সাহিত্য
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন নরওয়ের লেখক জন ফসে
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন নরওয়ের লেখক জন ফসে। বৃহস্পতিবার স্টকহোমে পুরস্কার ঘোষণা করেন সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব ম্যাটস মালম।
গত বছর সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন ফরাসি লেখক অ্যানি এরনো। উত্তর-পশ্চিম ফ্রান্সের নরম্যান্ডির ছোট-শহরের পটভূমিতে লেখা ‘দি কারেজ অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল অ্যাকুইটি’ বইয়ের জন্য সুইডিশ একাডেমি তাকে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করেছিল।
১১৯ জন নোবেল সাহিত্য বিজয়ীর মধ্যে এরনো ছিলেন মাত্র ১৭তম নারী। সাহিত্য পুরস্কারটি দীর্ঘকাল ধরে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে যে এটি ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকার লেখকদের পাশাপাশি খুব বেশি পুরুষ-আধিপত্যের দিকেও মনোযোগী।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের নোবেল বিজয়ী মারিয়া রেসা কর ফাঁকির মামলায় খালাস
২০১৮ সালে সুইডিশ একাডেমিতে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর পুরস্কারটি স্থগিত করা হয়। একাডেমিটি নিজেকে পুনর্গঠন করেছিল তবে ২০১৯ সালে সার্বিয়ান যুদ্ধাপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থী অস্ট্রিয়ার পিটার হ্যান্ডকেকে পুরষ্কার দেওয়ার জন্য আরও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিল।
বুধবার রসায়নে পুরস্কার পেয়েছেন এমআইটির মাউঙ্গি বাওয়েন্দি, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লুই ব্রুস এবং ন্যানোক্রিস্টালস টেকনোলজি ইনকর্পোরেটেডের অ্যালেক্সি ইকিমোভ। কোয়ান্টাম ডটস নামক ক্ষুদ্র কণা নিয়ে কাজের জন্য তাদের সম্মানিত করা হয়। এটি ক্ষুদ্র কণা, যার মধ্যে দিয়ে খুব উজ্জ্বল রঙিন আলো প্রকাশ করতে পারে এবং দৈনন্দিন জীবনে যার অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স এবং মেডিকেল ইমেজিং।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান কাতালিন কারিকো এবং আমেরিকান ড্র ওয়াইজম্যান কোভিড-১৯ প্রতিরোধী এমআরএনএ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য সোমবার মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় নোবেল জিতেছেন ২ বিজ্ঞানী
স্পিনিং ইলেকট্রনের অতি দ্রুত গতির দুনিয়ায় প্রথম বিভক্ত-দ্বিতীয় ঝলক তৈরি করার জন্য মঙ্গলবার পদার্থবিজ্ঞানে পুরস্কার পেয়েছেন ফরাসি-সুইডিশ পদার্থবিদ অ্যান এল 'হুইলিয়ার, ফরাসি বিজ্ঞানী পিয়েরে অ্যাগোস্টিনি এবং হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত ফেরেঙ্ক ক্রাউজ।
শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় এবং সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল মেমোরিয়াল পুরস্কার ঘোষণার কার্যক্রম এ বছরের জন্য শেষ হয়।
নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া একটি উইল থেকে নোবেল পুরস্কার হিসেবে ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। বিজয়ীরা ডিসেম্বরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে একটি ১৮ ক্যারেট স্বর্ণপদক এবং সনদপ্রাপ্তও হবেন।
আরও পড়ুন: পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জিতলেন ৩ বিজ্ঞানী
১ বছর আগে
নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমে শিক্ষক হবেন গাইড। শিক্ষার্থীদের আনন্দময় শিক্ষায় প্রবেশ করতে পরিচালকের ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকরা।’শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর সেন্ট জোসেফ স্কুলে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কীভাবে আনন্দ করে পড়া যায়, শেখা যায়, বোঝা যায়, শিক্ষাকে সবার জন্য সহজ করে দেয়া, আনন্দময় করে দেয়ার জন্যেই শিক্ষায় সেই পরিবর্তন আনতে চাই। আমরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চাই, শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে চাই। শিক্ষকের জায়গায় (ভূমিকায়) ও পরিবর্তন আসছে, শিক্ষকের ভূমিকায় পরিবর্তন অনেকটা এই রকম— শিক্ষক এখন ফেসিলিটেটর হবেন, গাইড হবেন।