বঙ্গমাতা
বুধবার থেকে শুরু বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল
বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ চূড়ান্ত পর্বের খেলা।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল ৯টায় চূড়ান্ত পর্বের খেলার উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় ময়নমনসিংহ বিভাগের চ্যাম্পিয়ন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বরিশাল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ভোলা সদর উপজেলার ব্যাংকেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকচাপায় ফুটবলার নিহত
অন্যদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় চট্টগ্রাম বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হবে বরিশাল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন পটুয়াখালির বাউফল উপজেলার মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এবারের প্রতিটি টুর্নামেন্টে ৬৫ হাজার ৩৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। উভয় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লাখ ২২ হাজার, ২৬ জন।
ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় শেষে এখানে চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে উভয় টুর্নামেন্টের বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন স্কুলসমূহ চূড়ান্তপর্বের খেলায় অংশ নিচ্ছে।
বিশেষ অতিথি থাকবেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এবং সভাপতিত্ব করবেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
আরও পড়ুন: ফিফা নারী আন্তর্জাতিক ফুটবল: সিঙ্গাপুরকে ৮-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ
স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু রবিবার
৯ মাস আগে
বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের খুব বেশি পুঁথিগত বিদ্যা ছিলনা, কিন্তু তিনি ছিলেন অসীম জ্ঞানের অধিকারী। তার নামে পাঠাগার স্থাপন আমাদের জন্য অনেক আত্মতৃপ্তির ব্যাপার।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পাঠাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রায় ১৩ বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি যখন কারাগারে বন্দি থাকতেন, তখন বঙ্গমাতা তার অনুভূতিগুলো লিখে রাখার জন্য তাকে কাগজ-কলম দিয়ে আসতেন। বঙ্গবন্ধুর লেখা সেই অনুভূতিগুলো তিনটি বই আকারে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।
এই মহিয়সী নারীর বুদ্ধিমত্তার কারণে-ই এসব বই পড়ে বতর্মান প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর চিন্তাচেতনা এবং জাতির সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বঙ্গমাতা পাঠাগার শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয় মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, সব বয়সী মানুষের জন্য এই পাঠাগারটি উন্মুক্ত। সবাই এখানে এসে বই পড়তে পারবে।
এই পাঠাগারটি বুদ্ধিবৃত্তিক আড্ডার স্থল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এলাকার মানুষকে পাঠাগারে আসার জন্য আকৃষ্ট করতে শিক্ষকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ১০ জন মানুষকেও যদি আকৃষ্ট করতে পারেন তাহলে এই পাঠাগার স্থাপন সার্থক হবে। যদিও স্বপ্ন আরও অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
নিরক্ষরদের অক্ষরজ্ঞান দেওয়া ছাড়াও এই পাঠাগার নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে বলে এ সময় তিনি জানান।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছোটবেলার বই পড়ার অভ্যাস বড় হলে সফলতার অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করে।
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য পাঠাগারে কবিতা পাঠ ও গল্প পাঠের আসর আয়োজনেরও পরামর্শ দেন তিনি।
১৩৫টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করা পাঠাগারটিতে পর্যায়ক্রমে আরও বই দেয়া হবে জানিয়ে তিনি পাঠাগারটিকে বই দিয়ে আরও সমৃদ্ধ করতে এলাকার মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম মুকুট, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এফ এম হাসান।
অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করা ১০জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে বঙ্গবন্ধুর লেখা কারাগারের রোজনামচা ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই দুটি উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বাঘা উপজেলায় মোট ৯টি পাঠাগার স্থাপন করার কথা রয়েছে। এ নিয়ে ৬টি পাঠাগারের উদ্বোধন করা হলো। বাকি তিনটির কাজ চলমান রয়েছে, খুব শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানা যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সিউলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
১ বছর আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান জাতির পিতার বিশ্বস্ত জীবনসঙ্গী হিসেবে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের অসামান্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন-পালন করেছেন এবং সন্তানদেরও একই মূল্যবোধে লালন-পালন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই শিক্ষা, আদর্শ ও চেতনা অনুসরণ করে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিউলে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদানের কথা স্মরণ করে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বঙ্গমাতার মহান আত্মত্যাগ ও তার পরিবার, সমাজ ও জাতির প্রতি উৎসর্গ স্মরণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বিকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন।
