আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ১৫ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
একই সঙ্গে এ মামলায় সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে সকালে এই চারজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদের অসুস্থ বাবাকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
পরে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে, তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এ হত্যা মামলায় আটক চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে তদন্ত সংস্থাকে।
এর আগে আজ সকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
গত ২ মার্চ আবু সাইদ হত্যার ঘটনায় চারজনকে হাজির করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়ে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রসিকিউশন জানিয়েছে, এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন সাবেক এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়। আর বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা এমরান চৌধুরী আকাশসহ আরও অনেকে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। অন্য মামলায় গ্রেফতার থাকা ওই আসামিদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন জানার প্রসিকিউশন।
৮ দিন আগে
গুমের তদন্তকারীদের হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল: চিফ প্রসিকিউটর
গুমের তদন্তকারীদের হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা আশা করছি— অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই দাখিল করতে পারব।’
রবিবার (৬ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গুমের মামলাগুলো তদন্ত করছে।’
টিএফআই সেলের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেটার ভেতরে ভূগর্ভস্থ অনেকটা বলা যাবে, সেমি ভূগর্ভস্থ সেলগুলো আবিষ্কার করা হয়েছে। যেগুলো ওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে। সেই ওয়াল ভাঙতে হয়েছে। পুরো গার্বেজ দিয়ে সেটাকে ভরে রাখা হয়েছে। সেগুলো সরিয়ে ক্রাইম সিনগুলো বের করতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: হাসিনা তখন হাসপাতালে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজের’ নির্দেশ দেন: চিফ প্রসিকিউটর
‘আপনারা জানেন, এই কাজ করতে গিয়ে স্বয়ং চিফ প্রসিকিউটর তিনি এই ইনভেস্টিগেশন চলাকালে প্রেজেন্ট ছিলেন। আমরা যখন না বুঝে..., সেখানে বোমা ফিট করা ছিল, সেই বোমাগুলোর সঙ্গে টাইমার সেট করা ছিল। আমাদের অ্যাপারেন্টলি বোঝা যায় যে এই ইনভেস্টিগেশন করতে যারা গিয়েছেন, তাদের হত্যা করারও চেষ্টা করা হয়েছে।’
পরে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আর মন্তব্য করছি না। সময় হলে জানতে পারবেন। এত সব জটিলতার মধ্য দিয়ে যে কাজগুলো এগিয়েছে, সেগুলো প্রতিদিন জনসমক্ষে আসেনি। যে কারণে অনেকে মনে করতে পারেন যে তদন্তকাজ কিছু হয়নি।’
তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা ও চানখারপুল গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এর মধ্যে অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ (রবিবার) যাত্রাবাড়ীতে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন মাস সময় মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সাভারের আসহাবুল ইয়ামিন হত্যা মামলার আসামি সোহেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ এপ্রিল ও চানখারপুলে হত্যাকাণ্ডে করা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো স্ক্যান্ডাল বিচারকাজ থামাতে পারবে না। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কোনো দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। এছাড়া আমিসহ গুমের মামলা তদন্ত দলকে হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। কোনো ষড়যন্ত্র বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: আলেপ-মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম ও ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা মনে করি, একটি ট্রাইব্যুনাল যথেষ্ট নয়। আরও ট্রাইব্যুনাল হওয়া উচিত। সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করেছে। খুব সহসাই অন্তত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে আসামিদের পক্ষ থেকে বিচার বানচালের চেষ্টা সফল হবে না।’
১০ দিন আগে
সাবেক এমপি ফজলে করিমকে কারাগারে পাঠালেন ট্রাইব্যুনাল
জুলাই-আগস্টে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে তার বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন ও পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৮ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নির্ধারিত দিনে হাজির করার পর মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
প্রসিকিউশন পক্ষে প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। এসময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম, আব্দুস সোবহান তরফদার, তারেক আব্দুল্লাহ ও তানভীর হাসান জোহা।
আরও পড়ুন: নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ বিএনপির
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে ১৬ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজি এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত এবিএম ফজলে করীম চৌধুরীর নির্দেশে করা হামলায় চট্টগ্রামের রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে গ্রেপ্তার করা হয় ফজলে করিম চৌধুরীকে।
৬০ দিন আগে
নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ বিএনপির
গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দেশব্যাপী ৮৪৮ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে দলের গুম-খুন তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাউদ্দিন খান পিপিএম ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এই অভিযোগ দাখিল করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পুলিশের সবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক র্যাবের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে এসব হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডা. ফয়েজ হত্যা : হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোট ৮৪৮ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিএনপির মতো একটি বড় দলকে নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংস করার জন্য এই জঘন্য গণহত্যা করেছে মর্মে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। প্রমাণসহ মোট ৮৪টি মামলা করা হয়েছে।
