শেখ কামাল
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
শনিবার (৫ আগস্ট) অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে মূল বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, ‘শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা কিংবদন্তী। মাত্র ২৬ বছরের জীবনে তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য অসংখ্য অবদান রেখে গেছেন। একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন শহীদ শেখ কামাল।’
আব্দুল মুহিত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সরাসরি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে গেছেন।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ছিলেন আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে যে অসামান্য অগ্রগতি সাধন করেছে, তার মধ্য দিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুণ শেখ কামালের স্বপ্ন।
অবশেষে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্মকে অনুকরণ করে দেশের জন্য কাজ করার জন্য বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্য শেষ করেন।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন। শেখ কামালের আদর্শ ধারণ করে দেশের যুবসমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে আরও উচ্চতর আসনে তুলে ধরবে মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।
আলোচনাপর্ব শেষে কেক কেটে শেখ কামালের জন্মদিন পালন করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ১০ ব্যক্তি ও ২ সংগঠনকে শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩: ঢাকায় চূড়ান্ত পর্ব শুরু আজ
শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন তাসকিন
জাতীয় দলের ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৩ পেয়েছেন।
এ বছর তাসকিনসহ মোট ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাসকিন সম্প্রতি জিম্বাবুয়েতে জিম আফ্রো টি১০ ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি অসাধারণ পারফর্ম করেছেন।
তাকে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) একটি দলও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
কিন্তু আগামী মাসগুলোতে জাতীয় দলে তার কাজের চাপ বিবেচনা করে বোর্ড তাকে খেলার অনুমতি দেয়নি।
তাসকিন বলেন, ‘এই পুরস্কার পাওয়া খুবই সম্মানের।’
তিনি বলেন, ‘এটি আমার প্রথম জাতীয় পুরস্কার এবং প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে এটি গ্রহণ করেছি বলে এটি আরও বিশেষ। এটি আমার জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত।’
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের কথা উল্লেখ করেন তাসকিন।
আরও পড়ুন: এলপিএলে অংশ নিতে তাসকিনের এনওসি দিতে দেরি করছে বিসিবি
তাসকিন বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে আমাদের সৌভাগ্য কামনা করেছেন।’
তাসকিনকে এলপিএলের জন্য অনাপত্তি সনদ (এনওসি) না দেওয়া হলেও; সাকিব আল হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও শরিফুল ইসলামসহ আরও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার ওই লিগে অংশ নিচ্ছেন।
তাসকিন বলেন, ‘যে কোনো ইভেন্টে ভালো পারফর্ম করলে তা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। টি-১০ একটি কঠিন ফরম্যাট। তাই এই লিগের ভালো স্মৃতি আমাকে ভবিষ্যতে অন্যান্য ফরম্যাটে আরও ভালো করতে সাহায্য করবে।’
তার অনেক সতীর্থ এখন বিদেশি বিভিন্ন লিগে খেলছেন বলে ডানহাতি এই পেসার আনন্দিত।
তিনি বিশ্বাস করেন, এটি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ।
আরও পড়ুন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে ডাক পেয়েছেন তাসকিন ও তৌহিদ
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টেও অনিশ্চিত তাসকিন
শেখ কামাল অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
তিনি বলেন, তার মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। তিনি যে বঙ্গবন্ধুর ছেলে এটা কখনো বলে বেড়াতেন না।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপ্রধানের সন্তান হয়েও তার মধ্যে এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যেত না। এ ছাড়া অগ্রজদের প্রতিও তার শ্রদ্ধাবোধ ছিল অকৃত্রিম।
আরও পড়ুন: হাফেজ আবু তালহার সাফল্য বাংলাদেশের জন্য গৌরবের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (৫ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
দোয়া মাহফিলে শেখ কামালের কর্মময় জীবন স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী।
তিনি বলেন, মাত্র ২৬ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে এ দেশকে তিনি অনেককিছু দিয়ে গেছেন।
ড. মোমেন নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে, বিশেষ করে সলিমুল্লাহ হলের শিক্ষার্থী হিসেবে, শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করে বলেন, খেলাধুলার প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল।
তিনি আরও বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তার দুর্দান্ত বিচরণ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত থাকতেন।
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩: ঢাকায় চূড়ান্ত পর্ব শুরু আজ
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর দুই দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে আজ।
আজ সোমবার থেকে রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের নিয়ে চূড়ান্ত আসরটি শুরু হবে।
