বিনিয়োগকারী
বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ডিএসই
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেঞ্চমার্ক সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আগাম শেয়ার নিষ্পত্তি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে তারল্য সহায়তা এবং সম্ভাব্য মূলধন লাভের কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে বাজারের এই ইতিবাচক মনোভাব দেখা দিয়েছে।’
বিনিয়োগকারীদেরও সচেতনভাবে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে দেখা গেছে। তারা হয় পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে মুনাফা সুরক্ষিত করেছে বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উপার্জনের প্রতিবেদনসহ স্টকগুলোতে মূলধন পুনরায় বিনিয়োগ করেছে। এই নির্বাচনমূলক পদ্ধতি আশার সঞ্চার করায় সামগ্রিক বাজারের গতিতে অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিক্রির চাপ বেশি সত্ত্বেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন ডিএসইতে
ডিএসইতে ৫৬৫ কোটি টাকার লেনদেন, বেড়েছে ২৫৭ কোম্পানির শেয়ার দর
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬ দশমিক ৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজার লেনদেন ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬০৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা হয়েছে।
আগের পাঁচ সপ্তাহে ৬১৬ পয়েন্ট হারানোর পর টানা দুই সপ্তাহে ২০২ পয়েন্ট যোগ করেছে ডিএসইএক্স।
ডিএসইর খাতভিত্তিক সূচকগুলোকেও বেশ ভালো করতে দেখা গেছে। ৩০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ ইনডেক্স ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করেছে। একইভাবে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসইএস সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়।
বাজার কার্যকলাপের একটি প্রধান সূচক বাজার লেনদেন এই সপ্তাহে ৩ হাজার ২৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের ২ হাজার ৮৩ কোটি টাকার লেনদেনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬০৬ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের গড় ৪১৬ কোটি টাকার তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে ৫৫৬ কোটি টাকার লেনদেন
ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী সূচকে লেনদেন, দর বেড়েছে ৩৭৩ কোম্পানির
১ মাস আগে
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে চায় সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ব্যবস্থার দিকে মনোনিবেশ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বর্তমান বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরেন ড. সালেহউদ্দিন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব আয় ও পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
তিনি বলেন, 'পুঁজিবাজারের বিদ্যমান ও অতীত সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগে নিরাপদ বোধ করেন। টেকসই ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গড়ে তুলতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও দীর্ঘমেয়াদি দুই পরিকল্পনাই আমাদের হাতে রয়েছে।’
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করতে তারল্য সংকট এবং মিউচুয়াল ফান্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু নীতিগত উদ্বেগ অর্থ উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছি। আশা করছি মন্ত্রণালয় এসব জরুরি সমস্যা সমাধানে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে।’
বাজারকে স্থিতিশীল করা এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে এ বৈঠকে ঋণাত্মক ইক্যুইটি, তারল্য সহায়তা, কর সংস্কার, বাইব্যাক নীতি এবং ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো উঠে এসেছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণের সমস্যাগুলো মোকাবিলায় পুঁজিবাজারের অনিয়ম তদন্তকারী কমিটিগুলোর সঙ্গেও পরামর্শ করেন অর্থ উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: সোম-মঙ্গল-বুধবার বন্ধ থাকবে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
১ মাস আগে
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি দেবে বাংলাদেশ, আলোচনা চলছে জলবিদ্যুৎ আমদানির
ভুটানের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে কুড়িগ্রামে ১৯০ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়। আর এ বিদ্যুৎ ভারতের মধ্য দিয়ে আনতে হবে। তাই ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করছি।’
তিনি বলেন, সেখানে ভুটানের ২৫ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নেপাল থেকেও জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং এ বিষয়ে প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শুভেচ্ছা স্বরুপ বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন ইউনিট নির্মাণ করবে, যা দেশের সক্ষমতারও বহিঃপ্রকাশ।
তিনি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের সফর সম্পর্কেও জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত আরও একটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হবে।
