বিজ্ঞান
সবার উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে লিঙ্গ সমতা জরুরি: গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সবার জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে লিঙ্গ সমতা অপরিহার্য।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ‘বিজ্ঞানে নারী ও মেয়ে’ বিষয়ক আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'দুঃখজনকভাবে, নারী ও মেয়েরা পদ্ধতিগত বাধা ও পক্ষপাতিত্বের মুখোমুখি হচ্ছে যা তাদের বিজ্ঞানে ক্যারিয়ার গড়তে বাধার সম্মুখীন করছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য অথবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনে নারী ও মেয়েদের সমানভাবে অংশগ্রহণ অপরিহার্য। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান যাতে সবার উপকারে আসে তা নিশ্চিত করার এটাই একমাত্র উপায়।’
বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের মাত্র এক তৃতীয়াংশ নারী এবং পুরুষদের তুলনায় তারা কম তহবিল পান, প্রকাশনাগুলোতে কম প্রতিনিধিত্ব করেন এবং প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিনিয়র পদে সংখ্যায় কম অধিষ্ঠিত।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুকে জাতিসংঘের আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতে মহাসচিবের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
কিছু কিছু জায়গায়, নারী ও মেয়েদের শিক্ষার সীমিত বা কোন সুযোগ নেই। গুতেরেস এই পরিস্থিতিকে কেবল সংশ্লিষ্ট সমাজের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং মানবাধিকারের ভয়াবহ লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন,‘লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলার জন্য লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা এবং রোল মডেলদের প্রচার করা দরকার যা মেয়েদের বৈজ্ঞানিক ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত করে। বিজ্ঞানে নারীদের অগ্রগতিকে উৎসাহিত করে এমন প্রোগ্রামগুলো বিকাশ করা এবং নারীদের প্রতিভা লালন করে এমন কাজের পরিবেশ তৈরি করা- বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীদের জন্য।’
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘নারী ও মেয়েরা বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন সময় এসেছে স্বীকৃতি দেওয়ার, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে। প্রতিটি নারী ও মেয়েকে তার সত্যিকারের সম্ভাবনা পূরণ করতে দিন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
১০ মাস আগে
টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে বিশ্বে সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিজ্ঞান সমাবেশে নবম আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যা দিবসের আয়োজনে এক ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যায্য, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোতে নারী ও মেয়েদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। নারীরা যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার বেছে নেয় সেজন্য আমাদের অবশ্যই সঠিক নীতি ও প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে।’
বিজ্ঞানের ক্ষেত্রগুলোতে নারীদের নেতৃত্বে আসা উচিত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে আমাদের নারী বিজ্ঞানীদের কাজের স্বীকৃতি ও প্রণোদনার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সারাদেশে হাজার হাজার নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন করছে।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে নারীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি দেখে আমি আনন্দিত। তরুণীদের আইটি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও প্রতিবন্ধী তরুণদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের জীবন পরিবর্তনের সুযোগ করে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, নারীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতকদের জন্য বিজ্ঞান ও আইসিটি বিষয়ে শিক্ষা নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছি।’
সরকার প্রধান বলেন, অতীতে উচ্চশিক্ষায় বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সন্তোষজনক ছিল না।
তিনি বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষায় নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ নারী, যেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের হার ৩০ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনী অনুদানগুলোতে নারীরা অগ্রাধিকার পান তা আমরা নিশ্চিত করি।‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর ভিশন অনুধাবনের জন্য আমাদের তরুণ মেয়েদের প্রস্তুত হতে হবে।'
