আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না, হাসিনার নতুন আইনজীবী আমির হোসেন
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হয়েছেন মো. আমির হোসেন।
শেখ হাসিনার পক্ষে শুনানি করতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না অপারগতা প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার পর বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আমির হোসেনকে নিয়োগের আদেশ দেন।
গুমের এই দুই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হতে চাইলে গত ২৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ জেড আই খান পান্নাকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে পরবর্তীতে তিনি হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হবেন না বলে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠান। আজ (বুধবার) বিষয়টি জেনে ট্রাইব্যুনাল জেড আই খান পান্নাকে ডেকে পাঠান। এরপর এই আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে তার শারীরিক অসুস্থতার বিষয় তুলে ধরে নিজেকে শেখ হাসিনার আইনজীবীর দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলেন।
গুমের এ মামলায় আজ শুনানি শুরু করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানির একপর্যায়ে স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী জেডআই খান পান্নাকে ফোন করে ট্রাইব্যুনালে আসতে বলেন। ঠিক ১০ মিনিট পর হুইলচেয়ারে করে অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আসেন পান্না।
এ সময় প্রসিকিউশনের শুনানি থামিয়ে পান্নার কাছে শুনতে চান ট্রাইব্যুনাল। সুস্থ আছেন কিনা জানতে চেয়ে তার উদ্দেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়োগ পেয়েছেন। আপনি আসেননি কেন? আপনার অনুপস্থিতিতে শুনানি করতে হয়েছে। চাইলে আবার শুনানি হবে।
জবাবে পান্না বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তবে এ মামলায় না দাঁড়ানোর জন্য আমি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনার ক্লায়েন্ট হাজির হবেন না, আপনিও আসবেন না। আপনি নিজেই আগ্রহ দেখিয়েছেন আইনজীবী হওয়ার জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অর্ডার (আদেশ) দিয়েছি। আপনি না করতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে এসে বলতে হবে। এ ছাড়া আপনি এক ভিডিওবার্তায় ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করেছেন যে, আপনার ক্লায়েন্ট এই আদালত মানেন না, এ জন্য আপনিও মানেন না। এটা কি আপনি বলতে পারেন?
জেডআই খান পান্না বলেন, আমি আনকনডিশনাল অ্যাপোলজি (নিঃশর্ত ক্ষমা) চাই।
পরে এ মামলায় লড়ার কথা ফের জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। তখন ‘না’ জবাব দেন এই আইনজীবী।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আমরা আশা করব, আপনার কাছ থেকে সহায়তা পাব।’ একইসঙ্গে তার বদলে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে পরামর্শ চান ট্রাইব্যুনাল। তবে কারও নাম না বলায় মো. আমির হোসেনকে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি এর আগেও শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন।
আজ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউসন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানি করেন। এ সময় অপর প্রসিকিউটর ও আসামী পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের পরোয়ানা জারির পর গত ১১ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় সেনাবাহিনী।
আর্মি অফিসার্স মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেদিন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, দুটি মামলার ৩০ জন আসামির মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআরে গেছেন এবং বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ১৫ জন।
পরবর্তীতে ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে গত ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মো. হাফিজ আলী সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ধারা ৫৪১(১)-এর ক্ষমতাবলে এবং দি প্রিজন অ্যাক্টের ধারা ৩-এর বি অনুসারে ঢাকা ঢাকা সেনানিবাসের বাশার রোড-সংলগ্ন উত্তর দিকে অবস্থিত ‘এমইএস’ ভবন নম্বর-৫৪-কে সাময়িকভাবে কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
গ্রেপ্তার সেনা কর্মকর্তাদের পরবর্তীতে এই কারাগারে রাখা হয়।
১ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানে ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে: ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় সশস্ত্র নেতাকর্মীরা দেশের ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৫৪তম সাক্ষীর জবানবন্দিতে এ তথ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর (পিপিএম)।
আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দেওয়া জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সশস্ত্র নেতাকর্মীরা দেশের ৪১টি জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। এছাড়া ৫০টিরও বেশি জেলায় আন্দোলনকারীদের ওপর মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
সাক্ষীর জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, আমি তদন্তকালে পেয়েছি যে ২০২৪ সালের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার যত গুম, খুন, জখম, অপহরণ ও নির্যাতন করেছে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতায় টিকে থাকা। এছাড়া গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী দল, মত ও প্রতিপক্ষের ওপর হত্যা, জঙ্গি নাটক, জোরপূর্বক অপহরণ, গুমসহ পাতানো নির্বাচনের মতো সবকিছুর মূলে ছিল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার বাসনা। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে, তখন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য যত রকমের ব্যবস্থা আছে তার সবই গ্রহণ করেছে। এর ফলশ্রুতিতে ২০২৪ সালের আন্দোলনে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছে।