১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তার ই ধারাবাহিকতায় চার দিনের সফরে ভুটানের রাজার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ভুটানের রানী সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, 'ভুটানের সঙ্গে আমাদের বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি গান স্যালুট ও গার্ড অব অনার দিয়ে বাদশাহকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
সোমবার সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে রাজার।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের রাজা। তারা দুজনের মধ্যে বৈঠক হবে।
বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে রাজার সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার রাজা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটও পরিদর্শন করবেন রাজা।
তিনি বঙ্গভবনে যাবেন, সেখানে রাষ্ট্রপতি ও ফার্স্ট লেডি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজা।
রাষ্ট্রপতি সফররত রাজপরিবারের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
বুধবার সকালে রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটি বিশেষ ফ্লাইটে ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাদের বিদায় জানাবেন।
ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
বৃহস্পতিবার রাজা কুড়িগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন।
একই দিন বিকেলে সোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে আসামের গোলকগঞ্জের উদ্দেশে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ত্যাগ করবেন।
সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুক সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে এক চিঠিতে বলেন, তার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা বিরাজের পাশাপাশি অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি ভুটানকে 'ঘনিষ্ঠ বন্ধু' হিসেবে উল্লেখ করেন।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৃতীয় রাজা টেলিগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বীকৃতির বার্তা পাঠান। এর মধ্যে দিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ ভুটান।
সেই থেকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে একটি বিশেষ বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই ভুটান সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এর ফলে ১৯৭৩ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৯ মাস আগে
অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম অবরোধ ও হরতালের রাজনীতি পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের বিক্ষোভের দিনে অর্থনীতিতে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতি হয়।
চলতি সপ্তাহে ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন চাই। হরতাল বা অবরোধে প্রতিদিন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। তাই আমরা দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই।’
আমরা ধর্মঘট বা অবরোধ চাই না। ধর্মঘট বা অবরোধ অর্থনীতির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড মহাসড়কে সহিংসতা সৃষ্টি করছে, যা বিদেশি ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সরবরাহ প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ায় এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বেশি দামে পণ্য কিনছে।
রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের পূর্বে ক্রয় করা পণ্য সময়মতো পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, সরবরাহকারী ও পণ্য উৎপাদনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
হরতাল ও অবরোধের কারণে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায়শিল্পখাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে পর্যাপ্ত ভোগ্যপণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এলসি খোলার জন্য ডলার সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি বন্ধ এবং রমজান পর্যন্ত শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানিতে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: অর্থনীতির স্বার্থে সহিংসতা পরিহার করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি এফবিসিসিআই'র আহ্বানতিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবের পর উদ্যোক্তারা রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি সহ্য করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে যে স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অসম্ভব এবং নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিয়ে জনগণের কল্যাণ আসবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা ব্যাপক প্রচেষ্টায় এখানে বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।
অভ্যন্তরীণ অঙ্গনে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বিদেশি ক্রেতাদের নেতিবাচক সংকেত দেবে বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা শিল্প খাতের টিকে থাকার পাশাপাশি তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য অপরিহার্য।