আরও পড়ুন: নিয়মিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদের শিক্ষার প্রতি সবসময় নিবেদিত থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, সারা বিশ্বে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের শাখার সব স্তরে বছরের পর বছর ধরে লিঙ্গ বৈষম্য বিরাজ করছে।
উচ্চশিক্ষায় অংশগ্রহণে নারীরা অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখালেও এখনও এই ক্ষেত্রগুলোতে তাদের প্রতিনিধিত্ব পর্যাপ্ত নয়।
বলা হয়ে থাকে, লিঙ্গ সমতা সবসময় জাতিসংঘের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লিঙ্গ সমতা এবং নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন শুধু বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নেই নয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা-এর সমস্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
২০১১ সালের ১৪ মার্চে তাদের ৫৫তম অধিবেশনে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীদের প্রবেশাধিকার এবং অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন গ্রহণ করে নারীর অবস্থাবিষয়ক কমিশন। এছাড়াও এই ক্ষেত্রগুলোতে নারীদের কর্মসংস্থান ও উপযুক্ত কাজের জায়গায় সমান সুযোগের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়।
২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বিষয়ে সাধারণ পরিষদে একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়। সেখানে সব বয়সের নারী ও মেয়েদের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে পূর্ণ ও সমান প্রবেশাধিকার এবং অংশগ্রহণ জেন্ডার সমতা ও নারী ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্যতার বিষয়ে সবাই সম্মত হয়।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
১০ মাস আগে
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গবেষণায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে: তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান যুগে এগিয়ে যেতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং এ লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপকল্প দিয়েছেন। আমাদের যে টেকসই অভীষ্ট রয়েছে সেখানে বিজ্ঞানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বিসিএসআইআর (সায়েন্স ল্যাব) আয়োজিত ‘বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা-২০২৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমাদের শিক্ষানীতির আলোকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কারণ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় আরও বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব।
আরও পড়ুন: আন্তঃজেলা বাস ঢাকার বাইরের আর নগর পরিবহন ঢাকার অভ্যন্তরের টার্মিনাল ব্যবহার করবে: শেখ তাপস
শেখ হাসিনার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় কেউ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেননি মন্তব্য করে তাপস বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এ দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কোনো বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হতো না। কিন্তু ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি এই খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেন।
আজ আমাকে বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান বললেন, শুধু গবেষণায় ৯ কোটি টাকা তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটাও পর্যাপ্ত নয়। আমার বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, এই এলাকার সংসদ সদস্য এবং আমিসহ সবাই মিলে আমরা যদি এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে পারি তাহলে ৯ কোটি ৯০ কোটিতে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, একসময় বিজ্ঞান শিক্ষা পিছিয়ে পড়লেও শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও কর্মক্ষেত্র বাড়ছে। বিজ্ঞান চর্চায় ও বিজ্ঞানে পড়াশোনায় আমাদের শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে এখন আবারও আগ্রহ ফিরে পেয়েছে। আগে আমাদের শিক্ষার্থীরা বড় হলেই ভাবত পড়াশোনার জন্য বিদেশে চলে যাব। এদেশে আমার কর্মের সুযোগ নেই, আমার মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আপনার লক্ষ্য করেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের এই পথচলায় আমাদের অনেক সন্তান বহির্বিশ্বের অনেক সুযোগের হাতাছানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশে ফিরে আসছে। দেশের জন্য দেশপ্রেম ও নিষ্ঠা নিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও গবেষণায় অবারিত সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই তারা দেশে ফিরে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক ভূঁইয়ার মৃত্যুতে তাপসের শোক
