আল জাজিরা
বাড়ল আল জাজিরার ওপর ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ
কাতার-ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা নিউজের ওপর ইসরায়েলের বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহির অনুরোধে দেশটিতে আল-জাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধ করার আদেশের মেয়াদ ৯ জুন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৪৫ দিন বাড়িয়েছে তেল আবিব জেলা আদালত।
এর আগে গত মে মাসে ৩৫ দিনের জন্য প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এমনকি আলজাজিরার জেরুজালেম অফিসে অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
আদালত বলেছেন, “আল জাজিরাকে 'অপপ্রচার চালানো ও গোয়েন্দা হাতিয়ার' হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস।”
গত এপ্রিলে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে একটি যুদ্ধকালীন আইন পাস হয়, যেখানে বলা হয় জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে 'ক্ষতিকর' বিদেশি সংবাদ সংস্থাগুলোকে নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে সরকার। আইনটি সরকারকে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির অনুমতি দেয় এবং পরবর্তীতে একটি নতুন ৪৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করার সুযোগ থাকে, যা অনির্দিষ্টকালের জন্য চালু রাখা যায়।
৬ মাস আগে
মার্কিন বন্দুক সহিংসতার জন্য পুঁজিবাদ দায়ী: আল জাজিরা
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বন্দুক সহিংসতার জন্য পুঁজিবাদ দায়ী।
রবিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘সম্পূর্ণভাবে মানুষের ওপর মুনাফা আদায়ে ব্যস্ত। উদাহরণ হিসেবে প্রতিবেদনে ‘পরিবেশের কর্পোরেট ধ্বংস’, ‘দরিদ্র সংখ্যালঘুদের কারাবাস’ এবং ‘নিশ্চিতভাবে অসুস্থ একটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার’ কথা বলা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিদেশে মার্কিন আচরণ বলার অপেক্ষা রাখে না যে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বা অন্যান্য সামরিক হত্যায়’ যেখানেই মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেখানেই অনেক সমস্যা তৈরি হয়।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুঁজিবাদকে আমেরিকার অন্তর্নিহিত রোগ হিসেবে দেখতে ব্যর্থ হওয়ার অর্থ হল, দেশটির ক্রমবর্ধমান সহিংস ঘটনাগুলোকে ‘বিচ্ছিন্ন সমস্যা’ হিসেবে দেখা।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রে শপিংমলে গোলাগুলিতে নিহত ৩
২ বছর আগে
বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা কোনো চ্যানেল বন্ধ করিনি, বন্ধ করার জন্যও বলিনি। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত। এখানে যে কোনো চ্যানেল সম্প্রচার করতে পারে, কিন্তু দেশের আইন মেনে করতে হয়।
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে যে কোনো বিদেশি চ্যানেল বিজ্ঞাপন মুক্তভাবে সম্প্রচার করতে হয়। সব দেশে আইন মেনে চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করে। শুধু আমাদের দেশে আইনকে বছরের পর বছর ধরে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হচ্ছিল। আমরা আইন বাস্তবায়নের কথা দুই বছর আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলেছিলাম। বেশ কয়েকবার তাগাদা দেয়া হয়েছে, নোটিশ করা হয়েছে। গত মাসের শুরুতে তাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মত বসে সিদ্ধান্ত হয় ১ অক্টোবর থেকে আইন কার্যকর করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার কোনো বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করেনি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ কেউ বলছে ডিজিটালাইড না হওয়া পর্যন্ত আইন শিথিল রাখতে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার পুরোটা ডিজিটালাইড হয়নি। সেখানে আইন কার্যকর আছে। আমাদের দেশে এ ধরনের অজুহাত তোলার কোনো যুক্তি নেই।
মন্ত্রী বলেন, ক্লিন ফিড যেহেতু পায়নি সেজন্য তারা সরকারের নির্দেশনা মেনে বন্ধ রেখেছে সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তাদের আগেই সময় দেয়া হয়েছিল যাতে তারা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোকে বলে ক্লিনফিড পাঠানোর জন্য এবং তারাও প্রস্তুতি নেয়। যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে, দুই বছর সময় দেয়া হয়েছে। আমি দুই বছর আগ থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। এর আগেও এই আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
আরও পড়ুন: বিদেশি চ্যানেলে ক্লিনফিড বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, বিবিসি, সিএনএন, আল জাজিরা, ফ্রান্স টিভি, রাশান টিভি, ইউরো টিভি, এনিমেল্ট প্ল্যান্টেটসহ ২৪টি টিভি বাংলাদেশে ক্লিনফিডে আসে। সেগুলোও তারা চালাচ্ছেন না। যেটি কেবল অপারেটর লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। সুতরাং কেউ শর্ত ভঙ্গ করলে শর্ত ভঙ্গের অপরাধে অভিযুক্ত হবেন। যেসব চ্যানেল ক্লিনফিড পাঠায় না তাদের এজেন্ট আছে। এই দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চ্যানেল ও এজেন্টের। এটি কেবল অপারেটরদের দায়িত্ব নয়। কিন্তু কোনো কোনো কেবল অপারেটর এজেন্টেদের পাশ কাটিয়ে তারা সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে পাইরেসি করে ডাউনলোড করে। সেটি কিন্তু তারা করতে পারেন না। এটি আইন বহির্ভুত।