পরে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ইমরান বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গমাতার মহান অবদানের কথা স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা চিরকাল বাঙালি নারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
মিশনের মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেনও আলোচনায় অংশ নেন এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের অনুপ্রেরণা ও শক্তি দিয়ে স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অন্যান্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
৬ দফা দাবিতে হরতাল সফলের নেপথ্যে ছিলেন বঙ্গমাতা: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
৬ দফা দাবিতে হরতাল সফলের নেপথ্যে ছিলেন বঙ্গমাতা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে সব অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব।
তিনি বলেন, আমার মা ৭ জুন হরতাল (ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির সমর্থনে ১৯৬৬ সালে দেশব্যাপী হরতাল) সফলতার পিছনে অবদান রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে কিভাবে আন্দোলন করতে হয় এবং সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হয় তা তিনি জানতেন।
আরও পড়ুন: খেলাধুলা ও সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে বেসরকারি খাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গমাতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পদক-২০২৩ প্রদানের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে তাদের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় বঙ্গমাতা তার স্বামী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাদের পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে গুলি করে গণহারে হত্যা করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন, তখন বঙ্গমাতা তার রাজনীতি ও তার সংগঠনের (আওয়ামী লীগের) অবস্থা সম্পর্কে তাকে জানাতেন। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের কাছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনাও পৌঁছে দিতেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাড়ি সবসময় পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নজরদারিতে ছিল। আমার মা নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেন এবং গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তাদের (বঙ্গবন্ধুর) নির্দেশ দিতেন।
যখন কিছু নেতা সেই সময়ে আট দফা দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন, তখন ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবির পক্ষে তার মায়ের দৃঢ় অবস্থানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুকে আটকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর প্যারোলে মুক্তির প্রস্তাব গ্রহণ না করে তার মা মামলা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সকল আসামির মুক্তির জন্য দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। আমার মায়ের কি দৃঢ় মনোবল ছিল!
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দারা বঙ্গমাতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং তাকে মামলায় জড়ানোর চেষ্টাও করেছেন। স্বাধীনতা এবং সমস্ত অর্জনে আমার মায়ের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ’
তার বাবা আজীবন সংগ্রাম করেছেন এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য।তিনিও যাতে মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন সেজন্য সকলের কাছে দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন: জনগণই আ. লীগের প্রভু, আর কেউ নয়: বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার মা ও বাবার কাছ থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি তার ভিত্তিতে আমি মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য চারজন বিশিষ্ট নারী ও জাতীয় মহিলা ফুটবল দলকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব পদক-২০২৩ প্রদান করেন।
ওই চার নারী হলেন- রাজনীতিতে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন (মরণোত্তর), শিক্ষায় অনিমা মুক্তি গোমেস, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় নাসিমা জামান ববি এবং গবেষণায় ড. সেঁজুতি সাহা।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা সারাদেশে অসচ্ছল নারীদের সেলাই মেশিন বিতরণ ও আর্থিক অনুদানের উদ্বোধন করেন।
বঙ্গমাতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আর্থিক মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার নারী অনুদান গ্রহণ করছেন।
সংগ্রামে স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা (সংগ্রাম থেকে মুক্তি, বঙ্গমাতা অনুপ্রেরণার উৎস) প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
বঙ্গমাতার গৌরবময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব। এছাড়া বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: চার বছরের মধ্যে চামড়া রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
১ বছর আগে
কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পিরোজপুরের বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর ওপর বহুল প্রতীক্ষিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক হাজার ৪৯৩ মিটার দীর্ঘ সেতুটি খুলনা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী রাজধানীতে তার কার্যালয় থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেতুটির উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কিছু চুক্তির সম্ভাবনা
২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৮৯৪ দশমিক আট কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে।
চীন সরকার সেতু প্রকল্প সহায়তা হিসেবে ৬৫৪ দশমিক ৮০ কোটি এবং বাংলাদেশ সরকার বাকি ২৩৯ দশমিক ৮০ কোটি টাকা দিয়েছে।
