ফিফা
অবশেষে ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র অনুষ্ঠিত
বেশ আগে থেকে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলা শুরু হয়ে গেলেও ইউরোপ অঞ্চলের খেলা তো দূরের কথা, এ বিষয়ে কোনো আলোচনাই ছিল না। অবেশেষে এই অঞ্চলের বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জুরিখে বিশ্বকাপের ইউরোপ অঞ্চলের বাছাই পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২৬ সালে প্রথমবার আয়োজন করা হবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ। এর মধ্যে ইউরোপ থেকে মোট ১৬টি দেশ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। এই ১৬টি স্পটের জন্য ১২টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে ৫৩টি দেশ।
১২টি গ্রুপের সব গ্রুপে অবশ্য সমান প্রতিপক্ষ নেই। ছয়টি গ্রুপ সাজানো হয়েছে চারটি করে দল নিয়ে। অন্য ছয়টি গ্রুপে রাখা হয়েছে পাঁচটি করে দল। গ্রুপের প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপের শীর্ষ ১২টি দল সরাসরি বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিট পাবে।
আরও পড়ুন: ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতেই হবে ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনাল
বাকি চার দল বাছাই করতে গ্রুপগুলোর দ্বিতীয় সেরা ১২ দলের সঙ্গে যুক্ত হবে উয়েফা নেশন্স লিগ খেলা চার দল। নেশন্স লিগের গ্রুপ বিজয়ীদের মধ্যে সেরা, কিন্তু বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে- এমন চারটি দলসহ মোট ১৬ দলের প্লে-অফ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ১৬টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করে নকআউট পদ্ধতিতে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মাধ্যমে বিশ্বকাপের জন্য একেকটি দল নির্বাচিত করা হবে।
বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২১-২৫ মার্চ, ৬-১০ জুন, ৪-৯ সেপ্টেম্বর, ৯-১৪ অক্টোবর এবং ১৩-১৮ নভেম্বর। ২০২৬ সালের ২৬ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্লে-অফ পর্বের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। এরপর ওই বছরের ১১ জুন শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল আসর।
২০১৬ সালের ১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে বিশ্ব ফুটবলের এই সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ আসরের পর্দা নামবে।
আরও পড়ুন: ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে ১ বিলিয়ন ইউরো ঋণ নেবে মরক্কো
এক নজরে ইউরোপ অঞ্চলের গ্রুপগুলো
গ্রুপ এ: জার্মানি/ইতালি (নেশন্স লিগের ম্যাচ জয়ী), স্লোভাকিয়া, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গ।
গ্রুপ বি: সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, স্লোভেনিয়া ও কসোভো।
গ্রুপ সি: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (পরাজিত), গ্রিস, স্কটল্যান্ড ও বেলারুশ।
গ্রুপ ডি: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (জয়ী), ইউক্রেন, আইসল্যান্ড ও আজারবাইজান।
গ্রুপ ই: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (জয়ী), তুরস্ক, জর্জিয়া ও বুলগেরিয়া।
গ্রুপ এফ: পর্তুগাল/ডেনমার্ক (জয়ী), হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড ও আর্মেনিয়া।
গ্রুপ জি: স্পেন/নেদারল্যান্ডস (পরাজিত), পোল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া ও মাল্টা।
গ্রুপ এইচ: অস্ট্রিয়া, রোমানিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সাইপ্রাস এবং সান মারিনো।
গ্রুপ আই: জার্মানি/ইতালি (পরাজিত), নরওয়ে, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া ও মলদোভা।
গ্রুপ জে: বেলজিয়াম, ওয়েলস, নর্থ মেসিডোনিয়া, কাজাখস্তান ও লিখটেনস্টেইন।
গ্রুপ কে: ইংল্যান্ড, সার্বিয়া, আলবেনিয়া, লাটভিয়া ও অ্যান্ডোরা।
গ্রুপ এল: ফ্রান্স/ক্রোয়েশিয়া (পরাজিত), চেক প্রজাতন্ত্র, মন্টিনিগ্রো, ফারাও আইল্যান্ড ও জিব্রাল্টার।
৬ দিন আগে
লাউতারো মনোনয়ন না পাওয়ায় ইন্টার প্রেসিডেন্টের ক্ষোভ
গত মৌসুম থেকে দারুণ ছন্দে রয়েছেন ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্তিনেস। ইতালিয়ান ক্লাবটির পাশাপাশি জাতীয় দলের জার্সিতেও মাঠে আলো ছড়িয়ে চলেছেন এই ফুটবলার। তবে তা স্বত্ত্বেও ফিফার ‘দ্য বেস্ট’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় তাকে মনোনীত না করায় মোটেও খুশি নয় ইন্টার মিলান কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার ফিফার ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের দ্য বেস্টের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১১ জনের ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায় রিয়াল মাদ্রিদের ৬ খেলোয়াড়সহ আছে ব্যালন দ’র জয়ী রদ্রি ও মেসির নাম। তবে ইন্টারের হয়ে ঘরোয়া ডবল ও আর্জেন্টিনার জার্সিতে কোপা আমেরিকা জিতেও ফিফার সেরাদের তালিকায় স্থান করে নিতে পারেননি লাউতারো।
