সিটিটিসি
ঢাকার তুরাগ থেকে হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্য গ্রেপ্তার
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এর আগে গত অক্টোবরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠনটির মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর ইমতিয়াজ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি।
হিযবুত তাহরীরের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর গ্রেপ্তার
৪ সপ্তাহ আগে
মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালাচ্ছে সিটিটিসি
মৌলভীবাজারের পূর্ব তাকতিউলিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে‘অপারেশন হিলসাইড’ নামে এ অভিযান শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন চলমান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট শনিবার সকালে গোপন আস্তানা থেকে উদ্ভূত সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে এই অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
১ বছর আগে
জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসারের নায়েবে আমির গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বলছে, ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার নায়েব-ই-আমিরকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিটিটিসি ইউনিটের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অভিযান চালিয়ে মহিবুল্লাহকে দু’টি মোবাইল ফোন সেট ও একটি ল্যাপটপসহ গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে ১৬ বছর পর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
বুধবার সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার জঙ্গির নাম মহিবুল্লাহ ওরফে ভোলার শায়েখ।
ব্রিফিংকালে আসাদুজ্জামান বলেন, মহিবুল্লাহ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পার্বত্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার পর খুতবা দিতেন এবং উদ্বুদ্ধ করতেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ধর্মীয় শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা করার পর নতুন নিয়োগকারীদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে ‘জিহাদের’ জন্য প্রস্তুত করাই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য।
কিছুদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে থাকার পর মহিবুল্লাহ ঢাকায় ফিরে আসেন এবং এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ জোরদারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মহিবুল্লাহ ঢাকা, সিলেট ও কিশোরগঞ্জে তৎপরতা জোরদার করতে জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন।
তিনি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীর মাদ্রাসায়ও যেতেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
হাটহাজারীর একটি মাদ্রাসার ছাত্রাবস্থায় মহিবুল্লাহ নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদ বাংলাদেশের (হুজি-বি) একজন সক্রিয় সদস্যও ছিলেন। তিনি হুজি-বি-এর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও ‘জিহাদি প্রশিক্ষণ’ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যাসহ ১০ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
সিরাজগঞ্জে ফেনসিডিল জব্দ, ৪ ‘মাদক ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার: র্যাব
১ বছর আগে
ঢাকায় ৫ ‘হুজি জঙ্গি’, ১ ‘আল কায়েদা সদস্য’ গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামির (হুজি) সন্দেহভাজন পাঁচ সদস্য এবং আল কায়েদার একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাছ থেকে নয়টি মোবাইল ফোন সেট জব্দ করেছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- ফখরুল ইসলাম (৫৮), সাইফুল ইসলাম (২৪), সুরুজ্জামান (৪৫), আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬), দীন ইসলাম(২৫) ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন(৪৬)।
ফখরুল গাজীপুরের তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে পাকিস্তানে যান। সেখানে তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আল-কায়েদা কমান্ডার মুফতি জাকির হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন।
পরে ফখরুল মুফতি জাকিরের সঙ্গে বেশ কয়েকবার আফগানিস্তানে গিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন বলে জানান তিনি।
প্রশিক্ষণে ফখরুল একে-৪৭, এলএমজি, রকেট লঞ্চারসহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শিখেছেন।
এরপর তিনি আল-কায়েদা নেতা মোল্লা ওমর এবং ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানান সিটিটিসি প্রধান।
আফগানিস্তানে জিহাদি প্রশিক্ষণ শেষ করে তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ফিরে আসেন। করাচি থেকে তিনি ১৯৯৫ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে যান এবং সেখানে প্রায় তিন বছর থাকার পর করাচিতে ফিরে আসেন। ১৯৯৮ সালে ফখরুল বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
এছাড়া হাফেজ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে একটি সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ চালাতেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।
মো. আসাদুজ্জামান ব্রিফিংয়ে বলেন, তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেলও তৈরি করেছেন যেখানে তিনি অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বোমা তৈরির ম্যানুয়াল এবং ভিডিও সহ চরমপন্থা-উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু শেয়ার করেছেন।
গ্রেপ্তাকৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
জামায়াতের আমির জানতেন তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য: সিটিটিসি প্রধান
১ বছর আগে
রাজধানীতে আল কায়েদা অনুপ্রাণিত ৬ জঙ্গি গ্রেপ্তার: সিটিটিসি
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা থেকে অনুপ্রাণিত সন্দেহভাজন ছয় জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সোমবার সিটিটিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটককৃতরা হলেন- আব্দুর রব(২৮), মো. সাকিব(২৩), মো. শামীম হোসেন(১৮), মো. নাদিম শেখ(১৯), মো. আবছার(২০) ও মো. সাঈদ উদ্দিন(১৮)।
রবিবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, চট্টগাম ও টেকনাফ টেকনাফে সিটিটিসির নগর গোয়েন্দা বিশ্লেষণ বিভাগের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আরও পড়ুন: জামায়াতের আমির জানতেন তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য: সিটিটিসি প্রধান
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানায়, তারা সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন ভিত্তিক অ্যাপে যোগাযোগ করে গ্যাং গঠন করত। তারা স্থানীয় সহযোগীদের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে জিহাদ শুরু করার জন্য টেকনাফে অবস্থান করছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আটক আব্দুর রব এখানকার একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়ার পর ২০১৯ সালের জুনে সৌদি-আরবে চলে যান। সৌদি আরবে অবস্থানকালে তিনি অনলাইনে বিভিন্ন জিহাদি পোস্ট ও ভিডিও দেখে জিহাদে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত হন।
এতে আরও বলা হয়েছে, রব একজন সমন্বয়ক হিসাবে কাজ করতেন এবং শরিয়া ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন, জিহাদ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতে সবাইকে অনলাইনে একত্রিত করতেন। পরে, তারা বিদেশে বসবাসকারী একজন বাংলাদেশীর সঙ্গে পরিচিত হন এবং অডিও-ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে ওই সদস্য লিবিয়ায় থাকা আরেক বাংলাদেশি এবং টেকনাফের স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন। যৌথ আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় যে, আব্দুর রব, শামীম, সাকিব, নাদিম, সাঈদ এবং অন্যান্য যারা হিজরত করতে ইচ্ছুক তারা প্রথমে টেকনাফে যাবেন এবং বাংলাদেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ করতে তাদের স্থানীয় সহযোগীদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
গত বছরের ২২ নভেম্বর আব্দুর রব দেশে এসে পরিকল্পনা ও পরামর্শের জন্য একটি বাসা ভাড়া নেন।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর মূল পরিকল্পনাকারী শনাক্ত: সিটিটিসি প্রধান
১ বছর আগে
জামায়াতের আমির জানতেন তার ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য: সিটিটিসি প্রধান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান নতুন গঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সঙ্গে তার ছেলে ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহর জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান এ দাবি করেছেন।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, জামায়াতের আমির জানতেন যে তার ছেলে জঙ্গিবাদে জড়িত। ‘কিন্তু তিনি নীরব ছিলেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ তথ্য জানাননি।’
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ জঙ্গিবাদে জড়ানোর পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়, পরিবার আবেদন করে, তাহলে বিবেচনা করা যেতো। কিন্তু তিনি (শফিকুর রহমান) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে না জানিয়ে পুরো বিষয়টি গোপন করেছিলেন।’
গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাতসহ তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: হাজিগঞ্জে ১১ নারী ‘জামায়াত কর্মী’ আটক
রাফাত আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিলেন এবং তাদের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যোগ দেয়ার জন্য কিছু সমর্থক সংগ্রহ করেছিলেন।
সিটিটিসি প্রধান দাবি করেছেন, সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে আসা একদল যুবক রাফাতের নেতৃত্বে বান্দরবানে যায়, সেখান থেকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সঙ্গে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটে যায়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গিবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, জামায়াত প্রধানের দ্বারা নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে সমর্থন ও অর্থায়ন করার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
এদিকে ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান আজ (বৃহস্পতিবার) বলেন, ‘এখনও বলার সময় আসেনি। তারা এখনও দেশ থেকে পালাতে পারেনি।’
আরও পড়ুন: নতুন জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দিচ্ছেন জামায়াতের আমীর: ডিএমপি কমিশনার
রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
১ বছর আগে
জামায়াতের আমির নতুন জঙ্গি সংগঠন তৈরিতে জড়িত: সিটিটিসি প্রধান
ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা.শফিকুর রহমান নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ার কর্মীদের বান্দরবানে প্রশিক্ষণ নিতে এবং খরচ বহন করার জন্য সরাসরি সহায়তা প্রদানে জড়িত ছিলেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আসাদুজ্জামান বলেন, গত ৯ নভেম্বর নগরীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাতকে তার এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
তিনি বলেন, রাফাতকে গ্রেপ্তারের আগে সিটিটিসি ইউনিট রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার তিন সদস্যকে প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটের দিকে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির পর তারা রাফাত ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে।
রাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এখন নতুন জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাফাত আনসার আল ইসলামের সদস্য ছিল এবং জঙ্গি গোষ্ঠী থেকে কিছু সমর্থক সংগ্রহ করেছিল তাদের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়ায় যোগ দেয়ার জন্য। রাফাতের নেতৃত্বে একদল যুবক, যারা সম্প্রতি বাড়ি ছেড়েছে, তারা বান্দরবান গিয়েছিল সেখান থেকে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সঙ্গে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য সিলেটে গিয়েছিল।’
আসাদুজ্জামান বলেন, জামায়াতের আমির সম্প্রতি বাড়ি ছেড়ে যাওয়া তরুণদের পার্বত্য এলাকায় প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো এবং তাদের খরচ বহন করার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এছাড়া এ ঘটনায় শাকির নামে এক চিকিৎসককেও আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের সিটিটিসি ইউনিট।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন:জামায়াত আমির ডা. শফিকুর গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর গ্রেপ্তার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করলেও জামায়াতের আমিরকে গ্রেপ্তার ও অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ৩ আলোকচিত্র সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক ২
