এফএও
আম রপ্তানি বাড়াতে এফএও’র সহায়তা চান খাদ্যমন্ত্রী
আম রপ্তানি বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াওকুন শি খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় এ আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎকালে তারা দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও দেশের ফলমূলের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকরণ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিকভাবে মুক্তির মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী হতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দানাদার খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এছাড়া ফলমূল ও সবজি উৎপাদনেও অনেক এগিয়েছে। আমাদের দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। তাই আম রপ্তানি বাড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহায়তা কামনা করেন মন্ত্রী।
ড. জিয়াওকুন শি বলেন, সারা বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করতে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা কাজ করছে। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে এফএও’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রশাসন প্রদীপ কুমার দাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকদের ওপর প্রভাব পড়বে না: খাদ্যমন্ত্রী
৭ মাস আগে
জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে গ্রামীণ নারী, দরিদ্র ও বয়স্কদের ওপর অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাব পড়ছে: এফএও
নারী কৃষক, দরিদ্র মানুষ এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন এবং তাদের চাহিদার জন্য লক্ষ্যযুক্ত ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
মঙ্গলবার (৬ মার্চ) প্রকাশিত সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদারে এফএও মহাপরিচালকের গুরুত্বারোপ
‘আনজাস্ট ক্লাইমেট’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে- চরম আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার অসম ক্ষমতার কারণে কিছু সামাজিক গোষ্ঠী জলবায়ু সম্পর্কিত আয়ের বৈষম্যের কারণে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়।
আটজন বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন পরামর্শকের একটি দল দুই বছর ধরে পরিচালিত এই গবেষণায় ২৪টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের এক লাখ ৯ হাজার গ্রামীণ পরিবারের আর্থ-সামাজিক তথ্য সংগ্রহ করে। যা ৯৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে।
গবেষণাটি অনুসারে, গড় তাপমাত্রা যদি মাত্র এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ে, তাহলে পুরুষের তুলনায় গ্রামীণ নারীরা তাদের মোট আয়ের ৩৪ শতাংশ বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
দরিদ্র পরিবারের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা তাদের জলবায়ু-সংবেদনশীল কৃষির ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল করে তোলে এবং বন্যার সঙ্গে তারা গড়ে অ-দরিদ্র পরিবারের তুলনায় তাদের মোটের ৪ দশমিক শতাংশ হারাবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যা কবলিত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করল এফএও
লিঙ্গ, সম্পদ ও বয়স অনুসারে শ্রেণিবদ্ধ করা এই গবেষণার লক্ষ্য হলো- ক্ষতিগ্রস্থ গোষ্ঠীর বিভিন্ন চাহিদা মোকাবিলার জন্য উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া বিকাশে দেশগুলোকে গাইড করা।
এফএও'র জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ও প্রতিবেদনের প্রধান লেখক নিকোলাস সিটকো সিনহুয়াকে বলেন, ‘আমাদের আশা হচ্ছে, আমরা মানুষের দুর্বলতার পার্থক্যগুলো আরও বেশি করে বিবেচনা করা শুরু করব, কারণ দুর্বলতা সবার জন্য এক নয় এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের সমর্থন প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এফএও'র নতুন প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন ড. শি
৭ মাস আগে
এফএওর আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৭তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে (এপিআরসি ৩৭) যোগ দিতে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো গেলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলম্বোর উদ্দেশে বিমানযোগে রওনা দেন তিনি।
প্রতিনিধি দলে তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুর রহমান এবং এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি।
আরও পড়ুন: বাজার ব্যবস্থাপনায় আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
৪ দিনব্যাপী এই আঞ্চলিক সম্মেলন শুরু হবে আগামীকাল ১৯ ফেব্রুয়ারি, আর শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। সম্মেলনে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪০টির বেশি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, এফএওর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
সম্মেলনে এ অঞ্চলের বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।
সম্মেলন শেষে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে এফএওর এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এ সম্মেলনের আয়োজক ছিল।
আরও পড়ুন: জিনোম সেন্টারকে কাজে লাগিয়ে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদারে এফএও মহাপরিচালকের গুরুত্বারোপ
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক ড. চু ডংইউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম কর্তৃক জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে ড. চু ডংইউ এসব মন্তব্য করেন।
তিনি দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার আওতায় বাংলাদেশকে সুবিধা গ্রহণ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ার দেশসমূহের সঙ্গে কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