এ বিষয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন নেরাজ্জুরিদের প্রেসিডেন্ট বেপ্পে মারোত্তা। ২০২৩-২৪ মৌসুমে মোট ৪৪ ম্যাচে ২৭ গোল করে ইন্টারকে স্কুদেত্তো ও ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতিয়ে এবং আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১১ গোল করে দলটিকে কোপা আমেরিকা জিতিয়েও কীভাবে ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড মনোনয়ন পান না, তা বুঝতে পারছেন না মারোত্তা।
ফিফার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ একটি মৌসুম কাটানোর পরও লাউতারোকে ফিফা দ্য বেস্ট মেন’স প্লেয়ারের জন্য মনোনীত না করাটা সত্যিই আশ্চর্যের, একইসঙ্গে বিষয়টি হতাশারও। কোপা আমেরিকায় সে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিল, লিগেও (সেরি-আ) তা-ই। লাউতারো আরও বেশি সম্মান ও স্বীকৃতি পাওয়ার দাবি রাখে।’
আরও পড়ুন: ফিফা বর্ষসেরার তালিকায় মেসি
গত মৌসুমটি সত্যিই লাউতারো মার্তিনেসের জন্য অসাধারণ এক মৌসুম ছিল। ইন্টারকে ১৯তম স্কুদেত্তো জেতানোর অভিযানে মৌসুমজুড়ে দারুণ পারফর্ম করেন তিনি। সেরি-আয় গত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি লিগের গোল্ডেন বুটও (সর্বোচ্চ গোলদাতা) জিতেছেন ইন্টার অধিনায়ক।
ইতালিয়ান সুপাকাপের ফাইনালে তার একমাত্র গোলেই নাপোলিকে হারায় ইন্টার মিলান। ফাইনাল ম্যাচের সেরা ফুটবলারও হন এই আর্জেন্টাইন।
এরপর জাতীয় দলের জার্সিতে আর্জেন্টিনার টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা জয়ে তার ছিল বড় ভূমিকা। ফাইনালে ২৭ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের একমাত্র গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে জেতেন কোপা আমেরিকার গোল্ডেন বুটও।
সব মিলিয়ে গত মৌসুমে ৫৮ ম্যাচে ৩৫ গোল ও ৮ অ্যাসিস্টের মাধ্যমে মোট ৪৩ গোলে অবদান রাখেন তিনি।
এমনকি, ক্লাব ও জাতীয় দলে ভূমিকার জন্য লাউতারোর আর্জেন্টাইন সতীর্থ লিওনেল মেসিকে মনোনীত করা হলেও একই রকম অর্জন নিয়ে বাদ পড়েছেন তিনি।
২ সপ্তাহ আগে
ফিফা বর্ষসেরার তালিকায় মেসি
কোপা আমেরিকা জয় এবং ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে দারুণ সময় কাটালেও এ বছরের ব্যালন দ’রের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন না লিওনেল মেসি। তবে বছরজুড়ে মেসির কাজের স্বীকৃতি দিতে ভোলেনি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ২০২৪ সালে ফুটবলের বর্ষসেরার পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট’-এর তালিকায় রয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
শুক্রবার ফিফার ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের দ্য বেস্টের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১১ জনের ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে মেসির নাম।
মেসি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন এবারের ব্যালন দ’র জয়ী রদ্রি। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ৬ খেলোয়াড় রয়েছেন এই তালিকায়- ভিনিসিউস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যাম, দানি কারভাহাল, ফেদেরিকো ভালভার্দে, টনি ক্রুস ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। এ ছাড়াও ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড, বায়ের লেভারকুজেনের ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস ও বার্সেলোনার বিস্ময়বালক লামিন ইয়ামালও জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়।
এ নিয়ে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ প্রচলনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ বারই মনোনয়ন পেলেন মেসি। এর মধ্যে তিনি পুস্কারটি জিতেছেন তিনবার (২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সালে)।
‘দ্য বেস্ট’ পুরুষ ফুটবলারের পাশাপাশি আরও ১০টি পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। এর মধ্যে রয়েছে বর্ষসেরা নারী ফুটবলার, বর্ষসেরা কোচ, বর্ষসেরা গোলরক্ষক, বর্ষসেরা একাদশ ও বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার। এছাড়া দেওয়া হবে ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড।
পুরস্কারগুলোর প্রত্যেকটির জন্য ভোট দিতে পারেন ভক্ত-সমর্থকরা। সেরা খেলোয়াড়, সেরা কোচ ও সেরা গোলরক্ষক নির্বাচনে মোট ভোটের এক চতুর্থাংশ রাখা হয়েছে দর্শকদের জন্য, বাকি তিন ভাগ দেন ফিফার সদস্যদেশগুলোর অধিনায়ক, কোচ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। সেরা গোল ও একাদশ নির্বাচনে ভক্তদের ভোটের হার অর্ধেক। ফিফার ওয়েবসাইটে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে।
২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিভাগের সংক্ষিপ্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। ‘দ্য বেস্ট’-এর ১১ জনের মধ্যে ইউরোপেরে বাইরে থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন শুধু মেসিই।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
