সাপ্তাহিক বাজারের লেনদেন অনুসারে, গত সপ্তাহে (২৫-২৯ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা দুই হাজার ৮২৯ কোটি টাকার লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে।
পাঁচ কার্যদিবসের বাজারে সূচকের মধ্যে তিন দিন পতন এবং দুই দিন উত্থান দেখা গেছে।
সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। ফলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৬১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, ১৭৩টির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫২টির।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার টিকিয়ে রাখতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি বিএমবিএ’র
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় সপ্তাহে ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসই এবং ডিএসইএস-এর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে (বাংলাদেশ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) মূল্য, চার্ট, প্রোফাইল এবং অন্যান্য বাজার তথ্যসহ) ১৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে গতি আনতে প্রকৃত উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
সূচক ও লেনদেন কমায় সপ্তাহে বাজার মূলধনের পরিমাণ (মূলধন) কমেছে দুই হাজার ৮২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। তবে আগের সপ্তাহে মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৬১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫২২৭৬৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের শেষে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষ কার্যদিবসে পুঁজি দাঁড়িয়েছে ৫১৯৯১৪ কোটি চার লাখ টাকা। মূলধন কমেছে ৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার চাঙা করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় গেল সপ্তাহে প্রধান ডিএসই সূচক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৫১২পয়েন্ট। ডিএসইর অন্য দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪১৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৩৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।