রাষ্ট্রদূত ইসলাম এফএও-এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত এফএও-কে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মহাপরিচালকের গতিশীল নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
৪৫ বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে, কৃষি পরিবেশ, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এফএও-এর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা স্থায়ী প্রতিনিধি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যা কবলিত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করল এফএও
রাষ্ট্রদূত ইসলাম কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২০২৬ এর আলোকে বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য এফএও-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এফএও সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি ‘কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না’ এর ভিত্তিতে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূলে আগামী দিনে বাংলাদেশ এবং এফএও উভয়েই একত্রে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মো. আল আমিন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মিস আয়েশা আক্তার, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. আশফাকুর রহমান এবং এফএও-র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এফএও'র নতুন প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন ড. শি
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে এফএও'র নতুন প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন ড. শি
ড. জিয়াওকুন শি বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নতুন প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেছেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের কাছে পরিচয়পত্র দাখিল করেন তিনি।
উহান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ও ইতিহাসে স্নাতক এবং চীনের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব গভর্নেন্স থেকে আইন বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন চীনের নাগরিক ড. শি।
তিনি ২০১৯ সালে এফএওতে যোগদান করেন এবং ইতালির রোমে অবস্থিত এফএও সদর দপ্তরে ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেলের সিনিয়র কমপ্লায়েন্স অ্যাডভাইজার হিসেবে এবং ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত এফএও আঞ্চলিক দপ্তরে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত
ড. জিয়াওকুন শি ১৯৮৮ সালে চীনের জিয়াংফানে চীন সরকারের জিয়াংফান বিভাগের গবেষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৯৬-২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি চীনের বেইজিং-এ অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিভাগে ডেপুটি ডিরেক্টর অব পার্সোনেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৭-২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি চীনের বেইজিং-এ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জেনারেল ডিভিশনের পরিচালক ছিলেন।
২০০৯ সালে তিনি চীনের জিয়াংজিতে তুজিয়া এবং মিয়াও স্বায়ত্তশাসিত সরকারের ডেপুটি প্রিফেকচার গভর্নর হিসেবে কাজ করেন।
২০১০-২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি চীনের বেইজিং-এ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জেনারেল অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০১৬-২০১৯ সালে ইতালির রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের তিনটি সংস্থায় চীন সরকারের স্থায়ী প্রতিনিধির কার্যালয়ে উপপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন।
এখন থেকে বাংলাদেশে এফএও কর্মসূচির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দেবেন ড. জিয়াওকুন শি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন পাকিস্তান, মিশর, ভ্যাটিকান সিটি ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত
বাহামাসের গভর্নর জেনারেলের কাছে প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
৯ মাস আগে
চট্টগ্রামে বন্যা কবলিত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করল এফএও
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং ২৩টি উপজেলার ৩৩ হাজার ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে চাল ও সবজির প্যাকেজ বিতরণ করেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিভাগে বন্যাকবলিত পরিবারগুলোতে এসব কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ উইং এর যুগ্ম সচিব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়রা।
গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে ভয়াবহ যে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে এফএও। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নে এসব সহায়তা বিতরণ করা হয়।
জাতিসংঘের সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড এবং স্পেশাল ফান্ড ফর ইমার্জেন্সি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটশনের আর্থিক সহায়তায় এফএও পার্বত্য চট্টগ্রামের চারটি জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের ২৩টি উপজেলাতে ৩৩ হাজার ক্ষুদ্র কৃষকের মধ্যে ধান ও সবজি প্যাকেজ বিতরণ করছে।
এসব সহায়তার মধ্যে রয়েছে ধানের বীজ, ১২ ধরনের সবজির বীজ, সার, কোদাল, পানির ঝাঁঝরি এবং বীজ/ধান সংরক্ষণের সাইলো বা ড্রাম।
শনিবার চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া ও বান্দরবান জেলার সদর উপজেলায় বন্যা দুর্গত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য এফএও-কে ধন্যবাদ জানান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, সংকটের সময়ে সহযোগিতাই মুখ্য। আজকের বিতরণ সংকটকালীন সময় থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে এবং আমাদের কৃষক সম্প্রদায়ের
দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এফএও বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিপ্রেসেন্টেটিভ (প্রোগ্রাম) এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর আহাম্মদ খোন্দকার বলেন, ‘এফএও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য নিবেদিত। এই অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের উপস্থিতি সম্মিলিত পদক্ষেপের গুরুত্বকে বোঝায়। ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে এফএও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলাসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জীবিকা পুনরুদ্ধার এবং দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিত করা এই বিতরণের প্রধান উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানটি সরকার, এফএও এবং কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি প্রদর্শন করে।
১০ মাস আগে
বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সঙ্গে চারটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এই চুক্তিগুলো সই করা হয়।
চুক্তি চারটি হলো- টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু দ্যা ডাইভার্সিফাইড রেজিলিয়েন্ট এগ্রিকালচার ফর ইম্প্রোভড ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি প্রজেক্ট (রেইনস-টিএ), একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন (অ্যাক্সেস), জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ সাগর চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে: এফএও
চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে এফএও-এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি আর্নউ হ্যামিলার্স।
৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর।
সর্বমোট ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (জিএএফএসপি) থেকে অর্থায়িত এবং এর তত্ত্বাবধানে আছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।
রেইনস এর কারিগরি সহায়তার বাজেট ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিএএফএসপি থেকে অর্থায়নকৃত একটি অনুদান। এর তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ইফাদ এবং কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে এফএও।
বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও সংকট নিরসন
একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন ( অ্যাক্সেস ) প্রকল্পটি জিএএফএসপি’র অধীনে ৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান পেয়েছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে এফএও এবং উৎপাদক সংস্থাগুলোর একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক- সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি (এসবিকেএস)।
প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারে সহায়তা প্রদান
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা প্রকল্পটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বাজেটে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের মধ্যে জলবায়ু-স্মার্ট, পুষ্টি-সংবেদনশীল কৃষি সম্পর্কে প্রচার করা এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের জীবিকার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: তথ্য সভায় এফএও বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য উপস্থাপন
প্রকল্পটি এফএও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) এর একটি যৌথ উদ্যোগ, যা অর্থায়ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ম্যাকগভর্ন-ডোল ফুড ফর এডুকেশন প্রোগ্রাম এবং সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
ধানী জমির জন্য আঞ্চলিক প্রকল্প
জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা একটি আঞ্চলিক প্রকল্প। এটি বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে বাস্তবায়িত হবে; এবং এর অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বাজেটের এই প্রকল্প একটি নতুন মিশ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সহায়তা করবে। এটি জলবায়ু-সহনশীল ধানী জমি, মূল্য শৃঙ্খল এবং জীবিকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। এশিয়া মহাদেশের ধানী জমির অভিযোজন এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে এটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও সহায়তা করবে।
এফএও’র সহকারী প্রতিনিধি (কর্মসূচি) নূর আহমেদ খন্দকার বলেন, ‘বিশেষ করে পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহনশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতা।’
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
১০ মাস আগে
সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাপী চিনির দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ: এফএও
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, প্রধান সরবরাহকারীদের উৎপাদন হ্রাস, জ্বালানির দাম এবং এল নিনোর প্রভাবের কারণে সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাপী চিনির দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালের পর এই দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এফএও আরও জানিয়েছে, চিনির উৎপাদন কম হওয়ার কারণে সেপ্টেম্বরে চিনির দাম আগস্টের তুলনায় গড়ে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি ছিল। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং এল নিনোর কারণে প্রশান্ত মহাসাগরে শুষ্ক আবহাওয়াও এর জন্য দায়ী।
আরও পড়ুন: খরা, যুদ্ধের মধ্যে ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়: এফএও
এফএও সাব-ইনডেক্স অনুযায়ী, ২০১০ সালের নভেম্বরের পর গত সেপ্টেম্বরে চিনির দাম বৃদ্ধি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। কিন্তু সামগ্রিক এফএও খাদ্য মূল্য সূচকের অন্যান্য খাতে কম নাটকীয় পরিবর্তন দেখা গেছে।
বৈশ্বিকভাবে লেনদেন হওয়া খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্যের মাসিক পরিবর্তনের হিসাব রাখা সূচকটি সেপ্টেম্বরে গড়ে ১২১ দশমিক ৫ পয়েন্ট ছিল, যা আগস্টে ছিল ১২১ দশমিক ৪ পয়েন্ট।