তাই সরকার ও বিরোধী দলের উচিত রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে হরতাল-অবরোধের পরিবর্তে বিকল্প কর্মসূচি নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
১ বছর আগে
‘নির্বাচনের আগে পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংকট শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই’
বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের হতাশা ভুলে ভালো সময়ে ফেরার অপেক্ষা করছে।
কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শেয়ারবাজারের অবস্থা পুনরুদ্ধার, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কার তত্ত্বাবধান করা উচিত তা নিয়ে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ফ্লোর প্রাইস (ন্যূনতম বিক্রয় হার) এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পতনের উপর আটকে আছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারের অনেক হতভাগ্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর জন্য এটি বেদনাদায়ক।
নীতিনির্ধারকরা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সতর্কতা জানিয়ে বলেছে, নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি এবং বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে স্টক মার্কেট পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। কিন্তু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অবস্থা আশাহীন বলেই মনে হচ্ছে।
বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে তাদের বিনিয়োগে আটকে রয়েছেন।
আব্দুল লতিফ নামে এক মুদি দোকানের মালিক এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ইউএনবিকে বলেন, ‘কেউ, এমনকি নিয়ন্ত্রক বা স্টক মার্কেট কর্তৃপক্ষও তাদের ডাকে সাড়া দেয় না।’
তিনি জানান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনতে ২০১১ সালে তিনি ১৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন।
১৯৯৮ সালে স্নাতক শেষ করার পর লতিফ কোনো উপযুক্ত চাকরি খুঁজে পান না। তারপর ২০০২ সালে তার শ্বশুরের সহায়তায় মতঝিল এলাকায় একটি ছোট ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসায় ভালো লাভ করেন এবং শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও মেয়াদ বাড়ছে ব্যয়বহুল ভাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের
২০১০ সালে লতিফ প্রায় ১৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, যার মধ্যে ৫ লাখ তার নিজের এবং ৮ লাখ আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার করেছিলেন।
২০১১ সালে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের কেলেঙ্কারির কারণে তার সব বিনিয়োগ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে আটকে যায়।
২০১১ সালে লতিফের মতো হাজার হাজার বিনিয়োগকারী তাদের কষ্টার্জিত মূলধন হারিয়েছিল এবং এরপরে কেউ কেউ মূলধন ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই প্রায় সব বিনিয়োগ হারিয়ে পুঁজিবাজার ছেড়ে যান।
এরকম আরও অনেক বিনিয়োগকারী এখনও ডিএসইতে ফেরার আশায় রয়েছেন, কিন্তু কোনো আশা পাচ্ছেন না তারা।
আগামী নির্বাচনের আগে ফ্লোর প্রাইস উঠার কোনো লক্ষণ নেই।
তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজারের ওপর মানুষের আস্থা নেই। আগামী জানুয়ারির মধ্যে সাধারণ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ধৈর্য ধরতে পরামর্শ দিয়েছে বিএসইসি।
অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবিএম মির্জা আজিজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এরসঙ্গে যোগ হয়েছে বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকট, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন ও জাতীয় রাজনীতিসহ সবকিছু।’
ফলে সবার আগে আস্থার সংকট দূর করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আস্থা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি।
অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিতে হবে যে কেউ যদি কারসাজির মাধ্যমে তাদের টাকা চুরি করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। এই দুই কাজের মাধ্যমে বাজার সমস্যা দূর করা সম্ভব।
তবে এটা মোটেও সহজ নয় বলে জানান ড. আজিজুল ইসলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ বলেন, বাজারে দুটি সংকট রয়েছে: একটি চাহিদার ক্ষেত্রে এবং অন্যটি বিনিয়োগকারীদের আস্থায়।
আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে জিডিপির ১১.২% কর আদায়ের লক্ষ্য সরকারের
তিনি বলেন, সরবরাহের দিক থেকে সমস্যা হলো ভালো কোম্পানি কম আছে। ফলে এটা কারসাজি ও সিন্ডিকেটের জন্য উইন-উইন পরিস্থিতি।
সব মিলিয়ে শেয়ারবাজার বর্তমানে একটি অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে রয়েছে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এখান থেকে অবস্থা পরিবর্তন খুবই কঠিন বলে জানান তিনি।
বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারের অবস্থা ভয়াবহ। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।
সরকারের কাছেও বাজার তার গুরুত্ব হারিয়েছে। যারা সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন, তাদের জন্য শেয়ারবাজার বিরক্তির কারণ।