সিন্ডিকেট রোধে কোটি মানুষকে টিসিবি কার্ড দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: তাপস
১০ মাস আগে
কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা নয়, রান্নার কাজে এবং খাদ্য ও পানীয়র পাত্র হিসেবে কাঁসা, পিতল ও তামার বাসন ব্যবহার সুস্থ জীবন ধারণের সঙ্গেও সম্পর্কিত।
ধাতব বস্তুগুলোর প্রাচীন মান ও নান্দনিকতার বাইরেও সেগুলোর বিশেষ গুণ হচ্ছে সেগুলোর কাঙ্ক্ষিত তাপ পরিবাহিতা ও দীর্ঘস্থায়ীত্ব। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এমন টেকসই গড়নের নিচে লুকিয়ে থাকা কিছু বৈশিষ্ট্য, যেগুলো প্রাকৃতিকভাবেই আঞ্জাম দিতে পারে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস।
এই বৈশিষ্ট্যগুলোর বৈজ্ঞানিক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন জেনে নেয়া যাক, দৈনন্দিন রান্নার কাজে ও খাবার/পানি পরিবেশনে কাঁসা, পিতল ও তামার পাত্র ব্যবহার কতটুকু বিজ্ঞানসম্মত।
কাঁসার পাত্র ব্যবহারের উপকারিতা
হজম ও বিপাকে কার্যকারিতা
কাঁসার ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য খাদ্যের অম্লতাকে প্রশমিত করে। ফলে পানি বা খাদ্যে থাকা পানির পিএইচের (পটেনশিয়াল অফ হাইড্রোজেন) স্তর উন্নত হয়। এই পিএইচ মূলত পানির দ্রবণে অম্ল বা ক্ষারের উপস্থিতি নির্ণয়ের মাপকাঠি। এভাবে রান্না করা খাবারটি বিশুদ্ধ হয়ে হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
চর্বি কমানো
কাঁসা এমন একটি সংকর ধাতু যাতে যথেষ্ট পরিমাণে তামা থাকে, যেটি চর্বি ভেঙে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি রান্নায় অতিরিক্ত চর্বি ও তেলের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে খাবারের সর্বত্রে সমানভাবে তাপ বিতরণ করে।
ব্যথানাশক ক্ষমতা
কাঁসার ভেতরে থাকা তামা শরীরের সবখানে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। ফলে কালশিটে পড়া পেশি, ব্যথা হওয়া জয়েন্টগুলো এবং এমনকি আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রেও ভালো বোধ হয়।
শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
সারারাত ধরে কাঁসার পাত্রে পানি সংরক্ষণ করা হলে পানিতে একাধিক পুষ্টি যোগ হয়। এই পানি পানের মাধ্যমে শরীরে শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সহায়ক পুষ্টিগুলোর চাহিদা পূরণ হয়।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
কাঁসার পাত্র ব্যবহারে সতর্কতা
পুরনো কাঁসার পাত্রে সীসা বা আর্সেনিক থাকতে পারে, যা রান্নার সময় খাবারে প্রবেশ করতে পারে।
অক্সিডেশন এড়াতে কাঁসা পাত্রগুলো ব্যবহারের পরে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিৎ। এর জন্য কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে। অতঃপর তাতে অল্প ডিটারজেন্ট দিয়ে আলতোভাবে পাত্রটি পরিষ্কার করতে হবে।
পিতলের পাত্র ব্যবহারের উপকারিতা
দ্রুত ক্ষত নিরাময় ও কোষের বৃদ্ধি
পিতল এমন একটি সংকর ধাতু যেখানে যথেষ্ট পরিমাণে দস্তার উপস্থিতি বিদ্যমান। দস্তা প্রদাহ কমাতে, দ্রুত ক্ষত নিরাময়, কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি নিরবচ্ছিন্ন বিপাকের ক্ষেত্রেও সহায়ক। তাই শরীরে দস্তার ঘাটতি থাকলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পাশাপাশি পিতলের তৈজসপত্রে রান্না করা বা খাবার খাওয়া শুরু করা যেতে পারে।
সংক্রমণ প্রতিরোধী
ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবের বিরুদ্ধে পিতল বেশ কার্যকর। অন্যান্য পাত্রের তুলনায় পিতলের পাত্রগুলো খাবারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য উষ্ণ রাখে। ফলে রান্না করা খাদ্য যে কোনো সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকে।
আরও পড়ুন: কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
হজমের জন্য ভালো
অম্লত্ব হ্রাস করার মাধ্যমে গ্যাসট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বিভিন্ন ধরনের হজমের সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তা করে। ফলে পাকস্থলি পরিষ্কার হয়ে পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বাড়ে এবং অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
পিতলের পাত্র ব্যবহারে সতর্কতা
নিয়মিত খাবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাত্রটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। নতুবা উল্টো সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাপ ধরে রাখা এবং বিশুদ্ধ রাখতে রান্না করা খাবার ঠিকভাবে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
