খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলে দেওয়া হলো কুয়েটের আবাসিক হল
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল থেকে হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। আজ (বুধবার) দুপুরে সিন্ডিকেটের ১০২তম জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার মো. আনিছুর রহমান ভূঞার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি সভার সিদ্ধান্তে মোতাবেক আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা এবং ২ মে আবাসিক হলগুলো খোলার বিষয়ে বলা হয়।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ২ মে এর পরিবর্তে আজ বিকালে খোলা হবে।
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসি মাসুদের পদত্যাগ দাবিতে জাবিতেও অনশন
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল হল খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ এবং ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।
দুই রাত খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়ে ১৫ এপ্রিল ছয়টি ছাত্র হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীরাও হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।
বর্তমানে কুয়েটের সব হলেই শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন।
১০ দিন আগে
আলোচনার মাধ্যমে কুয়েটের সকল সমস্যার সমাধান হবে: ছাত্রকল্যাণ পরিচালক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সকল সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে স্টুডেন্ট ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের সামনে সাধারণ শিক্ষক ও পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) দপ্তরের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র কল্যাণ পরিচালক বলেন, ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা তাদের নিয়ে বসেছি। তারা তাদের সমস্যার জায়গাগুলো আমাদের জানাবে। তাদের সকল সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, সে লক্ষ্যে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। ছাত্ররা আমাদের সন্তানের মতো। তারা কোনো অন্যায় বা ভুল করতে পারে। এমনকি আমরাও ভুলের ঊর্ধ্বে নই। শিক্ষক হিসেবে আমাদের অগ্রাধিকার সব সময় শিক্ষার্থী। তাদের নিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটা ছাত্রের যাতে কোনো সমস্যা না হয় লক্ষ্যে কাজ করার জন্য আমি বদ্ধপরিকর। আমি একটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই-ছাত্রদের কোনো বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে তার সমাধান করা আমার অন্যতম ও প্রধান দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে হলে প্রবেশ আইনের লঙ্ঘন: কুয়েট প্রশাসন
তিনি আরও বলেন, ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। উক্ত বহিষ্কার কিন্তু চূড়ান্ত বহিষ্কার নয়। এখানে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বসবে। যে সকল ছাত্রদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। নিরপরাধ কেউ যেন কোনো প্রকার শাস্তির মুখোমুখি না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
১২ দিন আগে
কুয়েটে সংঘর্ষের দুই মাস পর ২২ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির জেরে সংষর্ষের ঘটনায় ২২ শিক্ষার্থীদের নামে মামলা হয়েছে।
সংঘর্ষের দুই মাস পরে গত বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) হোচেন আলী নামে এক ব্যক্তি খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আমলী আদালতে এই মামলা করেন। মামলার পর খানজাহান আলী থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
তবে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, এ মামলা সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র তারা এখনও পাননি।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এই মামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে কুয়েট-১৯ নামক ফেসবুক পেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি পোস্ট করা হয়। যৌক্তিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টায় প্রশাসন ও তদন্ত কমিটির যোগসাজশেই এই মামলা করা হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্ন রাখা হয় পোস্টে। মামলা দায়েরকারীরা কীভাবে শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানলেন এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, রবিবার (১৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের নামে মামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রবিবার দুপুর ২টায় বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে ঢুকে হলে উঠার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
হলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একাধিক সভা, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি, বিজ্ঞপ্তি জারি ও অভিভাবকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে শিক্ষার্থীদের কুয়েটে না পাঠানোর অনুরোধ জানায়। তবে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই ক্যাম্পসে ঢোকার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রবেশ ঠেকাতে ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় কুয়েট প্রশাসন। এতে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
আজ (রবিবার) দুপুর ২টা থেকেই শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে শিক্ষকরাও সেখানে যান। এরপর দুপক্ষের আলোচনা শেষে আইডি কার্ড যাচাই করে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
২০ দিন আগে
কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিচুর রহমান ভূঁঞা স্বাক্ষিরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় বহিরাগতরাও। এ নিয়ে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর শুক্রবার রাতে কুয়েট প্রশাসনের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের ফটকে তালাও ঝুলিয়ে দেন তারা।
৬৭ দিন আগে
শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চলছে, অভিযোগ কুয়েট ছাত্রলীগের
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে কেন্দ্র রাজনৈতিকভাবে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রলীগ।
শুক্রবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেন ১১ মাস আগে কুয়েট লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পান। যখনই কোনো নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ পান, তখন ছাত্রকল্যাণ কমিটির পক্ষ থেকে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে হলের ফাইনাল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।’
কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান ওই দিন অধ্যাপক সেলিম হোসেনের সঙ্গে দেখা করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিতি হওয়া এবং হলের নানা কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানানোর জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় প্রাধ্যক্ষ নিজ কার্যালয়ে একটি মিটিং নির্ধারণ করেন। ক্লাস শেষ করে পূর্বনির্ধারিত মিটিংয়ে যোগ দিতে শিক্ষার্থীদের আনুমানিক ৪০ মিনিট বিলম্ব হয়। পরে পথে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা হয় এবং তাঁকে বিলম্বের কারণ জানানো হয়। তখন তিনি আমাদের তাঁর কার্যালয়ে আসতে বলেন। এরপর প্রাধ্যক্ষ তাঁর কার্যালয়ে তালা খুললে শিক্ষার্থীরা তাঁর অনুমতি সাপেক্ষে ভেতরে প্রবেশ করে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতা সাদমান নাহিয়ান আরও বলেন, সব শিক্ষার্থীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন সিনিয়রদের ভেতরে বসতে এবং জুনিয়রদের কিছুক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন। সিনিয়রদের সঙ্গে তাঁর শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর তিনি বাইরে অপেক্ষমাণ ছাত্রদের ডেকে ভেতরে আনেন। এ সময় তিনি তাঁদের বলেন, ‘আমার তো আড়াইটায় ল্যাবে কাজ আছে। আমি সন্ধ্যায় হলে গিয়ে তোমাদের সঙ্গে পরিচিত হব।’ এরপর তিনি বিদায় নিয়ে বের হন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাদমান নাহিয়ান আরও বলেন, ‘আমরা জানি না শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর সঠিক কারণ কী। তবে মৃত্যুসনদ অনুসারে জেনেছি, তিনি স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি হলের অভিভাবক। হলসংক্রান্ত কথাগুলোতে তাঁর কাছে পেশ করার জন্যই তো আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের এই দেখা করাটাকেই কেন্দ্র করে একটা পক্ষ আমাদের অপরাধী বানানোর চেষ্টা করছে। তারা শুধু অপরাধী বানানোর চেষ্টাই করছে না, বিবৃতি পর্যন্ত দিচ্ছে। উপাচার্য বরাবর দাবি জানাচ্ছি দেখা করার ফুটেজ দেখেই আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপগণযোগাযোগ ও তথ্য সম্পাদক জামিউর রহমান, সহসম্পাদক আহসানুল আবেদীন, উপপাঠাগার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
এদিকে শুক্রবার সিন্ডিকেট সভা শুরু হওয়ার পর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তাঁরা ছাত্ররাজনীতি বন্ধ না করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।
এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং কুয়েটের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করে যদি দোষী পাওয়া যায় তবে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি কোনোভাবেই বন্ধ না করা, অধ্যাপক সেলিমের পরিবারকে আগামী এক মাসের মধ্যে এক কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া, তাঁর পরিবারের চাকরিযোগ্য অন্তত এক সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী চাকরি দেয়া এবং শিক্ষক সমিতির ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার দাবি প্রত্যাহার করা।