সেতুটির কারণে পিরোজপুর ও ঢাকার মধ্যে সড়ক সংযোগ হয়েছে। এটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের মধ্যে সরাসরি সড়ক সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ভারতের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংও বক্তব্য দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সেতুর দুই পাশের সেতুর সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সেতুর পশ্চিম পাড়ে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এবং পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এস এম রেজাউল করিম। পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পূর্ব পাড়ে অন্য এক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী নবনির্মিত সেতুর একটি ডিজিটাল উপস্থাপনা পেশ করেন।
আরও পড়ুন: সহযোগিতার নতুন দ্বার খুলবে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২ বছর আগে
বঙ্গমাতার ত্যাগ ও অকুণ্ঠ সমর্থনেই শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গমাতার নীরব আত্মত্যাগ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও অকুণ্ঠ সমর্থনে শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু, আর বঙ্গবন্ধু থেকে হয়ে উঠেছিলেন জাতির পিতা।’
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজেই লিখেছেন, আমার জীবনের দুটি বৃহৎ অবলম্বন; প্রথমটি হলো- আত্মবিশ্বাস, আর দ্বিতীয়টি হলো- আমার স্ত্রী আকৈশর গৃহিণী।’
বঙ্গমাতার চারিত্রিক দৃঢ়তা সম্পর্কে ড. মোমেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দিনের পর দিন কারাগারে কাটিয়েছেন, তবে ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর পরিবারে বেড়ে ওঠা দৃঢ়চেতা বঙ্গমাতা নিজে যেমন ভেঙ্গে পড়েননি তেমনি বঙ্গবন্ধুকে সাহস যুগিয়েছেন এবং সুপরামর্শ দিয়েছেন।’
বঙ্গমাতার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত না থেকেও তাঁর যে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ছিল তা অনেক প্রাজ্ঞ, বর্ষীয়ান নেতার মধ্যেও খুঁজে পাওয়া যায় কঠিন।” তিনি বলেন, “বঙ্গমাতা কোমল স্নেহে ও কঠোর অনুশাসনে সন্তানদের সুযোগ্য করে গড়ে তুলেছিলেন।’
বঙ্গমাতার চিন্তাধারা অত্যন্ত পরিপক্ক ও দূরদর্শী ছিল উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখনই জেলে যেতেন, তখনই তাঁকে লেখার জন্য বঙ্গমাতা তাগিদ দিতেন, সেই সাথে খাতা পৌঁছে দিতেন। বঙ্গমাতার কারণেই আমরা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর লিখিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজ নামচা’, আর এগুলো এখন আমাদের দেশের অমূল্য সম্পদ।’
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর মনের কথা অকপটে ঘোষণার ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার মূল্যবান পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পথ সুগম করেছে বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিনিয়র উপদেষ্টা কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
স্মরণসভায় বঙ্গমাতার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা আত্মীয়-স্বজনকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন। আত্মীয়-স্বজনকে দেখাশোনা করাসহ সবসময় তাদের খোঁজ খবর তিনি রাখতেন।’
কাজী আকরাম বলেন, ‘বঙ্গমাতা অত্যন্ত অতিথি পরায়ণ ছিলেন এবং তিনি মানুষকে নিজে হাতে রান্না করে খাওয়াতে ভালোবাসতেন। বঙ্গমাতা অনেক রাজনীতিবিদের চেয়েও অনেক দূরদর্শী ছিলেন বলে কাজী আকরাম উদ্দিন উল্লেখ করেন।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম পথ প্রদর্শক ফজিলাতুন্নেছা মুজিব: প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু সৌভাগ্যবান যে তিনি বঙ্গমাতাকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সৌভাগ্যবান, যে তিনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে তার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন। যিনি তাকে দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য অপরিসীম শক্তি জুগিয়েছিলেন।
সোমবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আমার বাবার জন্য সৌভাগ্যের বিষয় যে, তিনি আমার মাকে তার পাশে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন।’
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ বিজেতার হাতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতু ন নেছা মুজিব পদক-২০২২ বিতরণ করেন।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি রোডের ৩২ নম্বর বাসভবনে তার বাবা-মাকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করা হয়েছিল।
তাদের ছেলেকে (বঙ্গবন্ধু) ছোট বেলা থেকেই দেশের জন্য কাজ করার স্বাধীনতা দেয়ার জন্য তার দাদা এবং দাদীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তার দাদা-দাদি কখনোই তাদের ছেলের কাছে কিছু দাবি করেননি।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিন: শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, ‘আমার বাবার পক্ষে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রামে পুরোপুরি নিবেদিত হওয়া সহজ ছিল, কারণ তিনি তাঁর পাশে এমন অসাধারণ জীবনসঙ্গী ও পিতামাতা পেয়েছিলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, মায়ের মতো জীবনসঙ্গী না পেলে বঙ্গবন্ধুর জন্য দেশের জন্য কাজ করা এবং রাজনীতিতে পূর্ণ মনোযোগ দেয়া খুবই কঠিন হতো।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘...যদি তিনি (বঙ্গমাতা) তার স্বামীকে বিভিন্ন দাবির জন্য সব সময় চাপ দিতেন, তাহলে আমার বাবার জন্য এটা (রাজনীতিতে মনোযোগ দেয়া) কঠিন কাজ হতো।’