হালকা তাপে রান্না বা ফুটানো যে কোনো রান্নার জন্যই পিতল একটি আদর্শ ধাতু। তবে অতিরিক্ত ভাজার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা তেল গরম হওয়ার জন্য অধিক তাপের প্রয়োজন হয়, যা টিনের আস্তরণকে প্রভাবিত করতে পারে। পরবর্তীতে এতে সংরক্ষণকৃত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাটার মিল্ক, লাচ্ছি, জ্যাম, সস, আচার, দুধ, পনির ও দই জাতীয় খাবার এবং জ্যুস তামা বা পিতলের পাত্রে সংরক্ষণ করা উচিৎ নয়।
আরও পড়ুন: ব্লু জোন রহস্য: রোগহীন দীর্ঘজীবী সম্প্রদায়ের খোঁজে
তামার পাত্র ব্যবহারের উপকারিতা
ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী
খাবার পানি সরবরাহের পাইপ এবং গৃহস্থালির কলগুলো সাধারণত তামা দিয়ে তৈরি করা হয়। কারণ তামায় রয়েছে জীবাণু প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য। তামার পাত্রে জমা পানি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ই. কোলাই নির্মূল করতে পারে। এছাড়া সালমোনেলা, টাইফাস, শিগেলা এসপিপি, কলেরা, এন্টেরোভাইরাস এবং হেপাটাইটিস এ-এর মতো ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও এটি বেশ কার্যকর।
থাইরয়েডের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে
থাইরয়েড গ্রন্থির সঠিক কার্যকারিতা নির্ভর করে শরীরে থাকা তামার পরিমাণের ওপর। তামার ঘাটতি থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা হতে পারে। তামার পাত্রে পানি খাওয়া বা সংরক্ষণ করা এই ঝুঁকি দূর করতে পারে।
আর্থ্রাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করে
কাঁসার মতো তামারও রয়েছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য জয়েন্টের ব্যথা উপশমের জন্য সহায়ক। বিশেষত এর প্লেকটিং বৈশিষ্ট্যটি শরীরের জয়েন্টের ব্যথা এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিস সৃষ্ট প্রদাহ দ্রুত সারাতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০ কফি
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধকারী
রক্তাল্পতা প্রতিরোধে তামার ওষুধি ক্ষমতা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। তামার পাত্রে সংরক্ষিত পানি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি হার্টে রক্ত প্রবাহ বাড়ানোর জন্য রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করার পাশাপাশি নালীর প্রাচীরে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে।
ক্ষত নিরাময়কারী
তামার পেপটাইড সেরা নিরাময় এজেন্টদের মধ্যে একটি। ক্ষত এবং ত্বকের ক্ষতির চিকিৎসার জন্য এমন অনেক চিকিৎসা পণ্য আছে যেগুলোর মূল উপাদান এই তামা পেপটাইড। এটি সাধারণত কোলাজ উৎপাদনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কোলাজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যত বেশি সক্রিয় হবে, শরীরের যে কোনো ক্ষত তত দ্রুত সেরে উঠবে।
ক্যান্সার কোষ ধ্বংস
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর আরও বড় একটি গুণ হচ্ছে- এগুলো যাবতীয় ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এই ফ্রি র্যাডিক্যালগুলো মূলত মানবদেহে ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
আরও পড়ুন: কিডনি পরিশোধনকারী ১০টি ভেষজ চা
ত্বক ও চোখের যত্ন
মেলানিন তৈরিতে তামার গুরুত্ব অপরিসীম। এই মেলানিন মানবদেহের ত্বক এবং চোখের উজ্জ্বল রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি সূর্যের ক্ষতিকারক অতি-বেগুনি (ইউভি) রশ্মি থেকেও রক্ষা করে ত্বক ও চোখকে।
গর্ভবতী মায়ের জন্য সহায়ক
আরবিসি (রেড ব্লাড সেল বা লোহিত রক্ত কণিকা) উৎপাদনের জন্য যথোপযুক্ত কাঁচামালের যোগান দেয় তামা। এটি আরবিসির উৎপাদন বাড়িয়ে টিস্যুর মেরামত এবং শর্করা হজম করতে সাহায্য করে। এই সুবিধাগুলোর প্রতিটিই প্রয়োজন গর্ভবতী মায়েদের জন্য। তামা সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় গর্ভের সন্তানের হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী, কঙ্কাল এবং স্নায়ুতন্ত্র গঠনে।
তামার পাত্র ব্যবহারে সতর্কতা
তামার অ্যালার্জি থাকা খুব একটা দেখা যায় না। এরপরেও তামাতে যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের এই ধাতু থেকে দূরে থাকতে হবে। এই ধরনের তৈজসপত্র ব্যবহার বা তা থেকে পানি পান করলে ফুসকুড়ি বা চুলকানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
সাধারণত এই ধাতুর পাত্র থেকে বারবার পানি পান করলে তামার বিষাক্ততা ছড়াতে পারে। ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঝুঁকি থাকে বমি বমি ভাব, বমি, পেট ব্যথা এবং ডায়রিয়ার। শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে তামার চাহিদা পূরনের জন্য দিনে দুইবার (সকাল এবং সন্ধ্যা) তামার বোতলে জমা পানি পান করাই যথেষ্ট।