তাদের ভাবনাটা এরকম, শেয়ারবাজার না থাকলে দেশে কোনো সমস্যা থাকবে না। এসব কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বাজার ধরে রাখতে চায় সরকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের ভেতরের লোকজন জানিয়েছেন,এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশীর্বাদপুষ্ট সিন্ডিকেটের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণ করার একটি সুযোগ করে দেয়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এ প্রসঙ্গে ইউএনবিকে বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নেই। বিনিয়োগকারীদের গুজবের উপর নির্ভর করে যেকোনো কোম্পানির সঙ্গে বিনিয়োগ থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক জ্ঞানের অভাবে মানুষ অনেক সময় বড় লাভের আশায় দুর্বল শেয়ারে বিনিয়োগ করছে, যা বিনিয়োগের সঠিক উপায় নয়।
আরও পড়ুন: বেসরকারি খাতের উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান অর্থ বকেয়া বিদ্যুৎখাতের অন্যতম বাধা
১ বছর আগে
ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীদের দেশের ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশে ভিয়েতনামের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত নগুইন মান কুওং বঙ্গভবনে তার কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
ভিয়েতনামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ককে দুই দেশের বন্ধুত্বের মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: রাষ্ট্রপতি
তিনি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, তৈরি পোশাক, চামড়া ও সিরামিকসহ বিশ্বমানের পণ্য কিনতে পারে।
প্রেস সচিব বলেন, ভিয়েতনামের নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে তিনি রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
পুঁজিবাজার বাড়াতে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক জ্ঞান আবশ্যক: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে আর্থিক জ্ঞান এবং ভালো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উভয়ই আবশ্যক।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার দেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত, তাই জ্ঞানী বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারকে টেকসই করতে চালনা করতে পারে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ অনুষ্ঠিত অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মিজোরামের মন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বৈঠক
টিপু মুনশি বলেন, উন্নত অর্থনীতিতে ৫০ শতাংশের বেশি টাকা পুঁজিবাজার থেকে নেয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে সেই অবস্থা নেই। ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়, যা ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছে। যদি ৫০ শতাংশ টাকাও পুঁজিবাজার থেকে আসে তাহলে আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হতে বাধ্য।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেদের স্বার্থে একটি গোষ্ঠী চতুরতার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সংজ্ঞায়িত করছে, গুজব ও মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
টিপু মুনশি বলেন, ‘দেশ এত উন্নতি করেছে, এবং তারা বলছে, এটা ঠিক নয়। কিন্তু দৃশ্যমান উন্নতিকে তারা আর অস্বীকার করতে পারে না। যারা এসব করছে, তারা এদেশের উন্নয়ন চায় না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম, সভাপতিত্ব করেন অর্থ সূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএপিএলসি) সভাপতি আনিস উদ দৌলা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সাঈদুর রহমান এবং ঢাকা ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
ব্যবসায়ীরা কানাডা থেকে গম আমদানি করছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি: অধ্যাপক শিবলী
বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা জনগণের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে। যাতে তারা সচেতনভাবে ও লাভজনকভাবে বিনিয়োগ করতে পারে।
এ লক্ষ্যে, বিএসইসি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সঙ্গে সহযোগিতা করছে।
ইউএনবির সঙ্গে কথা বলার সময় অধ্যাপক শিবলী স্বীকার করেছেন যে কখনও কখনও লোকেরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বিনিয়োগ করতে বা ভুল তথ্যের পিছনে ছুটতে প্রভাবিত হয়।
তিনি বলেন, ‘তারা যদি আর্থিকভাবে শিক্ষিত হতে পারে, তাহলে কেউ তাদের ঠকাতে পারবে না।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের সাম্প্রতিক জরিপ অনুসারে, দেশব্যাপী গড়ে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশের সঙ্গে বাংলাদেশে আর্থিক সাক্ষরতার স্কোর এখনও বেশ কম।
২০২২ সালের সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, এসএসসির নিচে শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষ, ৫০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি, ব্যক্তি উদ্যোক্তা, ঢাকাবাসী, গৃহিণী ও কৃষকদের স্কোর সবচেয়ে কম।