৪ অক্টোবরের পর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে কোয়াব—এই ধরনের আন্দোলনের কথা বলা অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, যেসব চ্যানেল দেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে, সংস্কৃতিকে চোখ রাঙাচ্ছে, সেগুলোর পক্ষে ওকালতি করা দেশের স্বার্থ ও আইন বিরোধী। আমি আশা করব দেশের স্বার্থ বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হবেন না। সরকার কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। সরকার দেশের স্বার্থ ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য, আইন বাস্তবায়ন করার জন্য বদ্ধ পরিকর।
আরও পড়ুন: আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, তারা যদি আলোচনা করতে চায় আলোচনা হতেই পারে। তারা আমাদের সহযোগী। তবে আলোচনার ভিত্তি হবে আইন মানা, দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ।
মন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে সরকার কয়েকশ কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। এই বিনিয়োগ বঞ্চিত হওয়ার কারণে মিডিয়া থেকে অনেকে ছাঁটাই হচ্ছেন। যখন এই বিনিয়োগটা দেশি মিডিয়ার হবে তখন মিডিয়া থেকে ছাঁটাই হওয়াটা বন্ধ হয়ে যাবে বা সেই অজুহাতে ছাঁটাই করা যাবে না। এভাবে পুরো দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে।
৩ বছর আগে
ভাসানচর নিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদন মিথ্যা ও প্রতিহিংসার অংশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভাসানচর বিষয়ে আল জাজিরার সর্বশেষ প্রতিবেদন ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এবং এটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর প্রতি প্রতিহিংসার একটি অংশ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, 'তারা প্রথম দিন থেকেই এটি করছে। তাদের উদ্দেশ্য মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি যেকোনো মুসলিম সরকারের প্রতি আল জাজিরার 'প্রতিহিংসাপরায়ণ দৃষ্টিভঙ্গি', বিশেষত যেসব দেশ ভালো করছে তাদের বিরুদ্ধে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায়, সাহায্য সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম সন্নিকটে, সেই সাথে ভাসানচরের একদল রোহিঙ্গা শরণার্থী তীব্র ঝড়ের কবলে পড়ে আটকা পড়তে পারে এবং সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার প্রতিবেদন অপপ্রচারের নোংরা বহিঃপ্রকাশ: কাদের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনে কিছু ব্যক্তির সাক্ষাত্কার নেয়া হয়েছে এবং তাদের মুখ ঢাকা ছিল।
'মিথ্যা খবর প্রচারই তাদের কাজ। সুতরাং, এ সম্পর্কে কিছু বলার নেই,' বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অন্যদিকে, ভাসানচরে জাতিসংঘের কারিগরি দলের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তাদের পর্যবেক্ষণ খুব ভালো ও ইতিবাচক। সংক্ষেপে, তারা একটি ইতিবাচক পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।'
তিনি বলেন, তারা তাদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে একটি ১০-পৃষ্ঠার প্রতিবেদন হস্তান্তর করবে এবং ইতোমধ্যে তারা দুই পৃষ্ঠার একটি সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছে।
এক লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন সুবিধা সম্পর্কে সরাসরি ধারণা লাভ করতে জাতিসংঘের ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত মার্চে ভাসানচর পরিদর্শন করে।
তাদের দুই পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপে দলটি তিনটি বিষয় নির্দেশ করেছে- রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিক্ষা, বেড়িবাঁধের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা।
ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের শিক্ষা প্রদানে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই। তবে, সেটি মিয়ানমারের ভাষাতেই হওয়া উচিত।
'রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। সুতরাং, রোহিঙ্গারা দেশে ফিরলে সহজেই তাদের সমাজে মিশে যেতে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমের শিক্ষা সহায়তা করবে,' তিনি বলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আঞ্চলিক, বহুপাক্ষিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
বেড়িবাঁধের উচ্চতা আরও বাড়ানোর বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, তারা অবশ্যই তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে এটি করবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা সন্দ্বীপ হয়ে ভাসানচরে যেতে পারবেন। কেননা এই পথে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। 'ভাসানচরের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।'
তিনি বলেন, ভাসানচর বাংলাদেশের ৭৫টি দ্বীপের একটি এবং এটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের চেয়েও ১০ গুণ বড়।
কূটনীতিকদের সফরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, তারা সেখানে দৃঢ় কাঠামো ব্যবস্থা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। 'তারা এই ব্যবস্থার খুব প্রশংসা করেছে। তারা এটা পছন্দ করেছে।'
