অবদান
দুই দেশের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছেন ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমানে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা করে বলেছেন, তারা দু'দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অর্থনীতিতে যেমন বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও অবদান রয়েছে। উভয় অর্থনীতিই শ্রমশক্তির সুফল পাচ্ছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ওমানের রাষ্ট্রদূত আবদুল গাফফার বিন আবদুল করিম আল-বুলুশি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করেন ওমানের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য এবং তারা উভয় অর্থনীতির জন্য কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: আমরা আমাদের দরজা বন্ধ রাখতে পারি না: ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ওমান দীর্ঘদিন ধরে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে এবং বর্তমানে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছে।
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণ হতে পারে।’
এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সময় ওমানের সহায়তার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, ওমানে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন।
তিনি বলেন, 'এটা (বিধিনিষেধ) সুনির্দিষ্ট করে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারণ করা হয়নি। চাহিদা নির্ধারণের জন্য আমরা পর্যায়ক্রমে শ্রমবাজার পর্যালোচনা করি। সেই পর্যালোচনার ভিত্তিতে আমরা অনেক সময় যেসব দেশে জনবল বেশি, সেসব দেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া স্থগিত করি। স্থগিতাদেশ শিথিল করার জন্য আপনাকে পরবর্তী পর্যালোচনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
বাংলাদেশের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে- বিষয়টি যে এমন নয় তা স্পষ্ট করেন তিনি।
'কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা এমন ছিল না। জনশক্তি ভিসা ছাড়া ফ্যামিলি ভিসা ও ট্যুরিস্ট ভিসাসহ অন্য সব ভিসা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য বর্তমানে ১০টি ক্যাটাগরিতে ওমানের ভিসার দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তার সরকারের কাছে চিঠি পাঠানোর পরামর্শ দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের পক্ষে আলোচনা করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছি, যাতে শিগগিরই ওয়ার্কিং ভিসা চালু করা যায়।’
সার আমদানি ইস্যুতে রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে সরকারের আলোচনা করার প্রস্তাব করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং জানুয়ারিতে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি আরও বলেন, হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ করলে ভালো হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আপনাকে নিয়ে গর্ব করতেন।’
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে একটি ওমানি নৌকার রেপ্লিকা উপহার দেন।
সেখানে লেখা ছিল, 'দৃঢ়তা ও সাহসিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মশাল বহনকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার আলবুলুশির পিক্ষ থেকে অভিনন্দন।’
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
কৃষিতে ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে ডিএই
কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
এসময় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১৬ জন কৃষককে ‘কৃষক পুরস্কার’ দেওয়ার পাশাপাশি ১৬ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ১৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে।
কৃষকদের আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ময়মনসিংহের ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো. এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী।
মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাপ প্রোটোকল অনুসরণে উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিকে আধুনিক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা।’
আরও পড়ুন: পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
৫ মাস আগে
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের অবদান প্রশংসনীয়
বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের পথচলা শুরু ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির হাত ধরে। দীর্ঘ ৪১ বছরে ব্যাংকিংয়ের শরিয়াহ ভিত্তিক ধারাটি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শরিয়াহ ভিত্তিক সেবামুখী ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কল্যাণ ধারার এ ব্যাংকিং সেবার পরিধি সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে দেশের অর্থনীতি ও উদ্যোক্তা সমাজকে জড়িয়ে রাখতে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে ইসলামিক ধারার ব্যাংকিং ব্যবস্থা।
পরিসংখ্যান বিবেচনায় দেশের ব্যাংক খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই এখন ইসলামি ধারার ব্যাংকিংয়ের আওতাধীন। এ জনপ্রিয়তার কারণে বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ ধারার ১০টি ইসলামি ব্যাংকের পাশাপাশি প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোও যুক্ত হচ্ছে শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রমে। অনেক ব্যাংক তো বিশেষায়িত শাখা ও উইন্ডোর মাধ্যমে চালাচ্ছে ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: ভোটার উপস্থিতি কতটা জরুরি?