শিক্ষার্থীর আনন্দের অংশীদার হবেন। শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষার জগতটাকে শিক্ষক তৈরি করে দেবেন। আমরা অনেক যত্ন করে এটা (নতুন শিক্ষাক্রম) তৈরি করেছি যেন শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্যে শিক্ষার জগতটাকে খুঁজে নিতে এবং শিক্ষার জায়গাটাকে পূরণ করতে পারে।’
আরও পড়ুন: অনলাইন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ জোরদার করা হবে: শিক্ষামন্ত্রীশিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিখতেই হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এর আগে তিনটা শিল্প বিপ্লব পার হয়ে গেছে, সেই বিপ্লবকে আমরা ধরতে পারিনি। তথ্যপ্রযুক্তির জায়গায় আমরা এসেছি, কিন্তু তার আগেরগুলো আমরা ধরতে পারিনি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবটি শুধু আমাদের ধরতে পারা নয়, এর সফল অংশীদার হতে হবে। তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। সে জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর অনেক বেশি জোর দিতে হবে। তবে একই সঙ্গে আমি এই কথাটিও বলতে চাই— বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, গণিত, পরিসংখ্যান, প্রকৌশল পড়তে হবে। নিশ্চয় পড়তে হবে। কিন্ত সাহিত্য ও নন্দনতত্ত্বের বোধ যদি তৈরি না হয় তাহলে শুধু বিজ্ঞান, গণিত তথ্যপ্রযুক্তি পড়ে পূর্ণাঙ্গ মানুষ তৈরি হবে না। সে কারণে সাহিত্যও পড়তে হবে। তাই আমরা যেনও এর সব কিছু মেলাতে পারি সে চেষ্টা করছি। ’শিক্ষায় বিনিয়োগ জিডিপির ছয় ভাগে যেতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বড় বড় মেগা প্রকল্পগুলো শেষ হলে শিক্ষাই হবে সবচেয়ে বড় মেঘা প্রকল্প।শিক্ষা বাজেট প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষায় বিনিয়োগ জিডিপির ছয়ভাগে যেতে হবে, আমরা তিন ভাগে আছি। ২০০৬ সালে আমাদের সারা দেশের যা বাজেট ছিল এখন শিক্ষা বাজেটই তার চেয়ে অনেক বেশি। শিক্ষায় আমরা অনেক বিনিয়োগ করছি আরও অনেক বিনিয়োগ করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি বড় বড় সব মেগা প্রকল্পগুলো হচ্ছে, যেগুলো যেমন আমাদের যোগাযোগের জন্য দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার, তেমনি পরবর্তীতে সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষা। সেটিই হবে বড় মেগা প্রকল্প।
আরও পড়ুন: চলতি বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হচ্ছে না: শিক্ষামন্ত্রী
২ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় সপ্তাহের মতো ‘রিকশা গার্ল’
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ‘ভিলেজ ইস্ট বাই অ্যাঞ্জেলিকা’য় গত ৫ মে নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর দ্বিতীয় সিনেমা ‘রিকশা গার্ল’-এর প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। সিনেমাটির প্রদর্শনী আজ ৩য় সপ্তাহে পদার্পণ করলো। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে রয়েছে আরও বিশেষ কয়েকটি প্রদর্শনী।
নির্মাতা ইউএনবিকে জানান, আগামী ৪ এবং ৫ জুন বিকেলে ৫টায় টেম্পি অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ডেনভারে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রদর্শনীগুলো।
যুক্তরাস্ট্রের মোট ১৮ রাজ্যের ৫২ শহরে প্রদর্শনী হচ্ছে বাংলাদেশের ইংরেজি ছবি ‘রিকশা গার্ল’। সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশনায় রয়েছে বায়োস্কোপ ফিল্মস।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় খালাস পেলেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান
ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিনসের কিশোর সাহিত্য ‘রিকশা গার্ল’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। যৌথভাবে এর চিত্রনাট্য লিখেছেন নাসিফ ফারুক আমিন ও শর্বরী জোহরা আহমেদ।
সিনেমার মূল চরিত্রে রয়েছেন নাইমা নামের এক কিশোরী, যে কিনা ঘটনাক্রমে রিকশা চালানোকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে। সিনেমায় নাইমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নভেরা রহমান। চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করেছেন চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, এ্যালেন শুভ্র ও আরও অনেকে।
বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘রিকশা গার্ল’ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসকট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’, জার্মানির ‘শ্লিঙ্গেল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুরস্কৃত হয়েছে ও সিনেমা বোদ্ধাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সিয়াম আহমেদ এবার বলিউডে
২ বছর আগে
‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮’ পেলেন রঞ্জনা বিশ্বাস
‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮’-এ ভূষিত হলেন প্রাবন্ধিক-গবেষক রঞ্জনা বিশ্বাস। মঙ্গলবার বিকাল ৪.৩০মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক আকিমুন রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন অনন্যা-সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে রঞ্জনা বিশ্বাসের ওপর লেখক-নির্মাতা ও সাংবাদিক তাপস কুমার দত্ত নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটি শেষ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের পরিবেশনা দিয়ে। আলোচক আকিমুন রহমান বলেন, বেদেরাও আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের আত্মত্যাগের কাহিনির শেষ নেই। কিন্তু আমরা সেটা মানি না। রঞ্জনার গবেষণায় আমরা বেদেদের কথা জানতে পারি। মুক্তিযুদ্ধে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা জানতে পারি। বাংলার ঐতিহ্যবাহী পালকিবাহীদের জীবন ও অনালোচিত সেই ইতিহাসও আমাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। তিনি লোকগীতি, লোকসঙ্গীতের কথাগুলোও তুলে ধরেছেন।তিনি আরও বলেন, রঞ্জনা শুধু গবেষক না, সৃজনশীল লেখকও। তিনি একাধারে কবি ও ঔপন্যাসিক। তার কবিতা ও উপন্যাস পড়ার সময় আমি অভিভূত হয়ে যাই। তিনি এক্ষেত্রে আলাদা করে পুরস্কৃত হওয়ার যোগ্য।সভাপ্রধানের ভাষণে তাসমিমা হোসেন জানান, রঞ্জনা বিশ্বাস নতুন প্রজন্মের লেখক। তার দেখার দৃষ্টিও অনন্য। তিনি বাংলাদেশের অবহেলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের পরিচয় ঘটিয়ে দিচ্ছেন। একবিংশ শতকে এসে মানুষ হিসেবে সমাজের এই শ্রেণিভেদ ভেঙে দিতে চাই আমরা। রঞ্জনা লোকধর্ম ও লোকায়াত জীবন নিয়ে কাজ করে সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন আমাদের কাছে। অনন্যা কখনো বয়স দিয়ে মানুষের যোগ্যতা বিচার করে না। রঞ্জনাকে তাই পুরস্কৃত করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছে অনন্যা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে দু’দিনব্যাপী শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব শুরু
২ বছর আগে
আমির হামজার স্বাধীনতা পুরস্কার ‘পুনর্বিবেচনা’ করা উচিত: অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মো. আমির হামজার নাম ঘোষণার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এবারে সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার উপযুক্ত ব্যক্তিকে দেয়া হয়নি। এ নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তা জাতির জন্য অসম্মানজনক।’
