পর্যটক
পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজার
৯ দিনের ছুটিতে পর্যটকে টইটম্বুর কক্সবাজার। বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের নোনাজলে গা ভেজাতে ছুটে যান দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।
ঈদের পরদিন থেকে কক্সবাজারে ঢল নেমেছে পর্যটকের। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছেন সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্টসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে।
পর্যটকের কেউ কেউ সাগরের ঢেউয়ে শরীর ভিজিয়ে টিউব নিয়ে সাঁতার কেটে উপভোগ করছেন স্বচ্ছ সাগরের জলরাশি।
আবার অনেকেই জেড স্কিতে চড়ে ঘুরে আসছেন ঢেউয়ের তালে তালে। বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা, কিটকট চেয়ারে বসে সাগরের শীতলতা উপভোগেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। ঈদ উৎসব ঘিরে কক্সবাজার সৈকতে ছিল সব বয়সী মানুষের আনন্দ-উল্লাস।
এদিকে কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে।’
‘শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও কটেজে ৯০ শতাংশ রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পাঁচ শতাধিক হোটেলের দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৮৭ হাজার।’
আরও পড়ুন: ঈদ পর্যটন: ঢাকায় সংকীর্ণতা, বাইরে একঘেয়ে
সমুদ্র গোসল নিরাপদ করতে কাজ করছে সী-সেইফ লাইফ গার্ড। সংস্থাটির ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আগত পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্র স্নান নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের তিনটি জনপ্রিয় পয়েন্ট সুগন্ধা, কলাতলীও লাবণী পয়েন্টে লাইফ গার্ডের ২৭ জন সদস্য কাজ করছে। এছাড়া সমুদ্র স্নানে নেমে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য আগত পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে।’
১১ দিন আগে
জাফলংয়ে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু
সিলেটের জাফলংয়ে পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে নয়ন মিয়া (১৩) নামের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পিয়াইন নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ঈদের দিন কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসেন নয়ন। এ সময় তারা জিরো পয়েন্টসংলগ্ন এলাকায় নদীতে গোসল করতে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে নয়ন স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরে তার সঙ্গী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জাফলংয়ে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মারা যাওয়া এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
১৩ দিন আগে
পর্যটক টানবে খাগড়াছড়ি, আশা সংশ্লিষ্টদের
ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়িতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম আশা করছেন পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা। তাদের আশা, আলুটিলার রহস্যময় সুড়ঙ্গ, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেং, রিছাং ঝরণাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখতে প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যটকে মুখরিত হবে পর্যটনকেন্দ্রগুলো।
ঈদ উপলক্ষে টানা ছুটি থাকায় বাড়তি ব্যবসার আশা করছেন হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরাও।
পাহাড়, অরণ্য, ঝর্ণা দেখতে পাহাড়ে ছুটে যায় ভ্রমণপিপাসু মানুষ। সারা বছর পর্যটকের সমাগম থাকলেও ঈদকে কেন্দ্র করে সেই সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ উদ্দেশ্যের কথা মাথায় রেখে জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
১৩ দিন আগে
ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে পর্যটকরা তাদের হতাশার কথা বলে: ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি
ট্যুরিস্ট পুলিশের মাধ্যমে দেশের পর্যটন ব্যবস্থাপনা আরও নিরাপদ হোক বলে জানিয়েছেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘দেশের বিভিন্ন পর্যটক স্পটে নানা সুযোগ সুবিধার অভাবসহ নানা কারণে হতাশ হন পর্যটকরা। বলার মতো কাউকে না পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে পর্যটকরা তাদের হতাশার কথাগুলো জানায়।’
এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাইনুল হাসান বলেন, ‘যখন ট্যুরিস্ট পুলিশ যাত্রা শুরু করে তখন এর জবনল ছিল মাত্র ৬০০ জন। বর্তমানে এই সংখ্যা প্রায় ১৪০০ জন।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে ট্যুরিস্ট স্পটের সংখ্যা ১৬০০। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ ৩২টি জেলার মোট ১৩০টি স্পটে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক বা পর্যটকদের গ্রুপ যদি বাংলাদেশে এসে নিরাপত্তা চায় সেক্ষেত্রে তাদেরও সাপোর্ট দেওয়া হয়।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের কাজ করার চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্যুরিস্ট স্পট কক্সবাজার। অথচ এখনে পর্যাপ্ত টয়লেট নেই, গোসলের পর জামাকাপড় পরিবর্তনের জায়গা নেই, মোবাইল বা ব্যাগ রাখার নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। এসব বিষয়ে প্রায়ই পর্যটকরা ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে নিজেদের হতাশার কথা বলে থাকেন।’
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন আইজিপি
এসময় ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) নাদিয়া ফারজানা। তিনি জানান, নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটক অধ্যুষিত এলাকায় প্যাট্রোলিং, মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা, হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট মালিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ প্রদান, গুরুত্বপূর্ণ ট্যুরিস্ট স্পটে হাই-রেজুলুশনের ক্যামেরা স্থাপন করে রিয়েল টাইম মনিটরিং করে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও নির্বিঘ্ন করতে পাহাড়ি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী গাড়ি ও রেসকিউ ড্রোন কেনা প্রয়োজন।
সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠানে ট্যুরিস্ট পুলিশের ঢাকা-সিলেট-ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন, খুলনা-বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা, ট্যুরিস্ট পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শাহ জালাল, পুলিশ সুপার (লজিস্টিকস্ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এস. এম. জাহাঙ্গীর আলম সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এটিজেএফবির পক্ষে সংগঠনের সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক বাতেন বিপ্লব, যুগ্ম শফিউল্লাহ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলহাস কবীর ও আদনান রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ রুমি, খালিদ আহসান, গোলাম মর্তুজা অন্তু ও সাধারণ সদস্য সরোয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
৭৬ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে বাড়ছে পর্যটক, কাটছে ব্যবসার মন্দা
ভরা মৌসুমে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের সমাগম বাড়ায় প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরেছে পর্যটক সংশ্লিষ্ট খাতে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় থেকেই খাগড়াছড়ির পর্যটন খাতে ধ্বস নামতে শুরু করে। আঞ্চলিক সমস্যা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানান কারণে মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন স্পটগুলো। এছাড়া কয়েক দফার বন্যা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসায় কিছুটা ধস নেমেছিল। পর্যটকের অভাবে লোকসান গুণতে থাকে বিনিয়োগকারীরা।
পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় আবারও আশায় বুক বাঁধছেন এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রিক সব বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বেড়েছে পর্যটক সমাগম।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণা, জেলাপরিষদ পার্ক ঘুরে দেখা যায় পর্যটকে ভরপুর রয়েছে। পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন তারা।
তবে খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আসা অধিকাংশ পর্যটক মূলত সাজেক পর্যটন স্পটে বেড়াতে আসেন। খাগড়াছড়িতে হাতেগোনা কয়েকটি পর্যটনস্পট হওয়ায় সাজেক আসা যাওয়ার ফাঁকে স্পটগুলো থেকে ঘুরে যান পর্যটকরা।
১১৯ দিন আগে
সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ফলে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
আঞ্চলিক এই দলের গোলাগুলির ১ জন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দুই অঞ্চলিক দল দফায় দফায় গোলা বর্ষণ করেছে। তবে আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক জনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল জেলা প্রশাসন
সাজেকে আটকা পড়া চালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে।
দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকালে কোনো পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।
রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে আজ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মাসেরও বেশি সময় পর খুলে দেওয়া হলো সাজেক পর্যটন কেন্দ্র
১৩০ দিন আগে
পর্যটকে মুখরিত হাওর; দুই মাসের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশায় ব্যবসায়ীরা
তিন দফা বন্যা ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে প্রায় দুই মাসের মতো বন্ধ ছিল সুনামগঞ্জের হাওরের পর্যটন ব্যবসা। বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ তাহিরপুর সীমান্তের কাছে পর্যটন এলাকাগুলোতে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি পর্যটন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিখ্যাত জলরাশির হাওরের দিকে ছুটছেন অনেকে। পর্যটকদের আগম বাড়তে থাকায় দুই মাসের ক্ষতি কাটিয়ে নতুন করে শুরুর সাহস পেয়েছেন পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও নিকটবর্তী এলাকার ১০টি ঐতিহাসিক মন্দির
হাওরের বুকে ঘুরে বেড়ানো হাউজবোটগুলোর মালিকরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গেল ২ মাস পর্যটক আসেনি হাওরের জেলা সুনামগঞ্জে। এ কারণে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যটকের উপচে পড়া চাপে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ২ মাসের আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ভরসা পাচ্ছেন তারা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দীর্ঘ সময় দেশের ভ্রমণপ্রেমী মানুষদের পর্যটন এলাকাগুলোতে যাওয়ার সুযোগ মেলেনি। অন্যদিকে গেল ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২৩ দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি এই তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে প্রশাসন। এতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষরা হাওরকেই বেছে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: হাকালুকি হাওর ভ্রমণ: এক নিঃসীম জলজ মুগ্ধতা
হাউজবোট মালিকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই হাউজবোটগুলো অগ্রিম বুকড হয়ে গেছে। শিডিউল মেনে ট্যুর পরিচালনা করতে হচ্ছে।
১৭৯ দিন আগে
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা এড়িয়ে চলতে পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য পর্যটকদের অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে, হতাশ পর্যটকরা
পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত স্থানীয় পর্যটনের স্থানগুলোতে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, এতে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
১৮৯ দিন আগে
সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরলেন সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটক
৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির কারণে সাজেকে আটকে পড়া ১ হাজার ৪০০ পর্যটক সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এদিকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সব রুটে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন
সেনাবাহিনী সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার রাতে যান চলাচল ঠিক রাখতে স্থানীয় বাসিন্দা ও সেনা সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, বাঘাইছড়ি জোনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সাজেক রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের আবাসন ফির ৫০-৭৫ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
এর আগে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকাস্থ জুম্ম আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীরা অবরোধের ডাক দেয়। এই বিক্ষোভে সমর্থন জানায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জুম্মদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক
২০১ দিন আগে
অবরোধে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ফের স্থগিত, সাজেকে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
রাঙ্গামাটিবৈরী আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে দ্বিতীয় দফায় রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে, কোনো ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
শনিবার (৮ জুন) সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে এবং সাজেকের বাঘাহাট নির্বাচনি এজেন্টদের হুমকির প্রতিবাদে বাঘাইছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। এ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে ৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ায় কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রথম দফায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
এদিকে, মাচলং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বিপুল চাকমা জানিয়েছেন, নির্বাচন স্থগিত করায় বাঘাইছড়িতে দুপুর ১২টার পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে। তবে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না হলে আবারও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দুপুরে অবরোধ প্রত্যাহার হলে পর্যটকরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিয়েছে।
অবরোধ চলাকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের সড়কে অবরোধকারীরা গাছেরগুড়ি ফেলে তাতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ পালন করে। এছাড়া বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৭ কিলোমিটার এলাকায় একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে সাজেকের ভোটকেন্দ্র থেকে মালামাল নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে ৯ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হওয়ার ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই নির্বাচনকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
৩০৯ দিন আগে