ফেরি চলাচল বন্ধ
আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ
আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে নাব্য সংকটের কারণে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
এতে নদীর দুই পাড়ের ঘাটে আটকে পড়েছে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। দুর্ভোগে পড়েছেন চালক, শ্রমিক ও পারাপারের যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, ‘চ্যানেলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আরিচা অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে পলি জমে নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৫৬ ঘণ্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
এদিকে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় পাড়ের ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে।
'বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, এই নৌরুটে বর্তমানে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহন নিয়ে প্রতিটি ফেরি চলতে গেলে কমপক্ষে ৮ ফুট নাব্য প্রয়োজন হয়। অথচ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলে পানির গভীরতা ৬ ফুটের নিচে রয়েছে। এ অবস্থায় কোনোভাবেই ফেরি চলাচল করা সম্ভব হচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এই নিয়ে চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হলো।
আরও পড়ুন: নাব্যতা সংকটে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ, আটকে আছে ৫০ ট্রাক
৫ দিন আগে
নাব্যতা সংকটে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ, আটকে আছে ৫০ ট্রাক
ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটের কারণে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ফেরি পারাপারের উদ্দেশে ট্রাক নিয়ে আসা চালকরা। আটকে আছে অর্ধশতাধিক ট্রাক।
তবে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী রুটে নদীখননের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাব্যতা সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন স্থানে পানির গভীরতা ৬ ফুট। এই জায়গাগুলোতে খনন করে অন্তত ৭ ফিট গভীর করলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন।
জানা গেছে, গত ১০ দিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকট চলছে। এতে ফেরি চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি ঘাটের দুই পাশে আটকে আছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।
কবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে সেটাও জানা নেই। ফলে পারাপারের অনিশ্চয়তা ও ভোগান্তি নিয়ে পড়ে আছে যাত্রীসহ পরিবহনগুলো।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
ট্রাকচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতি সপ্তাহে এ রৌমারী ঘাট হয়ে ট্রাক নিয়ে জামালপুর যাই। শুক্রবার রাতে এসে শুনি ফেরি চলাচল বন্ধ। পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে এসেছি, জানি না কবে ফেরি চলাচল শুরু করবে।
১ সপ্তাহ আগে
নাব্যতা সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
নাব্যতা সংকটের কারণে মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে উভয়পাড়ে ২০০ পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ফেরি চলাচল বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন কর্মকর্তারা জানান, সংকট নিরসনে নদীতে ড্রেজিং করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ বলেন, এই নৌরুটে ৪টি রো-রো ফেরি চলাচল করছে। যানবাহন নিয়ে ফেরি চলতে গেলে কমপক্ষে ৮ ফুট নাব্যতার প্রয়োজন। এদিকে গত কয়েকদিন নদীতে পানি কমতে থাকায় মূল চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে ডুবোচর জেগে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, ওইসব স্থানে পানির গভীরতা ৬ ফুটের নিচে নেমে গেছে। কোনোভাবেই ফেরি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে শনিবার ভোর থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে ও নদীতে পানি কমতে থাকায় মূল চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে ডুবোচর জেগে ওঠায় ফেরি চলতে গিয়ে আটকে যাচ্ছিল। এরপরও হাফলোড নিয়ে ফেরি চালু রাখা হয়।
আরও পড়ুন: নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
তিনি আরও বলেন, নদীতে পানি কমতে থাকায় চ্যানেলটি আরও সরু হয়ে যায়। এত চ্যানেলটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়। এতে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটে শতাধিক ও পাবনার কাজিরহাটে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির ড্রেজিং ইউনিটের আরিচা অঞ্চলের প্রকৌশলী ওসমান গনী বলেন, এই বছর আরিচা-কাজিরহাটসহ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৩৮ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১ সপ্তাহ আগে
নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
নাব্য সংকটেরর কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নদীর উভয় পাড়ে আটকে পড়েছে তিন শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক।
সংকট নিরসনে বিআইডব্লিউটিএ কতৃর্পক্ষ ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ, সতর্কতার সঙ্গে চলছে ফেরি
'বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, বিগত কয়েকদিন ধরে নাব্য সংকটের কারণে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটের আরিচা ঘাটের অদূরে ডুবোচরে ফেরি আটকে যাচ্ছিল। এরপরও ফেরি কর্তৃপক্ষ হাফলোড নিয়ে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেরি সার্ভিস চালু রাখে। কিন্তু নদীতে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় চ্যানেলটি আরও সরু হয়ে যাওয়ায় একেবারেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে ফেরি চলাচল।
