বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ডের গতি ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে উভয় দেশ।
উভয় পক্ষ দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য কাজে লাগানো হয়নি এমন সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড এই বছর জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
এই উদযাপনের অংশ হিসেবে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন এবং একটি ই-বুক উন্মোচনের অনুষ্ঠান হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং সফররত থাইল্যান্ডের স্থায়ী সচিব-মনোনীত সারুন চারোয়েনসুওয়ান যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকিট এবং ই-বুক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩০
পররাষ্ট্র সচিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পররাষ্ট্র সচিব এবং স্থায়ী সচিব উভয়েই বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। যা গত পাঁচ দশক ধরে বিকাশ লাভ করেছে এবং শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে যে কয়েকটি দেশ স্বাধীনতার খুব প্রথম দিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ১৯৭২ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় থাইল্যান্ড।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