বেড়েছে
তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা
বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায় হলেও গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৬২ থেকে ৭১ শতাংশ।
জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি, যা জানুয়ারি শেষ দিকে ছিল ১০০ টাকা।
এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। গতকাল (শুক্রবার) প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে হয়েছে ১২০ টাকা। আজ (শনিবার) খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ফলে মাত্র ২১ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা।
আলামিন হোসেন নামে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী পাবনা থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনে ঢাকায় খুচরা বিক্রি করেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পাবনায় ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে এবং রাজধানীতে খুচরা ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায় কেনা হলেও এখন পাবনায় ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৯০০ টাকায় কিনতে হয়েছে বলে জানান হোসেন।
তিনি আরও বলেন, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ তোলা শেষ পর্যায়ে। প্রায় দেড় মাস আগে এসব পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে, আর এখন কৃষকের পেঁয়াজ শেষের দিকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১২ লাখ টাকার ভারতীয় পেঁয়াজ জব্দ, আটক ৪
ফলে সরবরাহ কমতে শুরু করে এবং চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায় বলে জানান আলামিন।
এখন কৃষকের প্রধান পেঁয়াজ বা হালি পেঁয়াজ যা সারা বছর পাওয়া যায় সেই ফসল তুরতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত বাজারে এ ধরনের বাড়তি দাম থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সহকারী পরিচালক (বাজার তথ্য) নাসির উদ্দিন তালুকদার ইউএনবিকে বলেন, শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি, যা এক মাস আগে ছিল ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। কিন্তু গত বছর এই সময়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
আরও পড়ুন: তিন দিনের ব্যবধানে গাইবান্ধায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ
৮ মাস আগে
১২ কেজি এলপিজির দাম ৪৮ টাকা বেড়েছে
খুচরা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪৮ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৩৯১ টাকা থেকে এক হাজার ৪৩৯ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানান বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল।
নতুন দাম অনুযায়ী, অটো গ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬৩ দশমিক সাত টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৭ দশমিক দুই টাকা করা হয়েছে।
বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি এবং টাকা-ডলারের হার বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন।
এখন প্রতি ডলারের বিনিময় হার ৮৫ দশমিক ২৫ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫ দশমিক সাত টাকা।
বিইআরসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, একইভাবে আমদানিকারকদের ৭ শতাংশ ভ্যাটের বদলে এখন বেশি দামে কিনতে হবে। তাই সামগ্রিক ব্যয় আগের চেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, সৌদি চুক্তির মূল্য বিশ্বব্যাপী প্রতি মেট্রিক টন ৯১১ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার থেকে ৯৫৩ মার্কিন ডলার হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ১৫১ টাকা
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দাম বাড়বে নাকি কমবে, তা বলা কঠিন।
শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এলপিজি শিল্পের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা বলেছেন, সৌদি সিপি সাধারণত প্রতি মাসের শেষে ঘোষণা করা হয় পরের মাসের জন্য এটি কার্যকর করার জন্য এবং দেশে জ্বালানির চালান আসতে ৭-১০ দিন সময় লাগে। বেশিরভাগ বাংলাদেশি প্রাইভেট কোম্পানি সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তাদের বাল্ক এলপিজি আমদানি করে এবং স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করে।
হাইকোর্টের আদেশ মেনে চলার জন্য গণশুনানির পর ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো বিইআরসি খুচরা-স্তরের এলপিজি মূল্য নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৫০ টাকা
বেসরকারি কোম্পানির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমে ৮৪২ টাকা
২ বছর আগে
করোনা পরিস্থিতিতেও দেশে চাল উৎপাদন বেড়েছে
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও দেশে চাল উৎপাদন বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)।
৪ বছর আগে