শুক্রবার (১৮ মার্চ) এফডিসিতে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্বাধীনতা দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২২’ এর গ্র্যান্ড ফাইনালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল রাজাকারদের প্রকৃত তালিকা করা। রাজাকার ছাড়া বাকি সবাই কোন না কোনভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এটা ছিল জনযুদ্ধ। আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে সত্য কিন্তু সমসুযোগ ও সুশাসন বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে স্বাধীনতার মূলনীতি থেকে আমরা এখনও অনেক দূরে। প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমরা এখনও পাই নি। কেবল ভোটেই গণতন্ত্র নয়, সমসুযোগ ও সামাজিক নিরাপত্তাই হল প্রকৃত গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষের চেয়েও বর্তমানে বড় সমস্যা হল ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মানসিকতা। স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে দেশপ্রেম ছিল, আজ সে দেশপ্রেম নেই, আজ কেবল আত্মপ্রেম। আজ সমাজের উন্নয়ন হচ্ছে না, হচ্ছে ব্যক্তির উন্নয়ন। যখনই সমাজে বিপদ আসছে তখনই ধনীদের আরও উন্নয়ন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, উন্নয়ন মানে কেবল দালানকোঠা ও রাস্তাঘাট গড়া নয়, মেধাকে মুক্ত করা ও মেধার বিকাশ। আজ বিশ্ববিদ্যালয়েও গণতান্ত্রিক চর্চা নাই, ছাত্র সংসদ নাই, সংস্কৃতিচর্চা ও খেলাধুলা নাই। ফলে ছাত্রদের মেধার বিকাশ হচ্ছে না। তারা বিপথগামী হচ্ছে। বর্তমানে আর একটি উদ্বেগের বিষয় হল আমাদের সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে। শুধু সম্পদ নয় তার সঙ্গে মেধাও পাচার হয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান থেকে আমরা স্বাধীন হলেও পাকিস্তানের মতো পুঁজিবাদ ও আমলাতান্ত্রিকতা থেকে আমরা এখনও পুরাপুরি মুক্ত হতে পারিনি।
স্বাধীনতার দিবস বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফাইনালে ঢাকা সিটি কলেজকে পরাজিত করে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন দলের বিতার্কিকদের নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং রানার আপ দলকে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেয়া হয়।
২ বছর আগে
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর
বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে দেয়া এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা তাতে সফল হব।’
রবিবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৪ বিশিষ্ট নাগরিকের মাঝে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক-২০২২ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পদক হস্তান্তর করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তৃণমূল ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি পেতে চাই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
পড়ুন: দেশের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিন: শেখ হাসিনা
ভাষা আন্দোলন থেকে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বহু মানুষের আত্মত্যাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তির আকস্মিক ঘোষণার মাধ্যমে আসেনি, স্বাধীনতা এসেছে সংগ্রামের যাত্রার মধ্য দিয়ে এবং সেই সংগ্রাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) অবদানে স্বাধীন বাংলাদেশ এবং এ দেশ একটি জাতির দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।’
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার অবদান মুছে ফেলার প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান সবচেয়ে বেশি মুছে ফেলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সত্য ও ইতিহাস কেউ মুছে দিতে পারেনি।’
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্ম তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
পড়ুন: কোস্টগার্ডে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অপরিহার্য: শেখ হাসিনা
২ বছর আগে
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আফসান চৌধুরীসহ ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ৬ লেখক