তাকে মনোয়ন দেওয়ার ব্যাখ্যায় ফিফা বলেছে, বয়স ৩৭ হয়ে গেলেও ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনা দলে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন মেসি। তার অনুপ্রেরণামূলক পারফরম্যান্সে ২০২৩ লিগস কাপের পর রেকর্ড সংখ্যক পয়েন্ট অর্জন করে ২০২৪ সালের সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছে মায়ামি। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বে কোপা আমেরিকা জিতেছে আর্জেন্টিনা। এমনকি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে জয় দিয়ে বছর শেষ করা আর্জেন্টিনা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায়, আর সর্বোচ্চ ৬ গোল নিয়ে সবার উপরে মেসি।
এক নজরে ‘দ্য বেস্ট’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকা
সেরা পুরুষ ফুটবলার: জুড বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড/রিয়াল মাদ্রিদ), দানিয়েল কারভাহাল (স্পেন/রিয়াল মাদ্রিদ), আর্লিং হালান্ড (নরওয়ে/ম্যানচেস্টার সিটি), টনি ক্রুস (জার্মানি/রিয়াল মাদ্রিদ), কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স/রিয়াল মাদ্রিদ), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা/ইন্টার মায়ামি), রদ্রিগো এরনান্দেস (স্পেন/ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (উরুগুয়ে/রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (ব্রাজিল/রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (জার্মানি/বায়ের লেভারকুজেন), লামিন ইয়ামাল (স্পেন/বার্সেলোনা)।
সেরা কোচ: শাবি আলোনসো (বায়ের লেভারকুজেন), কার্লো আনচেলত্তি (রিয়াল মাদ্রিদ), লুইস দে লা ফুয়েন্তে (স্পেন), পেপ গার্দিওলা (ম্যানচেস্টার সিটি), লিওনেল স্কালোনি (আর্জেন্টিনা)।
সেরা গোলরক্ষক: জানলুইজি দোন্নারুম্মা (ইতালি/পিএসজি), এদেরসন মোরায়েস (ব্রাজিল/ম্যানচেস্টার সিটি), আন্দ্রিই লুনিন (ইউক্রেন/রিয়াল মাদ্রিদ), মাইক মাইনিয়ঁ (ফ্রান্স/এসি মিলান), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (আর্জেন্টিনা/অ্যাস্টন ভিলা), দাভিদ রায়া (স্পেন/আর্সেনাল), উনাই সিমোন (স্পেন/আথলেতিক বিলবাও)।
২ সপ্তাহ আগে
‘আপত্তিকর’ আচরণের শাস্তি পেলেন মার্তিনেস
আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ তুলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্তিনেসকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এর ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আগামী ১০ অক্টোবর ভেনিজুয়েলা এবং ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে তাকে পাবে না আর্জেন্টিনা।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)।
এ মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত কলম্বিয়া ও চিলির বিপক্ষে ম্যাচে তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ এনেছে ফিফা।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে গত ৫ সেপ্টেম্বর চিলির বিপক্ষে জয়ের পর কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে অশালীন ভঙ্গিতে উদযাপন করেন দিবু। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর ট্রফি নিয়ে তিনি যেভাবে উদযাপন করেছিলেন, তারেই পুনরাবৃত্তি করেন তিনি। তার এই উদযাপন সে সময়ই সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কলম্বিয়ার মধুর প্রতিশোধ
এর পরের ঘটনাটি পাঁচ দিন পরের। সেদিন কলম্বিয়ার বিপক্ষে হেরে ১২ ম্যাচের অপরাজিত পথচলা থামে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের। ওই ম্যাচে একজন ক্যামেরাম্যানের সরঞ্জামে ধাক্কা মেরে ফের খবরের শিরোনাম ৩২ বছর বয়সী এই গোলকিপার।
সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি কারও দিকে চাপ মারছেন।
পরে জনি জ্যাকসন নামের ওই ক্যামেরাম্যান কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন, মার্তিনেস তার গায়ে হাত তুলেছেন।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় ভক্তদের সতর্ক করল আর্জেন্টিনা
এসব ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে আচরণভঙ্গের দায়ে মার্তিনেসকে শাস্তি দিয়েছে ফিফা। তবে ফিফার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয় বলে জানিয়েছে এএফএ।
বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা বাছাইপর্বের ৮ ম্যাচ শেষে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলম্বিয়া এবং ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় উরুগুয়ে। এছাড়া আট ম্যাচ তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।
২ মাস আগে
বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি
ফুটবলের বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষ ফিফা ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে)কে দেওয়া অর্থের দুর্নীতি, পাচার, আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
রবিবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনটি আগামী ৯ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুল দিয়ে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে গত ২২ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন।
আজ আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানিতে কাজী সালাউদ্দিনের নাম আবেদন থেকে প্রত্যাহারের করে নেওয়ার আরজি জানান তার আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন।
আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আবদুল্লাহ আল মামুন খান।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, এই অংশে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
তবে সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়মের অনুসন্ধান চলবে। এতে আইনগত বাধা নেই।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে গত মে মাসে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে কাজী সালাউদ্দিন, আবদুস সালাম মুর্শেদী, আবু নাঈমসহ বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
হাইকোর্ট বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ফিফা ও সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। চার মাসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ: কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় নমপেনের ৩০ হাজার দর্শকপূর্ণ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফিফার প্রথম পর্বের আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক কম্বোডিয়ান জাতীয় দলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
কম্বোডিয়ান টেলিভিশন ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
দিনের সফলতার পর সফরকারী বাংলাদেশ (ফিফা র্যাঙ্কিং ১৯২) তাদের ৬টি ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে উচ্চ র্যাঙ্কিং কম্বোডিয়ার (র্যাঙ্কিং ১৭৬) বিরুদ্ধে তাদের অপরাজিত থাকার ধারা বজায় রেখেছে।
২০০৭ সালের আগস্টে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে দুই দলের মধ্যে বাকি ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিপিএল ফুটবল: ফোর্টিস এফসিকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে পুলিশ এফসি
দিনের খেলায় ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের লম্বা ক্রসকে কাজে লাগিয়ে ২৪তম মিনিটে বিপদ অঞ্চল থেকে রান প্লেসিং শটে বাংলাদেশের পক্ষে ম্যাচজয়ী গোলটি করেন প্রিমিয়ার লিগের দল ফোর্টিস এফসির মিডফিল্ডার মজিবুর রহমান জনি (১-০)।
বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো প্রতিপক্ষ দলের অন্তত তিনটি ভালো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে বারের নিচে তার তেজ প্রদর্শন করেন।
দিনের ম্যাচে কম্বোডিয়া দল পরাজয় স্বীকার করলেও, তারা তাদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে এবং গোল করা ছাড়া সবকিছুই করে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফিনল্যান্ড-ভিত্তিক ডিফেন্ডার তারিক কাজী চূড়ান্ত হুইসেলের মাত্র কয়েক মিনিটে মার্চিং অর্ডার পেয়েছিলেন।
এর আগে, নমপেনে বাংলাদেশ গত সোমবার প্রস্তুতি ম্যাচে তৃতীয় র্যাঙ্কড কম্বোডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল টিফি আর্মি এফসিকে ১-০ গোলে পরাজিত করে, আবাহনী মিডিয়ার মোহাম্মদ সোহেল রানার একটি গোলে একটি ভালো অনুশীলন করেছে।
আরও পড়ুন: ফেডারেশন কাপ: ১৪ বছর পর আবাহনীকে হারিয়ে মোহামেডানের শিরোপা জয়
এছাড়া, বাংলাদেশ দল বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ২১ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত নির্ধারিত আট জাতি ১৪তম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে শুক্রবার (১৬ জুন) কম্বোডিয়া থেকে সরাসরি ভারতের উদ্দেশ্যে উড়বে।
এর আগে বাংলাদেশ (সাফ) চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩-এর বি গ্রুপে শীর্ষ বাছাই এবং আমন্ত্রিত লেবানন, দুইবারের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ এবং ভুটানের সঙ্গে ড্র করেছে এবং গ্রুপ এ দলে রয়েছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, আমন্ত্রিত কুয়েত, নেপাল এবং পাকিস্তান।
২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পরের দিন (২২ জুন) একই ভেন্যুতে বিকাল সাড়ে ৩টায় ফেভারিট এবং চূড়ান্ত বাছাই করা লেবাননের বিপক্ষে তাদের অভিযান শুরু করবে।
গত পাঁচটি আসরে গ্রুপ পর্বের বাধা অতিক্রম না করা বাংলাদেশ ২৫ জুন মালদ্বীপের সঙ্গে বিকাল সাড়ে ৩টায় এবং ২৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভুটানের সঙ্গে তাদের বাকি গ্রুপ ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
রাউন্ড-রবিন লিগের ম্যাচের পর, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে খেলবে ১ জুলাই এবং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ জুলাই।
