নিরাপত্তা
নববর্ষ উদ্যাপনে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উপদেষ্টা মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয়ভাবে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ-১৪৩২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এ বছর বিস্তৃতভাবে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করা হবে। বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে৷। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন, সবই করা হচ্ছে। তাছাড়া নববর্ষের শোভাযাত্রায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শোভাযাত্রার সামনে-পিছনে পুলিশের নিরাপত্তা বলয় থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘শোভাযাত্রাসহ নববর্ষ উদ্যাপনের পুরো বিষয়টি আয়োজন করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তারাই নির্ধারণ করবে কারা কোথায় থাকবে। সে অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: মানবপাচার রোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এর বাইরে ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের নামে বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অফিস-দোকান ভাঙচুর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সারাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব৷ যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।’
সভায় উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে কিনা তা আগামী ১০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। এবারের নববর্ষ উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। এ নিয়ে প্রস্তুতিও ব্যাপক। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ উপলক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
৮ দিন আগে
ঈদের ছুটিতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলম করেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান জানান, দেশে মোট ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আছে। সাম্প্রতিক সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে যে হারে চুরি-ডাকাতি বেড়েছে—তা উদ্বেগজনক। এতে করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: ভরিতে ২৬১৩ টাকা বাড়ল স্বর্ণের দাম
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে বাজুসের নিউ ইস্কাটন রোডের স্থায়ী কার্যালয়ে শুক্রবার (২৮ মার্চ) আইনশৃঙ্খলা আরও জোরদার এবং জানমালের নিরাপত্তার দাবি জানায় বাজুস।
রিপন বলেন, জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত দেশে মোট ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ঢাকায় সর্বোচ্চ ১১টি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ, সিলেট, কুমিল্লা, খুলনা এবং হবিগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি হয়েছে। এ অবস্থায় ঈদের ছুটিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অলংকারের কর্ণধার এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘২৬ মার্চ ভোর পাঁচটায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল আমার বাসায় হামলা চালায়। তারা আমাকে টার্গেট করেই এসেছিল। যেভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে তারা গেট ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে তাতে করেই বোঝা যায় এরা প্রশিক্ষিত ডাকাত। এরা আমাকে অপহরণের চেষ্টাও করে। এ ধরণের ঘটনার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, সরকারের নিরাপত্তার পাশাপাশি ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগেও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিজ এবং প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা প্রহরীর সংখ্যাবৃদ্ধির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মার্কেট মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে ঈদে কীভাবে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়—তা নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের আগে স্বর্ণের দাম বেড়ে ইতিহাসে সর্বোচ্চ
সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র প্রহরার দাবি জানিয়ে বাজুসের পক্ষ থেকে বলা হয়, যারা স্বর্ণ চুরি এবং ডাকাতির সঙ্গে জড়িত—তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। নিরাপত্তাহীনতা না কাটলে ১৫ এপ্রিলের পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বাজুস।
২০ দিন আগে
পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এ সময় দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন সেনাপ্রধান। এছাড়া জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সম্পর্কেও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
জবাবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে সেনাবাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেন তিনি। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে—এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেন ড. ইউনূস।
সাক্ষাতকালে নিজের সাম্প্রতিক সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করে সেনাপ্রধান বলেন, এই সফরটি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।
এ ছাড়াও, বিভিন্ন বঞ্চিত সেনা কর্মকর্তাদের সুবিচার নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের মূল্যায়ন ও সুপারিশ, পাশাপাশি বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যদের বিষয়ে চলমান উচ্চপদস্থ পর্ষদের অগ্রগতির বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন তিনি।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে।
২৮ দিন আগে
ঈদ ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র সচিব
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সিনিয়র সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এখন শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
‘পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখী যাত্রীদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে এবং নিয়মিত টহল কার্যক্রম চলছে। শপিংমলগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতারণা: অ্যাপ ও সরাসরি কাউন্টার থেকে ট্রেনের টিকেট কেনার পরামর্শ
নাসিমুল গনি বলেন, পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে যাতে কোনো শ্রম অসন্তোষের ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া শ্রমিকদেরকে যাতে ঈদের আগে নির্ধারিত সময়ে বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর (অব.) সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, আইজিপি বাহারুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
৩১ দিন আগে
বিএনপি আমলে নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা সমুন্নত ছিল: মুরাদ
বিএনপি সরকারের সময় নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার সমুন্নত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুসলিম বিশ্বের মহিয়সী নারী। তার শাসনামলে নারীর জীবনমান উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছিল। নারীদের জন্য তিনি অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।’
শনিবার (৮ মার্চ) ধামরাইয়ের আমতা ও চৌহাট ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পৃথক আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
চৌহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, ‘নারী সেনাবাহিনী ও নারী পুলিশের উন্নয়নে খালেদা জিয়ার শাসনামলে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে। জিয়াউর রহমান বিদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি চালু করেছিলেন। আর এটিকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। গার্মেন্ট সেক্টরে নারী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে তিনি উদ্যোগ নিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতনসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করুন: সরকারকে বিএনপি
তিনি বলেন, ‘সমাজের অর্ধেক অংশ নারী এবং তাদের অবদান ছাড়া কোনো সমাজই পূর্ণতা পায় না। পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত নারীরা তাদের দক্ষতা, মেধা এবং শ্রম দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রে নারীরা বৈষম্য, নির্যাতন এবং অবহেলার শিকার হচ্ছেন। আমাদের এই অবস্থা পরিবর্তন করতে হবে।’
এর আগে আমতা ইউনিয়ন আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার আইয়ুবের সভাপতিত্ব ও জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ আহম্মেদর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতা এস আহম্মদ, এনায়েত হোসেন, আব্দুস সালাম, কামরুল ইসলাম, ইবাদুল হক জাহিদ, মনিরুল ইসলাম মনির, আবুল হোসেন, রাকিব হোসেন, রনি আহম্মেদ, হাজী লোকমান দেওয়ান, আতিকুর রহমান, আসলাম হোসেন, সামিউল ইসলাম সজীব, কহিনুর ইসলাম, রাজা মিয়া প্রমুখ।
৩৯ দিন আগে
কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিচুর রহমান ভূঁঞা স্বাক্ষিরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় বহিরাগতরাও। এ নিয়ে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর শুক্রবার রাতে কুয়েট প্রশাসনের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের ফটকে তালাও ঝুলিয়ে দেন তারা।
৫০ দিন আগে
এবার বাসভবনে নিরাপত্তা বাড়াচ্ছেন সালমান খান