তিনি বলেন, দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে ফেরি চলাচল একেবারেই বন্ধ করা হয়। এতে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটে শতাধিক ও পাবনার কাজিরহাটে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে।
নাব্য সংকট কাটলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ভাঙন, দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ
২ সপ্তাহ আগে
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে পানি বাড়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
উজানের পাহাড়ি ঢল, টানা বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চলের বিভিন্ন নদীতে বাড়ছে পানি। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়কের অংশ ও ফেরিঘাট। ফলে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বন্ধ করে দিয়েছে ফেরি চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে যাত্রীরা।
কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার কয়েক লক্ষ মানুষ বছরে ছয়মাস সড়কপথে যাতায়ত করে জেলা শহরে। এবার হাওরে কিছুটা বিলম্বে পানি আসায় বুধবার (২১ জুন) হাওরাঞ্চলের সকল (র্পাঁচটি) ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর।
ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে পড়ায় ফেরি বন্ধ করা হয়েছে। ফলে, চলাচল করেনি গাড়ি, বিপত্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। বালিখলা হতে মিঠামইন পর্যন্ত ও চামড়াঘাট হতে ইটনা পর্যন্ত সড়কে ভেঙে ভেঙে নৌকা ও অটোরিকশা করে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে নদীর পানি বৃদ্ধি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় হাওরাঞ্চলে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এখনও নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জ-মিঠামইন সড়কের বালিখলা ও কামালপুর ফেরিঘাট, করিমগঞ্জ-ইটনা সড়কের চামড়া ঘাট, বড়িবাড়ি ও বলদা ফেরিঘাট এবং সংশ্লিষ্ট ডুবো সড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠে পড়ায় ফেরি বন্ধ করা হয়েছে। এতে, যাত্রীরা ছোট ছোট নৌকা ও অটোরিকশা করে জেলা শহরে যাতায়াত করে।
অষ্টগ্রাম উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের বায়েজিদ মিয়া বলেন, শুষ্ক মৌসুমী আমরা জেলা শহরে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারি। বুধবার মিঠামইন এসে দেখি ফেরি বন্ধ, বাধ্য হয়ে ভিন্নভাবে কিশোরগঞ্জ যেতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে ভাঙন
মিঠামইন সদর ইউনিয়নের অটোরিকশা চালক মমিন উল্লাহ (২৩) বলেন, সড়ক ডুবে যাওয়ায় আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হব। অটোচালিয়ে আমার সংসার চলে। এখন এই পথে মানুষ কম আসবে, রুজিরোজগার কম হবে, বলা যায় বেকার থাকব। কষ্টে চলতে হবে বর্ষার সময়।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া বলেন, হাওরের সবগুলো ফেরিঘাট বর্ষার পানিতে তলিয়ে গেছে। হাওরের অনেক রাস্তাঘাটও তলিয়ে গেছে। হাওরাঞ্চলের পরিবেশে ফেরি চালু করার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই, সকল ফেরি বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে
১ বছর আগে
ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ৮ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ
চাঁদপুরঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন চাঁদপুরের নৌ ও ফেরিপথ। এজন্য চাঁদপুর-ঢাকাগামী বা ঢাকা–চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলো ধীরে ও সতকর্তার সঙ্গে চলছে।
সোমবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন বা বিআইডব্লিউটিসি’র বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ও লঞ্চ মালিকের সুপারভাইজার আলী আজগর এই তথ্য জানান।
বিআইডব্লিউটিসির ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক ফয়সল আলম চৌধুরী বলেন, রবিবার রাত ১২টার পর থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনা এড়াতে সদরের হরিণা ফেরি ঘাটে ফেরি চলাচল প্রায় আট ঘন্টা বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৮টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরে গেছে, ৭টি বিলম্বিত
এসময় ফেরিঘাটের উভয় পাশে বেশ কিছু বাস, মালবাহী ছোট বড় ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন আটকা পড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, চাঁদপুর-শরিয়তপুরের নরসিংহপুর মেঘনায় ১০ কিলোমিটার ফেরিরুটে সাতটি ফেরি চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
১ বছর আগে
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাময়িকভাবে এই দুই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, রাত সাড়ে দশটার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরির মার্কিং লাইটের আলো অস্পষ্ট হয়ে যায়। এতে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখে দেয়। ফলে যাত্রী ও যানবাহনের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এসময় মাঝ নদীতে চারটি ফেরিকে নোঙর করে রাখা হয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে চলাচল শুরু হবে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে রাত সাড়ে নয়টা থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌপথেও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। মাঝ নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে দুইটি ফেরি। কুয়াশা তীব্রতা কেটে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
১ বছর আগে
ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাটে দেখা দিয়েছে যানজট।
দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সদরের হরিণা ফেরিঘাটে ফেরি চলাচল প্রায় আড়াই ঘন্টা বন্ধ ছিলো।
ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক ফয়সল আলম চৌধুরি জানান, মধ্যরাত থেকেই কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। তাই ঝুঁকি এড়াতে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
এছাড়া শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় কোনো ফেরি নদীতে নোঙর করা ছিল না।
তিনি জানান, নরসিংহপুর ঘাটে চারটি ফেরি এবং হরিণাঘাটের ফেরি যানবাহন নিয়ে অবস্থান করছিল। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরিগুলো নদী পার হবে।
স্থানীয়রা জানান, হরিণা ফেরিঘাটে এখন শতাধিক ও নরসিংহপুর ফেরিঘাটে দেড় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।
এজন্য চাঁদপুর-ঢাকাগামী বা ঢাকা–চাঁদপুরগামী লঞ্চগুলো সতকর্তার সঙ্গে চলছে বলে জানান বিআ্ইডব্লিউটিএ-র বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ও লঞ্চ মালিকের সুপারভাইজার আলী আজগর।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
নদী ভাঙনে দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ
১ বছর আগে
ঘন কুয়াশা: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
ঘন কুয়াশায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বন্দর কর্মকর্তা মো শাহাদাত হোসেন জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে তীব্র কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
তিনি বলেন, ‘চারটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়েছে। শিমুলিয়ায় ২৫০ যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।’
এদিকে দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুটি রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
বন্দর কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল থেকে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে ৮৭ লঞ্চ ও ১০১ স্পিডবোট চলাচল করে। কুয়াশা কেটে গেলে আবার নৌযানগুলো চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৩ দিন পর ফেরি চলাচল শুরু
২ বছর আগে
প্রবল স্রোতে ফের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
পদ্মায় প্রবল স্রোত বেড়ে যাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেরি বন্ধ ঘোষণার পর নদী পারপারে অপেক্ষারত হাজার হাজার মানুষ বিপাকে পরে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসিএর চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম জানান, পদ্মা নদীতে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকালে স্রোতের গতি মাপা হবে। এরপর বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ফেরি চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ফেরি বন্ধ
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্রোত কমে আসলে আবারও ফেরি চলাচল শুরু হবে। পদ্মায় স্রোত ও পানির উচ্চতা বেশি থাকায় গত জুলাই ও আগস্টে পদ্মা সেতুর খুঁটিতে পাঁচবার ফেরির ধাক্কা লাগে। ওই পরিস্থিতিতে সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট দুপুরের পর এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
নদীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক উল্লেখ করে গত ৪ অক্টোবর (সোমবার) থেকে পাঁচটি ছোট ফেরির মাধ্যমে আবারও পারাপার শুরু হয়। কিন্তু ঠিক এক সপ্তাহ পর সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে স্রোত বেড়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে আবারও ফেরি চলাচল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। এতে আবারও দুর্ভোগে পড়লো এই রুটের যাত্রী ও চালকরা।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরি চলাচল বন্ধ
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন জানান, স্রোতের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। আপাতত ঘাটে ৪০টি ছোট গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে ঘাটে মাইকিং করা হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহন চালকদের অন্য নৌপথ ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সফিকুল ইসলাম জানান, পাঁচটি ছোট ফেরি দিয়ে জরুরি সেবার যানবাহন ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছিলো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কমিটির রিপোর্টে জানানো হয়েছে পদ্মা নদীতে হঠাৎ করে স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ফেরিগুলো চলাচলে ঝুঁকি রয়েছে। নৌ দুর্ঘটনা ও পদ্মা সেতু নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় সাময়িকভাবে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে,ফেরি চালুর সাত দিনের মাথায় বন্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘাট ব্যবহারকারীরা জানান, হেমন্ত আসতে যাচ্ছে। প্রকৃতিতে শীত কড়া নাড়ছে, সেখানে নাব্য সঙ্কট হতে পারে। কিন্তু স্রোতের কারণে ফেরি বন্ধ গ্রহণযোগ্য নয়। লঞ্চ, ট্রলার ও স্পিডবোট সব নৌ যান চলাচল করছে, শুধু ফেরি বন্ধ রাখা হচ্ছে। হঠাৎ ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেক মানুষ ফিরে যাচ্ছে। এই পথে আসা যাত্রী ও যানবাহনগুলোর সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। পূজোর ছুটিতে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ আর বেশি।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী মানুষের চাপ
তবে কর্তৃপক্ষ কখন চালু হবে তা নিশ্চিত না করে বলছে, স্রোত স্বাভাবিক হলে ফেরি চলাচল করবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, যে দিক দিয়ে ফেরি চলাচল করছে, সেখানে প্রতি ঘণ্টায় স্রোতের গতি পৌনে ৮ কিলোমিটার।
৩ বছর আগে