শাস্তির দাবি
ঘরে ঢুকে বৃদ্ধ ও নারীকে খুন: সড়ক অবরোধ করে ডুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) এমএসসি শিক্ষার্থী প্রকৌশলী শাহাব উদ্দিন শিহাবের বাবা ও ভাবীকে সন্ত্রাসী হামলায় হত্যার প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকালে ডুয়েট ক্যাম্পাস ও গেটে ঢাকা-শিমুলতলী সড়কে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
ডুয়েট ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে গিয়ে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে এ সময় তারা প্রায় ১৫ মিনিট ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে তাদের দাবি সমূহ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকায় সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত দাবি ফখরুলের
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ডুয়েট শিক্ষার্থী লিকুনুজ্জামান, রাশেদুল ইসলাম সিফাত, মো. শাহ আলমসহ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
বক্তারা বলেন, ‘গত ৮ জুলাই গভীর রাতে শিহাবের বগুড়ার গ্রামের বাড়িতে মুখোশধারী একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরে ঢুকে শিহাবের বাবা আফতাব উদ্দিন ও ভাবীকে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘুমন্ত মানুষের ওপর এমন বর্বর হামলায় শিক্ষার্থী শিহাব ও তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দায়ীদের সঠিক শাস্তির দাবিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা।’
১৪৫ দিন আগে
চকবাজারে ব্যবসায়ী হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
রাজধানীর চকবাজারে ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা এলাকা থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায়সাব বাজার মোড় পর্যন্ত যায় এবং সেখান থেকে ফিরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা চকবাজারে একজন ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে ও বর্বরোচিতভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশে এভাবে একজন সাধারণ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা কেবল আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি নয়, এটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।’
আরও পড়ুন: মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী হত্যা: ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার
জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘চকবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। আমরা অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন তার একটাই পরিচয় সে অপরাধী। আমরা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘চকবাজার, খুলনায় একের পর এক হত্যাকাণ্ড শুধু আমাদের নয়, পুরো জাতিকে শোকাহত করেছে। আমরা এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত বিচার দাবি করছি। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি—আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’
১৪৫ দিন আগে
বল প্রয়োগ করায় পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি ৭১.৫% মানুষের
বিক্ষোভ মিছিল মোকাবিলা ও বিরোধী দলমত দমনে মাত্রারিক্ত বল প্রয়োগ করা ফৌজদারি অপরাধ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবি করেছেন ৭১.৫ শতাংশ মানুষ৷
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পুলিশ সংস্কার কমিশন পরিচালিত 'কেমন পুলিশ চাই' শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ৷ সেখানেই এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৬৮.৮ শতাংশ উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিস্থাপিত প্রমিত পদ্ধতি অনুসরণকে প্রবিধানভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।
এছাড়া মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত পুলিশ সদস্যকে উৎসাহিত করতে বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে পুরস্কার ও তিরস্কাররের ব্যবস্থা রাখার পক্ষে ৬৮.২৭ শতাংশ সমর্থন করেছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সভা-সমাবেশ আয়োজনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের পূর্বানুমতিগ্রহণকে মৌলিক অধিকার পরিপন্থি মনে করেন ৫১.৮ শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে প্রত্যয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন ৩৭.৪ শতাংশ। ১০.৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে অনিশ্চিত বা দ্বিধান্বিত।
আরও পড়ুন: ‘জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পুলিশ সংস্কার জরুরি’
একটি বিষয় স্পষ্ট যে সংবিধানের ৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সভা-সমাবেশ আয়োজন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন আইন ১৯৭৬ এর ২৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী পুলিশ কমিশনারকে অনুরুপ সমাবেশ জনস্বার্থে সর্ব্বোচ্চ ৩০ দিন স্থগিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আয়োজনে পূর্বানুমতি গ্রহণের বিষয়টি সেখানে উল্লেখ নেই। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশে ৭১.২ ভাগ উত্তরদাতা বিধানটির পরিবর্তন চান।