আরও পড়ুন: ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল
১ বছর আগে
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল
ভারতে আট দেশের ১৪তম দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ) চ্যাম্পিয়নশিপ '২০২৩-এর আগে নমপেনে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি খেলা খেলতে শনিবার বিকালে কম্বোডিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল।
বাংলাদেশ ১৫ জুন নমপেন জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রথম পর্যায়ের প্রীতি ম্যাচ খেলবে এবং ২১ জুন থেকে ৫ জুলাই বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ -এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পরের দিন (১৬ জুন) ভারতের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে।
৩৪ সদস্যের জাতীয় দলের মধ্যে, ২১ জন খেলোয়ার এবং ১০ জন কর্মকর্তা শনিবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে কম্বোডিয়া যাওয়ার পথে টিজি-৩২২ ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রাজধানী ত্যাগ করেন এবং সন্ধ্যা ৭টা ৫৫মিনিটে নমপেনে পৌঁছানোর আশা করেন।
দলের বাকি তিন সদস্য - ম্যানেজার শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, দুই খেলোয়াড় বিশ্বনাথ ঘোষ এবং ইসা ফয়সাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় ভিসা পাননি, তারা ভারতীয় ভিসা পাওয়া সাপেক্ষে রবিবার বা সোমবার সেখানে দলে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ দল কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেন হোটেলে অবস্থান করবে এবং ১২ জুন নমপেনের আর্মি স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টায় টিফি আর্মি এফসির বিপক্ষে একটি অনুশীলন ম্যাচ খেলবে।
আরও পড়ুন: এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়া কাপ: অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইনের সঙ্গে বি গ্রুপে বাংলাদেশ
শুক্রবার বাফুফে হাউসে একটি প্রি-ট্যুর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ জাভিয়ের ফার্নান্দেজ ক্যাব্রেরা বলেছেন, ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ -এর সেমিফাইনালে খেলা তাদের লক্ষ্য।
পরে তিনি সাত খেলোয়ার টুটুল হোসেন বাদশা, মাসুক মিয়া জোনি, এলেটা কিংসলে, শাহরিয়ার ইমন, রিমন হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন এবং মেহেদী হাসান শ্রাবণকে বাদ দিয়ে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের সদস্যরা হলেন: আনিসুর রহমান, তপু বর্মন, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক রায়হান কাজী, সোহেল রানা, রাকিব হোসেন, সুমন রেজা, শেখ মোরসালিন (বসুন্ধরা কিংস), সহিদুল আলম সোহেল, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রহমত মিয়া, সোহেল রানা, আলমগীর মোল্লা, মোহাম্মদ রিদয় (ঢাকা আবাহনী লিমিটেড), মেহেদী হাসান (মোহামেডান এসসি), জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ইব্রাহিম (শেখ রাসেল কেসি), রবিউল হাসান, ইসা ফয়সাল (পুলিশ এফসি), মজিবর রহমান জনি, মিতুল মারমা, রফিকুল ইসলাম (ফর্টিস এফসি) এবং আমিনুর রহমান সোজিব (মুক্তিযোদ্ধ সংসদ কেসি)।
এর আগে বাংলাদেশ (সাফ) চ্যাম্পিয়নশিপের বি গ্রুপে শীর্ষ বাছাই এবং আমন্ত্রিত লেবানন, দুইবারের চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ ও ভুটানের সঙ্গে ড্র করেছে এবং গ্রুপ এ দলে রয়েছে আটবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত, আমন্ত্রিত কুয়েত, নেপাল ও পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ফেডারেশন কাপ: ১৪ বছর পর আবাহনীকে হারিয়ে মোহামেডানের শিরোপা জয়
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে, স্বাগতিক ভারত তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে ২১ জুন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উদ্বোধনী দিনের দুটি ম্যাচের একটিতে খেলবে এবং আমন্ত্রিত কুয়েত বিকাল সাড়ে ৩টায় টায় উদ্বোধনী দিনের অন্য ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে।
২০০৩ সালের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ পরের দিন (২২ জুন) একই ভেন্যুতে বিকাল সাড়ে ৩টায় ফেভারিট এবং শীর্ষ বাছাই লেবাননের বিপক্ষে তাদের অভিযান শুরু করবে।
গত পাঁচটি আসরের মতো গ্রুপ পর্বের বাধা অতিক্রম না করা বাংলাদেশ ২৫ জুন মালদ্বীপের সঙ্গে বিকাল সাড়ে ৩টায় এবং ২৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভুটানের সঙ্গে তাদের বাকি গ্রুপ ম্যাচে মুখোমুখি হবে।
রাউন্ড-রবিন লিগের ম্যাচের পর, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল, ১ জুলাই সেমিফাইনালে খেলবে এবং ফাইনালটি ৪ জুলাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: অবশেষে ইন্টার মায়ামিকে বেছে নিলেন লিওনেল মেসি
১ বছর আগে
২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি
প্রগতিশীল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যুগান্তকারী এক উৎসব হতে যাচ্ছে আসন্ন ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বের আনাচে কানাচে থেকে আসা ফুটবলপ্রেমীদের সুবিধার জন্য ফিফা ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বৈচিত্র্যপূর্ণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে। এগুলোর অধিকাংশই এই প্রথমবারের মতো উপভোগ করতে যাচ্ছে ফুটবল দর্শকরা। চলুন জেনে নেয়া যাক- কোন কোন প্রযুক্তিগুলো এবারের বিশ্বকাপ মৌসুমকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে।
২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে যেসব অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দেখা মিলবে
আল রিহলা, ইতিহাসের প্রথম প্রযুক্তি সজ্জিত ফুটবল
আরবি শব্দ থেকে উদ্ভূত ‘আল রিহলা’ নামটি জুড়ে দেয়া হয়েছে এবারের বিশ্বকাপ ফুটবলের সঙ্গে। বলটি ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি বা ভিএআর প্রযুক্তি অনুযায়ী খেলা তদারককারিদের কাছে রিয়েল-টাইম ডেটা পাঠাতে পারবে। এর থ্রিডি অ্যানিমেশন ফুটবলের সংস্পর্শে প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়দের সঠিক অবস্থানের জানান দেবে। এমনকি প্রয়োজনে তা টেলিভিশন এবং স্টেডিয়ামের বড় মনিটরেও দেখানো হবে।
আল রিহলা ফিফার আধা-স্বয়ংক্রিয় অফসাইড প্রযুক্তির কার্যকারিতায় সাহায্য করবে। এই বলের মধ্যে থাকবে মোশন সেন্সর। এর মাধ্যমে বলটি অফসাইড রেখা অতিক্রম করছে কিনা তা যাচাই করতে পারবে। এই যাচাইকরণটি সংঘটিত হবে খেলার তদারককারিদের কাছে থাকা কম্পিউটারের মধ্যে। এখানে সুক্ষ্ম নিরীক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলগুলো সরাসরি সম্প্রচারিত হবে, যা তাৎক্ষণিকভাবেই গ্যালারি সহ গোটা বিশ্ববাসী দেখতে পারবে।
আরো পড়ুন: ২০২২ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ জার্সি অনলাইনে কোথায় পাবেন
স্টেডিয়ামে উন্নত কুলিং প্রযুক্তি
এবারে ফুটবল বিশ্বকাপ আসরের সবচেয়ে অভিজাত দিকটি হচ্ছে এর ভেন্যুগুলো তথা- স্টেডিয়াম। কাতার এবার ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর এবং প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত কতগুলো স্টেডিয়াম পরিবেশন করতে যাচ্ছে। প্রায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের স্থিতিশীল তাপমাত্রা নিশ্চিত করার জন্য ভেন্যুগুলোতে থাকবে উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা। এটি ভক্ত এবং খেলোয়াড় উভয়কেই খেলায় দেখা এবং খেলায় অংশ নেয়ার জন্য একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ দেবে।
এই শীতলতা বজায় রাখার জন্য স্টেডিয়ামগুলোর পাশে প্রস্তুত রাখা হয়েছে শীতল পানির আধার, যেখানে বিদ্যুৎ খরচ হবে বিশ্বের অন্যান্য স্টেডিয়ামের তুলনায় ৪০ শতাংশেরও কম। স্টেডিয়ামগুলোর বিল্ডিং ইনভেলাপ নকশা এগুলোর পুরো সিস্টেমের তাপ ও বিদ্যুতের চাহিদা কমিয়ে দিয়ে ভারসাম্যের মধ্যে রাখে। ৮টি স্টেডিয়ামের মধ্যে ৭টিতেই এই প্রযুক্তি থাকবে। উপকূলবর্তী স্টেডিয়াম-৯৭৪ তে সমুদ্রের প্রাকৃতিক শীতলতা থাকায় আর নতুন করে এখানে কৃত্রিমতার সংযোগ ঘটানো হয়নি।
ওয়াইফাই ও স্মার্ট চার্জিং স্টেশন
সৌর বিদ্যুৎ-এ চালিত এলপাম উইন্ড টারবাইন বাতাস ও সূর্য শক্তিকে সমন্বয় করবে। এই যন্ত্রের পরিষেবা হচ্ছে ভক্তদের ছায়া প্রদান করা এবং ইউএসবি চার্জিং ডক হিসেবে কাজ করা। এমনকি এটি তথ্য বহন করার জন্য স্পিকার, ওয়াইফাই, শীতলীকরণ, নজরদারি ক্যামেরা এবং লাইটের কাজ দিবে। তাছাড়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তি পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন তো থাকছেই।
আরো পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
প্রতিবন্ধীদের জন্য খেলা উপভোগের ব্যবস্থা
বোনোকল হল বিশ্বের প্রথম ব্রেইল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ডিজিটাল সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য যাবতীয় সহায়তা প্রদান করা হয়৷ ফোরামটি সমস্ত ডেটা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ফুটবল ভক্তদের বোঝার সহায়ক করে আপডেট দিতে থাকবে। ফলে তারা অন্য সবার মতো খেলা উপভোগ করতে পারবে৷
ফিলিক্স পাম হচ্ছে হাতে পরিধানযোগ্য একটি সংবেদনশীল যোগাযোগের যন্ত্র, যা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি প্রযুক্তি। ফিলিক্স পাম হাতের তালুতে প্যাটার্নযুক্ত তথ্য প্রেরণের মাধ্যমে এক ধরনের স্পর্শের অনুভূতি তৈরি করে। সংক্ষেপে যার নাম হচ্ছে হ্যাপটিক প্রতিক্রিয়া, যার ফলে পরিধানকারি ব্যক্তিরা স্পর্শ বা গতি অনুভব করতে পারবেন। এটি প্রতিবন্ধীদেরকে নিখুঁত ভাবে খেলায় মগ্ন হতে সাহায্য করবে। খেলার মাঠে সংঘটিত প্রতিটি ছোট ছোট ঘটনাগুলো তাদের মস্তিষ্ক অব্দি পৌছাতে এতটুকু দেরী হবে না, কারণ হ্যাপটিক প্রতিক্রিয়াগুলো হবে রিয়েলটাইম।
এছাড়া প্রতিবন্ধী তরুণদের নিরাপদ ও আরামপ্রদ স্থান প্রদানের জন্য স্টেডিয়ামে সেন্সরি ভিউয়িং রুম স্থাপন করা হচ্ছে। এখানকার ইন্টারেক্টিভ প্রজেকশন, নিয়ন্ত্রিত আলো, বিন ব্যাগ এবং খেলনাগুলোর মাধ্যমে তারা আরামদায়ক পরিবেশে খেলার অভিজ্ঞতা পাবে।
