আগস্ট
আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে ১.১৭ শতাংশ: বিবিএস
গত জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, আগস্টে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
এছাড়া খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা জুলাইয়ে ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ।
তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ে এই খাতে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, যা আগস্টে কিছুটা বেড়ে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্ক অতিক্রম করে। ওই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা জুনে ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
একইভাবে জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এরপর থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ অতিক্রম করেনি।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
২ মাস আগে
রেমিট্যান্স ঊর্ধ্বমুখী: আগস্টে বাংলাদেশের আহরণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় আগস্টের ২৮ দিনে ২০০ কোটি ডলারের বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ।
রেমিট্যান্স নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে ২০৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ২০২৩ সালের আগস্টের একই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১৪৩ কোটি ডলার।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। জুলাই মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি ডলার।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্সে ডলার মূল্য বেড়ে ১১৯ টাকা ৪০ পয়সা
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, সাধারণ ছুটির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৯ থেকে ২৩ জুলাই ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এবং ১০ দিন মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক লেনদেন প্রায় বন্ধ ছিল।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটিয়ে উঠতে ও রিজার্ভ বাড়াতে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত কয়েক মাসে এসব পদক্ষেপের ফলে দেশে আসা প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।আরও পড়ুন: জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ডলার
৩ মাস আগে
জানুয়ারি-আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ: ওটেক্সা
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি কমেছে ২১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (ওটেক্সা) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক সরবরাহকারী দেশ বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
ওটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক পোশাক আমদানি ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমে ৫৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ৬৯ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
চীন, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, ভারত ও ইন্দোনেশিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় পোশাক আমদানির উৎসগুলো মূল্য ও পরিমাণ উভয় দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।
সবচেয়ে বড় পোশাক আমদানির উৎস চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস ভিয়েতনাম থেকে আমদানি কমেছে ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি কমেছে যথাক্রমে ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ, ২৬ দশমিক ০৯ শতাংশ, ২৭ দশমিক ২৮ শতাংশ, ৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২৯ দশমিক ২৪ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৯.৯৩ শতাংশ
এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
১ বছর আগে
বৃষ্টির কারণে চবিতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার থেকে আগামী ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সব অনুষদের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমেদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে এই সময় অফিস খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: চবিতে সাংবাদিককে নির্যাতন, ২ ছাত্রলীগকর্মী বহিস্কার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন দিনের জন্য সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ভূমিধসে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চবি শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে চবির মূল ফটকে তালা
১ বছর আগে
আগস্টে ডেঙ্গু কমার আশা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন জানান, আগস্টে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারলে আশা করা যায় ডেঙ্গু রোগী কমে স্বস্তিকর জায়গায় আসবে।
রবিবার (৬ আগস্ট) দেশের চলমান ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডেঙ্গু পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি জানান, দেখা যায় যে কোনো রোগের প্রাদুর্ভাবে একটা সময় সর্বোচ্চ পরিমাণ হয়ে এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তবে সে ক্ষেত্রে প্রতি বছর একইভাবে মিল থাকবে তাও নয়।
আরও পড়ুন: এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৩০০ ছাড়াল
