক, কৃষি ব্যবসার মালিক ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে দেখা করতে যশোর ও খুলনা ভ্রমণ করেছেন।
প্রতি বছর ইউএসএআইডি কৃষক ও উৎপাদকদের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সমগ্র কৃষিখাতে দক্ষতা বাড়াতে ৪০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করে। যার ফলে ৭০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত গড় মোট বার্ষিক বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: টিআইবির সঙ্গে যুক্ত হলো ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্য সরকার
টিআইবির সঙ্গে যুক্ত হলো ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্য সরকার
ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং যুক্তরাজ্য সরকার মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সঙ্গে যৌথভাবে তাদের অংশীদারিত্ব শুরু করেছে।
তারা টিআইবির মূল প্রকল্প ‘পার্টিসিপেটরি অ্যাকশন এগেইনস্ট করাপশন: টুয়ার্ডস ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড একাউন্টেবিলিটি’ (প্যাক্টা) বাস্তবায়নে যৌথভাবে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত এই প্রকল্পটিতে সুইস ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (এসডিএস), দ্য অ্যাম্বাসি অব সুইডেন ও দ্য কিংডম অব দ্য নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে আগে থেকেই টিআইবিকে সহায়তা দিয়ে আসছে।
ঢাকার বারিধারায় ইউএন রোডে ব্রিটিশ হাইকমিশনে অভিষেক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর রিড এশলিম্যান, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ঢাকা টিম লিডার, গভর্নেন্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল ইউনিট টিমথি ডাকেট এবং ইউএসএআইডি, ব্রিটিশ হাইকমিশন ঢাকা ও টিআইবির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করার মাধ্যমে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় টিআইবির চলমান প্রচেষ্টার অংশীজন হতে পেরে ইউএসএআইডি ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম নীতি অনুষঙ্গ দুর্নীতিবিরোধী অঙ্গীকার ও লড়াইয়ের অংশ হিসেবে টিআইবির সঙ্গে ইউএসএআইডির এই অংশীদারিত্বের কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক, ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগসহ যে বহুমাত্রিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তার অধিকতর বিকাশের সঙ্গে উচ্চতর মাত্রায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সুশাসন এবং বিশেষ করে সকল ধরনের দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রতিকার প্রচেষ্টা অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত।’
আরও পড়ুন: টিআইবির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হলেন সুলতানা কামাল
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রায় দুই দশক ধরে টিআইবির সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা স্মরণ করেন এবং বলেন, ‘বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন অধিকতর বেগবান করার মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতে টিআইবির চলমান প্রচেষ্টার অংশীদার হতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস একত্র হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি কাক্ষিত পর্যায়ের উন্নয়ন, বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের অন্যতম প্রধান প্রতিবন্ধক। যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় যে কোনো একক পরিকল্পনা বা পন্থায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বরং সামগ্রিকভাবে একটি রাষ্ট্রকাঠামো যখন অধিকতর জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলতে পারে, যেখানে সুশীল সমাজ নিঃসঙ্কোচে ও স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ এবং ব্যক্তি-খাত বিকশিত হওয়ার অবারিত সুযোগ লাভ করে, সেখানে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা অপেক্ষাকৃত সহজ।’
যুক্তরাজ্য সরকার ও ইউএসএআইডির প্রতি টিআইবির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘তাদের সহযোগিতা আমাদের বিবেচনায় অর্থমূল্যের চেয়ে অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার অন্যতম অন্তরায় এবং বৈষম্য ও অবিচার বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি যে দুর্নীতি, তার প্রতিরোধে শত প্রতিকূলতার বিপরীতে সামাজিক আন্দোলনকে অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে এই সহযোগিতা আমাদের সক্ষমতা ও অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস।’
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ প্রত্যাখ্যান করেছে টিআইবি
রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ হতাশাজনক: টিআইবি
মাতৃত্বকালীন ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার উন্নয়নে দেশের ১৭ জেলায় ইউএসএআইডির ‘মামনি প্রকল্প’
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পাঁচ বছর মেয়াদী ইউএসএআইডি’র মামনি মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের (এমএনসিএসপি) সমাপ্তি উপলক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেন সোমবার (৩ জুলাই) এক অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন ও সহযোগী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম দ্বারা বাস্তবায়িত ইউএসএআইডি মামনি প্রকল্পটি বাংলাদেশের ১৭ টি জেলায় মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করেছে।
প্রকল্পের দীর্ঘ পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা বিশদভাবে তুলে ধরা হয় সমাপনী অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএসপি মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার এবং বাংলাদেশের মানুষের অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য অবকাঠামো ও সরঞ্জামের উন্নয়ন এবং মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কমিউনিটি সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসআইডি’র মামনি এমএনসিএসপি প্রতিরোধযোগ্য মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুরোধে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) উপসচিব মো. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রকল্পটি গর্ভবতী নারী, মা এবং নবজাতকের জন্য জীবন রক্ষাকারী স্বাস্থ্য সহযোগিতার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করেছে এবং প্রায় ৩৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএসএআইডির লরা ডব্লিউ বুশ পুরস্কার পাচ্ছেন মাহমুদা
তিনি জানান, ‘ইউএসআইডি’র মামনি এমএনসিএসপি সিভিল সার্জন, হেলথ ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার এবং সেবা প্রদানকারীসহ সম্প্রতি গ্র্যাজুয়েট মিডওয়াইফদের সাথে কাজের মাধ্যমে বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ে প্রধান মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে তাদের অর্পিত দায়িত্ব গ্রহণে সক্ষম করেছে।’
ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএস প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ প্রকল্পটি শেষ হয়ে গেলেও এর বেশিরভাগ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রকল্প সমর্থিত জেলাগুলো ছাড়াও বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলায় জীবন রক্ষাকারী এই কার্যক্রম প্রসারিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে দাতাদের সাথে কাজ চালিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয় অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ইনফেকশাসাস ডিজিস টিম লিডার ডা. সামিনা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় কমিউনিটি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে ইউএসএআইডি'র মামনি এমএনসিএসপি মানসম্মত মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্য সেবার সহজলভ্যতা এবং সহজপ্রাপ্যতা উন্নত করেছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য সুবিধাসহ জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং সরকারি খাতের বিভিন্ন সুবিধা সরাসরি উপকৃত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস এর সভাপতি ও নবজাতক স্বাস্থ্য বিষয়ক জাতীয় কারিগরি ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারপার্সন; অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম, প্রাক্তন সভাপতি, অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি); স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃস্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. আজিজুল আলীম।
আরও পড়ুন: ভুল তথ্যরোধে মিডিয়ার ভূমিকা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ: ইউএসএআইডি
যক্ষ্মা নির্মূলে সিলেট বিভাগে ইউএসএআইডি’র নতুন উদ্যোগ
২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাবে নবযাত্রা প্রকল্প
উপকূলীয় জেলা খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় ইউএসএআইডি'র নবযাত্রা প্রকল্প সাত বছরের মেয়াদ শেষে আরও দুই বছরের জন্য অনুমোদন পেয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
রবিবার খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে আয়োজিত নবযাত্রা প্রকল্পের সাত বছরের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
খুলনা ও সাতক্ষীরার চারটি উপজেলাধীন ৪০টি ইউনিয়নের অধীন ৭৪০টি গ্রামে ব্যাতিক্রমী এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: যক্ষ্মা নির্মূলে সিলেট বিভাগে ইউএসএআইডি’র নতুন উদ্যোগ
প্রকল্পটি ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় জনগণের দোড়গোড়ায় সমন্বিত সেবা প্রদান করে আসছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল, এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ও পরিচালক- স্থানীয় সরকার (অতিরিক্ত দায়িত্ব), খুলনা বিভাগ, এবং সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও এমএন্ডই সিনিয়র ম্যানেজার রণক সি. মোহন্ত।
প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. ফেরদৌসী আক্তার, উপপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগ; মো. ইকবাল হোসেন, পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই), খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়।
প্রধান অতিথি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নবযাত্রা প্রকল্প ছয়টি উপাদানের অধীনে মানুষের জীবনমান টেকসই উন্নয়নে কাজ করেছে এবং সফলভাবে জনগণ, সরকারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি প্রথমে মানুষকে সক্ষম করেছে এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসাবে তৈরি করেছে এবং এখনও টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যক্রমগুলি পর্যবেক্ষণ করছে।’
নবযাত্রা প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আট লাখ ৫৯ হাজার ৭০৪ জন মানুষকে সমন্বিতভাবে ওয়াশ, মাতৃ, শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, জেন্ডার, কৃষি এবং বিকল্প জীবিকা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং সুশাসন ও সামাজিক জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউএসএআইডির লরা ডব্লিউ বুশ পুরস্কার পাচ্ছেন মাহমুদা
ভুল তথ্যরোধে মিডিয়ার ভূমিকা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ: ইউএসএআইডি
ইউএসএআইডির লরা ডব্লিউ বুশ পুরস্কার পাচ্ছেন মাহমুদা
বৈশ্বিক নারী সমতার অগ্রগতিতে ভূমিকার জন্য মাহমুদা রহমান খানকে ইউএসএআইডির লরা ডব্লিউ বুশ অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ইউএসএআইডি বাংলাদেশ এই ঘোষণা দিয়েছে।
মাহমুদা ইউএসএআইডিতে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এশিয়া অঞ্চলের এবং বাকি বিশ্বের জেন্ডার বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ১৭ বছর ধরে নারী সমতার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।
আরও পড়ুন: দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার পেলেন ৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান
মাহমুদার অনেক অর্জনের মধ্যে রয়েছে নারীর ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বিকাশে সরকারকে সাহায্য করা, সরকারের বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় লিঙ্গ সমতাকে একীভূত করা, ২০০৬ সালে দূতাবাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন শুরু করার মতো নানা কার্যক্রম।
মাহমুদা ইউএসএআইডি এবং দূতাবাসের কর্মীদের পাশাপাশি ইউএসএআইডির অংশীদারদের সক্ষমতা তৈরিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের কাজে লিঙ্গ সমতার বিষয়টি যুক্ত করতে সাহায্য করেছেন।
আরও পড়ুন: অপোর ‘গেজ দ্য স্টোরি’: অসমাপ্ত গল্প শেষ করতে পারলে পুরস্কার
ইউএসএআইডি তাদের ফেসবুক পেজে মাহমুদাকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছে, ‘আমরা আপনার জন্য গর্বিত। ইউএসএআইডি ও দূতাবাস ঢাকা এবং বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতার জন্য আপনার অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
ভুল তথ্যরোধে মিডিয়ার ভূমিকা আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ: ইউএসএআইডি
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মিশন ডিরেক্টর ক্যাথরিন স্টিভেন্স বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে সংবাদের প্রচুর সূত্র রয়েছে। চিরায়ত সংবাদ মাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-উভয় ক্ষেত্রে ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। এ কারণে এই মুহূর্তে মিডিয়ার গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ‘জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর এবং সঠিক তথ্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশি রিপোর্টারদের প্রতি রয়েছে ইউএসএআইডি’র পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা।’
বুধবার ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার বিষয়বস্তু ছিল রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে গঠনমূলক উন্নয়ন এবং তথ্যবিভ্রাটের ক্ষেত্রে সতর্কতা।
পড়ুন: প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ উদ্বোধন
এসময় বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসাইন, গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের রোভিং এশিয়া এডিটর মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক মিডিয়া ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান পলিটিফ্যাক্টের নির্বাহী পরিচালক মি. অ্যারন শ্যারকম্যান এবং ডিকাব সভাপতি পান্থ রাহমান বক্তব্য দেন।
সাম্প্রতিক সময়ের ডিজিটাল ও সামাজিক মাধ্যমের প্রেক্ষাপটে গঠনমূলক প্রতিবেদন এবং তথ্যবিভ্রাট নিরসনে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন। অংশগ্রহণকারী রিপোর্টাররা বাংলাদেশের মিডিয়ার বিভিন্ন ইস্যু, চ্যালেঞ্জ, সুযোগ, এবং তথ্যবিভ্রাট নিরসনের মাধ্যমে জনকল্যাণে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।
এসকল কর্মশালা স্বাস্থ্য, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য ইস্যুতে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বোঝাপড়া বাড়াতে সহযোগিতা করবে বলে ইউএসএআইডি মনে করে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক উন্নয়নমূলক সহযোগিতা প্রদান করেছে মার্কিন সরকার। শুধু গত বছরেই, কোভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধ, খাদ্য নিরাপত্তা, গণতন্ত্র, এবং পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষা’র মতো ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ইউএসএআইডি ২০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক সাহায্য প্রদান করেছে।
পড়ুন: হেলেনা জাহাঙ্গীর, সেফুদা ও কালো মিডিয়া
করোনা মোকাবিলা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেডিকেল সামগ্রী দেশের পথে
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সহায়তা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো মেডিকেল সামগ্রী দেশের পথে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম এক টুইট বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে একদিনে আরও ৪৩ প্রাণহানি, শনাক্ত ১১.০৩ শতাংশ
দেশটির ট্র্যাভিস এয়ার বেইস পরিদর্শনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মার্কিন সরকারের উদার সহায়তা বাংলাদেশের সক্ষমতা ব্যাপকভাবে জোরদার করবে।’
আরও পড়ুন: আইইডিসিআর সমীক্ষা: নমুনার ৮০ শতাংশই ভারতীয় করোনা শনাক্ত
এদিকে, চীন সরকার উপহার হিসেবে ৬ লাখ টিকার ডোজ ১৩ জুনের মধ্যে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ফরিদপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা সাপোর্ট টিমের যাত্রা শুরু
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা দিতে ফরিদপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের সাপোর্ট টিমের যাত্রা শুরু হয়েছে।