জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং ২৩টি উপজেলার ৩৩ হাজার ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে চাল ও সবজির প্যাকেজ বিতরণ করেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিভাগে বন্যাকবলিত পরিবারগুলোতে এসব কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ উইং এর যুগ্ম সচিব এ.টি.এম সাইফুল ইসলাম, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কৃষি বিভাগ ও স্থানীয়রা।
গত আগস্ট মাসে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে ভয়াবহ যে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে এফএও। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নে এসব সহায়তা বিতরণ করা হয়।
জাতিসংঘের সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স ফান্ড এবং স্পেশাল ফান্ড ফর ইমার্জেন্সি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটশনের আর্থিক সহায়তায় এফএও পার্বত্য চট্টগ্রামের চারটি জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের ২৩টি উপজেলাতে ৩৩ হাজার ক্ষুদ্র কৃষকের মধ্যে ধান ও সবজি প্যাকেজ বিতরণ করছে।
এসব সহায়তার মধ্যে রয়েছে ধানের বীজ, ১২ ধরনের সবজির বীজ, সার, কোদাল, পানির ঝাঁঝরি এবং বীজ/ধান সংরক্ষণের সাইলো বা ড্রাম।
শনিবার চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া ও বান্দরবান জেলার সদর উপজেলায় বন্যা দুর্গত কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র কৃষকদের সহায়তায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য এফএও-কে ধন্যবাদ জানান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, সংকটের সময়ে সহযোগিতাই মুখ্য। আজকের বিতরণ সংকটকালীন সময় থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে এবং আমাদের কৃষক সম্প্রদায়ের
দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এফএও বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট রিপ্রেসেন্টেটিভ (প্রোগ্রাম) এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর আহাম্মদ খোন্দকার বলেন, ‘এফএও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য নিবেদিত। এই অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসের উপস্থিতি সম্মিলিত পদক্ষেপের গুরুত্বকে বোঝায়। ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে এফএও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলাসহ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে জীবিকা পুনরুদ্ধার এবং দুর্যোগ সহনশীলতা নিশ্চিত করা এই বিতরণের প্রধান উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানটি সরকার, এফএও এবং কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে সংহতি প্রদর্শন করে।