পর্যটক
খাগড়াছড়িতে বাড়ছে পর্যটক, কাটছে ব্যবসার মন্দা
ভরা মৌসুমে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের সমাগম বাড়ায় প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরেছে পর্যটক সংশ্লিষ্ট খাতে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় থেকেই খাগড়াছড়ির পর্যটন খাতে ধ্বস নামতে শুরু করে। আঞ্চলিক সমস্যা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানান কারণে মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন স্পটগুলো। এছাড়া কয়েক দফার বন্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসায় কিছুটা ধস নেমেছিল। পর্যটকের অভাবে লোকসান গুণতে থাকে বিনিয়োগকারীরা।
পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় আবারও আশায় বুক বাঁধছেন এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রিক সব বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বেড়েছে পর্যটক সমাগম।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণা, জেলাপরিষদ পার্ক ঘুরে দেখা যায় পর্যটকে ভরপুর রয়েছে। পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তারা।
তবে খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আসা অধিকাংশ পর্যটক মূলত সাজেক পর্যটন স্পটে বেড়াতে আসেন। খাগড়াছড়িতে হাতেগোনা কয়েকটি পর্যটনস্পট হওয়ায় সাজেক আসা যাওয়ার ফাঁকে স্পটগুলো থেকে ঘুরে যান পর্যটকরা।
৬ দিন আগে
সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ফলে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
আঞ্চলিক এই দলের গোলাগুলির ১ জন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দুই অঞ্চলিক দল দফায় দফায় গোলা বর্ষণ করেছে। তবে আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক জনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল জেলা প্রশাসন
সাজেকে আটকা পড়া চালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে।
দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকালে কোনো পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।
রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে আজ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মাসেরও বেশি সময় পর খুলে দেওয়া হলো সাজেক পর্যটন কেন্দ্র
২ সপ্তাহ আগে
পর্যটকে মুখরিত হাওর; দুই মাসের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশায় ব্যবসায়ীরা
তিন দফা বন্যা ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে প্রায় দুই মাসের মতো বন্ধ ছিল সুনামগঞ্জের হাওরের পর্যটন ব্যবসা। বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ তাহিরপুর সীমান্তের কাছে পর্যটন এলাকাগুলোতে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি পর্যটন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিখ্যাত জলরাশির হাওরের দিকে ছুটছেন অনেকে। পর্যটকদের আগম বাড়তে থাকায় দুই মাসের ক্ষতি কাটিয়ে নতুন করে শুরুর সাহস পেয়েছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও নিকটবর্তী এলাকার ১০টি ঐতিহাসিক মন্দির
হাওরের বুকে ঘুরে বেড়ানো হাউজবোটগুলোর মালিকরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গেল ২ মাস পর্যটক আসেনি হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে। এ কারণে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যটকের উপচে পড়া চাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ২ মাসের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ভরসা পাচ্ছেন তারা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘ সময় দেশের ভ্রমণপ্রেমী মানুষদের পর্যটন এলাকাগুলোতে যাওয়ার সুযোগ মেলেনি। অন্যদিকে গেল ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এই তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে প্রশাসন। এতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা হাওরকেই বেছে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: হাকালুকি হাওর ভ্রমণ: এক নিঃসীম জলজ মুগ্ধতা
হাউজবোট মালিকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই হাউজবোটগুলো অগ্রিম বুকড হয়ে গেছে। শিডিউল মেনে ট্যুর পরিচালনা করতে হচ্ছে।
২ মাস আগে
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা এড়িয়ে চলতে পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য পর্যটকদের অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে, হতাশ পর্যটকরা
পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পর্যটনের স্থানগুলোতে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, এতে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
২ মাস আগে
সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরলেন সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটক
৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির কারণে সাজেকে আটকে পড়া ১ হাজার ৪০০ পর্যটক সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এদিকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সব রুটে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন
সেনাবাহিনী সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার রাতে যান চলাচল ঠিক রাখতে স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনা সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, বাঘাইছড়ি জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সাজেক রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের আবাসন ফির ৫০-৭৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকাস্থ জুম্ম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীরা অবরোধের ডাক দেয়। এই বিক্ষোভে সমর্থন জানায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
২ মাস আগে
অবরোধে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ফের স্থগিত, সাজেকে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
রাঙ্গামাটিবৈরী আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে দ্বিতীয় দফায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে, কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে এবং সাজেকের বাঘাহাট নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকির প্রতিবাদে বাঘাইছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে ৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রথম দফায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এদিকে, মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বিপুল চাকমা জানিয়েছেন, নির্বাচন স্থগিত করায় বাঘাইছড়িতে দুপুর ১২টার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে। তবে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না হলে আবারও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দুপুরে অবরোধ প্রত্যাহার হলে পর্যটকরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিয়েছে।