সম্পূর্ণ অপসারণযোগ্য স্টেডিয়াম
দীর্ঘ সময় পর আয়োজন হয়ে থাকে বিশ্বকাপ ফুটবল। অনুষ্ঠান শেষে এর আভিজাত্যকে আর কাজে লাগানো সম্ভব হয় না। কিন্তু এবার স্টেডিয়াম-৯৭৪ কে একদম অপসারণগ্য করে তৈরি করা হয়েছে। ঠিক খেলনার মত করেই পুনরায় খুলে ফেলা যাবে পুরো স্টেডিয়ামকে। শিপিং কনটেইনার এবং ইস্পাত ফ্রেম থেকে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি তাই কাতারের একটি আইকনিক স্টেডিয়াম। মডিউল নকশা ব্যবস্থার কারণে প্রতিটি অংশকে আলাদা করে ফেলা যাবে বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর। সাধারণ স্টেডিয়ামের তুলনায় কম উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে বলে এর স্থাপত্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। আর খরচের দিক থেকেও অতিরঞ্জিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি।
আধা-স্বয়ংক্রিয় অফসাইড প্রযুক্তি
২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপের সময় বিপ্লব ঘটবে খেলার মাঠেও। এবারের আধা স্বয়ংক্রিয় অফসাইড প্রযুক্তিটি ম্যাচ রেফারিদের জন্য একটি সহায়ক টুল হবে। কেননা এটি তাদের টুর্নামেন্টের সময় সঠিক ভাবে এবং অনেক কম সময়ের মধ্যে অফসাইড সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
প্রযুক্তি সজ্জিত আল রিহলা বলের ভেতরের সেন্সর ছাড়াও স্টেডিয়ামের চারপাশে থাকবে ১২টি ট্র্যাকিং ক্যামেরা। এই পুরো ব্যবস্থাটি অফসাইড অবস্থানে থাকা খেলোয়াড়কে প্রতিবার বল নিয়ন্ত্রণের সময় ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারিকে একটি স্বয়ংক্রিয় অফসাইড সতর্কতা প্রদান করবে। তাই অফসাইড হয়েছে কি না তা নির্ধারণ করতে দীর্ঘ সময় ধরে ভিএআর ভিডিওর পুনরাবৃত্তি করার প্রয়োজন হবে না।
পরিধানযোগ্য ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি
বিশ্বকাপে চলাকালীন যে কোন চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরী পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে পরিধানযোগ্য কতগুলো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সিরিজ। স্নাগ-ফিটিং শার্টের কাপড়ে সরাসরি কম বিদ্যুতের সেন্সর মুদ্রণের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ভাবে শার্ট পরিধানকারির হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হাইড্রেশন পরিমাপ করা যাবে। এই শার্টগুলোতে ব্লুটুথেরও ব্যবস্থা থাকবে, যেটি সরাসরি বেস স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করবে। এতে করে অত্যাবশ্যক লক্ষণগুলো রিয়েল-টাইমে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
দেশ ঘুরে দেখার অ্যাপ্লিকেশন
বিশ্বের জমজমাট এই উৎসবের অংশ নিতে কাতার ভ্রমণকারিদের জন্য থাকছে নাভবাডি অ্যাপ। এটি দেশ ঘুরে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সরবরাহ করবে। স্টেডিয়ামগুলোর অবস্থান সহ হাসপাতাল, রেস্তোরাঁ, যানবাহন ইত্যাদির খোঁজ পাওয়া যাবে অ্যাপে। এতেও আছে রিয়েল-টাইম ডেটা ব্যবহারের সুযোগ তাই ইনডোর নেভিগেশনেও কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো এই অ্যাপের আওতায় রাখা হয়েছে প্রতিটি ভেন্যুতে যাওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক বাস চলাচলের সময়সূচী। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো দেশ এমনটা করল। বাসগুলো কার্বন নিরপেক্ষ এবং অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। আর খেলা শুরু আগেই স্টেডিয়ামে পৌছার জন্য অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই এগুলো খুঁজে পাওয়া যাবে৷
সহজে ব্যবহারযোগ্য পূর্ণাঙ্গ স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট
এই বিশ্বনন্দিত ইভেন্টটিকে সামনে রেখে তৈরি করা হয়েছে একটি স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট। এটি পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আগত ফুটবলপ্রেমিদের জন্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার বিশ্বকোষ হিসেবে প্রতীয়মান হবে। টিকিট থেকে শুরু করে হোটেল, যাতায়াত, দর্শনীয় স্থান সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই প্ল্যাটফর্মটিতে। এই ইন্টার্যাক্টিভ সাইটে ম্যাগনিফায়ার, এআই(আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) রিডার, উন্নত রঙের স্কিম, স্পিচ সফটওয়্যারের মত সহায়ক প্রযুক্তি থাকবে।
স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার
গ্যালারির দর্শকরা নিজেদের আসনে থেকেই খাবার অর্ডার করতে পারবেন। এএসঅ্যাপ নামের স্মার্টফোন অ্যাপটি খাবার সরবরাহ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই টান টান উত্তেজনাকর খেলা রেখে খাবারের জন্য উঠে যাওয়ার দিন শেষ। অ্যাপ সার্বক্ষণিক সক্রিয় রাখার নিমিত্ত্বে ফোনের চার্জ চলে যাওয়ারও ভয় নেই। গ্রাউন্ডের আশেপাশে স্মার্ট ওয়াইফাই এবং চার্জিং স্টেশনগুলো তো আছেই।
শেষাংশ
