সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হওয়া মালয়েশিয়ার নেতা নাজিব এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। তা না হলে তাকে এ মামলায় বহু বছর জেলে কাটাতে হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ রায় নাজিবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা অন্যান্য মামলার বিচারকে আরও বেগবান করবে এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচারে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে দেশটির যে সক্ষমতা রয়েছে সে বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তাও দিচ্ছে।
বিচারক মোহাম্মদ নাজিম মোহাম্মদ গাজ্জালি বলেন, ‘আমি সাত অভিযোগের সবগুলোতে অভিযুক্তকে দোষী ও দণ্ডপ্রাপ্ত হিসেবে পেয়েছি।’
পুরো রায়টি পড়ে শুনাতে বিচারকের প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। এ সময় নাজিবের সমর্থকরা আদালতের বাইরে অপেক্ষা করেছিলেন। রায় শুনে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিবকে সাতটি অভিযোগের প্রত্যেকটির জন্য ১৫ থেকে ২০ বছরের জেল ও সেই সাথে জরিমানা গুণতে হতে পারেন।
তবে, তিনি বলেছেন যে তার আর্থিক উপদেষ্টারা তাকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন জানিয়ে নাজিব তার ফেসবুকে পেজের এক পোস্টে বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার চাই। আমি খালাস পেতে চাই। এরপরে, আমরা কোর্টে আপিল করব। সেজন্য আমি প্রস্তুত আছি।’