পিতল ও কাঁসার মতো তামার ক্ষেত্রেও ব্যবহারের পর নিয়মিত পাত্র পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। থালা সাবান বা লেবু এবং লবণ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী উপায়েই তৈজসপত্র পরিষ্কার করা যেতে পারে।
সংগ্রহ বা ক্রয়ের সময় কাঁসা, পিতল ও তামা প্রতিটির ক্ষেত্রেই ধাতুটি খাঁটি কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে। পানি বোতলে ভরে সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজে রাখা যাবে না।
শেষাংশ
বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ এই তত্ত্ব-উপাত্তগুলো উপযুক্তভাবে ন্যায্যাতা দান করে কাঁসা, পিতল ও তামার পাত্রের ব্যবহারকে। বর্তমান সময়ে রান্নার কাজে ব্যবহার্য সামগ্রীর যে কোনোটির তুলনায় এগুলো অধিক স্বাস্থ্যকর। নিদেনপক্ষে এখন যেখানে জীবাণুবাহী রোগগুলোর দৌরাত্ম্য দিনকে দিন বেড়েই চলেছে, সেখানে আধুনিক তৈজসপত্রগুলোর ওপর এই জীবাণু বিরোধী ধাতুগুলোর প্রাধান্য থাকবে।
তবে রান্নার কাজে ও খাবার/পানি পরিবেশনের জন্য কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ক্রয়ের পূর্বে ধাতুগুলোর বিশুদ্ধতা যাচাই করে নেওয়া অত্যাবশ্যক। অতঃপর ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকিগুলো এড়ানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: প্যাকেটজাত আলুর চিপস কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর?
১০ মাস আগে
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং: ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্লাস-পরীক্ষা বহিষ্কারসহ ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
র্যাগিংয়ের ধরন অনুযায়ী শাস্তি হিসেবে মার্কেটিং বিভাগের ২২তম ব্যাচের ২ জনকে ২ সেমিস্টার (১ বছর) করে এবং ৪ জনকে ১ সেমিস্টার (৬ মাস) করে ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মৌখিক নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে আরও ৩ শিক্ষার্থীকে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ শাস্তির কথা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসসহ আবাসিক ছাত্রাবাস এলাকায় ২৪ আগস্ট র্যাগিংয়ের অজুহাতে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন হয়রারির শিকার শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি তদন্ত করে প্রমাণ পান সংশ্লিষ্টরা।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. প্রফেসর মামুনুর রশীদ।
আরও পড়ুন: ১০ দফা দাবিতে হাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান
হাবিপ্রবিতে দেশের প্রথম ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু
১ বছর আগে
হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের মতভেদ দূরে সরিয়ে রেখে বিজ্ঞান, দর্শন, চিকিৎসা এবং জ্ঞানচর্চার অন্যান্য ক্ষেত্রে ইসলামি বিশ্বের গৌরবময় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ মুসলিমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সম্পদের অধিকারী। বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে এই সম্পদ ব্যবহার করে আমরা আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারি। আমি এটা বিশ্বাস করি।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) এর ক্যাম্পাসে আয়োজিত ৩৫তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, আইইউটির চ্যান্সেলর এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম ত্বহা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামের স্বর্ণযুগে মুসলিম পণ্ডিতরা বিজ্ঞান, ইতিহাস, সাহিত্য, দর্শন, রসায়ন, গণিত, চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূগোলসহ আরও অনেক শাখায় সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছিলেন। এছাড়া সে যুগের মুসলিম পণ্ডিতরা সংস্কৃতি, জ্ঞান আহরণ, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং সমসাময়িক সাহিত্যে বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সময়ের গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী মুসলমানদের পতনের কারণ বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির অভাব, জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের অভাব।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য অনেক বিষয় মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত পতনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে, আমি মনে করি আমাদের মুসলিম উম্মাহকে মতভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: শান্তি বিঘ্নিত করতে অশুভ শক্তি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে মুসলিম দেশগুলোকে বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও বিজ্ঞানে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক যুগে মুসলিমরা মাত্র তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এটাই এই আধুনিক যুগে গবেষণা, প্রযুক্তি ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে মুসলিম উম্মাহর অবদানের প্রকৃত চিত্র।