ইসলামি আর্থিক খাতকে এখন তার সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে যেমন বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক অর্থায়ন, ইসলামিক বন্ড (সুকুক), ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড এবং ইসলামিক বিমা (তাকাফুল) ইত্যাদির মতো স্থানে অবস্থানের কারণে একটি বৈশ্বিক আর্থিক খাত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঝুঁকি ভাগাভাগি, অন্তর্ভুক্তি ও প্রকৃত সম্পদভিত্তিক লেনদেনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত হচ্ছে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা। সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বিশ্ব পরিসরেও ইসলামি ব্যাংকিং এক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। শুধু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মনি, আর্জেন্টিনা, ডেনমার্ক, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কয়েকশ ইসলামি ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শরিয়াহ সম্মত পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। দ্যা ব্যাংক অব উইটিয়ার-যুক্তরাষ্ট্র, আল রায়ান ব্যাংক পিএলসি-যুক্তরাজ্য, কেটি ব্যাংক-জার্মানি, দাউদ ইসলামিক ব্যাংক-আর্জেন্টিনা, ও ইসলামিক ব্যাংক ইন্টারন্যশনাল অব ডেনমার্ক উল্ল্যেখযোগ্য।
বিশ্বব্যাপী ইসলামি ব্যাংকগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বিশ্বব্যাপী ইসলামিক ফাইন্যান্সের মোট সম্পদের পরিমাণ চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি, যা আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ প্রায় ছয় ট্রিলিয়নে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক এ প্রবণতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এখন দিনে দিনে আরো শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলছে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তাও খাতটির বিকাশে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিগত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে আমানত ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে দেশে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ হয়েছে।
শাখা ও কার্যক্রয় বিবেচনায় ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের সম্প্রসারণ হয়েছে ব্যাপক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংক ছিল ১০টি। সারা দেশে ১ হাজার ৬৭১ টি শাখার মাধ্যমে কার্যক্রম চালাচ্ছে ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে একই সময়ে দেশের পুরো ব্যাংক খাতে শাখা ছিল ১১ হাজার ২১৯টি। শাখার শতাংশের বিবেচনায় দেশের পুরো ব্যাংকিং খাতের ১৫ শতাংশ শাখা ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকের পাশাপাশি প্রচলিত ধারার ১৫টি ব্যাংকের ৩০টি ইসলামি ব্যাংকিং শাখা কাজ করছে। এছাড়া ১৫টি প্রচলিত ধারার বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৬১৫টি ইসলামি ব্যাংকিং উইন্ডো এখন বাংলাদেশে ইসলামি আর্থিক সেবা দিচ্ছে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ইসলামিক ব্যাংকিং। ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের দ্রুত আমানত সংগ্রহ ও সফলতার কারণে প্রচলিত ব্যাংকগুলোর কাছেও তা ধীরে ধীরে আকর্ষণীয় ও লাভজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ যে ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী তা ইসলামিক ব্যাংকের আমানত প্রবৃদ্ধি দেখেই বুঝা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে মোট আমানত ছিল ৪৩১৯.৮৯ বিলিয়ন টাকা। ২০২২ সালের একই প্রান্তিকের আমানত থেকে প্রায় ৩৯.৮৯ বিলিয়ন টাকা বেড়েছে যার প্রবৃদ্ধি ০.৯৩ শতাংশ। প্রচলিত ব্যাংকের উইন্ডোতে আমানত স্থিতি ১৯৩.৮৩ বিলিয়ন টাকা ও প্রচলিত ব্যাংকের শাখায় আমানত স্থিতি ১৭৪.৬৪ বিলিয়ন টাকা। ১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার ৯১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সব ইসলামিক ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির (আইবিবিপিএলসি) আমানত ছিল ৩৪.৫৪%। তাছাড়া, ইসলামী ব্যাংকের বর্তমানে ৩৯৪ টি শাখা ও ২৪৯টি উপশাখায় মোট ২ কোটি ৩০ লাখ গ্রাহকের আমানত নিয়ে দেশে প্রথম সারির ব্যাংকে অবস্থান করছে।
বিনিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা জাতীয় উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বৃহৎ শিল্প, সিএমএসএমই তথা কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, ও মাঝারি বিনিয়োগে বৃহদাংশ অবদান যেমন রেখেছে তেমনি নির্মাণ খাত, সেবা শিল্প, ভোক্তা বিনিয়োগ, কৃষি খাত, মৎস্য খাতে বিশেষ অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের সর্বশেষ তথ্য মতে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ৪২৯০.৭১ বিলিয়ন টাকা দেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বিতরণ করা হয় যা বিগত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের চেয়ে ৭৫.৯৫ বিলিয়ন টাকা বেশি। দেশের সামগ্রিক ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগের মধ্যে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিনিয়োগ ২৮ শতাংশ। দেশের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এতে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে যেখানে বিনিয়োগ বিতরণ করেছে প্রায় ৩৩.৬৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: স্বাধীন দেশের প্রথম শীতের স্মৃতি