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের (বিএএফ) আয়োজনে দেশের সবচেয়ে বড় অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন হবে আজ বিকাল ৩টায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও বিএএফ সভাপতি এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
গত জানুয়ারিতে শুরু হয় দেশব্যাপী অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব। প্রতিযোগিতার চারটি বিভাগে ৩২টি ইভেন্টে সমস্ত উপজেলা থেকে প্রায় ৫০ লাখ আত্মবিশ্বাসী ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন’ জিতেছেন কেনিয়ার কিপ্রোটিচ
‘এ’ এবং ‘বি’ গ্রুপে, ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা ১০০-মিটার এবং ২০০-মিটার দৌড়, উচ্চ লাফ এবং লং জাম্পে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
‘সি’ এবং ‘ডি’ গ্রুপে, নবম এবং দশম-শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১০০-মিটার, ২০০-মিটার, ৪০০-মিটার, ৮০০ মিটার, এক হাজার ৫০০ মিটার দৌড়, হাই জাম্প, লং জাম্প, ট্রিপল জাম্প, জ্যাভলিন থ্রো, শট পুট, ডিসকাস থ্রো এবং ৪×১০০-মিটার রিলে রেস করে।
আন্তঃউপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা জানুয়ারিতে, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘প্রথম আন্তর্জাতিক বীচ র্যাপিড দাবা প্রতিযোগিতা-২৩’ শুরু শুক্রবার
বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন অনূর্ধ্ব-২৩ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের শিক্ষাক্রম নিয়ে যে এতোরকমের কথা বলা হচ্ছে, তারমধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মিথ্যাচার। যেখানে ভুল আছে সেখানে আমরা নিশ্চয়ই সংশোধন করেছি এবং করবো। যেখানে চিহ্নিত হবে ভুল, তখনই তা সংশোধন হবে। কিন্তু যে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চলছে, সেটিতো উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হচ্ছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি)) দুপুরে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের এ ডামাঢোলের মধ্যে যেটা চাপা পড়ে যাচ্ছে, আপনারাও সেটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। তা হলো নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে আমাদের পুরো পঠন ও শিখন পদ্ধতি সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে এবং সেটির মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দময় শিক্ষা পাচ্ছে এবং সত্যিকার অর্থে ‘করে করে’ (ব্যবহারিকভাবে) শিখছে। যেটি তারা সারাজীবন ধারণ করবে, আত্মস্থ ও প্রয়োগ করতে পারবে প্রয়োজন মতো। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যে গুণগত পরিবর্তন এসেছে, এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। এর অর্থ হচ্ছে সবাই একটি ভাসা ভাসা জিনিস নিয়ে কথা বলছি। একজন চিৎকার করছেন এবং অন্যজন তার সঙ্গে গলা মিলাচ্ছেন। এরতো কোনো অর্থ নেই।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহার একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাক্রমের যে বিশাল গুণগুলো রয়েছে এবং সেগুলো যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সে উদ্দেশ্যেগুলো নিয়ে বরং কথা বলা উচিত। কিন্তু যারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে, এগুলো অন্যদেরকে আরও উসকে দিবে। বরং এই শিক্ষাক্রম নিয়ে গঠনমূলক চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই কিভাবে শিক্ষার্থীদের দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল করা যায় সেসব বিষয়ে পরামর্শ দেয়া দরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. তারেক হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের বন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
সালমান ফজলুর রহমান শেখ কামালের কর্মময় জীবনের নানাদিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ কামাল বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
তিনি বলেন, শেখ কামাল যদি বেঁচে থাকতেন, আজ আমরা (বাংলাদেশ) যে জায়গায় পৌঁছেছি, তা অনেক আগেই অর্জন সম্ভব হতো।
সরকারি সফরে কম্বোডিয়ায় থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ উপলক্ষে একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও শেখ কামালের বন্ধু বিশিষ্ট সাংবাদিক এম. শফিকুল করিম।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোও দিবসটি পালন করেছে। শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
স্মরণ সভায় শেখ কামালের কর্মময় জীবনের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাত বরণকারী সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ উপকৃত হতো: হাছান মাহমুদ
অপসংস্কৃতিরোধে শহীদ শেখ কামালের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
শেখ কামাল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ উপকৃত হতো: হাছান মাহমুদ
শেখ কামাল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক উপকৃত হতো বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ ছেলে শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল তার স্বল্প সময়ের কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে চির জাগরূক হয়ে থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'শহীদ শেখ কামালকে দুষ্কৃতিকারীরা হত্যা করলেও তার স্বল্প বয়সের কর্মের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তিনি আমাদের মাঝে জাগরূক থাকবেন। এই অল্প বয়সের মধ্যেই যে প্রতিভা ও সাংগঠনিক দক্ষতার স্বাক্ষর তিনি রেখেছিলেন, তাতে আমি মনে করি তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও অনেক উপকৃত হতো।'
ড. হাছান বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে, সর্বোপরি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে শহীদ শেখ কামাল বিরাট ভূমিকা রাখতে পারতেন, আজকের এই দিনে আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