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন কর্মী বলিউড সুপারস্টার সালমানের বাসভবন গ্যালাক্সির বাইরে নতুন করে সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোগ দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি আনা হচ্ছে ভবনটির অবকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন। বিশেষ করে আরও জোরদার করা হচ্ছে জানালার কাঁচ এবং বারান্দার কাঠামো।
গত বছর এপ্রিলে গ্যালাক্সির বাইরে লরেন্স বিষ্ণু গ্যাং সালমান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ হামলার পর ফেসবুক পোস্টে লরেন্সের ভাই আনমল বিষ্ণু জানান, তিনিই সালমানকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে সুপারস্টার সালমানকে।-খবর ইন্টারনেটের
এ নিয়ে বেশ কয়েকবার জীবননাশের হুমকি পেয়েছেন সালমান। গত অক্টোবরে সালমানের ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যার পর জনসমক্ষে আসা কমিয়েছেন তিনি। তাকে যখনই কোনো অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, সঙ্গে ভারী অস্ত্রসহ দেহরক্ষীদের বিশাল বহর ছিল।
আরও পড়ুন: '৫ কোটি রুপি না দিলে বাবা সিদ্দিকির মতো পরিণতি হবে': সালমান খানকে হুমকি
যদিও এত হুমকি ধামকির মধ্যেও পেশাগত জীবন থেকে দূরে সরেননি সুপারস্টার। সম্প্রতি রোহিত শেঠির সিংহাম এগেইন এবং বেবি জন সিনেমায় বিশেষ দৃশ্যের শুটিং শেষ করেছেন। এছাড়া ঈদ সামনে রেখে কাজ করছেন সিকান্দার ছবিতে।
ইতোমধ্যে সিকান্দার ছবির ট্রিজার প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে সালমান একটি সংলাপে বলেছেন, ‘শুনেছি বহু মানুষ আমার পিছে লেগে আছে। এখন শুধু ঘুরে দাঁড়ানো বাকি।’ ভক্তরা সালমানের এই সংলাপকে বিষ্ণু গ্যাংয়ের প্রতি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছেন।
১০০ দিন আগে
নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
সব নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চলমান প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানান।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথিত নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক ইমেইল বার্তায় বলেছে, 'আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি যেকোনো সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকারকে সমর্থন করে। আমরা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের অন্যান্য অংশীদারদের এই অধিকারের জন্য আমাদের সমর্থন দিয়ে থাকি।’
আরও পড়ুন: সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সকল বাংলাদেশির স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
ইসকনকে বাংলাদেশে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' ঘোষণা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর চলমান আইনি জটিলতার বিষয়টিও তুলে ধরেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ’
মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান ও আইন প্রদত্ত অধিকারের আলোকে এসব সমস্যার সমাধান করা উচিত। অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশকেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, সংগঠন ও ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি ‘
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের খবর নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
এসব ঘটনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন,‘বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা গভীরভাবে মূল্য দেই। তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
১৩৩ দিন আগে
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
মানুষের মৌলিক অধিকারের একটি হলো বাসস্থান। বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরি। মূলত একটি বাড়ি কেবল একটি অবকাঠামোই নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জীবনের নিরাপত্তা। তাই এই পরম আশ্রয় যখন হুমকির মুখে পড়ে, তখন তা জীবনের অস্তিত্বের জন্যই ক্ষতিকর। বিশেষ করে, ডাকাতির মতো অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে সম্পদের ক্ষতি থেকে শুরু করে প্রাণনাশেরও আশঙ্কা থাকে। তাই, এর জন্য প্রয়োজন অগ্রিম সতর্কতা। এই নিবন্ধে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে, যা বাড়ির মালিকদের পাশাপাশি ভাড়াটিয়াদের জন্যও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। চলুন, কৌশলগুলোর ব্যাপারে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি এড়াতে ১১টি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা
বাসস্থানে চুরি বা ডাকাতির আশংকা কমাতে বাড়ির সদস্যদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বাসায় ডাকাতের আক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।
আগন্তুকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া