বিএসইসি ২০২৩ সালের মধ্যে পুঁজিবাজারে রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট বা আরইআইটি, পিঙ্ক ও অরেঞ্জ বন্ড চালু করার জন্য কাজ করছে। পিঙ্ক বন্ডের মাধ্যমে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এবং এসএমই ও বড় উদ্যোক্তারা অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, নারী বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি আর্থিক খাতে তাদের ক্ষমতায়নের জন্য উভয় রঙিন বন্ড চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার নিয়ে বিএসইসি’র সঙ্গে আলোচনায় বসবে আইএমএফ
এছাড়া পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য বিএসইসির একটি বিশেষ বন্ড পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন।
একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা এই নিরাপদ খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শুধুমাত্র রাজস্বের ওপর নির্ভর করে সম্পন্ন করা যায় না।
প্রকল্পভিত্তিক অবকাঠামো বন্ড ও স্টক মার্কেট থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য মিউনিসিপ্যাল বন্ড উন্নয়নের জন্য একটি বৈচিত্র্যময় তহবিলের সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, যদি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২-১৩ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়, তবে লোকেরা তাদের অর্থ এফডিআর ও সঞ্চয়পত্রে জমা না করে প্রকল্প ভিত্তিক বন্ড মার্কেটে অর্থ বিনিয়োগ করবে।
তিনি আরও বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অবকাঠামো ও অন্যান্য সেবা খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের বিনিয়োগের চাহিদা মার্কিন ডলার ৮০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি, যা দেশীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। কিন্তু একটি বড় অংশ পুঁজিবাজারের মাধ্যমে সম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেসব বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার ধৈর্য রাখেন এবং বিনিয়োগের সুযোগ নিশ্চিত করতে চান তাদের বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ করা উচিত এবং আইডিএফ ও সেভিং সার্টিফিকেট থেকে তাদের রিটার্নের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ পাওয়া উচিত।
মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রেজারি বন্ড এবং অন্যরা পুঁজিবাজারে লেনদেন করছে, সেখানে যে কেউ বা সাধারণ মানুষ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডগুলো গত ১০/১২ বছরে প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘যাদের আর্থিক জ্ঞান আছে তারা সেকেন্ডারি শেয়ার ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করতে পারে এবং মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করতে পারে। তাদের বন্ড ও মিউচুয়াল ফান্ড পছন্দ করা উচিত।’
নিয়ন্ত্রক তার মেয়াদে কোম্পানির অডিট সিস্টেম চাপিয়ে দেয়া থেকে শুরু করে ব্রোকারেজ হাউসের জবাবদিহিতার দিকে পুঁজিবাজারে কয়েক ডজন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। ফলে আগামীতে পুঁজিবাজার ভালো অবস্থানে থাকবে।
অধ্যাপক শিবলী বলেন, ‘আমরা শুধু বীজ রোপণ করেছি, যেখান থেকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গাছ বা গাছগুলো দৃশ্যমান হবে।’
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
পুঁজিবাজার শিগগিরই দেশে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হবে: ভূমিমন্ত্রী
২ বছর আগে
বিএসইজেড বিনিয়োগকারীদের সর্বোত্তম পরিবেশ প্রদান করতে পারে: ইটো নাওকি
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সদ্য চালু হওয়া বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিএসইজেড) নিঃসন্দেহে শুধু জাপানি কোম্পানি নয়, অন্যান্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি থেকেও বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।
তিনি বলেন, বিএসইজেড সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সুবিধা এবং অবকাঠামোর ক্ষেত্রে এসইজেড’র দেয়া আছে।
নাওকি বলেন, ‘আমি আশা করি ভবিষ্যতে ১০০টিরও বেশি কোম্পানি এখানে কাজ করবে। যেখানে মোট দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে। এই অঞ্চলে বিএসইজেড সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিবেশ সরবরাহ করতে পারে।’
মঙ্গলবার ঢাকায় সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বিএসইজেড’র উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইতোমধ্যেই প্রায় ৩০টি জাপানি কোম্পানি এবং ১০টি বিদেশি কোম্পানি বিএসইজেডে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি মর্যাদা থেকে উন্নীত হবে এবং এই সরকারের অধীনে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিস্ময়কর অর্জন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
বিএসইজেডের সাফল্য অবশ্যই তাদের সেখানে যেতে পথ দেখাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশটি ভিশন ২০৪১ অর্জনের মাধ্যমে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য রাখে। আমি আবারও বলতে চাই যে জাপান তার উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য একটি জয়-জয়কার অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে কাজ করবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ঢাকায় তার মেয়াদ শেষ করে আগামী সপ্তাহে তিনি জাপানে ফিরবেন এবং তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে গত তিন বছরে তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আন্তরিকভাবে আশা করি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং সুমিতোমো করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাসায়ুকি হায়োডো বক্তব্য দেন।