এ দিকে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দির অংশবিশেষ ও জব্দ করা ভিডিও বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সেই জুলাই আন্দোলনে নৃশংসতা নিয়ে বিবিসি ও আল জাজিরায় প্রচারিত ভিডিওচিত্রও জব্দ তালিকার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শিত হয়। ঐতিহাসিক এই মামলায় এর আগে সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের পিতাসহ স্বজনহারা অনেক পরিবার। এছাড়া স্টার উইটনেস হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করছেন। অপর প্রসিকিউটররাও শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে রাজসাক্ষী হয়ে তিনি সাক্ষ্য দেন।
এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার চলছে।
৬৫ দিন আগে
আবু সাঈদ হত্যা: ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পুলিশের সদস্যসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি আজ।
সোমবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি করবেন বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এই ছয় আসামি হলেন— সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরীফুল ইসলাম, রাফিউল, আনোয়ার পারভেজ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আশেক।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা: পলাতক ২৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
গত ১০ জুলাই পলাতক ২৬ আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে, ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যায় পুলিশের সদস্যসহ মোট ৩০ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় ১৬ জুলাই বিকালে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রথম শিক্ষার্থী।
১৩০ দিন আগে
চাঁনখারপুলে ছয় শিক্ষার্থী হত্যা: ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় গত বছরের ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের সময় ছয় শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
সোমবার (১৪ জুলাই) ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মার্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার চার আসামি—ইন্সপেক্টর আরশাদ, কনস্টেবল সুজন, কনস্টেবল এমাজ হোসেন ইমন ও কনস্টেবল নাসিরুল ইসলামকে এদিন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অন্য চার আসামি—সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম এবং সাবেক সহকারী কমিশনার (রমনা জোন) মোহাম্মদ এমরুল পলাতক রয়েছেন।
পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের
এর আগে, গত ২৫ মে ট্রাইব্যুনাল মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেয়। ওই দিন প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম অভিযোগপত্র জমা দিলে তা গ্রহণ করা হয়।
তদন্ত সংস্থা ২১ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে ৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়, যা ১৯৫ দিনের তদন্ত শেষে প্রস্তুত করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট চাঁনখারপুল এলাকায় গুলিতে শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদি হাসান জুনায়েদ, মো. ইয়াকুব, মো. রাকিব হাওলাদার, মো. ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া নিহত হন।
প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, মামলার অভিযোগপত্রে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে কয়েকজন আসামির গুলিবর্ষণে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘কমান্ড দায়বদ্ধতা’র আওতায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
১৪৩ দিন আগে
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১ জুলাই
গত জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন আগামী ১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ মামলার দুই পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।
শুনানিকালে এ মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে, এই মামলার পলাতক দুই আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশের পর আজ (মঙ্গলবার) অগ্রগতি শুনানির জন্য ধার্য করা হয়।
এর আগে, গত ১ জুন এ মামলার অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে এই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। পাশাপাশি ১৬ জুন তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির ও মামলার পরবর্তী আদেশের দিন নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: সংবাদপত্রে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ
পরে ১৬ জুন অপর দুই আসামি পলাতক থাকায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ২৪ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হয়।
সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয় গত বছর ১৪ অক্টোবর। ছয় মাস ২৮ দিনে তদন্ত শেষ করে গত ১২ মে শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও হত্যার উসকানি, প্ররোচনা ও সরাসরি নির্দেশ দেওয়াসহ মোট পাঁচটি অভিযোগ আনেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে তার (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে মূলত ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে। জুলাই গণহত্যার ঘটনায় সব হত্যাকাণ্ডের সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার। তিনি এ গণহত্যা ও হত্যার উসকানিদাতা, প্ররোচনাদাতা ও সরাসরি নির্দেশদাতা। এ বিষয়ে তার বহু কল রেকর্ড, অডিও-ভিডিও পাওয়া গেছে।’
৫টি অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগটি হচ্ছে— গত বছরের ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধের উসকানি দিয়েছেন ও প্ররোচনা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। যেখানে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতিপুতি এসব বলেছিলেন। এসব বলার মাধ্যমে তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের) বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ আমলে নিল ট্রাইব্যুনাল