ইসলামী ব্যাংক খাত বৈদেশিক রেমিট্যান্স সংগ্রহ এবং বিতরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় মোট রেমিট্যান্স সংগ্রহ হয়েছে ২৮০.৪৭ বিলিয়ন টাকা, যা পূর্ববর্তী প্রান্তিকের চেয়ে ৭৮.২৫ বিলিয়ন বা ২৬.৩৮ শতাংশ বেশি। ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার মধ্যে রেমিট্যান্স সংগ্রহে তৃতীয় প্রান্তিকে শীর্ষস্থান (৪৮.১৪%) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থা কৃষি ও গ্রামীণ বিনিয়োগ কর্মসূচির বিভিন্ন উপখাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি খাতে ১৫.৯০ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করা হয়। দেশের সমগ্র ব্যাংকিং খাতের কৃষি বিনিয়োগ বিতরণের ১৬.৪৭ শতাংশ ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের লক্ষ্যই হলো ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মুক্তি আনা। ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতা পরিপালনে ইসলমিক ব্যাংকগুলো সারা বিশ্বে যেমন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে তেমনি বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। ইসলামিক ব্যাংকগুলো ব্যবসায় সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করে যাচ্ছে।
ইসলামি ব্যাংকগুলো যাকাত, খেলাপি বিনিয়োগ ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে শাস্তিমূলক চার্জ হিসেবে নেওয়া ক্ষতিপূরণ চার্জ এবং শরিয়াহ অনুমোদিত উপার্জনের অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে সিএসআর কার্যক্রম করে থাকে। শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য ও দাতব্য সংস্থা সহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন বেওয়ারিশ লাশ দাফন, নবজাতককে উপহার, বনায়ন ও ফলবিথীতে ব্যয় করা হয়।
এ দিক দিয়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিএসআর নীতি পরিপালন করে সর্বোচ্চ পরিমাণ সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ব্যাংকের ২০২২ সালের তথ্যানুসারে ইসলামী ব্যাংক সরকারি ত্রাণ তহবিলসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, কর্মহীন, অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের মাঝে সর্বমোট ৩২৭.৩৬ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সিএসআর বিতরণের হার ব্যাংকিং সেক্টরের মোট সিএসআর ব্যয়ের ২৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের তথ্যানুসারে ব্যাংক সর্বমোট ১০০ কোটি টাকারও বেশি সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমে ব্যয় করেছে। এছাড়া, ইসলামী ব্যাংক এ পর্যন্ত সর্বমোট ১,৬৫৮ কোটি টাকা প্রায় ২ কোটি উপকারভোগীদের মাঝে সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের আওতায় ব্যয় করেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে মামলা এবং ১৯৭১-এর ইতিহাসের ভবিষ্যৎ
৭ মাস আগে
বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম আগা খান এবং আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের (একেডিএন) প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আগা খান একাডেমি ঢাকা প্রতিষ্ঠার কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেন। কারণ, এটি দেশের আরও উন্নয়নে অবদান রাখবে এমন ভবিষ্যতের বাংলাদেশি নেতা তৈরি করতে চায়।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের শিক্ষা ও জলবায়ু অগ্রাধিকার নিয়ে প্রিন্স রহিম আগা খান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা করেছেন।
তিনি সরকারের চলমান সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান, বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে।
প্রিন্স বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে মহামান্য আগা খান এবং আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের অব্যাহত অঙ্গীকারের কথা জানান।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
একেডিএন অনুসারে, প্রায় সাত দশকের সহযোগিতার ভিত্তিতে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত একটি প্রোটোকল অব কো-অপারেশনের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করা হয়।
প্রিন্স রহিম স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ বছর ধরে অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে উন্নতি, দারিদ্র্য বিমোচন এবং বাংলাদেশিদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাংলাদেশের ভালো অগ্রগতির কথা স্বীকার করেন।
বিশ্বব্যাপী একেডিএন-এর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি প্রিন্স রহিম ২০২২ সালে আগা খান একাডেমি ঢাকায় উদ্বোধনসহ বাংলাদেশে সংগঠনটির কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