গত বছরে অক্টোবরে এসে ডেঙ্গু কমতে শুরু করে। তবে এবার সেটা আগস্টেও হতে পারে। আগস্ট মাস ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে পারলে আশা করা যায় এ রোগে আক্রান্ত কিছুটা কমে আসবে এবং একটা স্বস্তিকর জায়গায় যাওয়া যাবে।
অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন জানান, জুলাই মাস জুড়ে ডেঙ্গু প্রতিনিয়ত বেড়েছে। এ বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন স্থিতিশীল রয়েছে।
তবে ঢাকার বাইরে আগে যে হারে রোগী বাড়ছিল, এখন সে হারে বাড়ছে না বলে জানায় অধিদপ্তর।
রোগীর সংখ্যা এতদিন বেড়েছে এবং সে জায়গায় স্থিতিশীল রয়েছে। যখন এ স্থিতিশীলতা থেকে রোগী কমার দিকে যাবে তখন আমাদের হাসপাতালগুলোতে চাপ কমবে। তবে তার আগ পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমাদের থাকতে হবে।
এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশন নতুন একটি ওষুধ নিয়ে এসেছে, কতটুকু সেটি কার্যকর হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিধন নিয়ে আমার আসলে পুরোপুরি জানা নেই।
তিনি বলেন, তবে সিটি করপোরেশন যে ওষুধগুলো এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে, সবগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে, এরপরেই সেটি প্রয়োগ করা হয়েছে।
আমরা আশ করি, যেহেতু তারা নতুন একটি ওষুধ নিয়ে এসেছে, অবশ্যই এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্যালাইন সংকট মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানানো হয়েছে। কেন সংকট ও কোথায় দাম বেশি রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তদারকি করছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১০, আক্রান্ত ১৭৫৭
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১০, আক্রান্ত ২৫৮৯
১ বছর আগে
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৃক্ষরোপণ
বাঙালি জাতির জন্য শোকাবহ মাস আগস্টের শুরুতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী তাদের পরিবারের সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমি চত্বরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৬ দিনের প্রচারণা: বৃহত্তর ঢাকার জোন্টা ক্লাবের রাজধানীতে বৃক্ষরোপণ ও রিকশা র্যালির আয়োজন
এ কর্মসূচিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ শাহাদাত বরণকারী তাদের পরিবারের ১৬ জন সদস্যের স্মরণে ১৬টি গাছের চারা রোপণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
১ বছর আগে
‘আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে’
আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এবং মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এডিস মশার ধরন বদলেছে। এটি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘চলতি মাসে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। গবেষণার সময় আমরা এডিস মশার ঘনত্ব, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বৃষ্টিপাতসহ কিছু বিষয় বিশ্লেষণ করে একটি মডেল তৈরি করি। এটা স্পষ্ট যে আগামী দিনে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে এটি মারাত্মক রূপ নিতে পারে।’
‘এই মুহূর্তে ডেঙ্গু হটস্পটগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং যেসব এলাকায় এরই মধ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে সেসব এলাকায় এডিস মশা দূর করতে ফগিং ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ৷
এডিস মশা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়বে।এসব এলাকায় ফগিং মেশিনের মাধ্যমে মশা মারতে পারে। আর বেশি ছড়িয়ে পড়া এলাকা চিহ্নিত করতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঠিকানা ব্যবহার করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
তিনি নগরবাসীকে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে এবং এডিস মশা যাতে তাদের বাসা-বাড়ি ও আঙিনায় না জমে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ঢাকার ৫৫টি ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীনে ৫৫টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৮ থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডে একটি জরিপ করে এতথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪০টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৮টি ওয়ার্ডে জরিপকালে ৪৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ভবন, ২১ দশমিক ৩১ শতাংশ বাড়ি এবং ১৮ দশমিক ২১ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় বছরের রেকর্ড ১,৬২৩ জন আক্রান্ত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন যে ওয়ার্ডগুলো ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে সেগুলো হলো: ২, ৩,৫,৬, ১১, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ ,২০, ২১, ২২, ২৩, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৫, ৩৭ ও ৩৮। এসব ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে মিরপুর, পল্লবী, মাজার রোড, পীরেরবাগ, মনিপুর, শেওড়াপাড়া, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, খিলক্ষেত, কুড়িল, শাহারা, বনানী, গুলশান, বারিধারা, মহাখালী, রামপুরা, খিলগাঁও, মালিবাগ, কারওয়ানবাজার, তেজতুরী বাজার, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, বায়তুল আমান, মগবাজার, ইস্কাটন ও বাড্ডা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো: ২,৩, ৪, ৫, ৬, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৫, ১৬, ১৮, ১৯, ২২, ২৩, ২৬, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪১, ৪৪, ৪৬, ৪৮, ৫০, ৫১,৫৪, ৫৫ ও ৫৭ নম্বর। এসব ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে গোড়ান, মেরাদিয়া, বাসাবো, সবুজবাগ, মুগদা, মাদারটেক, ফকিরাপুল, আরামবাগ, শাহজাহানপুর, পুরাতন রাজারবাঘ। পল্টন, বায়তুল মোকাররম, ধানমন্ডি, রায়েরবাজার, নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, মিন্টো রোড, কাকরাইল, হাজারীবাগ, লালবাগ, আজিমপুর, পলাশী, বংশাল, সিদ্দিকীবাজার, শাখারিবাজার, ওয়ারী, সূত্রাপুর, মিল ব্যারাক, সৈয়দাবাড়ি, উত্তরপুর, সৈয়দাবাড়ি, উত্তরপাড়া, ধোলাইপাড়, গেন্ডারিয়া, জুরাইন ও কামরাঙ্গীরচর।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কারণ