জরিপে দেখা যায়, উত্তরদাতাদের শতকরা ৮২.৫ শতাংশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা বিধানকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন। উত্তরদাতাদের ৪৬.২ শতাংশ ধারাটি যুগোপযুগী সংস্কার চান। ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ৫৪ ধারায় বিধান যুগোপযুগী করার অর্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে বিজ্ঞানসম্মত জীবনমাত্রার সুফলযুক্ত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ৩৯.৭ শতাংশ উচ্চ আদালতের সুপারিশমতে ৫৪ ধারায় বিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ জরিপে অংশ নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৪২ জন৷ এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছরের বয়সিদের অংশগ্রহণের হার ৮৬.৬ শতাংশ৷ উত্তরদাতাদের মধ্যে চাকরিজীবী ৩৬.৪ শতাংশ, ছাত্র ২৭.২ শতাংশ, ব্যাবসায়ী ৭.৬ শতাংশ এবং প্রকৌশলী ৭.১ শতাংশ৷ এসব উত্তরদাতাদের সর্বাধিক ঢাকা জেলা এবং পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়৷
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, উত্তরদাতাদের মধ্যে সর্বাধিক মতামত এসেছে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশের পক্ষে৷ এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে নিরপেক্ষ পুলিশ এবং তৃতীয় অবস্থানে দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ চাই ' এমন ক্যাটাগরিতে মতামত এসেছে৷
পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯.৫ শতাংশ উত্তরদাতা৷ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চান ৭৭.৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
এছাড়া গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত মানবাধিকারের চরম লংঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছেন ৭৪.৯ শতাংশ উত্তরদাতা৷ ভুয়া ও গায়েবি মামলার অবসান চান ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা৷
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত
৩৬৭ দিন আগে
ন্যায়বিচার চায় মুনিয়ার পরিবার
মুসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর জন্য তার শোকসন্তপ্ত পরিবার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
কুমিল্লা জেলার মনোহরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শফিকুর রহমানের মেয়ে মুসারাত জাহানের ঝুলন্ত লাশ রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাটে সোমবার রাতে উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পর ভুক্তভোগীর বোন নুসরাত জাহান ওইদিন রাত দেড়টার দিকে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘২৫ এপ্রিল মুনিয়া আমাকে ফোন করে। সে ফোনে কান্নাকাটি করছিল। বলছিল আনভীর আমাকে বিয়ে করবে না, শুধু ভোগ করেছে। আমাকে বলেছে আমি তার শত্রুর সঙ্গে দেখা করেছি। সে আমাকে ছাড়বে না।’
নুসরাত মুনিয়ার উক্তিতে বলেন, 'আমি ভয় পেয়েছি ... যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।'
তিনি আরও বলেন, মুনিয়া তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঢাকায় যেতে বলেছে।
আরও পড়ুন: গুলশানে তরুণী নিহত: বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে, মুনিয়ার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ ইউএনবিকে বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি না মুনিয়া নিজেকে শেষ করে ফেলতে পারে। ও একজন শিল্পী ছিল এবং মডেল হিসাবেও কাজ করতো।'
কুমিল্লা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি রাশেদা আক্তার বলেন, 'মৃত্যু আমাদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে ... তনুকে হত্যার সময়ও আমরা একইরকম অনুভব করেছি।'
সেদিন কী ঘটেছিল?
মুনিয়া রবিবার তার বড় বোনকে ফোন করে বলেছিলেন ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না।
পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শোবার ঘরে তার বোনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এ অবস্থা তিনি বাড়িওয়ালাকে খবর দিলে পুলিশকে ফোন করেন।
পরে, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
একমাত্র অভিযুক্তের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মঙ্গলবার ঢাকার একটি আদালত সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার জন্য একটি আবেদন জমা দেয়ার পর মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
১৬৮১ দিন আগে
সাবেক সেনা কর্মকর্তার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করুন: বিএনপি
কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে (মেজর) হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
১৯৪৯ দিন আগে