নাব্যতা সংকটের কারণে মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে উভয়পাড়ে ২০০ পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ফেরি চলাচল বন্ধের তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন কর্মকর্তারা জানান, সংকট নিরসনে নদীতে ড্রেজিং করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ বলেন, এই নৌরুটে ৪টি রো-রো ফেরি চলাচল করছে। যানবাহন নিয়ে ফেরি চলতে গেলে কমপক্ষে ৮ ফুট নাব্যতার প্রয়োজন। এদিকে গত কয়েকদিন নদীতে পানি কমতে থাকায় মূল চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে ডুবোচর জেগে উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, ওইসব স্থানে পানির গভীরতা ৬ ফুটের নিচে নেমে গেছে। কোনোভাবেই ফেরি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে শনিবার ভোর থেকে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে ও নদীতে পানি কমতে থাকায় মূল চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে ডুবোচর জেগে ওঠায় ফেরি চলতে গিয়ে আটকে যাচ্ছিল। এরপরও হাফলোড নিয়ে ফেরি চালু রাখা হয়।
আরও পড়ুন: নাব্য সংকটে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
তিনি আরও বলেন, নদীতে পানি কমতে থাকায় চ্যানেলটি আরও সরু হয়ে যায়। এত চ্যানেলটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাই বাধ্য হয়ে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হয়। এতে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটে শতাধিক ও পাবনার কাজিরহাটে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির ড্রেজিং ইউনিটের আরিচা অঞ্চলের প্রকৌশলী ওসমান গনী বলেন, এই বছর আরিচা-কাজিরহাটসহ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৩৮ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।