তিনি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরও জোরালো প্রচেষ্টা দরকার, যাতে তারা আরও বেশি অবদান রাখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এবং অন্যান্য খাতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে উদ্ভূত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মুসলিম সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি কামনা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
আরও বেশি সংখ্যক নারীকে বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরও বেশি সংখ্যক নারী ও মেয়েদের বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিতে সবার মানসিকতা পরিবর্তনে এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বব্যাপী মাত্র ১২ শতাংশ নারী বিজ্ঞানী এবং ২০ শতাংশ নারী গবেষকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমাদের অবশ্যই মানসিকতা এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলা করার জন্য কাজ করতে হবে, যাতে আরও বেশি নারী ও মেয়েরা বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে পারে।’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সমাবেশে অষ্টম আন্তর্জাতিক নারী ও বালিকা দিবসে প্রদর্শিত এক ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা সেই নারী ও মেয়েদের নিয়ে গৌরব করি যারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
শেখ হাসিনা নারী ও মেয়েদের নিজেদের পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ নারী ও মেয়েদের মনে রাখতে হবে যে তারা একা নন। তারা যে পদক্ষেপগুলো নেয়, তা তাদের সারা বিশ্বের বোনদের জন্য আরও দুয়ার (সুযোগ) উন্মুক্ত করতে সাহায্য করবে।’
তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের নারী ও মেয়েদের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টিকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি। গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের নারীরা খুব ভালো করছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি- সব ক্ষেত্রে গবেষণা করার জন্য মেয়েদের বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেয়েদের উত্সাহিত করার জন্য সারা বাংলাদেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ছেলে ও মেয়েদের জন্য সারা দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। হাই-টেক পার্কগুলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে দেশের ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরাও উন্নতি করতে পারে।
শেখ হাসিনা বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনাপূর্ণ নারী ও মেয়েদের দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাদের জন্য থাকা সুযোগের অসামঞ্জস্যতাগুলো অবশ্যই আমাদের পূরণ করতে হবে। আমরা চাই আমাদের মেয়েরা স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অংশগ্রহণ করুক।’
প্রধানমন্ত্রী এই আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যাশিশু দিবসে সকল নারী ও মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট (আরএএসআইটি) এবং সহ-সংগঠক সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করেছে।
এবারের সমাবেশের প্রতিপাদ্য হল- ‘ইনোভেট. ডিমোন্সস্ট্রেট. এলেভেট. এডভান্স. (আই.ডি.ই.এ.) টু ব্রিং কমিউনিটিস ফরওয়ার্ড ফর সাসটেইনেবল এন্ড ইকুইটেবল ডেভেলপমেন্ট।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ না পাওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষায় সন্তুষ্টজনক ফলাফল (জিপিএ-৫) না পাওয়ায় সোমবার বিকালে এক পরীক্ষার্থী স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিহত প্রমা দত্ত নিঝুম (১৬) বাঁশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নির্মল চন্দ্রের মেয়ে এবং সে স্থানীয় খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলে প্রমা দত্ত নিঝুম বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.৬৭ পায়। কাঙ্খিত ফলাফল না হওয়ায় সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। পরে বিকালের দিকে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে ঘরে থাকা স্যাভলন খেয়ে মারাত্নক অসুস্থ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
পরে পরিবারের লোকজন খোঁজ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