বাসা-বাড়ির দরজায় করাঘাত বা কলিং বেলের আওয়াজ শুনে তৎক্ষণাৎ সদর দরজা না খুলে দরজার পীপ হোল দিয়ে আগন্তুককে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অপরিচিত কেউ দরজার ওপাশে থাকলে পরিচয় ও আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। সন্দেহ জনক এক বা একাধিক ব্যক্তি যদি বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তা রক্ষী বা প্রতিবেশীদের সাহায্য নিতে হবে। প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা বা আর্মি ক্যাম্পে ফোন দিতে হবে।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে একটি হলো ক্লোজড-সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা। মূল প্রবেশদ্বার ও গ্যারেজে ক্রমাগত নজরদারির জন্য এই ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা যেতে পারে। অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড হয়ে থাকে, ফলে দুষ্কৃতিকারীরা এই ব্যবস্থা যুক্ত স্থাপনাগুলো থেকে দূরে থাকে।
আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং, নাইট ভিশন ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করার সুবিধা থাকে। এর ফলে, এগুলোর মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে তাৎক্ষণিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত বা সন্দেহভাজন আনাগোনা তদারক করা সম্ভব হয়। এমনকি, বাড়িতে না থাকলেও দূরবর্তী স্থান থেকে এই নজরদারি অব্যাহত রাখা যায়।
মোশন সেন্সর লাইট এবং সাইরেন অ্যালার্ম স্থাপন
ঘরবাড়ির আঙিনায় এমন কিছু স্থান থাকে যেগুলো পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। মোশন সেন্সর লাইট লাগানোর ক্ষেত্রে এই স্থানগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এই উন্নত প্রযুক্তি যেকোনো নড়াচড়া শনাক্ত করে এবং নির্দিষ্ট স্থানটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোকিত হয়ে ওঠে। এটি মূলত চোর বা গুপ্ত হামলাকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
এটির সঙ্গে যখন সাইরেন অ্যালার্ম যুক্ত করা হয়, তখন দুটো মিলিয়ে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়। একসঙ্গে কয়েক জোড়া কদমের অনুপ্রবেশ বা দরজায় কষাঘাতের জন্য প্রধান ফটক বা দরজা এই ডিভাইস সংযুক্ত করার উপযুক্ত স্থান হতে পারে। এতে করে অ্যালার্মের শব্দে শুধু বাড়ির ভেতরে থাকা লোকেরাই নয়; আশেপাশের প্রতিবেশীরাও সজাগ হয়ে যাবে। ফলে সংকটাপন্ন পরিবারকে বাঁচাতে তারাও এগিয়ে আসতে পারবে অথবা পুলিশকে জানাতে পারবে।
রাতে ঘুমানোর আগে সব দরজা-জানালা বন্ধ করা
বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার এবং জানালাগুলো যদি অসাবধানে খোলা রাখা হয়, তবে বাড়িতে প্রবেশের জন্য প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতাই থাকে না। চুরি বা ডাকাতি সাধারণত রাতের অন্ধকারে ঘটে এবং এই ধরনের ভুলের কারণে তখন চরম মূল্য দিতে হয়। অনেকেই বাতাস চলাচলের জন্য রাতভর জানালা খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন। এটি বিশেষ করে বিল্ডিংয়ের নিচের ২-৩ তলার বাসাগুলোর জন্য ক্ষতিকর।
অনেক বাসায় বারান্দা বা জানালায় টেকসই গ্রিল থাকে না। তাই, অন্তত প্রধান ফটকে উচ্চমানের ডেডবোল্ট লক অথবা কমপক্ষে দুটি স্তরের তালা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত। এছাড়া, প্রতিদিন ঘুমানোর আগে প্রত্যেকটি লক ভালোভাবে চেক করে নেওয়া একটি ভালো অভ্যাস।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
প্রতিটি ব্লক বা মহল্লায় টহলরক্ষীসহ গেট নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ
জানমালের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয় আমলে নিয়ে শুধু রাতের জন্যই নয়, ২৪ ঘন্টার জন্য অতন্দ্র প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি বিল্ডিংয়ে তো থাকবেই, সেই সঙ্গে ব্লক বা মহল্লার প্রধান গেটেও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ দিতে হবে। টহলের সময় গেটগুলোতে যেন শূন্যস্থান সৃষ্টি না হয় সেজন্য রক্ষীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
এর মধ্য দিয়ে এলাকায় প্রবেশাধিকার নিরীক্ষণের একটি ব্যবস্থা তৈরি হবে। সাধারণত কেবল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সেই এই ব্যবস্থা বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু নির্জন রাস্তার বাড়িগুলোর ক্ষেত্রেও গার্ড মোতায়েনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
নিকটস্থ থানা ও আর্মি ক্যাম্পের যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহে রাখা
পরিস্থিতি একদম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগের তথ্যগুলো সংগ্রহে রাখা। এতে দুর্ঘটনা সৃষ্টির আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কলের মাধ্যমে তাদের জানানো যায়। নিরাপত্তা হটলাইনের পাশাপাশি নিকটস্থ থানা এবং আর্মি ক্যাম্পের মোবাইল নম্বরও সঙ্গে রাখা আবশ্যক।