একাডেমিটি একটি বর্ধিত আন্তর্জাতিক স্নাতক পাঠ্যক্রম এবং নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ প্রদান করে, যাতে স্নাতকদের দেশ ও বিশ্বজুড়ে তাদের সমাজে অবদান রাখতে ক্ষমতায়ন করা যায়।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে প্রিন্স রহিম কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে একেডিএন-এর অভিজ্ঞতা ও কর্মসূচি তুলে ধরেন এবং সবুজ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য নেটওয়ার্ক কর্তৃক গৃহীত জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আয়োজিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে জেনেভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রিন্স রহিম আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভা পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বিআরআই’র আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও চীন
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ ও চীন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
উভয় পক্ষ বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং নিয়মিত কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে।
অনলাইন জুয়া এবং মাদক পাচারের মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা তৈরিতে চীন তার সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত ১২তম পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শে, উভয় পক্ষ জননিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত সংলাপে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং চীনা প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সান উইডং।
ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আবহাওয়া স্যাটেলাইটের তথ্য শেয়ার করার জন্য বাংলাদেশ চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
চীনা পক্ষ বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের সহজতর করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
উপমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে দ্রুত প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে।
আরও পড়ুন: অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ৪ সেপ্টেম্বর
পাইলট প্রজেক্টের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নিজ নিজ প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে ‘গো এন্ড সি’ সফর এবং বাংলাদেশে ‘আসুন এবং কথা বলুন’ সফরের ব্যবস্থা করার জন্য চীনের পক্ষ বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব চীনকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অব্যাহত স্বেচ্ছাসেবী ও টেকসই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।
ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং উল্লেখ করেন যে তিনি ১০ বছর পর বাংলাদেশ সফর করছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পরিচালিত বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অর্জন দেখে খুবই মুগ্ধ।
উভয় প্রতিনিধি দল পারস্পরিক স্বার্থ এবং বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। চীনা পক্ষ এক চীন নীতিতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তারা সাম্প্রতিক উচ্চ-পর্যায়ের রাজনৈতিক বিনিময় ও বৈঠকের কথা স্মরণ করেছেন যা সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরির জন্য চীনের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ আবারও ধন্যবাদ জানিয়েছে।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন মানের অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগের মতো মেগা প্রকল্পের আসন্ন উদ্বোধনকে স্বাগত জানায়।
আরও পড়ুন: ‘কিছু ভুল বোঝাবুঝি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে’
উভয় পক্ষই বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে কয়েকটি অতিরিক্ত প্রকল্প প্রস্তাব সংক্রান্ত অসামান্য বিষয়গুলোকে আরও প্রবাহিত করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষ ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে কার্যকর হওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্যগুলোতে শুল্ক এবং কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) অ্যাক্সেস ব্যবহার করে চীনে রপ্তানি বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করেছে।
চীনা পক্ষ প্রয়োজনীয় মানের নির্দিষ্টতা মেনে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমী ফল যেমন আম, কাঁঠাল, পেয়ারা এবং হিমায়িত খাবার আমদানিতে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে ডিএফকিউএফ কভারেজের মধ্যে শাকসবজি, ওষুধ, কাঁচা চামড়া, পায়ের জিনিসপত্র, নন-নিট পোশাক ইত্যাদির মতো অন্যান্য রপ্তানি আইটেম অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চীনা উপমন্ত্রী চট্টগ্রামে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনা খামারদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আশ্বাস দেন।
তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-গুয়ানঝু সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করার জন্য চীনা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সময়মত আগ্রহের বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরামর্শ দেন।
বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দুই পক্ষ নিয়মিত কনস্যুলার পরামর্শ চালু করতে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজিতে উদ্ভাবনের বিষয়ে চীনের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্পর্ক নিয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনের স্বীকৃতিস্বরূপ সাংবাদিকতা পুরস্কার
১ বছর আগে
উদ্ভাবনে অবদানের জন্য দুইটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করল অপো
উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্মার্টফোন খাতে অসামান্য অবদানের জন্য সম্প্রতি দু’টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে অপো।
২০২৩ এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস–এ এআর ক্যাটাগরিতে অপো এয়ার গ্লাস সিলভার পুরস্কার অর্জন করেছে।
এছাড়া, বিজনেস মিডিয়া ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত এ বছরের এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো।
গত ২০ এপ্রিল ফ্লোরিডায় এই অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪০০ শতাংশ বেশি বিক্রির রেকর্ড অপো রেনো এইট টি’র
বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পণ্য, ডিজাইন এবং প্রযুক্তি এই তিনটি ক্ষেত্রে স্বীকৃতি প্রদানকারী বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি এডিসন অ্যাওয়ার্ডস, যা বিখ্যাত উদ্ভাবক টমাস এডিসনের সম্মানে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তিন হাজার জনের বেশি সিনিয়র বিজনেস এক্সিকিউটিভস ও শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত প্যানেল কন্সেপ্ট, ভ্যালু, ডেলিভারি ও ইম্প্যাক্ট–এ চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই এডিসন অ্যাওয়ার্ডের জন্য বিজয়ী নির্বাচন করে।
উদ্ভাবনী ডিজাইন ও নিজস্ব প্রযুক্তির জন্য অপো এয়ার গ্লাস এই প্রতিযোগিতায় সিলভার জিতে নিয়েছে।
বিশ্বের প্রথম ডিট্যাচেবল মনোকল এআর গ্লাস অপো’র এই এয়ার গ্লাস। এর ওজন মাত্র ৩০ গ্রাম, যার ফলে এটি অনেক আরামদায়ক এবং সারাদিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক।
ডিভাইসটিতে অপো’র স্পার্ক মাইক্রো প্রজেক্টর, অত্যাধুনিক মাইক্রো এলইডি এবং ডিফ্র্যাকশন অপটিক্যাল ওয়েভগাইড ডিসপ্লেসহ বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।
এই প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে অপো এয়ার গ্লাসে নোটিফিকেশন, নেভিগেশন, টেলিপ্রম্পটার এবং রিয়েল-টাইম অনুবাদের মতো ফিচার ব্যবহার করা যাবে।
২০২১ সালে উন্মোচিত এয়ার গ্লাসটি গত বছর রেড ডট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড এবং আইএফ ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
সবার জন্য সেরা প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে অপো গত বছরের ইনো ডে ২০২২ ইভেন্টে এই ডিভাইসের একটি আপগ্রেডেড সংস্করণ, অপো এয়ার গ্লাস ২ উন্মোচন করে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সাহায্যে অপো এয়ার গ্লাস ২ আরও বেশি ব্যবহারকারীর জন্য স্মার্ট অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
এছাড়া, ফাস্ট কোম্পানি দ্বারা প্রকাশিত এশিয়া প্যাসিফিকের সেরা ১০ উদ্ভাবনী কোম্পানিগুলোর (২০২৩) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অপো।
ফাস্ট কোম্পানির সম্পাদকীয় দল প্রতি বছর বিভিন্ন বিভাগে সেরা উদ্ভাবক নির্বাচন করতে শত শত কোম্পানির উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মূল্যায়ন করে থাকে।
অপো ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন একটি সিস্টেম-লেভেল ব্যাটারি হেলথ অপ্টিমাইজিং সলিউশন। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ডেড লিথিয়ামের সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে এই প্রযুক্তি।
অপো’র এই দুর্দান্ত ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন ১,৬০০টি চার্জ সাইকেলে ব্যাটারির সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বজায় রাখতে পারে।
‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ মূলমন্ত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অপো ব্যবহারকারী-বান্ধব উদ্ভাবন নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) অপো সুপারভুক এস পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ, পরিবেশ-বান্ধব জিরো-পাওয়ার ট্যাগ এবং ম্যারিসিলিকন ওয়াই ফ্ল্যাগশিপ ব্লুটুথ অডিও এসওসি সহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদর্শন করে।
প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং উন্নত পণ্যের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জীবনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে অপো।
