শিক্ষা কর্মকর্তা
হবিগঞ্জে শিক্ষা কর্মকর্তার দীর্ঘ বক্তৃতা, ১৮ ছাত্রী অসুস্থ
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের একটি স্কুলে জেলা শিক্ষা অফিসারের দীর্ঘ বক্তৃতা চলাকালে গণহারে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার সকালে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রুহুল্লাহ বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। সকালে ওই স্কুল মাঠে এসেম্বলি চলাকালীন তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: অসুস্থ রওশনকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা থেকে সরাতে চায় জাপা
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোদে দাঁড়িয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তব্য শোনার সময় একে একে ১৮ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারা শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকে।
এমতাবস্থায় তাদেরকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮ম শ্রেণির ঝুমা আক্তার, বৈশাখী চন্দ, ও ৯ম শ্রেণির রিনা আক্তার গুরুতর অসুস্থ হলে তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠনো হয়।
আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার খানম জানান, সাধারণত এসেম্বলী ১৫ মিনিট চলে। বুধবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমাদের স্কুলে পরিদর্শনে আসার পর তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দীর্ঘক্ষণ পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন। এ সময় হঠাৎ ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সকালে অনেক শিক্ষার্থীই না খেয়ে আসে। চিকিৎসা দেয়ার পর বর্তমানে সবাই সুস্থ রয়েছে। অসুস্থ ছাত্রীরা হলেন ৯ম শ্রেণির নিপা আক্তার, শ্রাবনী আক্তার, শামীমা, অপি আক্তার, রিনা আক্তার, তানিয়া রহমান, তাহমিনা, মারিয়া আক্তার, ৮ম শ্রেণির হেলেনা আক্তার, মিতু আক্তার, বৈশাখী চন্দ, উষা আক্তার, ঝুমা আক্তার, ষষ্ট শ্রেণির রূপালী, প্রমি শীল। বাকি তিনজনের নাম জানাতে পারেনি শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন মুকুল।
হবিগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মমিন উদ্দিন বলেন, ছাত্রীরা মাস সাইকোলজিক্যাল ইলনেসে আক্রান্ত হয়েছিল। চিকিৎসায় তারা সুস্থ হয়ে যাওযায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে বিষাক্ত মদ পানে ২৮ জনের মৃত্যু, ৬০ জন অসুস্থ
ধান মজুতের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছে ব্যবসায়ীরা: খাদ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় এসি ল্যান্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর আদেশ
মাগুরার শ্রীপুরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে দোসতিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন জমির সীমানা নির্ধারণের চেষ্টার অভিযোগে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুন্ডু ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনকে শোকজ করেছে আদালত।
বুধবার বিকেলে মাগুরা জজ আদালতের (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী বিচারক রোমনা রোজী এই আদেশ দেন।
মাগুরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার সুষমা দত্ত এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রায়ের আলোকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে,অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কেন জারি হবে না এ বিষয়ে জানতে এসিল্যান্ড ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শনোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার মামলার বাদী মো.আব্দুল হালিম মাগুরার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন। মামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুন্ডু ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, দোসতিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লুর রহমান ও সভাপতি লাভলু মোল্লাকে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানির জন্য হাহাকার
জানা যায়, শর্ত সাপেক্ষে ২০১৪ সালে দোসতিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ২৪ শতাংশ জমি নিয়ে মাগুরা জজ আদালতে মামলা হয়। আর এস ৩ খতিয়ান অনুযায়ী ৯২৯ দাগের ৩৩ শতাংশ জমির মালিক বিদ্যালয়টি। সেখানে ভুলক্রমে ৪৩ শতাংশ ম্যাপ হওয়ায় জোরপূর্বক জমিটি দখলের অভিযোগ করেছে বাদী নিজেই। গত ২০১৬ সালে এ জমি মামলাটি নিষ্পত্তি ও বাদীর পক্ষেই রায় হয়। সেখানে আর এস তিন খতিয়ানে বাংলাদেশ সরকারে পক্ষে শিক্ষা বিভাগের নামে রেকর্ড হয় ৩৩ শতাংশ জমি। উক্ত জমি যাতে বিবাদীরা অবৈধভাবে দখল করতে না পারে, এজন্য বাদী আদালতে পুনরায় মামলা করে। এখনও আদালতে মামলাটি চলমান। মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষের স্থিতিবস্থায় থাকার আদেশ দেন আদালত। কিন্তু আদালতের রায়ের এ আদেশ অমান্য করে গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে উপজেলা কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে সীমানা নির্ধারণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, জমিটি বাদীর বাবা-দাদারা বিদ্যালয়কে অনেক আগেই দান করে গেছেন, জমির দলিল বিদ্যালয়ের নামে। ম্যাপ অনুযায়ী বিদ্যালয়ের জমি ৪৩ শতাংশ। বিদ্যালয়ের জমি অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. আব্দুল হালিম বলেন, জমিটি আমাদের কেনা সম্পত্তি। আদালতে সরকারের সঙ্গে এ জমি সংক্রান্ত মামলা হয়। আদালত মামলার রায় আমাদের পক্ষে দেন। কিন্তু জমিটি বারবার অবৈধ দখলের চেষ্টা চলছে। গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার এসিল্যান্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সীমানা নির্ধারণ করেন। এসিল্যান্ড আমাকে মোবাইলে দেখে নেয়ার হুমকিও দেন।
তিনি আরও বলেন, এমনকি আমাকে ১৫ মিনিটের মধ্যে তার অফিসে যেতে বলেন। ভয়ে যাইনি, তবুও বারবার ফোন করেছেন। একজন সরকারি কর্মকর্তার এমন আচারণে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকালে মিস্ত্রী আমাকে ফোন করে দেয়াল নির্মাণ কাজের বিষয় জানান।
আরও পড়ুন: শীতে মাগুরায় পিঠা খাওয়ার ধুম
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামানন্দ কুন্ডু বলেন, আদালতের শোকজের কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। শোকজের জবাব দিব। আমি বাদীকে কোনো হুমকি দেইনি। সে যা বলছে সব মিথ্যা।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, কোনো অনিয়মের চেষ্টা হয়নি বরং এতদিন অনিয়ম হয়ে এসেছে। আমরা সঠিক নিয়মের মধ্যেই আছি। সেটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে। আর তাই মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালতের কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। শোকজের জবাব দেয়া হবে যথা সময়েই।
২ বছর আগে
দেওয়ানগঞ্জের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র ঢাকায় আটক
বিজয় দিবসের কর্মসূচিতে শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের পৌরসভার সাময়িক বরখাস্ত মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক (আইনি ও মিডিয়া উইং) এএসপি ইমরান খান ইউএনবিকে বলেন, র্যাবের একটি দল ঢাকার উত্তরায় হোটেল ডি মেরিডিয়ানে অভিযান চালিয়ে শাহনেওয়াজকে আটক করে।
শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে এর আগে শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে সাময়িকভাবে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।
২১ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মেহের উল্লাহ যে অভিযোগ করেছেন, তা শিষ্টাচার বহির্ভূত, অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশাসনের শামিল যা প্রশাসনের দৃষ্টিকোণ থেকে সমীচীন নয় এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে সরকার মনে করে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আরও পড়ুন: শিক্ষা কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত: দেওয়ানগঞ্জের মেয়র সাময়িক বরখাস্ত
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে দেওয়ানগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল মাঠে উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মেহের উল্লাহ।
ভোর থেকে ওই মাঠের শহীদ মিনারে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছিলেন। এ সময় দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। উপস্থাপক শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মাইকে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের নাম ঘোষণা করছিলেন।
পৌরসভার নাম ৫ নম্বরে ঘোষণা করার কারণে মেয়র প্রকাশ্যে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই মামলা করেন মেহের উল্লাহ।
আরও পড়ুন: দেওয়ানগঞ্জের মেয়রকে জেলা আ.লীগ থেকে বহিষ্কার
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ঢাকায় কাটাখালীর মেয়র আটক
২ বছর আগে
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
কুড়িগ্রামে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
৩ বছর আগে
ঝিনাইদহে টাকা ছাড়া মিলছে না বিনামূল্যের সরকারি বই
ঝিনাইদহে টাকা না দিলে সরকারের দেয়া বিনামূল্যের বই পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।
৩ বছর আগে
শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের ভূরিভোজ!
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় তদন্তের নামে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বাসায় ভূরিভোজ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
৪ বছর আগে
৫০ হাজার টাকাসহ দুদকের ফাঁদে শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী
ঠাকুরগাঁও, ০৭ অক্টোবর (ইউএনবি)- ঠাকুরগাঁও জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহকারী নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে ধরা পড়েছেন।
৫ বছর আগে