ডাকটিকেট
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ফিলিপাইনে স্মারক খাম ও ডাকটিকেট প্রকাশ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণে স্মারক খাম ও বিশেষ ডাকটিকেট অবমুক্ত করেছে ফিলিপাইন পোস্টাল করপোরেশন ফিলপোস্ট।
শুক্রবার ফিলিপাইন পোস্টাল করপোরেশন ও ফিলিপাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে ম্যানিলায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী খাম ও ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন ফিলপোস্ট পোস্টমাস্টার জেনারেল ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নরম্যান ফুলগেনশিও এবং ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম।
আরও পড়ুনঃ ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে নেতা কর্মীদের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে পোস্টমাস্টার জেনারেল নরম্যান ফুলগেনশিও ফিলপোস্টকে জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনে অংশীদার করার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুজিব লোগো সম্বলিত এই ডাকটিকেট ও খাম ফিলিপিনোদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করবে।
জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতার নীতি, আদর্শ, ত্যাগ ও জীবনসংগ্রাম পৃথিবীর সব মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এই ডাকটিকেট ও খাম প্রকাশের মাধ্যমে ফিলিপাইন ও বহির্বিশ্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ব্যাপকভাবে প্রচারিত হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনাদর্শ সাধারণ ফিলিপিনোদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুনঃ সহযোগিতা বাড়াতে ঢাকা দিল্লির ৫ সমঝোতা স্মারক সই
তিনি জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনে দূতাবাসের সঙ্গে যোগদানের জন্য ফিলপোস্টকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, মুজিব বর্ষের লোগো সম্বলিত উদ্বোধনী খাম ও ১৭ ফিলিপাইন পেসো মূল্যমানের ডাকটিকিট ডিজাইন করেছে ফিলপোস্ট ক্রিয়েটিভ টিম।
কোভিড-১৯ অতিমারির প্রেক্ষিতে সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সীমিত পরিসরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ফিলপোস্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
নান্দনিক ডাক ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ডাক অধিদপ্তরের নবনির্মিত সদর দপ্তর নান্দনিক ডাক ভবন টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভবনটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবন প্রান্তে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল সম্পর্কে বাংলাদেশের নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগারগাঁও প্রান্ত থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২টি বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২০ মার্চ ২০১৮ একনেকে অনুমোদিত হয়।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী বললেন, সংগ্রামের মাধ্যমে এই সম্মান এসেছে
নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিকেল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির উর্ধমুখী সম্প্রসারণ সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরী।
তিনি আরও বলেন, এ সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আন্তরিকতায় বর্তমান সরকার তার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও প্রশাসনিক কাজে উদ্যম ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
তিনি এই অনন্য ভবনটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডাক ভবন উদ্বোধনে ডাক অধিদপ্তরের জন্য ঐতিকহাসিক এই ক্ষণটি স্মরণীয় রাখতে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহ্স্পতিবার স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
৩ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত ডাকটিকেট প্রদর্শনীর উদ্বোধন
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ডাক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সংগঠনসমূহের আয়োজনে ঢাকা জিপিওতে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেটের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
শনিবার ডাকভবন অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেট সমূহকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পদ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডাকটিকেট বাণিজ্যিক উপাদান হিসেবে দেখি না। ডাকটিকেট ইতিহাসের স্বাক্ষী। এটি ব্যক্তি দেশ, জাতি, যুগ ও সভ্যতার প্রকাশ ঘটায়। আমাদের ডাকটিকেট পৃথিবীতে ভাষাভিত্তিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজ সাহিত্য বিশ্বে ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জীবন জীবীকার ইতিহাস ঐতিহ্য প্রকাশ করছে।’
আরও পড়ুন: অনলাইনে ডাকটিকেট প্রদর্শনী একটি মাইলফলক: জব্বার
এ সময় মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন বর্ষ উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে অজানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী ডাকটিকেটের মাধ্যমে প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমাদের জীবনে আরেকবার আসবে না। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার ঘটনাবহুল ইতিহাস প্রকাশের এই সুযোগ আমরা হারাতে চাই না। স্মারক ডাকটিকেটের মাধ্যমে গুরুত্ব দিয়ে মানুষের কাছে এটি তুলে দিতে পারলে তা হবে বড় একটি কাজ এবং এটি করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত শিক্ষায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকোচিত হয়ে আসছে: মোস্তাফা জব্বার
মন্ত্রী প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেট ঢাকা কেন্দ্রীক না করে দেশের সকল অঞ্চলে তা সংগ্রাহকদের হাতের নাগালে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
কম্পিউটারে বাংলাভাষার প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আগামী দিনের সমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণের শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তাদের হৃদয়ে ধারণ করতে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকেট থেকে বাঙালির মহামানব সম্পর্কে সহজে জানতে পারবে। এই তাগিদ থেকেই মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত ডাকটিকেট প্রকাশনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনের অনেক অজানা অধ্যায় ধারণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।’
আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসেও ডাক বিভাগের গৌরবোজজ্জ্বল অর্জন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব প্রকাশে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। একাত্তরের ২৯ জুলাই মুজিবনগর সরকার এবং যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্স থেকে প্রকাশিত ভারতীয় নাগরিক বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা ৮টি স্মারক ডাকটিকিট বিশ্বে আমাদের জাতিস্বত্তা, রাষ্ট্রস্বত্তা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব তুলে ধরা হয়েছে যা সারা দুনিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সবার জন্য সুলভ ব্রডব্যান্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সংগঠনসমূহের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে
অনলাইনে ডাকটিকেট প্রদর্শনী একটি মাইলফলক: জব্বার
অনলাইনে ডাকটিকেট প্রদর্শনীকে মাইলফলকে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুধবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ অনলাইনে ডাকটিকেট প্রদর্শনীর আয়োজন করে নতুন একটি মাইলফলক তৈরি করলো।’
৪ বছর আগে