গফরগাঁও পৌরসভার স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলফাজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখনও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে প্রবাসী স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে স্ত্রীর আত্মহত্যা
প্রাইভেট না পড়ায় ফেল করানোর অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা
২ বছর আগে
দেশের প্রথম ‘ক্যাশ লেস’ ক্যাম্পাস হবে হাজী দানেশ: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম ক্যাশলেস ক্যাম্পাসে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
রবিবার দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর যুব প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলার ‘ক্যাশলেস ইকোনমি’ লেটস টক শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এতে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, আমার দেশ, আমার গ্রামের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাদেকা হাসান সেজুতি, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন তানজিবা রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাহশ মোস্তাফিজ। এছাড়া নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও তরুণদের এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জনের বেশি তরুণ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পড়ুন-প্রথম অপারেটর হিসেবে ফোরজি স্পেকট্রাম চালু করল বাংলালিংক
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের স্বাগত বক্তব্যের পরে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
পরে জুনইদ আহমেদ পলক তার বক্তব্যে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চায়। ক্যাশলেস ইকোনমি হল ভিশন বাস্তবায়িত করার হাতিয়ার।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের নির্দেশনায়, আমরা একটি আন্তঃপরিচালনাযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ তৈরি করছি। এটা দেশে নগদবিহীন অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করবে।
সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, দেশ জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ উপভোগ করছে। এটাকে কাজে লাগাতে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণই নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির হাতিয়ার।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে অফশোর ক্যাম্পাস স্থাপনের আহ্বান পলকের
দেশের জনশক্তি সম্পর্কে নিজের উচ্চাকাঙ্খী দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ একটি নগদবিহীন অর্থনীতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে দেশের উত্তরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আমরা একটি নতুন সীমান্তের দ্বারপ্রান্তে আছি এবং আমাদের এই নতুন সীমান্তকে আলিঙ্গন করতে হবে।’
উদ্যোক্তা ও ইভেন্টের প্যানেলিস্ট সাদেকা সেজুতি বলেন, ২০০৮/০৯ সালে বাংলাদেশে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল না ও ই-কমার্সও ছিল না। ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়িত হওয়ার সাথে সাথে, দেশে এখন জাতীয় পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম রয়েছে যা বিকাশমান মোবাইল আর্থিক সেবাগুলোকে অনুঘটক করেছে।
তিনি বলেন, নগদবিহীন অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে, আমাদের গ্রামীণ কৃষকদের নগদহীন লেনদেনের সাথে একীভূত করতে হবে যেখানে একজন কৃষক নগদবিহীন উপায়ে উপার্জন করতে, ব্যয় করতে ও সঞ্চয় করতে সক্ষম হবেন।
ফ্রিল্যান্সার ও প্যানেলিস্ট তানজিবা রহমান বলেন, আমরা ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক সময় ও ঝামেলা বাঁচাতে পারি। বিনিময়ে, সেই সময়ের মধ্যে, আমরা খুব সামান্য পরিমাণ সার্ভিস চার্জ দিতে পারি। যাইহোক, যদি আমরা এখনও চার্জ দিতে না চাই, তাহলে আমাদের ডিজিটাল থেকে ডিজিটাল লেনদেনকে অবলম্বন করতে হবে যাতে, আমাদের মোবাইল ব্যাংকিং-এ ক্যাশ আউট চার্জ দিতে না হয়।
আরও পড়ুন- কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে কম দামে আইফোন-১৪ পাওয়া যাবে?
২ বছর আগে
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ‘এ’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২ থেকে ১টা পর্যন্ত চারটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ইবিসহ দেশের ২২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৩৪৭ জন। তবে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
এসময় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভার:) এইচ.এম.আলী হাসানসহ পরিদর্শন টিমের সদস্যরা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পড়ুন: ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ১ আগস্ট
ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত
২ বছর আগে