গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আহত পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৫ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
নিহত সোলায়মান মোল্লা (৪৫) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং কালিয়াকৈর উপজেলায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোলায়মানের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল।
তিনি জানান, ৯৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া সোলায়মানের চিকিৎসা চলছিল।
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: একজন দগ্ধ
এর আগে গত বুধবার কালিয়াকৈরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন দগ্ধ হন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একজন রোগী শতভাগ পুড়ে যান, তিনজন রোগী ৯৫ শতাংশ পুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ১৬ জন ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাকের তেলিরচালা এলাকার একটি বাড়িতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগে। বাড়ির লোকজন সেটি রাস্তায় ফেলে দিলে বিস্ফোরণ ঘটে।
তাদের প্রথমে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে দগ্ধ ৩৫
৮ মাস আগে
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি সিএনজি অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে বিস্ফোরণে আগুন
অগ্নিদগ্ধরা হলেন-কর্ণফুলী উপজেলার উত্তর শিকলবাহা গোদার পাড় এলাকার বিলকিস (২৮), জোসনা বেগম (২৮), সাথী আক্তার (১৭), জান্নাত (৮) ও কাইনাত (৩)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূরুল আলম আশেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে শাহ আমানত সেতু এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদেরকে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাংয়ের ককটেল বিস্ফোরণ
কুড়িগ্রামে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে বিচ্ছিন্ন হলো পা
১ বছর আগে
কুতুবদিয়ায় মাছ ধরার নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: ১৪ জেলে দগ্ধ
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূলে মাছ ধরার একটি নৌকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১৪ জেলে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আট জেলে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। দগ্ধ হওয়া জেলেদের প্রথমে কুতুবদিয়া হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল হাসান জানিয়েছেন, দ্বীপের একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৪ জেলেকে চিকিৎসার জন্য আনার পর ছয়জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপর আটজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে।
গুরুতর আহতরা হলেন, সাইফুল ইসলাম (২৪), ফরিদুল আলম (৪৩), নৌকার মাঝি মামুন (২৪), জিসাদ (২৪), মিনহাজ (১৭), সাদ্দাম (২০), নুরুল হোছাইন (৩৫), দিলশাদ (১৭)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়নুল আবেদীন জানান, দগ্ধদের মধ্যে সাইফুলের শরীরের ৮১ শতাংশ, ফরিদের ৬৪ শতাংশ, নুরুল হোসাইনের ৫৫ শতাংশ, মিনহাজের ৪৮ শতাংশ, দিলশাদের ৪৭ শতাংশ, জিশাদের ৪৭ শতাংশ, মামুনের ১৪ শতাংশ ও সাদ্দামের শরীরের ১১ ঝলসে গেছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি: একজনের মৃত্যু, দগ্ধ ১৫
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত দশটার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নস্থ অলি পাড়ার আনছার মিস্ত্রির মালিকানাধীন এফ,বি মায়ের দোয়া নামের নৌকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকাটি বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরে তীরে ফিরছিল। ইঞ্জিন থেকে সৃষ্ট আগুনের ফুলকি নৌকায় মজুদ থাকা জ্বালানি তেলের ড্রামে লাগলে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় জেলেরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ততক্ষণে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আগুনের তাপে নৌকায় থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন ১৪ জন জেলে। বাকিরা সাগরে লাফ দিলে অন্য একটি ট্রলার তাদের উদ্ধার করে।
তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা নৌকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে চিকিৎসক দগ্ধ আট জেলের অবস্থা আশংকাজনক হলে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৪৩ দস্যুর আত্মসমর্পণ
স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন দগ্ধদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ নূরের জামান চৌধুরী ও কুতুবদিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, দগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের উদ্যোগে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা পাঠানোর জন্য স্হানীয় চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ২