খুব বেশি বিপজ্জনক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদেরও এগিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে তারা কাউকে বিপদগ্রস্ত দেখার সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য চাইতে পারে।
আরো পড়ুন:
অ্যাপার্টমেন্টে নতুন আগত ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া
শুধু অ্যাপার্টমেন্টের মালিক বা বাড়িওয়ালাদের জন্যই নয়, নতুন আসা ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া পুরাতন ভাড়াটিয়াদেরও দায়িত্ব। কোনো ফ্ল্যাটে নতুন কাউকে সাবলেট দেওয়া হচ্ছে কি না এবং নবাগতদের পেশা নিয়ে সুক্ষ্মভাবে যাচাই করা উচিত।
বাড়ির মালিকরা নতুন ভাড়া নেওয়াদের নিকট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পেশাগত পরিচয়পত্রাদি অবশ্যই সংগ্রহ করবেন। অপরদিকে, অন্যান্য ফ্ল্যাটবাসীরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশের ফ্ল্যাটের ব্যাপারে খোঁজ রাখবেন। এভাবে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত গোটা ভবনেই একটি স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা যাবে।
বাড়ির আঙিনা অন্ধকারাচ্ছন্ন না রাখা
দুষ্কৃতিকারীদের ডাকাতি করার ক্ষেত্রে অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং জংলা, ঝোপ-ঝাড়ে আবৃত বাসাগুলো সবচেয়ে বেশি সহায়ক হয়। দুই বাড়ির মাঝের সংকীর্ণ স্থান এবং বাড়ির পেছন ভাগে এমন কিছু অল্প জায়গা থাকে যেগুলোতে দিনের বেলায়ও আলো-আঁধারীর অবস্থা বিরাজ করে। যেসব বাড়িতে বাগান রয়েছে, সেখানে বাগানের সঠিক পরিচর্যা করা না হলে গাছপালা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। ফলে মধ্য দুপুরেও বাগান ও বাড়ির আঙিনায় সূর্যালোক পৌঁছাতে পারে না। তাই নিয়মিতভাবে ঝোপ, গাছ ও ঘাস ছাঁটাই করা জরুরি।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত লাইট বা মোশন সেন্সর লাইট দেওয়া যায়। দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ির কাছাকাছি কোনো ল্যাম্প পোস্টের লাইট অকেজো হয়ে গেলে দ্রুত তা বদলে দিতে হবে।
বাড়ির সীমানা ঘিরে দুর্ভেদ্য কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন
অনুপ্রবেশে প্রাথমিকভাবে যতটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যায় ততই ভালো। বেশ পুরোনো উপায় হলেও বাড়ির সীমানা জুড়ে কাটাতারের বেড়া স্থাপন বাড়ির সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোতেও এসেছে যথেষ্ট পরিবর্তন। তাই বেড়া নির্বাচনে সূক্ষ্ম স্পাইক বা কোণযুক্ত ধারের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
প্রতিবেশীরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
যেকোনো প্রতিরোধে সম্মিলিত থাকার কোনো বিকল্প নেই। একের বিপদে অপরজন এগিয়ে আসার মতো তাৎক্ষণিক উদ্যোগ আর কিছুই হতে পারে না। পাশাপাশি দুইটি বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়া তাদের নিজ নিজ বাড়ির আশেপাশে সন্দেহজনক আনাগোনার দিকে খেয়াল রাখা মানে পরস্পরের দিকেই খেয়াল রাখা। নবাগত ভাড়াটিয়ার ব্যাপারে পরস্পরকে শেয়ার করা হলে পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় একে অপরের বিপদে এগিয়ে যেতে পারে।
এভাবে আগে থেকেই অস্বাভাবিক কার্যকলাপগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ারের মাধ্যমে সতর্ক থাকা যায়। তাছাড়া ভয়াবহ সংকটপ্রবণ মূহুর্তগুলোতে কেবল পুলিশের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রহরার ব্যবস্থা করা যায়।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
দীর্ঘ ছুটি কাটানো নিয়ে বাড়ির বাইরে কথা না বলা
বাড়ির বাইরে প্রতিবেশী বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় অনেকেই নিজের আসন্ন দীর্ঘ ভ্রমণের কথা বলে ফেলেন। এতে করে তিনি যে একটা উল্লেখযোগ্য সময় যাবত বাড়িতে অনুপস্থিত থাকবেন তা বৃহৎ পরিসরে জানাজানি হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডাকাত বা তাদের সহযোগীরা এলাকার ভেতরেই থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয় নির্দিষ্ট কোনো বাড়িতে ডাকাতির জন্য। এ সময় তারা সাধারণ মানুষের বেফাঁস কথাগুলোর সুযোগ নেয়।
তাই দীর্ঘ ভ্রমণ বা ৬-৭ ঘণ্টার জন্য বাসায় একজনকে রেখে যাওয়ার বিষয়গুলো গোপন রাখা অপরিহার্য। মহল্লার কোনো খাবার হোটেল, টঙের দোকান, পার্ক বা গোলির মোড়ে আড্ডায় এই বিষয়গুলো কোনোভাবেই প্রকাশ করা ঠিক নয়।
পরিশিষ্ট
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধের এই উপায়গুলো আবাসিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার নামান্তর। এর জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ভূমিকার সমন্বয় ঘটানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মোশন-সেন্সর লাইট ও অ্যালার্ম স্থাপনের সুদূরপ্রসারি তাৎপর্য রয়েছে। রাতে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা, সীমানায় কাটাতারের বেড়া স্থাপন, মহল্লায় প্রহরা বাড়ানো এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহে রাখা সাধারণ সতর্কতা। তবে নতুন ভাড়াটিয়াদের যাচাই করা, দীর্ঘ ভ্রমণের ব্যাপারে ঘরের বাইরে আলাপ না করা, এবং প্রতিবেশীরা সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া সক্রিয়তার পরিচয় দেয়।
