নদীতে ঝাঁপ
পদ্মাসেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অটোরিকশা চালক নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া দিয়ে উল্টোপথে হঠাৎ একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সেতু অতিক্রমের চেষ্টাকালে নিরাপত্তাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে পদ্মায় ঝাঁপ দেন রিকশাচালক। এতে নিখোঁজ হন ওই চালক।
রবিবার (১৮ জুন) রাত ১টা ৫০ মিনিটে ২১ নম্বর খুঁটি থেকে পদ্মায় ঝাপ দিয়ে চালক নিখোঁজের ঘটনাটি ঘটে।
অজ্ঞাত অটোরিকশাচালক নদীতে ঝাঁপ দেয়ার আগে সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা বিকল একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিখোঁজের ৬ মাস পর মাটিচাপা ব্যাংক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার
এদিকে চালকের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে রিকশাটি জব্দ করে পদ্মা উত্তর থানায় রাখা হয়েছে। এদিকে তার সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড নদীতে অভিযান চালাচ্ছে।
জানা যায়, সেতুতে রিকশা প্রবেশ করার বিষয়টি হঠাৎ সেতুর নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে এলে অটোচালকের দিকে এগিয়ে যান তারা। তাদের দেখে চালক দ্রুত অটোরিকশাটি চালাতে শুরু করেন।
একপর্যায়ে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে যান তিনি। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা কাছাকাছি চলে এলে ভয়ে পদ্মা সেতুর ২১ নম্বর পিলার বরাবর পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।
এ ঘটনার পর থেকেই অটোচালক নিখোঁজ রয়েছেন। ঢাকা থেকে সকালে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন জানান, রাতে সোহেল নামক পদ্মা সেতুর নিরাপত্তাকর্মী আমাদের কল করে এই তথ্য দেন।
তিনি আরও জানান, পরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সকালে ঢাকা থেকে ডুবুরি দল আসে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৪৩ ঘণ্টা পর ঢাবি ছাত্রের লাশ উদ্ধার
বরিশালে কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ ১
১ বছর আগে
সিরাজগঞ্জে পুলিশ মনে করে নদীতে ঝাঁপ, যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে পুলিশ মনে করে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানায় আটকে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকায় হুরা সাগর নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা।
নিহত মো. আনিসুর রহমান (৩০) উপজেলার কর্ণসূতি গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, ১১ দিন পর লাশ উদ্ধার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বলরামপুর বাজারে হোটেলে খাওয়ার সময় অপরিচিত কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে আনিসুরের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আনিসুর তাদের পুলিশ মনে করে পালানোর উদ্দেশ্যে হুরাসাগর নদীতে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তখন নদীতে প্রচুর কচুরিপানা থাকায় তাতে আটকে মারা যান তিনি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে তার লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতের চাচা রফিক মণ্ডল বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি আনিসুরের ঘরের পেছন থেকে সালেহা খাতুন নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় মৃত সালেহার ভাইয়েরা আনিসুরকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। সেই আতঙ্কে মাসখানেক ধরে শ্বশুরবাড়ি পালিয়ে থাকেন আনিসুর। বুধবার (৭ মার্চ) হঠাৎ করে অচেনা কেউ তার খোঁজ নিতে এলে সে পুলিশ ভেবে দৌঁড়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কচুরিপানায় আটকে মারা গেছেন।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী প্রধান জানান, নদীতে ঝাঁপ দেয়া আনিসুরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট নেই। তাকে পুলিশ ধাওয়া দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই হাতে দুই মেয়েকে ধরে নদীতে ঝাঁপ দিলেন মা!
সিলেটে দুই অটোরিকশাচালকের মারামারিতে একজনের মৃত্যু
১ বছর আগে
বগুড়ায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ, পরে লাশ উদ্ধার
বগুড়ার শিবগঞ্জে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে করতোয়া নদীতে ঝাঁপ দেয় ‘মাদক কারবারি মাসুম মিয়া’ (৩৫)।
৪ বছর আগে