২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলো বিশ্ববাসীর খেলা দেখায় আনবে আমুল পরিবর্তন। দীর্ঘ চার বছর ধরে এই মৌসুমটির জন্য প্রতীক্ষার প্রহর গুনে চলেন ফুটবল অনুরাগীরা। কিন্তু এবার বোধ হয় তারা তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিজ্ঞতাটি পেতে যাচ্ছেন। নিদেনপক্ষে কাতারের মোহনীয় আড়ম্বরের এই প্রস্তুতি তারই ইঙ্গিত বহন করছে।
২ বছর আগে
ফিফা কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
২০২২ এর ২০ নভেম্বর দিনটিকে সামনে রেখে গোটা ফুটবল বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। কাতারের মত একটি আরব দেশ প্রথমবারের মত আয়োজন করতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় স্পোর্ট্স ইভেন্ট-ফিফা (ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) বিশ্বকাপ। প্রতিটি স্টেডিয়ামে ফুটবলপ্রেমিদের জায়গাগুলো সুসজ্জিত থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস-এ রাখা সৌর-চালিত কুলিং প্রযুক্তি দিয়ে। এছাড়াও ৮টি স্টেডিয়ামের সবগুলোই হবে পরিবেশ বান্ধব এবং প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্পন্ন। কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর স্টেডিয়ামগুলো হলো-আল বাইত, লুসাইল, আহমদ বিন আলী, আল জানুব, আল থুমামা, এডুকেশন সিটি, খলিফা ইন্টারন্যাশনাল ও স্টেডিয়াম-৯৭৪। ফুটবল বিশ্বকাপ মৌসুমের এই সূচনালগ্নে চলুন, এবার স্টেডিয়ামগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২ এর চোখ ধাঁধানো ৮টি স্টেডিয়াম
লুসাইল স্টেডিয়াম
দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৮০,০০০
মধ্য দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে লুসাইল শহরে এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান। এর উদ্বোধন হয়েছিলো ২০২২ এর ১১ আগস্ট আল রাইয়ান এবং আল আরাবির মধ্যকার কাতার স্টারস লিগের ম্যাচ দিয়ে। এখানে অনুষ্ঠিত হবে ফিফা বিশ্বকাপের এবারের আসরের ফাইনাল খেলা।
চারপাশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জাকজমক ভাবে নির্মিত এর অপরিমেয় অথচ সূক্ষ্ম নকশাটি এক অপার বিস্ময়। নকশাটি সমগ্র আরব এবং ইসলামিক বিশ্ব জুড়ে পাওয়া হাতে তৈরি বাটির। আর আলোক ছটা দেয়া আয়নাগুলো ফানার নামের আরব্য লণ্ঠনের অবয়বে তৈরি। সোনালী বাহ্যিক অংশটি পুরনো ধাতব হস্তশিল্পের প্রতিলিপির সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ধারণ করে আছে।
এখানে টুর্নামেন্টের মোট দশটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টের শেষ হলে স্টেডিয়ামটিকে কাতারের স্কুল, দোকান, ক্যাফে, খেলাধুলার সুবিধা এবং স্বাস্থ্য ক্লিনিকের একটি কমিউনিটি স্পেসে রূপান্তরিত করা হবে।
আল বাইত স্টেডিয়াম
দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৬০,০০০
দোহা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে আল খোর শহরে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন হয়েছিলো ২০২১ এর ৩০ নভেম্বর ফিফা আরব কাপের প্রথম ম্যাচ দিয়ে। এখানে ফিফা বিশ্বকাপ কাতার ২০২২-এর উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। একটি সেমিফাইনাল সহ টুর্নামেন্টের মোট নয়টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই ভেন্যুতে।
২ বছর আগে
ভারতকে নিষিদ্ধ করল ফিফা
‘তৃতীয় পক্ষের অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের কারণে’ ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
১১ অক্টোবর থেকে ভারতে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে টুর্নামেন্টটি ভারতে অনুষ্ঠিত হবে কি না অনিশ্চয়তায় পড়ে গেল।
ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘তৃতীয় পক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপের কারণে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) ফিফা কাউন্সিলের ব্যুরো সর্বসম্মতিক্রমে নিষিদ্ধ করেছে। এ ধরণের হস্তক্ষেপ ফিফা আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।’
এতে বলা হয়, ১১-৩০ অক্টোবর ভারতে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, তবে এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে না।
ফিফার বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘এআইএফএফ নিজেদের প্রাত্যহিক কাজে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।’
এতে বলা হয়, ‘ফিফা ভারতের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে সার্বক্ষণিক গঠনমূলক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং আশাবাদী যে এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক ফলাফল এখনও অর্জন করা যেতে পারে।’
চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফে প্রশাসকদের একটি কমিটি ঠিক করে দেয়, তবে পরের মাসে এই কমিটি পরামর্শক হিসেবে আরেকটি কমিটি বাছাই করে। কিন্তু ফিফার আপত্তিতে সেই কমিটি ভেঙে যায়।
পড়ুন: নিউইয়র্কে লেখক সালমান রুশদিকে ছুরিকাঘাত
কায়রোতে গির্জায় আগুন: নিহত ৪১, আহত ১৪
২ বছর আগে