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং গবেষক ও সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) এডিটর এট লার্জ আফসান চৌধুরীসহ ছয়জনকে ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ২০১৯ ও ২০২০ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়।
২০২০ সালে প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ বিভাগে আফসান চৌধুরী ‘১৯৭১ গণনির্যাতন – গণহত্যা, কাঠামো, বিবরণ ও পরিসর’ শিরোনামের বইটির জন্য পুরস্কার জিতেছেন। কবিতা ও উপন্যাস বিভাগে ‘পথিক পরাণ’ শিরোনামের বইয়ের জন্য কবি মোহাম্মদ রফিক এবং ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ লেখক’ বিভাগে ‘বাংলাদেশের লোকধর্ম’ শিরোনামের বইটির জন্য রঞ্জনা বিশ্বাস পুরস্কার জিতেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদা হোসেন: বাংলা সাহিত্যের এক স্বপ্ন শিল্পী
২০১৯ সালে প্রবন্ধ, আত্মজীবনী, ভ্রমণ ও অনুবাদ বিভাগে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার ‘দীক্ষাগুরুর তৎপরতা’ শিরোনামের বইয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছেন। কবি হেলাল হাফিজ কবিতা ও উপন্যাস বিভাগে তার ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ শিরোনামের বইয়ের জন্য, মোজাফফর হোসেন তার ‘পাঠে বিশ্লেষণে বিশ্বগল্প: ছোটোগল্পের শিল্প ও রূপান্তর’ শিরোনামের বইটির জন্য ‘হুমায়ূন আহমেদ তরুণ লেখক’ বিভাগে পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এই দুই বছরে তিন ক্যাটাগরির পুরস্কারের জন্য এক হাজারের বেশি বই জমা পড়েছে। তার মধ্য থেকে সেলিনা হোসেন, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং আবিদ আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত জুরি প্যানেল প্রতি বছর তিনটি সেরা বই নির্বাচিত করেন।
পুরস্কার বিজয়ী লেখক ও কলামিস্ট আফসান চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের দেশে সবার বদলে গুটিকয়েক মানুষের ইতিহাস লিখেছি আমরা। বিদ্রোহী কৃষক সমাজের নেতৃত্বে ২০০ বছরের দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলাদেশের জন্ম। ১৯৭১ সেই মুহূর্ত যখন এই সংগ্রাম সফল হয়েছিল। এটি কেবল একটি রাষ্ট্র বা সমাজের নয়, সকলের। তাই আমাদের গুটিকয়েক বা গোষ্ঠীর বদলে সবার ইতিহাস লিখতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা’
টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের এমডি এ কে আজাদ বলেন, ‘সমকালের জন্য এটা আনন্দের এবং গর্বের বিষয় যে আমরা লেখক ও সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বদের অনুপ্রাণিত ও সম্মানিত করতে পেরেছি।’
ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি ও সিইও সেলিম আর এফ হুসেন বলেন,‘এই পুরস্কারটি বাংলা সাহিত্য জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে এবং আমরা এটির অংশ হতে পেরে সম্মানিত।’
২ বছর আগে
ফরিদপুরে পল্লীকবির ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালন
সারাদেশের ন্যায় ফরিদপুরে পল্লীকবি কবি জসীম উদ্দীনের ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
ফরিদপুর শহরতলী অম্বিকাপুরে কবির সমাধিস্থলে শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়।
এরপর মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সভায় বক্তারা গ্রাম বাংলার এই কবির রচনা সামগ্রী নিয়ে বেশি করে গবেষণার তাগিদ দেন।
বক্তরা বলেন,‘আমাদের বাংলার রূপকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে কবির লেখা পাঠ্যপুস্তকে আরও বেশি করে তুলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিম কুমার সাহা, প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, প্রফেসর এম এ সামাদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের ১১৮তম জন্ম বার্ষিকী পালিত
