মেজর সিনহা
ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন
সেনাবাহিনীর (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। আগামী ২৭ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষীর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মোট ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্তের প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, চন্দিমা শীল, মাহমুদুল হাসান, জুলিয়ান সেতেরা ও বিআরটিএ’র মোটরযান শাখার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির মামলার অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন ওসি প্রদীপের
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ও বিআরটিএর এক কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ওসি প্রদীপের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহরের সেমিপাকা ঘরগুলো পরিমাপের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। বিআরটিএর কর্মকর্তা আদালতে দুটি গাড়ির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এই পাঁচ জনসহ প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।
গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লেখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: সাবেক ওসি প্রদীপ, লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২ বছর আগে
দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত ওসি ও সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষ্যগ্রহণ সাময়িক স্থগিত করেছেন আদালত।তার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে শুনানি শেষে তা স্থগিত করা হয়। তবে তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলবে।বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে আদালতে মামলার বাদী ও দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: সাবেক ওসি প্রদীপ, লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবনএকই দিনে মামলার আসামি প্রদীপ দাশের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। এজন্য বৃহস্পতিবার সকালে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। তবে, এদিন প্রদীপের আইনজীবী তার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিতের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, ‘গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। গত ১৭ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে, ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। আজ (বৃহস্পতিবার) সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন মামলার বাদী রিয়াজ উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি মামলার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করেছেন। তবে হাইকোর্টে প্রদীপ দাশ এ মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেছিলেন। সেই সূত্র ধরে প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিতের আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন।’প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সমীর দাশগুপ্ত বলেন, প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, সেটা অবৈধ। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। সেটা শুনানির জন্য রয়েছে। তাই সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: খালাস চেয়ে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের আপিলআদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ জুলাই প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সাল থেকে প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য নোটিশ করা হলে একই বছরের জুনে তারা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। এরপর প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন।
২ বছর আগে
রায়ে সন্তুষ্ট নই, তবে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: মেজর সিনহার বোন
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, তবে সন্তুষ্ট নয়। রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্ট হবো।’
কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল সোমবার সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও সাবেক পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন আসামি খালাস পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: সাবেক ওসি প্রদীপ, লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
ছেলে হত্যার রায় শুনতে সিনহার মা নাসিমা আক্তার মেয়ে শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসসহ কক্সবাজারে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘এ রায়ে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বিশেষ করে প্রধান দুই আসামি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত লিয়াকত ও প্রদীপের ফাঁসির রায় হবে এমন প্রত্যাশা ছিল, আজ তা পূরণ হয়েছে। তখনি সন্তুষ্ট হবো রায় যখন কার্যকর হবে। ’তিনি এই মামলায় সিনহার পক্ষে যে সব আইনজীবী লড়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী সংস্থার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে পরিস্কার হয়েছে আইন তার যথাযথ নিয়মে চলছে। আইনে কেউ বাধা হতে পারেনি। কেউ যেন আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার না হন। প্রত্যেকেরই আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার আছে। এই রায়ে তাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘিরে কক্সবাজারে নিরাপত্তা জোরদার
২ বছর আগে
‘প্রদীপের লাথিতে নিস্তেজ হয় সিনহা, লিয়াকত ও দুলালের সক্রিয় ভূমিকা প্রমাণিত’
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার আগে পর্যবেক্ষণ করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।
এসময় বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘আমি মেজর সিনহা হত্যা মামলাটি বিভিন্ন ইস্যু খুঁটিনাটি খোঁজার চেষ্টা করেছি। এতে এপিবিএনের তিন সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। এ তিনজনই প্রথমে সিনহার গাড়িটি আটকানোর পর ছেড়ে দিলেও পুলিশ কি কারণে পুনরায় আটকালেন এবং ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে গুলি করা হয়। এতে প্রমাণিত হয় সিনহা হত্যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলার রায় পড়া শুরুবিচরকের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যের বিবরণীতে চার রাউন্ড গুলি করে লিয়াকত আলী। এছাড়াও লিয়াকতের জবানবন্দিতে ওসি প্রদীপ সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। সিনহার হাতে পিস্তল আছে ভেবে লিয়াকত গুলি করার কথা স্বীকার করেছেন। শেষ পর্যন্ত ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিনহার বামপাশে লাথি মারেন এবং সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান।একইভাবে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের জবানবন্দিতেও লিয়াকত আগে থেকে সিলভার কালারের গাড়ি থামাতে বলেন এবং তাকে সঙ্গে চেকপোস্টে আসেন। পরে দুই হাত উঁচু করে সিনহা সামনের দিকে ঝুঁকে ছিলেন। সে সময় লিয়াকত চার রাউন্ড গুলি করে। প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে বলেন, অনেক কষ্টের পর তোকে পেয়েছি। এরপর বুকের বাম পাশে লাথি মারেন এবং সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান। ওসি প্রদীপের ভয়ে জব্দ তালিকা তৈরি করি। মূলত ওসি প্রদীপ যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমি সেভাবে করেছি। এতে করে হত্যার ঘটনাস্থলে লিয়াকত, নন্দ দুলাল সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও মাইকে ঘোষণা দিয়ে সিনহাকে ডাকাত সন্দেহে গণপিঠুনি দিয়ে হত্যার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আয়াজ ও নিজাম উদ্দিনকে পাঁচ লাখ টাকার দেয়ার কথা থাকলেও ওসি প্রদীপ তা দেয়নি।
এর আগে, দুপুর ২টার দিকে ৯ পুলিশ, তিন এপিবিএন সদস্য ও তিন স্থানীয় বাসিন্দাসহ ১৫ অভিযুক্তকে আদালতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘিরে কক্সবাজারে নিরাপত্তা জোরদারমামলায় অভিযুক্তরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব, বরখাস্ত এপিবিএনের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
২ বছর আগে
সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘিরে কক্সবাজারে নিরাপত্তা জোরদার
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘিরে কক্সবাজার শহরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আদালত চত্বর ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া আদালতের আশপাশে পথচারীদের চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। দেড় বছর ধরে চলা এই মামলার দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১২ জানুয়ারি এ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলার রায় ৩১ জানুয়ারি
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যৈষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ
২ বছর আগে
সিনহাকে হত্যা করতে দেখেছেন ইমাম শহীদুল!
