সাবেক প্রধানমন্ত্রী
গুলশানে বাসায় তল্লাশি-ভাঙচুরে উসকানিদাতা সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর গুলশানের বাসায় তল্লাশির নামে ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় উসকানি দিয়েছে ওই বাসারই সাবেক কেয়ারটেকার।
বুধবার (৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গুলশানের ওই বাসায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ, অস্ত্র ও আওয়ামী লীগের দোসরদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার(৪ মার্চ) মধ্যরাতে দরজা ভেঙে ‘তল্লাশির’ নামে ২০ থেকে ২৫ জন লোক ঢুকে পড়ে। তল্লাশির অজুহাতে সেখানে প্রবেশ করে বাসাটি তছনছ, ভাঙচুর ও লুটপাটের চেষ্টা করা হয়।
৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থলে আসে গুলশান জোনের ডিসি, গুলশান থানার ওসি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে তিন জন আটক করা হয় ও তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তের কাছে আইএসআই জড়ো হওয়ার খবর খাঁটি কল্পকাহিনী: প্রেস উইং
আটকরা হলেন— জুয়েল খন্দকার ( ৪৮) ও তার ছেলে শাকিল খন্দকার (২৪), শাকিল আহমেদ (২৮)।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শাকিল আহমেদ (২৮) একসময় বাসাটিতে কেয়ারটেকারের কাজ করতো। সেই মূলত জনতাকে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা পাওয়া যেতে পারে—এমন তথ্য দিয়ে বাসাটিতে তল্লাশি চালালোর জন্য উসকানি দেয়।
এর আগে গত পরশুদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকেও একই অজুহাতে একদল জনতা বাসাটিতে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ এসে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আরও জানায়, এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনরায় সতর্ক করে দিয়েছে যে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে নিকটবর্তী থানাকে অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর বলে জানানো হয়েছে।
১১ দিন আগে
খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ছয়জন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে সাক্ষ্য দেন তারা। এ নিয়ে মামলাটিতে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গেল বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ আট আসামির অব্যাহতি আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক আছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
৬১ দিন আগে
এক মাসের মধ্যে হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলার প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে দিতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম জানান, বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের বিষয়ে আদালতকে জানাতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া এ বিষয়ে শুনানির জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে সকালে নয়জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইবুনালে হাজির করা হয় এবং তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: হাসিনার স্বৈরতন্ত্রকে সহজতর করেছে বিচার বিভাগ: টিআইবির নির্বাহী পরিচালক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর সোমবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এসব আসামির সবাই অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ট্রাইব্যুনালের যাদের হাজির হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন-সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
এছাড়াও রয়েছেন-সাবেক মন্ত্রী ড. দীপু মনি, শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এবং ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে হাজির করার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাকে হাজির করা যায়নি।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে ২০ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তথ্যপ্রযুক্তিতে জমা পড়ে। জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ১০০০ এর বেশি মানুষ নিহত এবং বহু মানুষ আহত হন।
আরও পড়ুন: ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে গ্রেপ্তারে আইজিপিকে আইসিটির প্রধান কৌঁসুলির চিঠি
১১৮ দিন আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৩ ডিজিকে ওএসডি
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের (সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) তিন মহাপরিচালককে (ডিজি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) যুগ্মসচিব পদমর্যাদার এ কর্মকর্তাদের ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণভবনে জাদুঘরের পাশাপাশি শহীদদের পরিবারের আবাসনের প্রস্তাব পার্থর
ওএসডিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. শহিদুল ইসলাম, শাহিদা সুলতানা ও মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক (যুগ্মসচিব) গুলশান আরাকে পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হিসেবে বদলির আদেশাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র, নির্যাতনের শিকারদের পুনর্বাসনে সহায়তায় আগ্রহী ডেনমার্ক
১৮৮ দিন আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে ৩ হত্যা মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৫ জনের বিরুদ্ধে আরও ৩টি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলাগুলোকে এজাহার হিসাবে গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর ডেমরার সানারপাড়ে মিরাজ হোসেন, মোহাম্মদপুরের বসিলায় বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশনের মেশিন অপারেটর মনসুর মিয়া এবং মিরপুরে নাহিদুলকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এসব মামলা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালতে মিরাজ হোসেনকে হত্যার অভিযোগে ৯২ জনকে আসামি করে মামলা করেন খোরশেদ আলম মিয়া। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ডেমরা থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাভারে শেখ হাসিনাসহ ১২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার প্রমুখ।
একই দিনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে ২২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। মোহাম্মদপুরের বসিলায় মনসুর মিয়া নিহতের ঘটনায় তার ভাই আয়নাল হক এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সাবেক পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার প্রমুখ।
এছাড়া ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরে নাহিদুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় তার ভাই সবুজ এ হত্যা মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি মিরপুর থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শেখ হাসিনাসহ ৮৫ জনের নামে হত্যা মামলা
মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়া উল্লেখ্যযোগ্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।
মনসুর হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই মনসুর মিয়া মোহাম্মদপুরের বসিলা সেতু এলাকায় তার সন্তানকে মাদরাসা থেকে আনতে যাচ্ছিলেন। পথে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মিরাজ হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৫ আগস্ট মিরাজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ডেমরার সানারপাড় মেইন রোডে আসলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও র্যাবের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, পেশাজীবীরা ও অন্যান্য নেতাকর্মী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগের কয়েকশ’ কর্মী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ও আক্রমণ করেন। তারা গুলি চালাতে থাকেন। এতে মিরাজসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নাহিদুল হত্যা মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিরপুরে নাহিদুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে টিসিবির পণ্যবিক্রেতার মৃত্যু: শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
২০১ দিন আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির এক আদেশে তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ২৭ জুন তোফাজ্জলের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়েছিল সরকার।
২২১ দিন আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর অস্থিরতা থামাতে সেনা মোতায়েন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আদালতের কক্ষ থেকে টেনে নিয়ে গ্রেপ্তার, দেশজুড়ে সহিংসতার সূত্রপাত এবং তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর – সার্বিক দিক বিবেচনায় দেশটির সরকার সহিংস এলাকাগুলোতে বুধবার সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছে।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ইমরান খানের সমর্থকদের অস্থিরতা 'সংবেদনশীল সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছে', যার ফলে তিনি রাজধানী ইসলামাবাদ, পাঞ্জাবের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের অস্থিতিশীল অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদ ও অন্যান্য বড় শহরগুলোতে জনতা রাস্তা অবরোধ করে, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং পুলিশের চেকপয়েন্ট ও সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার বিক্ষোভকারীরা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ারের একটি রেডিও স্টেশনে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তানের জনগণ এ ধরনের দৃশ্য কখনও দেখেনি। এমনকি রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের করে আনা হয় এবং অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।’
এ ধরনের হামলাকে 'ক্ষমার অযোগ্য' আখ্যায়িত করে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সহিংসতায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
শরিফ বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই অভিযোগগুলোর সমর্থনে প্রমাণ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের গ্রেপ্তার: পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা
৬৭৬ দিন আগে
বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মামলায় নাজিব রাজাক দোষী সাব্যস্ত
মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ তহবিলের বিলিয়ন ডলার লুটের দায়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে (৬৭) দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে আদালত।
১৬৯২ দিন আগে