এরপর টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে বীজ বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয়, গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ড. হাছান মাহমুদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে এবং এর পূর্বে ঢাকায় আবাহনী মাঠে দলীয়ভাবে শহীদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ কামালের ভূমিকা যুব সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ: রাবাব ফাতিমা
ওয়াশিংটনে শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালিত
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস গত ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাবিবুর রহমান শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করে শোনান।
আরও পড়ুন: শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, শহীদ শেখ কামাল নিজেকে যোগ্য থেকে যোগ্যতর করে গড়ে তোলার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষা ও সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জন করে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন।
আরও পড়ুন: শেখ কামালের ভূমিকা যুব সমাজের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ: রাবাব ফাতিমা
আলোচনার পর শহীদ শেখ কামালের জীবন ও কর্ম অবলম্বনে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেসা মুজিব, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে একটি বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও কামাল সাদাসিধে জীবন-যাপন করত: হাসিনা
রাষ্ট্রপতির ছেলেও হয়েও শেখ কামাল সাদাসিধে জীবন-যাপন করত উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু যখন তিনি বেঁচে যান, তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর চক্রান্ত করে কামালকে গুলি করা হয়। তাকে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু যখন তিনি বেঁচে যান, তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হয়।’
শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) পুরস্কার-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতার ছেলে হওয়া সত্ত্বেও খুব সাদাসিধে জীবন-যাপন করত।
তিনি বলেন, ‘যদিও তার বাবা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তার কখনো অর্থ-সম্পদ অর্জন বা ব্যবসা বাণিজ্যের দিকে দৃষ্টি ছিল না।’
শেখ হাসিনা তার ছোট ভাইয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলাধুলায় অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, দেশের মানুষের পাশে থাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সাংস্কৃতিক অঙ্গন এগুলোই ছিল তার কাছে সবচেয়ে বড়।
তিনি বলেন, ‘ফুটবল, ক্রিকেট এবং ক্রীড়া খাতের আধুনিকায়নে কামাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সঙ্গীত জগতেও তার অবদান ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে আমাদের সমাজের জন্য তার অনেক অবদান ছিল।’
হাসিনা বলেন, ‘তার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ছিল যুব সমাজকে সুসংগঠিত করা, বেঁচে থাকলে হয়ত দেশের যুব সমাজের জন্য অনেক কাজ করতে পারতেন।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং দুটি সংস্থার মধ্যে শেখ কামাল পুরস্কার -২০২১ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বস্তিবাসীর মধ্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
ক্রীড়াবিদ হিসেবে মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), রোমান সানা (আরচারি), মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারত্তোলন) পুরস্কার পেয়েছেন। উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হিসেবে আকবর আলী (ক্রিকেট) ও ফাহাদ রহমান (দাবা), উন্নতি খাতুন (ফুটবল) পুরস্কার পেয়েছেন। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে মনজুর কাদের (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব) এবং ক্যা শৈ ল হ্ন (কারাতে ফেডারেশন)।
ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন/সংস্থা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, আজীবন সম্মাননায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এবং ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ওয়ালটন শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যায় ষড়যন্ত্রকারীদের নাম একদিন বের হবে: প্রধানমন্ত্রী
করোনা পরীক্ষায় অনিহা দেখাবেন না: প্রধানমন্ত্রী
ফরিদপুরে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালন
ফরিদপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।
এ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকাল ৮টায় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শুরুতেই মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল সমাজকে অনেক কিছু দিতে পারতো: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়াও শ্রদ্ধাঞ্জলিতে অংশ নেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান (বিপিএম সেবা), জেলা আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. শামসুল হক ভোলা মাস্টার, পৌর মেয়র অমিতাব বোস, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লাহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: লন্ডন হাইকমিশনে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালিত
এছাড়াও দুপুরে ভার্চুয়ালি আলোচনা সভা ও বিকেলে দলীয় কার্যালয় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।