সর্বসাকূল্যে, প্রত্যেকটি কৌশলকে একীভূত করার মাধ্যমে বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটিয়া উভয় শ্রেণি সমানভাবে উপকৃত হতে পারবেন।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
১৫১ দিন আগে
দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নাটক বন্ধ করতে হয়েছে: ড. জামিল
জাতীয় নাট্যশালার বাইরে একদল লোক বিক্ষোভ করায় শনিবার (নভেম্বর ২) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দেশ নাটকের মঞ্চ নাটক ‘নিত্যপুরাণ’ বন্ধ করা হয়েছিল।
এই পদক্ষেপের পেছনের কারণগুলো সম্পর্কে রবিবার ভার্চুয়ালি কথা বলেছেন শিল্পকলার মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।
ড. জামিল বলেন, নাট্যশালায় দর্শকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নাটকটি বন্ধ করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উন্মুক্ত মঞ্চে (মুক্তমঞ্চ) 'যাত্রা উৎসব' অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার রাতে ড. জামিল সেখানেই ছিলেন। ফেসবুকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে 'অপমানজনক' করায় দেশ নাটক দলের সেক্রেটারি এহসানুল আজিজ বাবুর বিরুদ্ধে জনগণ বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় নাট্যশালার গেটে পৌঁছান।
আকস্মিকভাবে নাটকটি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেন ও শিল্পী-কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন ড. জামিল ও একাডেমি।
ড. জামিল বলেন, 'সবার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ওই সময় আমাদের যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন মনে হয়েছিল, সেটাই নিতে হয়েছে।’
‘সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশের ২২টি স্থানে শিল্পকলা একাডেমিতে আক্রমণ করা হয়েছে এবং এমন সম্ভাবনা ছিল যে উত্তেজিত জনতা নাটক চলাকালীন আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং দর্শকদের আক্রমণ করতে পারে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাকে মঞ্চে উঠতে হয়েছে এবং দর্শকদের কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, 'আন্দোলনকারীরা যে ফেসবুক পোস্টের বিরোধিতা করছেন, তা সত্যিই আপত্তিকর। আমি বাবুকে তিরস্কার করে বললাম যে ফেসবুকে এমন ঘৃণিত মন্তব্য না লিখতে। প্রশাসনের বিরোধিতা না করে নাট্য সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিলাম। এর আগে, আমি ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলাম এবং জানিয়েছিলাম যে দেশ নাটকের বেশ কয়েকজন সদস্য জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং আহত হয়েছিলেন, কিন্তু তারা বুঝতে নারাজ ছিলেন।’
নাটক বন্ধের কারণে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে সে বিষয়ে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, 'আমি জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও তারা মঞ্চ দখলের চেষ্টা করে, দেয়াল টপকে এমনকি গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে, তাই আমরা দেশ নাটকের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নাটক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিই। আমি অনেক চেষ্টা করেছি যাতে নাটক প্রদর্শন অব্যাহত রাখা হয়। আমি স্বীকার করছি- আমি একটা খণ্ডযুদ্ধে হেরে গেছি কিন্তু যুদ্ধে জিতব, যদি আপনারা সবাই আমাদের পাশে দাঁড়ান।’
সেনাবাহিনী কেন হস্তক্ষেপ করল না-এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. জামিল বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে ছিল এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল, কিন্তু আমরা তাদের জনতার মুখোমুখি করতে চাইনি।
তবে দর্শক ও নাট্যকর্মীদের নিরাপদে বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তারা।’
ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিগত সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি (শিল্পকলা একাডেমি) গত ৭ অক্টোবর সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করলে জাতীয় নাট্যশালার মূল থিয়েটার এবং ১ ও ২ নম্বর কক্ষ পরিবেশনা ও মহড়ার জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রযোজনায় 'সি মোরগ' দিয়ে আবারও মঞ্চ নাটকের নিয়মিত প্রদর্শনী শুরু করে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে রোগীর মৃত্যু, নার্স ও ওয়ার্ডবয়দের মারধর
১৬৪ দিন আগে