'দু'জন কূটনীতিকের সাথে আমার আলোচনা হয়েছিল। তারা ভাসানচর পছন্দ করেছে,' পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন।
বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা ৩ এপ্রিল বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে আলাপকালে স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে।
তারা ভাসানচরে বিদ্যমান সুবিধাগুলো সম্পর্কে তাদের 'উচ্চ সন্তুষ্টি' জানিয়েছেন, যাকে তারা কক্সবাজারের জঞ্জাল শিবিরের তুলনায় নিরাপদ, সুরক্ষিত অপরাধ মুক্ত বলে বিবেচনা করেন।
মিয়ানমার থেকে গণ প্রস্থানের পর থেকে রোহিঙ্গাদের অনুকরণীয় মানবিক সহায়তার জন্য রোহিঙ্গারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানায়।
ভাসানচরে আসা কূটনীতিকদের উদ্দেশে এক রোহিঙ্গা প্রতিনিধি বলেন, 'আমি চাই আমার সন্তানরা তাদের নিজস্ব জাতীয় পরিচয় নিয়ে তাদের দেশে বেড়ে উঠুক।'
কিছু রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিক্ষার সুবিধা সম্প্রসারণ এবং তাদের কৃষিকাজ ও মাছ ধরার সুযোগ প্রদানের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন যা তাদের কর্মঠ হতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচর পরিদর্শন করলেন বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা
তুরস্ক, ইইউ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নেদারল্যান্ডস- দশটি দূতাবাস/প্রতিনিধি দলের মিশনের প্রধানদের জন্য ভাসানচরে দিনব্যাপী এই পরিদর্শনের আয়োজন করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভাসানচরে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া রোহিঙ্গা স্থানান্তর তাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সামগ্রিক প্রচেষ্টারই অংশ।
এর আগে, মানবিক সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে ভাসানচরে স্থানান্তরিত এক লাখ রোহিঙ্গাদের পরিষেবা না দিলে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাদের নামে তারা যে পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে তার ১০ শতাংশ দাবি করবে বাংলাদেশ।
গত শুক্রবার তার বাসভবনে ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, তাদের অর্থ প্রদান করতে হবে। কেননা তহবিল আসছে রোহিঙ্গাদের জন্য। ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পরিষেবা দিতে না চাইলে আমরা ১০ শতাংশ তহবিল দাবি করব।'
কক্সবাজার জেলায় ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার ১ লাখ রোহিঙ্গাকে ধীরে ধীরে ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে যার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিলের ১০ শতাংশ দাবি করবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা কোথায় বাস করছেন তা নিয়ে মানবিক সংস্থাগুলোর মাথাব্যথা হওয়া উচিত নয়।
ড. মোমেন বলেন, 'রোহিঙ্গারা কুতুপালং, কক্সবাজার, বরিশাল কিংবা ভাসানচরে বাস করছে কিনা তা বিষয় নয়। এটা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা হওয়া উচিত নয়। তাদের মাথাব্যথা হওয়া উচিত রোহিঙ্গাদের পরিষেবা প্রদান করা নিয়ে। তারা যেখানেই থাকুক না কেন পরিষেবা প্রদানে তারা বাধ্য।'
তিনি বলেন, যদি মানবিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের পরিষেবা না দেয় তবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তহবিল সরবরাহ করবে না। ফলে তারা তীব্র কষ্টের মুখে পড়বে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএনএইচসিআর এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের ও হোস্ট সম্প্রদায়ের নামে অর্থ সংগ্রহ করার পরেও তারা জানে না কীভাবে অর্থ ব্যয় করে।
৩ বছর আগে
আল জাজিরার প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় বাংলাদেশকে নিয়ে করা 'অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার মেন' শীর্ষক প্রতিবেদন ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৩ বছর আগে
আল জাজিরার প্রতিবেদন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: সেনাপ্রধান
আল জাজিরার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশে প্রচার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।
৩ বছর আগে
হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: তথ্যমন্ত্রী
হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
৩ বছর আগে
আল জাজিরার প্রতিবেদনে সরকার বিচলিত: বিএনপি
বাংলাদেশের দুর্নীতির বিষয়ে আল জাজিরার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে সরকার মারাত্মকভাবে ‘বিচলিত ও অরক্ষিত’ হয়ে উঠেছে বলে শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মন্তব্য করেছেন।
৩ বছর আগে
আল জাজিরা বন্ধ চেয়ে রিটের শুনানিতে ৬ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ
দেশে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধ এবং ভিডিও সরাতে করা রিটের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে মতামত জানতে ছয়জন বিশিষ্ট আইনজীবীকে অ্যামিক্যাস কিউরি (আদালতকে আইনগত মতামত দিয়ে সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে হাইকোর্ট।
৩ বছর আগে
দেশে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে রিটের শুনানি পেছাল
দেশে কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সম্প্রচার বন্ধে রিটের শুনানি বুধবার সকাল ১১টায় শুরু হবে।
৩ বছর আগে