বাঞ্ছারামপুর
বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ১৪৪ ধারা জারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌর এলাকায় এ আদেশ কার্যকর থাকবে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আবুল মুনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা। সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু একই স্থানে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন বিরোধী অপর পক্ষ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: রাবিতে দুই বিভাগের ফুটবল খেলায় ‘স্লেজিং’: সংঘর্ষে আহত ১০
এরই মধ্যে সোমবার উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে সম্মেলন বিরোধীপক্ষ সাবেক সাংসদ ও বিএনপি'র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল খালেক ও রফিক শিকদারের সমর্থকদের সঙ্গে অপরপক্ষ কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
এতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয় এবং বেশ কিছু দোকানপাট ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এক পক্ষ সম্মেলন করার বিষয়ে ও অন্য পক্ষ প্রতিহতের বিষয়ে অনড় থাকে। এ অবস্থায় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
গত ২৩ অক্টোবর বাঞ্ছারামপুর, কসবা, আখাউড়া উপজেলা ও পৌর এবং সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এই ৪ উপজেলায়ই বিএনপির একাধিক পক্ষ রয়েছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই এ আদেশ কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।
এই সময় উল্লিখিত স্থানের মধ্যে কোথাও কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এছাড়া জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি, র্যাব ও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
১ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এর চালক ও এক পথচারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) গভীর রাতে উপজেলা সদরের দশদোনা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উপজেলার আইয়ূবপুর গ্রামের মৃত জিলানীর ছেলে মো. নূরে আলম (৩২) এবং নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার দামদরোদী গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে রনি দাস (২৪)।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ মাসে ৫৭৯ জনের মৃত্যু: এসসিআরএফ
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম জানান, দশদোনা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলের চালক নূরে আলম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী রনিকে ধাক্কা দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুরে আলমের। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় রনিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় তিনিও মারা যান।
তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক ভাই নিহত, অপর ভাই আহত
মধুমতি সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২
১ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় বিএনপির এক নেতার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির সমর্থকদের সংঘর্ষে ছাত্রদলের এক নেতার গুলিবিদ্ধ হয়ে শনিবার বিকালে নিহত হয়।
এই ঘটনায় ছয় পুলিশ ও বিএনপির সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন এবং দুই বিএনপি নেতাকে আটক করা হয়েছে।
নিহত নয়ন মিয়া (২২) সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ শাখার সহসভাপতি ও উপজেলার চরশিবপুরের রহমত উল্লাহর ছেলে।
আহতরা হলেন- বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম, পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্তি দে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফজাল হোসেন, বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য তাদের কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: খোকসায় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ সভাপতির ভাই গুলিবিদ্ধ
প্রচারের পর তারা মোল্লা বাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয় নেতা ভিপি সায়েদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে জড়ো হয়।
এসময় ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নেয় এবং সাঈদুজ্জামানকে ঘটনাস্থল থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করলে বিএনপির লোকজন বাধা দেয়।
একপর্যায়ে পুলিশ ও বিএনপি সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি হয়, যার ফলে বিকাল ৪টার দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলে তারা দাবি করেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়ন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আরও কয়েকজন আহত হয় বলে উপজেলার রূপসদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান। আহত ছাত্রদল নেতাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে আসেন।
আরও পড়ুন: বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধ, বারইয়ারহাট পৌর মেয়রসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ
তাকে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
জেলা শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফোজায়েল চৌধুরী দাবি করেন, লিফলেট বিতরণের সময় পুলিশের গুলিতে তাদের সহকর্মী মারা যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির দুই সদস্য রফিকুল ইসলাম ও সাইদুর রহমানকে আটক করেছে বলে জানান তিনি।
ওসি নূরে আলম জানান, সেখানে গেলে বিনা উসকানিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল ছোড়ে।
ওসি দাবি করেন যে তারা পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং পুলিশকে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালাতে বাধ্য করে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝি গুলিবিদ্ধ
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় আমিসহ ছয় পুলিশ আহত, একজন বিএনপি নেতাও আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় বিএনপির দুই সদস্যকে আটক করেছে তারা।’
ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মো. শাহীন।
তিনি আরও বলেন যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় এবং আশেপাশে একটি অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ছিনতাই, ২ পুলিশ গুলিবিদ্ধ
২ বছর আগে
বাঞ্ছারামপুরে স্পিডবোট-ট্রলার সংঘর্ষে নিহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ও ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে উপজেলার মরিচাকান্দির এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নরসিংদীর সদরের সঙ্গীতা এলাকার জুলফু মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া (৪৫) ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদের খুরশিদ মিয়ার ছেলে জুয়েল (৩৫)।
আরও পড়ুন: পদ্মায় স্পিডবোট ডুবি: বোট মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শনিবার রাতে ১২ যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি নরসিংদী থেকে মরিচাকান্দি নৌঘাটে যাচ্ছিল। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলারের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সবাই নিরাপদে তীরে উঠতে পারলেও জুয়েল ও ফরিদ মিয়া গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে জুয়েলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া পথে ও ফরিদ মিয়াকে নরসিংদী নেয়ার পথে মার যান।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর পুলিশসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে স্পিডবোট চালককে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
৩ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার স্রোতে ধসে গেল সেতু
জেলার বাঞ্ছারামপুরে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে ১২ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু ধসে পড়েছে। এতে চার গ্রামের যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
৪ বছর আগে