তিনি বলেন, তার মা কখনোই তার স্বামীর কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য জোরাজুরি করেননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার মায়ের যে কোনও সমস্যাকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করার এবং কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার অস্বাভাবিক মানসিক শক্তি ছিল।
তিনি আরও বলেন, তার মা তাদেরকেও সেভাবেই বড় করেছেন এবং তার সন্তানদের সাহসের সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শিখিয়েছেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তার মা যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সহায়ক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার মা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, যে দেশ স্বাধীন হবে এবং আমার মায়ের এই প্রত্যয় আমার বাবার জন্য খুব সহায়ক ছিল।’
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী
তিনি বলেন, তার মা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বস্ব দিয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৫ আগস্ট, তিনি তার জন্য জীবন ভিক্ষা করেননি। বরং তিনি তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শেখ হাসিনা দেশের নারীদেরকে বঙ্গমাতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে বলেন। যা আমাদের শিক্ষা দেয়, আকাঙ্ক্ষা ও ভোগ-বিলাসই কারও জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, আমি দেশের নারীদের ত্যাগের চেতনা ধারণ করে জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানাব।
বঙ্গমাতার জীবন ও আত্মত্যাগের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে সৈয়দা জেবুন্নেসা হক বলেন, এই সম্মান পেয়ে তিনি গভীরভাবে আলোড়িত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সারাদেশের ২৫০০ অস্বচ্ছল নারীর মাঝে ২০০০ টাকা করে বিতরণ করেন।
এর মধ্যে ১৩ লাখ টাকা বন্যা কবলিত সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে দুস্থ মহিলাদের মধ্যে প্রায় চার হাজার ৫০০টি সুইং মেশিন বিতরণ করেন।
তিনি ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা: আমার মা’- শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
শেখ হাসিনা রাজধানীতে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে একটি মহিলা হোস্টেলও খোলেন।
আরও পড়ুন: দলমত নির্বিশেষে আমি প্রতিটি নাগরিকের প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সোমবার পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক-২০২২ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন-রাজনীতিতে সৈয়দা জেবুন্নেসা হক (সিলেট), অর্থনীতিতে সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ (কুমিল্লা), শিক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য নাসরীন আহমাদ, সমাজসেবায় আছিয়া আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গোপালগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশালতা বৈদ্য (মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার)।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পুরস্কার তুলে দেন।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু সেনা সদস্যের নির্মম হামলায় তিনি বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে শাহাদাত বরণ করেন।
পড়ুন: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পাচ্ছেন ৫ নারী
বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিন: শেখ হাসিনা
২ বছর আগে
বঙ্গমাতার আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিন: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছেন। কেননা তিনি তার দৃঢ়তা, বুদ্ধিমত্তা ও দুরদর্শীতা দিয়ে অবিস্মরণীয় উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন।
রবিবার ‘বঙ্গমাতা এ প্যারাগন অব ওমেন্স লিডারশিপ এন্ড ন্যাশন বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’- এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ সেমিনারে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি জনগণের আস্থা সরকারের সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা অনুর্ধ্ব-১৭ গোল্ডকাপ ফুটবল: উভয় টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন শেরপুর পৌরসভা
শেরপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল অনুর্ধ্ব-১৭ বালক এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল অনুর্ধ্ব-১৭ বালিকা উভয় টুনামেন্টে জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেরপুর পৌরসভা।
রবিবার বিকালে শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় শেরপুর পৌরসভা দলের মেয়েরা ৩-০ গোলে নকলা উপজেলা দলকে এবং ছেলেরা ১-০ গোলে ঝিনাইগাতী উপজেলা দলকে পরাজিত করেছে।
বালকদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলায় শেরপুর পৌরসভা দলের স্ট্রাইকার রকি ইসলাম প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটের মাথায় ফাঁকায় বলে পেয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা দলের জালের বল ঠেলে দিয়ে খেলার একমাত্র গোলটি করেন। পরবর্তীতে উভয় দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করলেও দুই দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় আর কোন গোল না হওয়ায় ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেরপুর পৌরসভার খেলোয়াড়রা।
এর আগে একই মাঠে অনুষ্ঠিত বালিকাদের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে একতরফা খেলে শেরপুর পৌরসভা দল ৩-০ ব্যবধানে নকলা উপজেলা দলকে পরাজিত করে। শেরপুর পৌরসভার পক্ষে মিডফিল্ডার লিমু ২৩ মিনিটে, আক্রমণভাগের রাজুমনি ৩৬ মিনিটে এবং মিডফিল্ডার ভাবনা আক্তার ৪১ মিনিটে গোল ৩টি করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা ফুটবল দলের গোলরক্ষক সাফায়াতের মৃত্যু
২ বছর আগে