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাসুম এক বিবৃতিতে দাবি করেন, রাজধানীর তার বাসা থেকে রাত ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া তিনি গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এটিএম মাসুম আরও জানান, এ ধরনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার দেশে চলমান রাজনৈতিক বিক্ষোভ থামাতে পারবে না। ভয়ভীতি সৃষ্টি, হামলা ও মামলা দিয়ে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
মাসুম অবিলম্বে শফিকুরসহ গ্রেপ্তার জামায়াত নেতাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
১১ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর আমির ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেন, যা মূলত বিএনপির দাবির সঙ্গে মিলে যায় এবং বিএনপির ঘোষণার ঠিক পরেই ২৪ ডিসেম্বর একটি গণসমাবেশ ঘোষণা করে।
জামায়াতে ইসলামী দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে দেশব্যাপী একযোগে গণমিছিল গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৫ ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ
মির্জা ফখরুলকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ
১ বছর আগে
ভারত থেকে পালিয়ে আসা এটিএম কার্ড ক্লোনিং চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার
ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি (ইউএনবি)- এটিএম কার্ড ক্লোনিং করে টাকা উত্তোলনকারী একটি আন্তর্জাতিক চক্রের মূল হোতা হাকান জানবুরকানসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাকান ভারতীয় পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন হাকানের সহযোগী মো. মফিউল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে ১৫টি ক্লোন কার্ড, পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিএমপির সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া হাকান তুরস্কের নাগরিক। আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং কেলেঙ্কারির অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তিনি।
তিনি বলেন, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বলিভিয়া, স্পেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, তুরস্ক, সৌদি আরব, অস্ট্রিয়া, জার্মানিসহ ৪০টি দেশের বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথ থেকে কমপক্ষে ৮৪ বার টাকা তোলার চেষ্টা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথ ভেঙে ২৪ লাখ টাকা লুট
সিটিটিসি ইউনিট প্রধান বলেন, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড হ্যাকারদের হ্যাকিং প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। অ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে অ্যান্টি-স্ক্যামিং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই এটি ধরা পড়ে।
সিটিটিসির শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালে ভারতের আসাম রাজ্যের পল্টনবাজার থানায় একটি এটিএম কেলেঙ্কারির মামলায় হাকানকে আরেক তুর্কি নাগরিক ও দুই বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই সময় তারা প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাত করে ভারতের বিভিন্ন এটিএম বুথে ১০ লাখ ক্লোনিং কার্ড ব্যবহার করে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় জিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় হাকান পুলিশের হেফাজত থেকে পালাতে সক্ষম হয়। এরপর তিনি প্রায় ২০ মাস পালিয়ে ছিলেন।
পরে এক ভারতীয় ব্যক্তির সহায়তায় দুই লাখ টাকা দিয়ে সিকিম হয়ে নেপালে পৌঁছান। সেখান থেকে ভ্রমণের কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজ দেশে ফিরে যান। এর আগেও তিনি কয়েকবার বাংলাদেশ সফর করেছেন। হাকান শেষবার বাংলাদেশে ফিরে আসেন গত ৩১ ডিসেম্বর। তিনি রাজধানীর দ্য ক্যাপিটাল হোটেলে উঠেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় মামলা
২ বছর আগে
যাত্রাবাড়ীতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৪ অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ চার অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. হোসেন, লাল তন পাংখোয়া, মো. আলী আকবর ও মো. আদিলুর রহমান সুজন।
সোমবার (০১ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেল ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মোঃ আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থানার ৩৩/১ জনপথ মোড়, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড শ্যামলী ০৬ নং বাস কাউন্টারের সামনে অবৈধ অস্ত্র-গুলি কেনা-বেচার উদ্দেশে অবস্থান করার সময় রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫০ মিনিটে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩০১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার হোসেন ও লাল তন পাংখোয়া ঢাকার অস্ত্র ব্যবসায়ী স্বপনসহ অন্যান্যদের থেকে অস্ত্র-গুলি কিনে আকবর ও আদিলুরের মাধ্যমে কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহ করতো।
গ্রেপ্তার লাল তন পাংখোয়া রাঙামাটি বরকল সীমান্ত দিয়ে ভারতের মিজোরাম থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি নিয়ে এসে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলসহ ঢাকা ও কক্সবাজার এলাকায় সেগুলো বিক্রি করতো। বিভিন্ন সময় অবৈধ অস্ত্র-গুলি কেনা-বেচা করার উদ্দেশে হোসেনের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে তার যাতায়াত ছিল।
তিনি বলেন, এছাড়া গ্রেপ্তার আকবর ও আদিলুর রহমান সুজন হোসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ হোসেনের কাছে থেকে অবৈধ অস্ত্র-গুলি কিনে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতো।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে দেশিয় বন্দুকসহ ৩ ‘অস্ত্র ব্যবসায়ী’ আটক
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ পেশাদার অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক
পাটকল শ্রমিকদের যাত্রাবাড়ি মোড় অবরোধ
৩ বছর আগে