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে দেশে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এর পেছনে কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, এ বছর যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগই আগে একবার বা দুবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা আবারও এ রোগে আক্রান্ত হলে তীব্রতা বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, তাদের বেশিরভাগই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত কি না তা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং কিছু লোক দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। আর এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা সেবা পেতে দেরি করলে জটিলতা বেড়ে যায়। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর পেছনে এটি আরেকটি কারণ।
এ ছাড়াও, এডিস মশার প্রকৃতির ধরন পরিবর্তিত হয়েছে। এখন তারা সারা দিন ও রাতে মানুষকে কামড়ায়। বাইরের কৃত্রিম আলোতে সক্রিয় থাকতে পারে, যা ডেঙ্গু সংক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার বিরুদ্ধে অবিলম্বে কোনো কর্মসূচি না নিলে আগামী দিনে ভয়াবহ বিপর্যয় আসতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি- এমন প্রশ্নের জবাবে ডাক্তার লেলিন বলেন, আমরা দেখছি সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। দ্বিতীয়ত, সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এ জন্য জনপ্রতিনিধি ও জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
ডিজিএইচএসের ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসির ৪০টি ওয়ার্ড ও ডিএসসিসির ৫৮টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৪৯টি বাড়িতে জরিপ চালানো হয়েছে। ওই জরিপে দেখা গেছে, ৫৪৯টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে; যা খুবই উদ্বেগজনক।
ডেঙ্গু ছড়ানোর পেছনে মানুষের অসচেতনতাকেও দায়ী করেন তিনি।
ডিজিএইচএস-এর মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘এ বছর বর্ষা দেরিতে শুরু হওয়ায় ডেঙ্গু মৌসুম দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জনবল সংকট কমাতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি এবং রাজধানীর সব হাসপাতালেই ডেঙ্গুর চিকিৎসা চলছে।
ডিজিএইচএস-এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. রাশেদা সুলতানা ইউএনবিকে বলেন, সব হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে এবং হাসপাতালগুলোতে একটি তথ্য ডেস্ক রয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত শয্যা রয়েছে।
ডিএনসিসির ডেডিকেটেড ডেঙ্গু হাসপাতালে ৮০০ শয্যা রয়েছে যেখানে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ৬০০ শয্যা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১২০টি, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ১৯৫টি, শিশু হাসপাতালে ৪৪টি, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ১২০টি, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৫০ শয্যা রয়েছে এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৭২টি শয্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৭৩
ডিজিএইচএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৮ জুলাই পর্যন্ত, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এটি চলতি বছর মশাবাহিত রোগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৭ জনে।
একই সময় ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত আরও ১ হাজার ৫৩৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ।
নতুন রোগীদের মধ্যে ৭৭৯ জনকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিরা ঢাকর বাইরের হাসপাতালে ভর্তি।
রাজধানীতে ৩ হাজার ৪৪৩ জনসহ মোট ৫ হাজার ৫৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী এখন সারাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ পর্যন্ত, ডিজিএইচএস চলতি বছর ২৪ হাজার ডেঙ্গু আক্রান্তের ঘটনা এবং ১৮ হাজার ৩০৪ জন সুস্থ হওয়ার ঘটনা রেকর্ড করেছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৩৩
১ বছর আগে
আগস্টে রেকর্ড ৮ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগস্টে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে আট হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে। যার ফলে দেখা যায় বছরে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আগস্টে এনবিআরের সংগ্রহ করা ভ্যাট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১৯ কোটি টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: এনবিআর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডকে সহায়তা করে: চেয়ারম্যান
