জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর সঙ্গে পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই পরিকল্পনা শুধু কারিগরি বা প্রশাসনিক না হয়ে, তাতে স্থানীয় জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বাধীন অভিযোজন পন্থা অত্যন্ত কার্যকর। এতে স্থানীয় বাস্তবতা, চাহিদা ও সক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই অভিযোজন নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।’
রবিবার (৪ মে) পান্থপথে পানি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় লোকালি কেড অ্যাডাপটেশন ফ্রেমওয়ার্ক, প্রোগ্রামেটিক অ্যাপ্রোচ ফর ন্যাপ ইমপ্লিমেন্টেশন বিষয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, সিইজিআইএস ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রকৃতিভিত্তিক সচেতন জীবন গঠনই উন্নয়ন: পরিবেশ উপদেষ্টা
সভায় অংশগ্রহণকারীরা এলএলএএফ কাঠামো ও ন্যাপ বাস্তবায়নে সমন্বিত ও অংশগ্রহণমূলক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ও ভবিষ্যতে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. নাভিদ শফিউল্লাহ, সিইজিআইএসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব রোসলিনা পারভীন ও এডিবির জ্যেষ্ঠ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমি পারভিন প্রমুখ।