এ ছাড়া, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ অর্থাৎ সহযোগী বাহিনী হিসেবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের) হত্যা করে, আহত করে, অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় যে অভিযোগটি করা হয়েছে সেটা হচ্ছে— সরাসরি নির্দেশ। তদন্তে শেখ হাসিনার কিছু টেলিফোন কনভারসেশন (বার্তালাপ) জব্দ করা হয়েছে। সেখানে তিনি বারবার সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি রাষ্ট্রীয় সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মরণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী সিভিলিয়ান (নাগরিক), যারা দেশে একটা ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রত ছিল, তাদেরকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন ও নির্মূল করার জন্য।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এছাড়া বাকি ৩টি অভিযোগ সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে, যেখানে শেখ হাসিনার নির্দেশের প্রেক্ষিতে অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছে। কিভাবে মানুষকে মারা হয়েছে, নৃশংসতাগুলো করা হয়েছে সে ব্যাপারে সুনিদিষ্ট ঘটনাকেন্দ্রিক ওই ৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে যত লোক মারা গেছেন, যত লোক আহত হয়েছেন প্রত্যেকটার ব্যাপারে তার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে চার্জ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘প্রতিবেদনে এসেছে প্রায় দেড় হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর বিশেষভাবে সহিংসতা চালানো হয়েছিল, লাশ একত্রিত করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, আহতদের হাসপাতালে নিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, পোস্টমর্টেম করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল, ডাক্তারদের চিকিৎসা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।’
শেখ হাসিনার বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে তিনি নিজে গিয়ে বলেছিলেন, এসব ভর্তি রোগীকে যাতে চিকিৎসা দেওয়া না হয়। রোগীরা যখন যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন, তাদের সেই সুযোগও দেওয়া হয়নি। যাতে পচে গেলে কেটে ফেলতে হয়, সেরকম নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘
বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর জন্য বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোকদের দিয়ে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ
সে সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম মামলাটি (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকেও (গণ-অভ্যুত্থানের সময় আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন) আসামি করা হয়।
১৬৩ দিন আগে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আজ
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে। সোমবার (১২ মে) চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে তদন্ত সংস্থা।
আজ (সোমবার) দুপুর ১টা নাগাদ এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এই তিনজনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার ঘটনায় নির্দেশ দেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
এর আগে শুক্রবার (৯ মে) এক ফেসবুক পোস্টে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সোমবার তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর চিফ প্রসিকিউটর সেই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শুক্রবার তাজুল ইসলাম পোস্টে লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবর দাখিল করবে বলে আশা করছি। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।’
গত বছর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। ওই ট্রাইব্যুনালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম মামলাটি (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এ মামলায় পরে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও (গণ–অভ্যুত্থানের সময় আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন) আসামি করা হয়।
এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এ পর্যন্ত তিনবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাস বাড়িয়ে আগামী ২৪ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। অবশ্য এর আগেই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান ট্রাইব্যুনাল ।
এ মামলা ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম ও খুনের ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলও চলতি সপ্তাহে
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে রাজধানীর চানখাঁরপুলে গুলি করে হত্যা করা হয় ছয়জনকে। গণহত্যার এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আটজনকে আসামি করে ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল এই প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে জমা দেন তারা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় এটিই ছিল তদন্ত সংস্থার প্রথম কোনো চূড়ান্ত প্রতিবেদন।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার দিয়ে ছাত্রজনতার ওপর গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাসিনা: এ্যানি
তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আকারে জমা দিতে চার সপ্তাহ সময় নিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করার কথা রয়েছে। অবশ্য তার আগেই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা যাবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে ফেসবুক পোস্টে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে চানখাঁরপুল হত্যাকাণ্ডের দায়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই হত্যকাণ্ডের দায়ে আনুষ্ঠানিক বিচারের জন্য ফরমাল চার্জ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।’
২০৭ দিন আগে
