মদন
নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা
নেত্রকোণার মদনে অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার স্বজনদের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অন্তর মিয়া (১৪) ময়মনসিংহ শেরপুরের বুটকান্দি গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে।
স্বজনদের অভিযোগ, গাবরতলা গ্রামের আনোয়ার আলী (৭০) ও মস্তু মিয়া (৬৫) পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে অন্তর মিয়াকে হত্যা করেছে।
জানা যায়, নিহত অন্তর ও অভিযুক্ত পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দুই পরিবারের মাঝে একাধিক মামলা চলছে।
সোমবার সকালে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জেরে অন্তরের খালা শিপা আক্তার অভিযুক্ত পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এসব কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন অন্তরকে হত্যা করতে পারে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের নিহত ৩
অন্তরের নানা বাবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, 'আমার নাতিকে আনোয়ার আলী ও মস্তু মিয়াসহ কয়েকজন ধাক্কা দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনে ফেলে দেয়। পরে অন্তর অটোরিকশা চার্জের তারে জড়িয়ে মারা যায়। আমি এ ঘটনায় হত্যা মামলা করবো।’
অভিযুক্ত আনোয়ার আলী বলেন, 'অন্তর অটো চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে শুনেছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।'
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কিশোরের লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দাদা-নাতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচি-ভাতিজার মৃত্যু
৩ বছর আগে
নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণার মদনে নিজ বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে নান্দু মীর (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী মেরাজু আক্তার (৪৫)। মেরাজু আক্তার বালালী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে আলমশ্রী গ্রামের নান্দু মীরের সাথে বিয়ে হয় মেরাজু আক্তারের। দীর্ঘদিন আলমশ্রী গ্রামের বসবাস করার পর ১২ বছর আগে বালালী গ্রামে এসে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন।
তাদের সংসার জীবনে সাত বছর বয়সী একটি ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
প্রায় সময়েই স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক কলহে লিপ্ত হতেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে সন্তানদের ঘুম পারিয়ে নিজ ঘরেই স্বামী স্ত্রী শুয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায় নিজ বসতঘরে স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পাশেই স্বামীর লাশ ঝুলছে। পরে তারা মদন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে নেত্রকোণার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ জানান, সকালে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা ডাকাডাকি করলে তাদের শিশু ছেলে দরজা খোলে। এ সময় স্থানীয়রা নান্দু মিয়ার ঝুলন্ত ও তাঁর স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে থাকতে দেখতে পান।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল হক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে সিআইডির তদন্ত দল এসেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার কোন কারণ জানতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
৩ বছর আগে
নেত্রকোনায় চায়ের স্টলে বসা নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২৫
চায়ের স্টলে বসাকে কেন্দ্র করে নেত্রকোনার মদনের প্রত্যন্ত এলাকায় দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও নারীসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন।
৪ বছর আগে