১৯০৩ সালের এই দিনে ফরিদপুর শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন পল্লীকবি জসীম উদ্দীন। কবির বাবা আনছারউদ্দীন, মাতা আমেনা খাতুন। ১৯৩৯ সালে মমতাজ বেগমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাদের তিন ছেলে ড. জামাল আনোয়ার, খুরশিদ আনোয়ার ও আনোয়ার হাসু।
পল্লীকবির অমর সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে-নকশী কাঁথার মাঠ; সোজন বাদিয়ার ঘাট; এক পয়সার বাঁশি; রাখালী; বালুচর প্রভৃতি। ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
২ বছর আগে
সাহিত্যে নোবেল পেলেন তানজানিয়ার আব্দুর রাজ্জাক
চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তানজানিয়ার আব্দুর রাজ্জাক গুরনাহ। বৃহস্পতিবার সুইডিশ একাডেমি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এই লেখককে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সুইডিশ একাডেমি বলছে, উপনিবেশবাদের প্রভাব নিয়ে আপসহীন ও সহনুভূতিশীল লেখনির স্বীকৃতি স্বরূপ আব্দুর রাজ্জাক গুরনাহকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
গুরনাহ ১৯৪৮ সালে জানজিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে কিশোর বয়সেই শরণার্থী হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্যে যান। সম্প্রতি কেন্ট বিশ্ববিদ্যায়ের উত্তর উপনিবেশবাদ সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেয়া এই অধ্যাপক ১০টি উপন্যাসের লেখক। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্যারাডাইস, বাই দ্য সি ও ডেজারশন।
আরও পড়ুন: পদার্থে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী
৩ বছর আগে
‘স্বয়ং’ এর নিজস্ব ওয়েবসাইট উদ্বোধন
‘গল্প বলি, সামাজিক অবিচার নির্মূল করি’, এই অনন্য চিন্তা থেকেই প্রায় এক বছর আগে পথচলা শুরু হয় '‘স্বয়ং’' প্ল্যাটফর্মের। তাদের উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে লৈঙ্গিক বৈষম্যসহ সামাজিক নানা অবিচারের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা।
এই যাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করতে, শুক্রবার (৭মে) এক ভার্চুয়াল আয়োজনের মাধ্যমে স্বয়ং তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট swayong.org এর পথচলা শুরু করলো।
সূচনালগ্ন থেকেই স্বয়ং তার কাজ দিয়ে সমাজে নিজের সরব উপস্থিতির প্রমাণ জানিয়েছে। এই অল্প সময়েই ১২টি অভিযানের মাধ্যমে তারা সংগ্রহ করেছে ৯৮ টি একক গল্প। অনলাইন জগতের বাইরে গিয়েও স্বয়ং করোনা মহামারির সময়ে অর্থায়নের মাধ্যমে পাশে দাড়িয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা প্রবীণ নাগরিকদের পাশে।
তাদের অর্জনের ঝুলিতে আরও আছে ইউ.এন.ডি.পি আয়োজিত ‘ডিজিটাল খিচুড়ি’- প্রতিযোগিতায় ‘আইডিয়া-লেভেল রানার্স আপ’ শিরোপা।
স্বয়ং- এর প্রতিষ্ঠাতা স্বাতীল মাহমুদ বলেন, “এটা বিশ্বাস করা অনেকটা কঠিন যে স্বয়ং তার অস্তিত্বের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে এতটা পথ পাড়ি দিয়েছে। আমরা গল্পের মাধ্যমে সামাজিক অবিচার নির্মূল করার জন্য বাস্তব ব্যক্তিদের কাছ থেকে বাস্তব জীবনের গল্পগুলি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসাবে আমাদের যাত্রা শুরু করি। আর এখন আমরা একটি সম্প্রদায়, সম্মিলিতভাবে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।"
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন স্বয়ং এর কো ফাউন্ডার মিতুল মাহমুদ। অনলাইনে অনুষ্ঠানটিতে বক্তব্য রাখেন উইমেন ভিউ এর প্রতিষ্ঠাতা খাদিজা আহসান, আইডিয়া প্রজেক্ট, আই.সি.টি বিভাগের সিদ্ধার্ত গোস্বামী, এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের বনশ্রী মিত্র নিয়াগী।
তারা প্রত্যেকেই" স্বয়ং" এর জন্য শুভকামনা জানান।
অনুষ্ঠানের মধ্যেই ওয়েবসাইটি প্রথম লঞ্চ করা হয় এবং সকলকে একটি ভার্চুয়াল সফরের মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি ঘুরিয়ে দেখানো হয়।
‘স্বয়ং’ মনে করে তাদের এই নতুন সংযোজন তাদের অবস্থানকে একই সাথে শক্তিশালী এবং প্রামাণিক করবে।
৩ বছর আগে