৩ বছর আগে
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৬
জেলার সাতকানিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতকানিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মনটানা ক্লাবের পিছনে সৈয়দ আহমদের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন-একই পরিবারের সদস্য সৈয়দ আহমদ (৬৫), শাহনেওয়াজ (৪০), মো. হেলাল (৩৬), খালেদা বেগম (৪৫), আবদুস শুক্কুর (৩৬) ও দেলোয়ার হোসেন (৫০)।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন কলে দগ্ধ গৃহকর্মী উদ্ধার, আটক ১
সাতকানিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল আলম সোহেল জানান, সৈয়দ আহমদ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আনা নতুন গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। এতে এটি বিস্ফোরিত হলে আশপাশের বাড়ির ছয় সদস্য আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার হুমায়ুন খান জানান, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দুর্বৃত্তদের আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল আহাদ ইদ্রিস জানান, আগুনে দগ্ধ ছয়জনকে হাসপাতালে আনা হলে চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবাই প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে দেলোয়ার, খালেদা, শাহনেওয়াজ ও হেলাল নামের চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সাতকানিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ ৫
৩ বছর আগে
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে একই পরিবারের আহত ৫
চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন আহত হবার ঘটনা ঘটেছে।
থানার ফ্রিপোর্ট কলসী দিঘীর পাড় এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৩ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মো. রায়েল (৩০), তার স্ত্রী নাজু (২৮), তাদের ছেলে জিহাদ (৬), মেয়ে লামিয়া (৩) ও রায়েলের ভাই শিপন (৩০)। তারা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছে।
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ, ৪ ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, রাত ৩টার দিকে বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচজনকে হাসপাতালে আনে স্বজনরা। পরে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভবনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৫
চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, রাতে ভর্তি হওয়া আগুনে দগ্ধ পাঁচ জনের মধ্যে শিশু দুটি শঙ্কামুক্ত রয়েছে। তবে অন্য তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
৩ বছর আগে
খুলনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গৃহবধূর মৃত্যু
খুলনা মহানগরীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার দুপুরে মহানগরীর ইকবালনগরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শ্রাবনী বেগম (৪০) ওই এলাকার রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভবনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৫
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত ফায়ার ফাইটার আবু সাইদ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ফায়ার সার্ভিসের টুটপাড়া স্টেশনের ইনচার্জ মুজিবুর রহমান জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ইকবালনগর এলাকায় কেডিএ এভিনিউয়ে করিমাবাদ সি কলোনির একটি চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লাগে। খবর পেয়ে টুটুপাড়া ফায়ার স্টেশনের তিনটি ও নূরনগর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় গৃহবধূ শ্রাবনী অগ্নিদগ্ধ হন। এ ছাড়া কিছু আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ঘটনার সময় নিহতের স্বামী শহিদুল ইসলাম বাসায় ছিলেন না। ফায়ার সার্ভিস গৃহবধূ শ্রাবনীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, গৃহবধূ শ্রাবনী নিজ বাসায় রান্না করার সময় গ্যাসের সিলিন্ডার লিক থাকার কারণে আগুন ধরে যায়। এ সময় শ্রাবনীর শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে পুড়ে যায়। পরে তার আত্মীয়-স্বজন তাকে টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শ্রাবনীকে দুপুর দেড়টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
বর্তমানে লাশ খুমেক হাসপাতালের লাশ ঘরে রয়েছে।
৩ বছর আগে
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