কক্সবাজারের বায়তুল নূর জামে মসজিদের ছাদ থেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে হত্যা করতে দেখেছেন ইমাম শহীদুল ইসলাম। তিনি আদালতকে এ তথ্য জানান। বুধবার সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের চতুর্থ দিনে সাক্ষী হিসেবে তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হয়েছে।
তৃতীয় দফায় বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হবে আগামী ২০, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর। মামলায় আরও ৭৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: ৫ম সাক্ষী হাফেজ আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
আদালত থেকে বেরিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, ঘটনাস্থলের কাছে বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম শহীদুল ইসলামের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ আপাতত শেষ হয়েছে। শহীদুল মসজিদের ছাদ থেকে দেখা পুরো ঘটনা আদালতের কাছে তুলে ধরেছেন। এতে আমরা সন্তুষ্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সকাল ১০ টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হয় দুপুর ২ টার দিকে।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: সাক্ষ্য দিলেন আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজি চালক কামাল
আসামি পক্ষের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, মসজিদের ছাদ থেকে মেরিনড্রাইভ সড়কের দূরত্ব অনেক। মাঝখানে অনেক গাছপালা আছে। এই দূরত্ব থেকে কোন ঘটনা স্পষ্টভাবে দেখা সম্ভব নয়। মূলত অশুভ অপরাধী চক্রের প্ররোচনায় কিছু সাক্ষী মিথ্যা সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
এর আগে সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলা: দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
৩ বছর আগে
সিনহা হত্যা মামলা : ২য় দিনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে রাত ৮ টায় শেষ হয়েছে। মামলার ২য় স্বাক্ষী সিফাতের স্বাক্ষী গ্রহণ চলমান রেখে রাত ৮টায় আদালত মুলতবি করে। বুধবার সকাল থেকে আবার সিফাতের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও তারপর আসামি পক্ষের আইনজীবীদের জেরা চলবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম।
মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়াকে আসামি বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ ও বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকতসহ তিন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জেরা শেষ করার পর বিকালের দিকে দ্বিতীয় স্বাক্ষী সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সোমবার স্বাক্ষগ্রহণের প্রথম দিন শুধুমাত্র বাদী শারমিন শাহরিয়ারের স্বাক্ষগ্রহণ ও ১২ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন। পরে আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেন জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, শারমিন শাহরিয়ারের অসমাপ্ত জেরা সম্পন্ন করে অপর পাঁচ স্বাক্ষীর স্বাক্ষগ্রহণ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় স্বাক্ষী সিফাতের স্বাক্ষগ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয় বলে সরকারি কৌশলী জানান। ২৫ আগস্ট বুধবারও স্বাক্ষগ্রহণ চলবে।
এদিকে সিনহা হত্যা মামলার স্বাক্ষগ্রহণের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০ টায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়। রাত ৮ টার পর তাদের কারাগারে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু, বিলম্বিত করার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষের
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব-১৫। হত্যাকান্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ১৫ জন আসামি কারাগারে রয়েছে। এরমধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলো, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: সিনহা হত্যা: ৩ আসামির জামিন আবেদন খারিজ
৩ বছর আগে
মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
সিনহা হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছে কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
৪ বছর আগে
আদালতে রামু থানার ওসির ক্ষমা প্রার্থনা
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের ভিডিওচিত্র নির্মাণের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় থানা থেকে দুটি জব্দ তালিকা পাঠানোয় আদালতের কাছে নি:শর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের।
৪ বছর আগে