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় খুশি বিএনপি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দলটির সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বিএনপি।
রবিবার (১১ মে) এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দিত যে, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত রাতে (শনিবার রাতে) ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগ ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার করা যায় ও একটি নির্বিঘ্ন বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়।’
তিনি গুম, খুন, নিপীড়ন ও জনগণের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী অপশাসনে জড়িত ফ্যাসিবাদী দলের বিচার সহজ করতে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধনের পদক্ষেপকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলেও অভিহিত করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘কিন্তু আমাদের দাবি অনুযায়ী যদি এই সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নেওয়া হতো—তাহলে সরকার চাপের মুখে পড়ে কাজ করার লজ্জাজনক ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে পড়ত না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এটি মনে রাখবে এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারিক কার্যক্রমের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তাকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
১৬ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের শেষ সাক্ষাতের উল্লেখ করে তিনি বলে, সেসময় তারা তাকে আরেকটি চিঠি দেন, যাতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনকে নোংরামি থেকে মুক্ত করতে পতিত ফ্যাসিস্ট দল ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত বিচারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে কমিটি গঠন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার উদ্বৃতি দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তারা স্পষ্টভাবে বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব এবং প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সভা, সমাবেশ এবং আলোচনায় বারবার এই দাবি তুলেছি। এটি লক্ষণীয়, নীতিগতভাবে আমরা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করেছি। সেই অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, বিএনপি আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের ঠিক আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিল।’
ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ গুম, খুন, কারাবরণ ও নিপীড়ন সহ্য করে নিজের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ফ্যাসিবাদ উৎখাতের লড়াই করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘সেই দাবি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপের দাবি অব্যাহতভাবে উপেক্ষা করার ফলে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান জনরোষকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাই।’
শনিবার (১০ মে) রাতে এক বিশেষ সভায় উপদেষ্টা পরিষদ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ড—সাইবারস্পেসসহ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জড়িত বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে।
২০৭ দিন আগে
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। দীর্ঘ এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। সভা শেষে রাত ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইন উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।
পাশাপাশি, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে প্রকাশ করা হবে।
২০৮ দিন আগে
রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনের সংশোধনের খসড়ার ওপর আলোচনা করতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) রাত ৮টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্টিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: আবদুল হামিদের দেশত্যাগে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ বিষয়ে অর্ন্তবর্তী সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘আজকের বৈঠকে কেবল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমার জানা মতে, এটি ছাড়া আর কোন ইস্যু নেই।’
এর আগে গত শুক্রবার, অন্তর্বর্তী সরকার আইসিটি আইনে অবিলম্বে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিচার সম্পন্ন করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা লক্ষ্যে আইনটি সংশোধন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
২০৮ দিন আগে
আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ১৫ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
একই সঙ্গে এ মামলায় সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে সকালে এই চারজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদের অসুস্থ বাবাকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
পরে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এ হত্যা মামলায় আটক চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে তদন্ত সংস্থাকে।
এর আগে আজ সকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত ২ মার্চ আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় চারজনকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়ে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রসিকিউশন জানিয়েছে, এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন সাবেক এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। আর বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা এমরান চৌধুরী আকাশসহ আরও অনেকে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা ওই আসামিদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন জানার প্রসিকিউশন।
২৩৯ দিন আগে