অবরোধ চলাকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সড়কে অবরোধকারীরা গাছেরগুড়ি ফেলে তাতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করে। এছাড়া বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৭ কিলোমিটার এলাকায় একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে সাজেকের ভোটকেন্দ্র থেকে মালামাল নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে ৯ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
৬ মাস আগে
কক্সবাজারের হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার শহরের আবাসিক হোটেল সিগালের তৃতীয় তলায় থেকে পুলিশ এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে কক্সবাজার কলাতলী সুগন্ধা হোটেল সিগালের ৩০৮ নম্বর রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
তার নাম মো. গাজী এম শওকত হাসান (৫০)। তিনি কুমিল্লা দুর্গাপুর অশোক তলার মৃত গাজী মোস্তফার ছেলে। এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সিটি ব্যাংকের কর্মচারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্ধ ঘর থেকে মা-বাবা-মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, হোটেল সিগালের তৃতীয় তলায় তার রুমে গাজী এম শওকত হাসান অসুস্থ অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে ছিলেন।
এ সময় তার সহকর্মী ও হোটেল স্টাফদের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গত ৩০ জানুয়ারি গ্রুপ ট্যুরে কক্সবাজার আসেন।
প্রথামিকভেবে জানা গেছে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
হবিগঞ্জে একদিনে শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
১০ মাস আগে
সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা টেকনাফে ফিরেছেন
বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া ৪০০ পর্যটক অবশেষে দুই দিন পর টেকনাফে ফিরে এসেছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে কেয়ারী সিন্দবাদ জাহাজে করে নিরাপদে টেকনাফ পৌঁছান বলে জানিয়েছেন সি-ক্রোজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর।
তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কেয়ারী সিন্দবাদ জাহাজ টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় সেন্টমার্টিনের জেটি ঘাটে পৌঁছায় জাহাজ। এরপর বিকাল ৩টায় আটকে পড়া ৪ শতাধিক অন্যান্য পর্যটকদের নিয়ে বিকাল ৫টায় টেকনাফ দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছায় জাহাজটি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ছাড়ার নির্দেশ
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের ফেরাতে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেই জাহাজে করে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরে আসেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ৩টার দিকে দ্বীপ থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেয়। তারা এতক্ষণে টেকনাফে পৌঁছানোর কথা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) নিম্নচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে শনিবার সকালে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সেন্টমার্টিনে আটকা পড়েছেন শতাধিক পর্যটক
১ বছর আগে
কক্সবাজারে বড় পরিসরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে ঝিনুক আকৃতির রেলস্টেশন
ঝিনুকের আকৃতিতে নির্মিত একটি চোখ ধাঁধানো রেলস্টেশন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে, যা বিনোদনের গন্তব্যে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল রেললাইন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে বন্দরনগরীকে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত করার লক্ষ্যে শনিবার এই স্টেশনটির উদ্বোধন করেন।
কক্সবাজার শহরের নিকটবর্তী ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর রেলস্টেশনটি নির্মাণ করা হয়।
১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুটের রেলওয়ে স্টেশনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে, যেখানে একটি ৬তলা ভবন এবং একটি বড় ঝিনুক আকৃতির ঝর্ণা তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রতিদিন প্রায় ৯০ হাজার যাত্রী আইকনিক স্টেশনটি ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টেশনটিতে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ৩টি বড় জায়গা রয়েছে। স্টেশনটিতে যে সব আধুনিক সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে- টিকিট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, শপিং মল, রেস্তোঁরা, লাগেজ লকার, শিশু যত্ন কেন্দ্র, মসজিদ, এসকেলেটর, এটিএম বুথ, আবাসিক হোটেল, পোস্ট অফিস এবং পর্যটন তথ্য বুথ।
পর্যটন শহরে লাগেজ লকার একটি আকর্ষণীয় সেবা, কারণ যে কেউ স্টেশনে পণ্য রেখে একদিনের জন্য সমুদ্র সৈকত বা অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো পরিদর্শন করতে পারবেন।
এছাড়াও, স্টেশনটি বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ। ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের প্রথম রেলপথের সংযোগ স্থাপনে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুমে ৯টি স্টেশন রয়েছে।
এই স্টেশনগুলোতে সম্পূর্ণ কম্পিউটার-ভিত্তিক ইন্টারলকিং সিগন্যাল সিস্টেম এবং একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক থাকছে।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে উৎসবমুখর কক্সবাজার
১ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ছাড়ার নির্দেশ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ও সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের সোমবার দুপিুর আড়াইটার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে সোমবার দুপুর আড়াইটার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত পর্যটকদের টেকনাফে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এছাড়াও, সোমবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন-চট্টগ্রাম রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আরও তীব্র হতে পারে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালন ঘটছে।
বুলেটিনে বলা হয়, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশ্রয় নিতে পারে। তাদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত, আরও ঘনীভূত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিম্নচাপে ভোলায় ৫ ট্রলারডুবি, ৬ জেলে নিখোঁজ
১ বছর আগে