বিএসইজেড হল বাংলাদেশের প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল যা জাপানি কোম্পানি দ্বারা ডিজাইন করা এবং তৈরি করা হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে সহযোগিতার ইচ্ছা পোষণের আট বছর পেরিয়ে গেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে আমাদের নেতাদের উদ্দেশ্য অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে। কোভিড-১৯ সহ আমরা যে সমস্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘এটি জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল। কিন্তু বেজা নাম দিয়েছে 'বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন (বিএসইজেড)।' আমি বিশ্বাস করি বেজা এবং সরকার এটা করেছে এই প্রত্যাশা নিয়ে যে এটি বাংলাদেশে ফ্ল্যাগশিপ এসইজেড হয়ে উঠবে।’
নাওকি বলেন, এটি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ(এফডিআই) বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের প্রতীক হয়ে উঠবে।
এই মাসে বিএসইজেড উদ্বোধনের পর ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করবে।
আরও পড়ুন: সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এমআরটি লাইন-১ এবং লাইন-৫ উত্তর আগামী ২০২৩ সালে নির্মাণ শুরু করবে। তারপর, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ টার্মিনাল-৩ এর আগামী অক্টোবরে একটি সফট-ওপেনিং করবে।
তিনি বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরও নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৪ সালে পাওয়ার প্ল্যান্টের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই বছরে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু চালু হবে।
তিনি বলেন, জাইকার এই মানসম্পন্ন অবকাঠামো প্রকল্পগুলো দেশকে বদলে দেবে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সুযোগকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য বাংলাদেশকে ক্রমাগত কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং সে লক্ষ্যে জাপান ও বাংলাদেশের উচিত হাতে হাত মেলানো।
তিনি বলেন, ‘এটি উল্লেখযোগ্য যে বিএসইজেড একটি দুর্নীতিমুক্ত স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (এসইজেড) হিসাবে ঘোষণা করেছে। একটি ন্যায্য এবং অনুকূল বিনিয়োগ এবং ব্যবসার পরিবেশের জন্য দুর্নীতি দূর করতে তার দৃঢ় সংকল্প দেখাচ্ছে।’
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলটি এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে। এবং লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
সুমিতোমো কর্পোরেশনের সভাপতি এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসায়ুকি হায়োডো বলেছেন যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অত্যন্ত বিশেষ এবং সরকার ও বেসরকারি দু’টি খাত দ্বারা দৃঢ়ভাবে সহযোগিতাপুষ্ট।
কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও বলেন, ‘আমাদের এই ব্যবসায় ৩০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আমরা বাংলাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত রয়েছি।
হায়োডো বলেন, তারা টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশে অবদান রাখছেন।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
২ বছর আগে
২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা: সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা কী হারিয়েছেন
সাপ্তাহিক বাজারের লেনদেন অনুসারে, গত সপ্তাহে (২৫-২৯ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ৮২৯ কোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসের বাজারে সূচকের মধ্যে তিন দিন পতন এবং দুই দিন উত্থান দেখা গেছে।
সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ১৭৩টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫২টির।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় সপ্তাহে ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসই এবং ডিএসইএস-এর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে (বাংলাদেশ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) মূল্য, চার্ট, প্রোফাইল এবং অন্যান্য বাজার তথ্যসহ) ১৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে গতি আনতে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সূচক ও লেনদেন কমায় সপ্তাহে বাজার মূলধনের পরিমাণ (মূলধন) কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। তবে আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৬১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫২২৭৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষ কার্যদিবসে পুঁজি দাঁড়িয়েছে ৫১৯৯১৪ কোটি চার লাখ টাকা। মূলধন কমেছে ৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার চাঙা করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় গেল সপ্তাহে প্রধান ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২পয়েন্ট। ডিএসইর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
২ বছর আগে