এডিসন বেস্ট নিউ প্রোডাক্ট অ্যাওয়ার্ডস নিয়ে আরও জানতে ভিজিট করুন-
https://edisonawards.com/2023-winners-dev/ এই ঠিকানায়।
ফাস্ট কোম্পানি প্রকাশিত শীর্ষ ১০টি এশিয়া-প্যাসিফিক কোম্পানি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.fastcompany.com/90846729/most-innovative-companies-asia-pacific-2023 এই ঠিকানায়।
আরও পড়ুন: ঈদ উদযাপনে অপো’র নজরকাড়া অফার
রমজান উপলক্ষে এফ২১ প্রো ফাইভজি ও এ৭৭ স্মার্টফোনের দাম কমালো অপো
১ বছর আগে
সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, নারীদের বাইরে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারীদের সহায়তা ছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়তো সম্ভব ছিল না। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অবদানকে যোগ্য সম্মান দিতে হবে।
সোমবার বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সিরাজগঞ্জে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে এ দেশের নারী-পুরুষ নিজেদের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। নারীরা পুরুষের পাশে থেকে কখনও সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, আবার কখনও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: তামাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও বাঙালি জাতি খালি হাতে ফিরবেনা: ডেপুটি স্পিকার
ডেপুটি স্পীকার বলেন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সবসময় রাজনীতিসহ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে জাতির পিতাকে সহায়তা করেছেন। শেখ মুজিবুর রহমানের জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বঙ্গমাতার ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর বঙ্গবন্ধুও সবসময় নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতেন।
অনুষ্ঠনে তিনি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত ও তানভীর শাকিল জয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক
সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সেলিমা বেগম স্বপ্নার সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিক জোট, সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন চন্দ্র দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ডেপুটি স্পিকার হলেন শামসুল হক টুকু
২ বছর আগে
বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে অবদান রাখছে প্রবাসীরা: শিল্পমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের পাশাপাশি, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট পরিদর্শনে সময় তিনি একথা বলেন।
এসময় কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ তাকে স্বাগত জানান।
মন্ত্রী এসময় সরকারের প্রবাসী বান্ধব নীতি ও পদক্ষেপ সমূহের বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মেক্সিকোর সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
এছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিস্তৃতকরণে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের চলমান প্রচেষ্টা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন এবং ভবিষ্যতে এ দু’দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
শিল্পমন্ত্রী কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টিতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বিশ্বমানচিত্রের এক অনন্য অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতার কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ওপর আলোকপাত করে শিল্প বিকাশে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ ও ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
এসময় কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম কনস্যুলেট কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন এবং তা আরও সহজ ও ত্বরান্বিত করতে কনস্যুলেটের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী কনস্যুলেটের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কনস্যুলেটে কর্মরত সকলকে আহ্বান জানান। কনসাল জেনারেল ড. ইসলাম কনস্যুলেট সফরের জন্য শিল্প মন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনে বর্ধিত তহবিল চায় ঢাকা: জাতিসংঘে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে
সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলী যাকেরের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলী যাকেরের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে
মোটরগাড়ি শিল্পে নারীদের অবদানের গল্প
ঢাকা, ০৮ মার্চ (ইউএনবি)- আজ বিশ্ব নারী দিবস। বরাবরের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। বর্তমানে ছেলেদের পাশাপাশি সমান তালে মেয়েরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, প্রশাসন, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান সবক্ষেত্রেই দেখা যায় মেয়েদের বিচরণ।
৫ বছর আগে