উপজেলার ৫নং বরুমচড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইছহাক সওদাগরের বাড়িতে রবিবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- মো. ফরহাদ (১৯), মো. আবদুর রহমান (৬২), মো. আরিফ আলী (৪২), লিলু আকতার (২৭)। তারা সকলেই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
আহতদের স্বজনরা জানান, রবিবার বিকালে ১২ লিটারের একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনা হয়। রাতে সিলিন্ডারের মুখে লাগানো প্লাস্টিকের ক্যাপ খোলার চেষ্টা করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু ক্যাপ না খুললে আগুন দিয়ে তা গলানোর চেষ্টা করা হয়। এ সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হলে চারজনই দগ্ধ হন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শীলব্রত বড়ুয়া জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চারজনকে স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারা জরুরি বিভাগের ৩৬ নম্বর বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রাথমিক অবস্থায় তারা আশঙ্কামুক্ত আছেন বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে
বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সিলেটের বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ নারীর মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ছয়দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার রাত ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত দিলারা বেগম (৬০) বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের ওয়ারিছ আলীর স্ত্রী।
গত ২২ মার্চ দিবাগত রাতে বসতঘরের রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হলে দিলারা বেগম, তার ছেলে মঈনুল ইসলাম (২৬) ও ফয়সল আহমদ (২৩) অগ্নিদগ্ধ হন। এসময় তাদেরকে উদ্ধার এবং আগুণ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দিলারা বেগমের স্বামী ওয়ারিছ আলী (৭০) এবং প্রতিবেশী নাঈম আহমদ (১৭) ও কামরান মিয়া (২২) আহত হন।
ঘটনার পর পরই আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য অগ্নিদগ্ধ দিলারা বেগম, তার ছেলে মঈনুল ও ফয়সলকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, বাকি আহতরা আশঙ্কামুক্ত হলেও মইনুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি এখনও লাইফসাপোর্টে রয়েছেন।
৩ বছর আগে
রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সিলেটে নারীসহ আহত ৬
সিলেটের বিশ্বনাথে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উপজেলার শ্রীধরপুর গ্রামের ওয়ারিছ আলীর বাড়িতে সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- শ্রীধরপুর গ্রামের ওয়ারিছ আলী (৭০), তার স্ত্রী দিলারা বেগম (৬০), ছেলে মঈনুল ইসলাম (২৬), ফয়সল আহমদ (২৩), মৃত সিতাব আলীর ছেলে নাঈম আহমদ (১৭) ও আনছার আলীর ছেলে কামরান মিয়া (২২)। তাদের মধ্যে আগুনে দগ্ধ মঈনুল ইসলাম, ফয়সল আহমদ ও দিলারা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণ মামলায় আত্নসমর্পণের দিনই ২২ আসামির জামিন
ওয়ারিছ আলীর প্রতিবেশী মকসুদ খান ও মো. শাহিন জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারিছ আলীর বাড়ির রান্নাঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের পাশেই মাটির চুলায় রান্না শুরু করার পর তারা বুঝতে পারেন গ্যাসের সিলিন্ডার হতে গ্যাস লিক হচ্ছে। এসময় তারা পানি দিয়ে লাকড়ির চুলার আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে ওই চুলা থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে পাশে রাখা গ্যাস সিলিন্ডারের ওপর পড়ে। তখনই সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হয়। এতে দগ্ধ হন মঈনুল, ফয়সল ও তাদের মা দিলারা বেগম।
আরও পড়ুন: পৌর নির্বাচন: ফেনীর দাগনভূঞায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৩
এসময় বিস্ফোরণের আগুনে ফ্রিজসহ রান্নাঘরে রাখা সকল আসবাবপত্র পুড়ে যায়। দগ্ধ তিনজনকে উদ্ধার ও আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে মঈনুলের বাবা ওয়ারিছ আলী, চাচাত ভাই নাঈম আহমদ ও ভাতিজা কামরান মিয়া আহত হন।
আরও পড়ুন: গুলশানের ইউএই ভিসা সেন্টারে এসি বিস্ফোরণ: নিহত এক, আহত ৭
স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত মঈনুল ইসলাম, ফয়সল আহমদ ও তাদের মা দিলারা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত ১টার দিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং অপর আহতরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১
৩ বছর আগে
বরগুনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত অর্ধ শতাধিক
বরগুনার পাথরঘাটায় বরফ মিলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় নারী ও শিশুসহ অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন।
৩ বছর আগে