এ প্রসঙ্গে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট) মইনুল খান বলেন, ব্যয় কমানোর কারণে সরকারি ব্যয় কমেছে। তারপরও নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে।
সাধারণত বেসরকারি খাতের তুলনায় সরকারি ক্রয় থেকে বেশি ভ্যাট আদায় করা হয়। এবারের বিষয়টি ব্যতিক্রম বলেও জানান তিনি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক আদায়ের পরিমাণ ৪০ হাজার ২৭০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৩১৯ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর সূত্র জানায়, প্রথম দুই মাসে আয়কর খাতে ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা এবং শুল্ক খাতে ১৪ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট মাসে ৩০টি ছোট খাতে ভ্যাট আদায় হয়েছে চার হাজার ৮৬৯ কোটি টাকা।
অন্যদিকে খুচরা ও পাইকারি, রড-সিমেন্ট, হোটেল ও রেস্তোরাঁর মতো বেসরকারি খাত থেকে ১০ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
২০২১-২২ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করায় সাড়া কম: এনবিআর ডাটা
২ বছর আগে
চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত: সংকট নিরসনে ২৩ আগস্ট ঢাকায় বৈঠক
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মতো মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানের শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছে। এই সংকট নিরসনে ২৩ আগস্ট ঢাকায় মন্ত্রী ও সচিবের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, শ্রমিকদের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। শোকের মাসের কথা বিবেচনা করে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত রাজপথ অবরোধে চা শ্রমিকরা যাবে না। বাগানের ভেতর মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের মতো কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০০ করার দাবি
মঙ্গলবার বিকালে চলমান ধর্মঘট নিরসনে আন্দোলনরত চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় দফা বৈঠক বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরে মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী ও শ্রমিক নেতারা।
উল্লেখ্য, শ্রমিকদের দৈনিক ১২০ টাকা থেকে মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন গত ৯ আগস্ট থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট দুই ঘন্টা করে পালন করা হয়। এরপর চা শ্রমিকরা ১৩ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করে। ১৪ ও ১৫ আগস্ট দুই দিন স্থগিত থাকার পর আবার ১৬ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালন করছে চা শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কাল থেকে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের বাইরে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই এর মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যারা বাইরে আছেন তাদের মধ্যে দু’একজনকে শিগগিরই দেশে আনা হবে।’
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষির্কী উপলক্ষে ৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল, কারণ তারা ভালো করেই জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহিত, তাদের কেউ বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার একদিন হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা তাদের সেই ত্যাগের প্রতিদান দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধের সরকারি ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় প্রমাণ করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনা মোকাবিলা করছেন। ২১ আগস্টের বোমা হামলা আপনারা দেখেছেন, সেই দিনের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যাকে মহান রব্বুল আলামিন বাঁচিয়েছেন, বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। বঙ্গবন্ধু যেটা করে যেতে পারেননি, সেটা মহান রব্বুল আলামিন বঙ্গবন্ধুর কন্যার মাধ্যমে করিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহাগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পড়ুন: বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের কোনো বাধা থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীন আক্তার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার রাশেদুল হকসহ মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য দেন।
এর আগে দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সমুদ্র মহড়া পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, কোস্টগার্ড মানব ও মাদক পাচার রোধেও সফল ভূমিকা রাখছে। যার জন্য আমরা মনে করি কোস্টগার্ড দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে লাল তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আমাদের এত বড় বন্দর সেখানে সেই সময় জাহাজ আসতে নানান ধরনের প্রশ্ন তুলতো। কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই।
মহড়ায় কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহের স্টিম পোস্ট, ভিবিএসএস এক্সারসাইজ, ২০ মিটার রেসকিউ বোট, মেটাল শার্ক এবং জাহাজ কামরুজ্জামান দ্বারা পলিউশন কন্ট্রোল এক্সারসাইজ, ডিসপারসেন্ট ডেলিভারি ও ওয়াটার গান অপারেশন প্রদর্শন করা হয়।
এ সময় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে