খুলনা বিভাগ
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে ভোটার এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৩জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯১জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ২০৫ জন।
মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩০ হাজার ২৫৩টি। খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানান।
খুলনা বিভাগের মোট ৩৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ৩২২টি, যার মধ্যে বৈধ ২২৮টি, বাতিল ৯৪ টি এবং প্রত্যাহার করা হয় ৩৮টি মনোনয়নপত্র। বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৩৬ জন।
বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৪ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৪৭২০টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮৮টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২৭৯৬টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬ জন।
সাতক্ষীরা জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬০২টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৭১৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ জন।
যশোর জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৫জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৫জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮২৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩২জন।
নড়াইল জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার ১৩২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার ১২৯জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৩ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন।
মেহেরপুর জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৫জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ২জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২০৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৩জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আ. লীগের প্রার্থীকে আদালতে তলব
ঝিনাইদহ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫ লাখ ১ হাজার ৪৮০জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭০ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২জন, জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩ হাজার ৪২১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬জন।
কুষ্টিয়া জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭৮ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৮২৩টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩১ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৯২জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৫৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ হাজার ২২২টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৫ জন।
মাগুরা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯২০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০৫ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭১০জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৫ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৯৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১০ জন।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ জন রিটার্নিং অফিসার, ৭১ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ৪ হাজার ৯৮৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০ হাজার ২৫৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬০ হাজার ৫০৬ জন পোলিং দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জমে উঠেছে খুলনা- ৪ আসনের নির্বাচন, হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
১০ মাস আগে
খুলনা বিভাগে করোনা আক্রান্ত লাখ ছাড়াল
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট শনাক্ত ১ লাখ ৪০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া একই সময়ে বিভাগে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রবিবার (৮ আগস্ট) বিভাগে ২৮ জনের মৃত্যু এবং ৬১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়ায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ৩, ঝিনাইদহে ২, যশোরে ৫, বাগেরহাটে ২, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মারা গেছেন। মাগুরা, মেহেরপুর এবং নড়াইলে কেউ মারা যাননি।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪০৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৬৮১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯ হাজার ৫৫২ জন।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশকে আরও ১১.৪ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১১ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে ১৫ মৃত্যু
৩ বছর আগে
কোভিড-১৯: খুলনা বিভাগে ৪০ মৃত্যু
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৮০ জনের।
এর আগে শনিবার বিভাগে ১৯ জনের মৃত্যু এবং ৫৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। রবিবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়ায়। বাকিদের মধ্যে যশোরে সাতজন, খুলনায় ও ঝিনাইদহে পাঁচ জন করে, বাগেরহাটে তিন জন, নড়াইলে ও চুয়াডাঙ্গায় দুই জন করে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু প্রায় ৪২ লাখ ১৬ হাজার
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৯৩ হাজার ৮১২ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৪২৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭০ হাজার ৯৫ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক করোনা-সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮৯ জনের। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৩ হাজার ৯৬৫ জনের। মোট মারা গেছেন ৬২৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৫৪ জন।
বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৯ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৭১ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪১৮ জন।
আরও পড়ুন: রামেক হাসপাতালে ১৮ জনের মৃত্যু
সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৭০৪ জন এবং মারা গেছেন ৮৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ৪৫৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮২৬ জন। মোট মারা গেছেন ৩৫১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ২৭৩ জন।
এছাড়া, নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৪২ জনের। মোট মারা গেছেন ৯৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৮৭ জন।
মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৪ জনের শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ১২৫ জনের। মোট মারা গেছেন ৬৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৬৯ জন।
ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৬৫৪ জন। মোট মারা গেছেন ২০৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭২৩ জন।
২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৮১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৪১৫ জনের। মোট মারা গেছেন ৫৬৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৯৯২ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: বরিশাল বিভাগে ১৮ মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫২ জনের শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৪৬ জন। মোট মারা গেছেন ১৬৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১৭ জন।
মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৮৬৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১০৯ জন।
৩ বছর আগে
খুলনা বিভাগে করোনায় মৃত্যু ৩১
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কমেছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৮৬৬ জনের। এনিয়ে বিভাগে করোনা শনাক্তে সংখ্যা ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিভাগে ৪৬ জনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ৪৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। বুধবার (২৮ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত সাড়ে ১৯ কোটি ছাড়াল
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনায় জেলায়। বাকিদের মধ্যে যশোরে ৬, কুষ্টিয়ায় ৫, ঝিনাইদহে ৪, মাগুরায় ৩, চুয়াডাঙ্গায় ২, বাগেরহাট ও মেহেরপুরে একজন করে মারা গেছেন।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল (২৮ জুলাই) পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৯০ হাজার ৫৪৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ২৯৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৪৬১ জন।
পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় আরও ১৭ জনের প্রাণহানি
রামেকে করোনা ও উপসর্গে ১৮ জনের মৃত্যু
৩ বছর আগে
খুলনা বিভাগে আজও ৪৬ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৩৫
খুলনা বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৩৫ জনের। এর আগে সোমবার (২৬ জুলাই) বিভাগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ৯ জন, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে চারজন করে, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, মাগুরা ও ঝিনাইদহে দুজন করে এবং সাতক্ষীরায় একজন মারা গেছেন।
পড়ুন: করোনা: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৯ হাজার ৮৮৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ২৬৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩ হাজার ৯৬৩ জন।
পড়ুন: করোনা: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত ৩০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ২০
৩ বছর আগে
খুলনা বিভাগে করোনায় ৩৩ জনের মৃত্যু
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ২৪৯ জনের। এর আগে শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিভাগে ৩০ জনের মৃত্যু এবং ৩৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
শনিবার (২৪ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ৮ জন, যশোরে ৬, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুরে একজন করে মারা গেছেন।
পড়ুন: বয়স্কদের শরীরে চীনা টিকার কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন!
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ৭৮৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ১২৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৯ হাজার ৯৭৩ জন।
পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু প্রায় সাড়ে ৪১ লাখ
মসজিদে নামাজ আদায়ে যেসব নির্দেশনা ফের দিল ধর্ম মন্ত্রণালয়
৩ বছর আগে
খুলনা বিভাগে করোনায় ৪০ জনের মৃত্যু
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ২১৩ জনের। এর আগে বুধবার (২১ জুলাই) বিভাগে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ১০ জন, মেহেরপুরে ৮ জন, মাগুরায় ৪ জন, ঝিনাইদহ ও যশোরে ৩ করে মারা গেছেন।
পড়ুন: কাল থেকে শুরু কঠোর বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকছে পোশাক কারখানা
বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ১৯ লাখ ছাড়াল
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ১৭৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৬৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮ হাজার ১৩৫ জন।
৩ বছর আগে
খুলনা বিভাগে আরও ৪৬ জনের মৃত্যু
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসের গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ৭৭২ জনের।
শনিবার (১০ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার ১০ জুলাই বিভাগে সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সব মিলিয়ে বিভাগে মোট মৃত্যু ১৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: করোনা প্রতিরোধে ফরিদপুরে পুলিশের মসজিদভিত্তিক প্রচারণা
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিদের মধ্যে খুলনায় ১০, যশোরে ১০, ঝিনাইদহে ৪, মেহেরপুরে ও নড়াইলে দুজন করে মারা গেছেন।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৯৫৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৩৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৫ হাজার ২৫২ জন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিভাগে একদিনে ২৮৪ জনের করোনা শনাক্ত
১০ দিনে রামেকের করোনা ইউনিটে মৃত্যু ১৭১
৩ বছর আগে
কোভিড-১৯: খুলনা বিভাগে একদিনে মৃত্যু ৫১
খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৩২ জনের।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা জেলায়। বাকিদের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ১০ জন, যশোরে ৬, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও মাগুরায় ৩ জন করে এবং বাগেরহাটে ও মেহেরপুরে একজন করে মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার ৪ হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু ২২
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৩১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪১৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ হাজার ১৮৪ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে খুলনায়। জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৩৮ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ হাজার ৮৯৮ জনের। মারা গেছেন ৩৬৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৭২ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়াতে একদিনে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩৫ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ২৭৪ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৪৮ জন।
সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৮৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫০ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৯০৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩৫২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৫২৫ জন। মোট মারা গেছেন ১৯৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ জনের। মোট মারা গেছেন ৫৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৯১ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১৮ মৃত্যু
মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৯২২ জনের। মোট মারা গেছেন ৩৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ জন।
ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৪৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩২০ জন। মোট মারা গেছেন ১১৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২৮২ জন।
২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২৩২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ হাজার ৬৬৩ জনের। মোট মারা গেছেন ২৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ২৬৩ জন।
চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৯১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ২৬৬ জন। মোট মারা গেছেন ১০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৮৫ জন।
মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৯৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৬৩ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩ জন।
৩ বছর আগে
করোনা: খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৩৫ জনের মৃত্যু, ১২৪৫ শনাক্ত
খুলনায় করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে রেকর্ড ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন করে ১ হাজার ২৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে খুলনা বিভাগে মঙ্গলবার ২৯ জুন সর্বোচ্চ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এদিকে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছি। সংকট দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের। ফলে রোগীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসক ও সেবিকাদের সেবা প্রদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে কুষ্টিয়ায় সাত জন, যশোরে সাতজন, খুলনায় চারজন, ঝিনাইদহে চারজন, সাতক্ষীরায় চারজন, মেহেরপুরে তিনজন, নড়াইলে তিনজন, চুয়াডাঙ্গায় দুজন ও বাগেরহাটে একজন মারা গেছেন।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৫৭ হাজার ৫২০ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১০৫ জন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৮ হাজার ৯৩০ জন।
আরও পড়ুন:করোনা: খুলনার তিন হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় ৭ জন ও উপসর্গে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ৮ জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, খুলনা করোনা ডেডিকেট হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গে নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৮ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১০৫ জন, ইয়ালো জোনে ৪৫ জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৪ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মোংলার চিলা বাজার কালীকাবাড়ীর বিপ্লব মন্ডল (৩৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৯৩ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রামপালের তিমির ঘোষ (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন, তার মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৭ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ জন।
এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) আরটি পিসিআর ল্যাব ‘দূষিত’ হওয়ায় বন্ধ রয়েছে করোনার নমুনা পরীক্ষা। চালু হওয়ার ১৫ মাসের মাথায় প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকছে এই ল্যাব। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে থাকা রোগীদের মধ্যে যাদের নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন হবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে।
বুধবার (৩০ জুন) নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে বিষয়টি ধরা পড়ার পর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার থেকে ল্যাবটির কার্যক্রম বন্ধ করে দূষণমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিটির সভাপতি এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ল্যাবটি বন্ধ থাকলেও আগে থেকেই মজুত থাকা প্রায় ২ হাজার নমুনা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হবে সেগুলোও এ ল্যাবে এই তিনদিনে পরীক্ষার সুযোগ থাকছে না।
তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অবস্থান করা রোগীদের মধ্যে যাদের পরীক্ষার প্রয়োজন হবে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পিসিআর ল্যাব থেকে পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: রামেকে রেকর্ড ২২ জনের মৃত্যু
এদিকে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন ছিল বৃহস্পতিবার। সকাল থেকে দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে প্রশাসনের সদস্যদের। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। নগরীর সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ে কয়েকটি ফলের দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ ছিল। রোগী ও বয়স্ক মানুষ ছাড়া কাউকে বের হতে দিচ্ছে না প্রশাসনের সদস্যরা। নগরীর শিববাড়ি মোড়েও একই অবস্থা। অপ্রয়োজনে রাস্তায় মোটর সাইকেল বের করার অপরাধে কয়েকটি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে বিগত লকডাউনের সময় রাস্তায় গণপরিবহন দেখা গেলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রিকশা ছাড়া যান্ত্রিক পরিবহন বন্ধ ছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, দেশে অস্বাভাবিক আকারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে লকডাউন চলমান রয়েছে। খুলনার অবস্থা খুব ভয়াবহ। রোগী ও বয়স্ক মানুষের প্রয়োজন ছাড়া সকলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করছে। তাদের সাথে রয়েছে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি আভিযানিক দল বড় বাজারে দু জনকে ১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, মহামারি করোনার সময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিয়ে সরঞ্জাম বিক্রেতা অসীম কুমারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা ও অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে বের হওয়ায় একজনকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
৩ বছর আগে