এফএওর মতে, এক বছর আগে সূচকটি বর্তমান মূল্যের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ কম ছিল এবং ২০২২ সালের মার্চে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ কম ছিল।
আরও পড়ুন:কৃষ্ণ সাগর চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে: এফএও
১ বছর আগে
বাংলাদেশে টেকসই খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে ছাদ কৃষি প্রয়োজন: এফএও
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, টেকসই খাদ্য নিশ্চিত করতে এবং খাদ্যের অপচয় কমাতে বাংলাদেশের শহরগুলোতে ছাদে কৃষি প্রয়োজন।
ছাদে বাগান করার গুরুত্বের ওপর জোর দিতে জাতিসংঘের সংস্থা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে ঢাকা ফুড সিস্টেম (ডিএফএস) শীর্ষক একটি প্রকল্পের অধীনে বুধবার একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জেভিয়ার বাউয়ান ভবনের ছাদে ফল ও সবজি চাষের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: বোরোতে ডিজেলে ভর্তুকি দেয়ার বিবেচনা করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
বাউয়ান বলেন, ‘বাড়ির লোকেরা ছাদে কৃষি থেকে পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের সুবিধা পেতে পারে। ছাদে কৃষিও সাধারণভাবে সম্প্রদায় এবং সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারা যা খায় তার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে তারা মানুষকে সাহায্য করতে পারে। এটি এমন একটি লিঙ্ক যা দুর্বল হয়ে গেছে যেহেতু আমরা আমাদের খাদ্যের আউটসোর্সিং শুরু করেছি এবং শিল্পোন্নত উৎপাদনের ওপর এত বেশি নির্ভর করছি।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে প্রায় সাড়ে চার লাখ ছাদে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জায়গা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
ডিএনসিসি’র পরিচালিত ড্রোন থেকে ছবি ব্যবহার করে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে শহরের ওই অংশের মাত্র দুই শতাংশ ছাদেই ছাদ বাগান রয়েছে।
মেয়র আতিকুল বলেন, ‘ডিএনসিসি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় নগরীর বাসিন্দাদের ছাদে কৃষি চালু করতে দশ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স রেয়াতের সম্ভাবনা ঘোষণা করেছে৷ এফএও পরিকল্পিত কর রেয়াত নীতি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশিকা প্রস্তুত করতে শহরের দু’টি করপোরেশনকে সহায়তা করছে।’
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা সিটি করপোরেশনগুলোর জন্য নির্দেশিকাগুলোর একটি সেট তৈরি এবং প্রয়োগ করতে তাদের মতামত প্রদান করে যা কৃষি বাস্তবায়নকারী পরিবারগুলোর সম্পত্তি কর রেয়াতের জন্য যোগ্য কিনা তা নির্ধারণে কর্মকর্তাদের সহায়তা করবে৷
কিংডম অব নেদারল্যান্ডের অর্থায়নে ডিএফএস প্রকল্পটি নগরীর ২০টি ছাদে কৃষি প্রদর্শনী প্লট তৈরি করতে এবং বস্তি এলাকার সাড়ে ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে একটি স্থানীয় সংস্থা প্রশিকার সঙ্গে কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এফএও এবং নেদারল্যান্ডের ওগেনিংজেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ (ডব্লিউইউআর) এর প্রযুক্তিগত সহায়তায় ডিএফএস প্রকল্প বাস্তবায়নের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি
আমনে আবাদ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জিত: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
১ বছর আগে
যুদ্ধ, জলবায়ু বিপর্যয় বহুমুখী খাদ্য সংকট সৃষ্টি করছে: জাতিসংঘ
জাতিসংঘের দুটি খাদ্য সংস্থা সোমবার কঠোর সতর্কতা জারি করে জানিয়েছে, জলবায়ুগত কারণে বিশ্বে খাদ্য সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাবের কারণে তা আরও খারাপ হয়েছে যা জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
রোম-ভিত্তিক দুটি খাদ্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) একটি প্রতিবেদনে এ মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়েছে।
ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে বলেন, দরিদ্রদের ক্ষতি করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট লক্ষাধিক পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আরও পড়ুন: বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণে মাইলফলক
তিনি বলেন,পরিস্থিতি এখন ২০১১ সালের আরব বসন্ত এবং ২০০৭-০৮ সালের খাদ্য মূল্যের সংকটের তুলনায় অনেক খারাপ। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া,পাকিস্তান, পেরু এবং শ্রীলঙ্কায় খাদ্য সংকট রয়েছে।
প্রতিবেদনে আগামী কয়েক মাসে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করে জরুরি মানবিক পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানির দাম ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংস্থাগুলোর যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জলবায়ুগত কারণে সৃষ্ট খরা বা বন্যার কারণে খাদ্য উৎপাদন হ্রাসের পরিস্থিতির মতো অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী মূল্য দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৫৩ কোটি ৫৯ লাখ ছাড়িয়েছে
প্রতিবেদনে ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ সুদান, ইয়েমেন,আফগানিস্তান এবং সোমালিয়া এ ছয়টি দেশকে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির হট স্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ওই দেশগুলোতে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ অনাহার ও মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে।
জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে কঙ্গো, হাইতি, সাহেল অঞ্চল, সুদান এবং সিরিয়া খুব খারাপ অবস্থানে আছে। এছাড়া কেনিয়াও সেই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে।
হট স্পট দেশের তালিকায় আরও রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বেনিন, কেপ ভার্দে, গিনি, ইউক্রেন এবং জিম্বাবুয়ে।
২ বছর আগে