আরও পড়ুন: সাভারে কুয়েটের শিক্ষার্থীসহ ২ জনের লাশ উদ্ধার
১২৪৭ দিন আগে
‘নিকন ফটো কনটেস্ট’ পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের ফাহিম
জাপানের সবচেয়ে পুরাতন এবং সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা পুরস্কার ‘নিকন ফটো কনটেস্ট ২০২০-২১’ জিতেছেন বাংলাদেশের তরুণ ফটোগ্রাফার শাহরিয়ার আমিন ফাহিম। সম্প্রতি বিশেষ ক্যাটাগরি নেক্সট জেনারেশন ক্যাটাগরিতে ‘কারওয়ান বাজার’ শিরোনামের ছবির জন্য এ পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
জানা গেছে, ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা ও ওশেনিয়া মহাদেশের সর্বমোট ১৫০টি দেশের পেশাদার ও অপেশাদার ২৬ হাজার আলোকচিত্রীর পাঠানো ৬৫ হাজারেরও বেশি ছবি থেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয় ৫৪টি ছবি। এরপর চুলচেরা বিশ্লেষণের পর পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয় মাত্র ১২টি ছবি, আবার এই ১২টির মধ্যে শুধুমাত্র দুটি ছবি মনোনয়ন পায় ক্যাটাগরি উইনার তালিকায়। যেখানে স্থান করে নেয় শাহরিয়ার আমিন ফাহিমের ‘কারওয়ান বাজার’ ছবিটি।
আগামী নভেম্বরের শেষ দিনগুলোতে ফাহিমের ছবিসহ ক্যাটাগরি উইওনার ছবিগুলো নিয়ে নিকন নিউইয়র্ক, নিকন লন্ডন আর নিকন টোকিওতে আরও বড় আকারে এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলিক্ট্রিকাল অ্যান্ড ইনেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে স্নাতক পাশ করা শাহরিয়ার আমিন ফাহিম এ বছর গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। সে বর্তমানে সরকারি চাকরির চেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে। তবে পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিকতা করেছেন। দেশ ও বিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ৩০টিরও বেশি পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
অস্ট্রেলিয়ায় সেরা গবেষণা পুরস্কার পেলেন ইবি শিক্ষক
ফটোগ্রাফার শাহরিয়ার আমিন ফাহিম বলেন, ‘কোডিভ-১৯ এর পরবর্তীতে পুরো সময়টাই কেবল কেটেছে মানুষের বিয়োগাত্মক ঘটনা জেনে ও শুনে। প্রথম থেকেই আমি ফটোগ্রাফার হিসেবে উদ্যমী। কারণ এটা আমার ভালোলাগা। তাই ঝুঁকি হলেও আমি করোনার শুরুর পর থেকেই সবধরনের স্ট্রিট ডকুমেন্টারি নিয়ে কাজ এগিয়ে নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এই ছবিটি একজন একনিষ্ঠ এবং সাহসী জীবনের সঞ্জিবনী দর্জির ঘটনা বর্ণনা করে যেখানে ভারি করোনা পরিস্থিতিতেই একদিন কারওয়ান বাজার ভারি বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও, তার অদম্য সৎসাহস তাকে এতটুকুও দমিয়ে রাখতে পারেনি তার জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে। তাই আমার ঘুরে ফিরে মানুষের জীবন ও জীবিকা নিয়ে কাজ করার এক অসাধারণ ডকুমেন্টেশন এখানে ফুটে উঠেছে।’
ফাহিম বলেন, এবারই প্রথম নিকন ফটো কনটেস্ট আলোকচিত্র পুরস্কারে অংশগ্রহণ করেছি। মজার ব্যাপার হলো, প্রথমবারই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো বড় প্রাপ্তি নিয়ে আসবো, সেটা মাথায় কখনো আসেনি। এজন্য আমি আমার পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
শাহরিয়ার আমিন ফাহিম ২০১৮ সালে উইকিপিডিয়ার কনটেস্ট ‘উইকি লাভস মনুমেন্ট’ এ পঞ্চম ও ১৫তম হয়েছে। আবার, ফাহিমের কাজ ন্যাশনাল জিওগ্রাফির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও ফিচার পেয়েছে, তাছাড়া দ্য টেলিগ্রাফ, যুক্তরাজ্য, দ্য ডেইলি মেইল, যুক্তরাজ্যসহ আরও অনেক জায়গায় ফিচার পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী আলোকচিত্রশিল্পীদের জন্য জাপানের ক্যামেরা টেক জায়ান্ট নিকন কর্পোরেশন প্রতি দুই বছর অন্তর আয়োজিত করে আসছে ‘নিকন ফটো কনটেস্ট’। এবারের ২০২০-২১ সালের সিশনে ওপেন ক্যাটাগরিতে থিম ছিল ‘কানেক্ট’ আর নেক্সট জেনারেশন ক্যাটাগরিতে (আন্ডার ২৫) থিম ছিল ‘প্যাশন’।
শাহরিয়ার আমিন ফাহিম প্রথম বাংলাদেশি ফটোগ্রাফার যিনি নিকন ফটো কনটেস্টে কোন ক্যাটাগরি উইনার হয়েছেন, তার উইনিং অ্যাওয়ার্ড এর নাম ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এবং দেশের মাটিতে প্রথমবার নিকন ট্রফি আনতে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র ক্যাটাগরি উইনার ছাড়া নিকন ট্রফি প্রাপ্তি ঘটে না।
১৩১৬ দিন আগে
কুয়েট শিক্ষার্থীদের ৩০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া মওকুফ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ক্যাম্পাস এলাকা সংলগ্ন বিভিন্ন আবাসিক ভবনে ভাড়া থাকেন তাদের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ি ভাড়া ৩০ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে।
১৭৩০ দিন আগে