ওই সব গণহত্যার এজাহারের কপি ও জেলা, মহানগরের বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থক এবং আন্দোলনকারী, অংশগ্রহণকারী শহীদদের মোট ৮৪০ জনের তালিকা দেওয়া হলো। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা দ্বারা তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতে বিচারের জন্য উপস্থাপন করার অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে দেশব্যাপী হওয়া মামলার এজাহার, পত্রিকার ছবি, অডিও-ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তারা হত্যার সঠিক বিচার, ন্যায় বিচার দাবি করেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিএনপি ২০০৮ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দলটির ২ হাজার ২৭৬ জন নেতা-কর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার এবং ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে পৃথক আবেদন দাখিল করেছিল। সেই অভিযোগেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
৬৩ দিন আগে
ডা. ফয়েজ হত্যা : হাসিনাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ফয়েজ আহমেদের ছেলে ডা. হাসানুল বান্না ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. ফয়েজ আহমদকে নিজ বাসায় গুলি করে হত্যা করে র্যাব। হত্যার পর তাকে বাসার ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। গভীর রাতে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
অভিযোগ দাখিলের পর এক লিখিত বক্তব্যে হাসানুল বান্না জানান, ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডা. ফয়েজ আহমেদের নিজ বাসার ছাদে নিয়ে আঘাত করে, গুলি করে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
ডা. ফয়েজ আহমেদ অত্যন্ত মানবিক ডা. হিসেবে পরিচিত এবং লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সরকারি বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে র্যাবের স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলের বাসায় এসে লোহার গেট ভেঙে ফেলে ও ভুক্তভোগী ডা. ফয়েজকে নিজের বাসার দোতলার কক্ষ থেকে ধরে নিয়ে বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে যায়।
এই সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা (আসামিরা) বিল্ডিংয়ে ঢুকে সব কক্ষের দরজার তালা ভেঙে তল্লাশি ও ভাঙচুর চালায়। ডা. ফয়েজ আহমেদকে ছাদে নিয়ে তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার সম্মুখভাগ ও নাকে-মুখেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশে আসামি তারেক সাইদ মোহাম্মদ তার হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ফয়েজ আহমেদের ডান হাঁটুর ওপরে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে, তাতে ওই স্থানে গভীর ক্ষত হয়ে প্রচুর রক্তপাত হয়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ফয়েজ আহমেদকে তিনতলার ছাদের ওপর থেকে উপুড় করে (অর্থাৎ মাথা নিচের দিকে দিয়া) বিল্ডিংয়ের সামনের অংশের নিচে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে তার লাশ সদর হাসপাতালে রেখে দিয়ে যায়। তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধটি সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে তদন্ত সাপেক্ষে ওই ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন বলে লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারেক আহাম্মদ ছিদ্দিকী, সাবেক এ.ডি.জি র্যাব মে. জে. জিয়াউল আহসান, র্যাব-১১ এর সাবেক সি.ই.ও এবং আলোচিত নারায়নগেঞ্জর সাত খুন মামলার আসামি তারেক সাইদ মোহাম্মদসহ ৪১ জনের নামে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৮ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
৯১ দিন আগে
সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৮ জন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে
চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জিয়াউল আহসানসহ আটজনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বুধবার(২০ নভেম্বর) আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় বলে জানিয়েছেন আদালতটির চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তারা সবাই অন্য মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুরের সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মোহাম্মদ শহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক ও গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
আরও পড়ুন: ৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে অসুস্থতার কারণে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ২০ নভেম্বর নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী হাজির করতে বলা হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে আইসিটিতে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, যা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে শুরু হয়েছিল। যা পরে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। যার ফলে প্রায় এক হাজার লোকের প্রাণহানি ও অনেকে আহত হয় এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
আরও পড়ুন: ইনু-মেনন, পলকসহ সাবেক আইজিপি মামুন রিমান্ড শেষে কারাগারে
১৪৮ দিন আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করছে সরকার: আইন উপদেষ্টা
আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এবং গত জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিতে আইনের খসড়া করছে সরকার।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সুপারিশের আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এর সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এই আইন সংশোধনী অধ্যাদেশ বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, অধ্যাদেশটি পাস হলে সে অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু হবে।
আরও পড়ুন: প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন: আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন সহায়তা করেছে আইন মন্ত্রণালয়। চিফ প্রসিকিউটরসহ ১১ জন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তাছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে ২৩৯ জন আইন কর্মকর্তা তথা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, নতুন আইনের মাধ্যমেই পরবর্তী বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অধস্তন আদালতের বিচারক, রেজিষ্ট্রেশন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং আইন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব সংগ্রহ করা হয়েছে। এই হিসাব বিবরণী এখন যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন অধ্যাদেশ হচ্ছে, সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের বিচারের ধারা যুক্ত হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘একটা-দুটো দিন অপেক্ষা করেন। আর সংশোধনীটা তো উপদেষ্টা পরিষদকে গ্রহণ করতে হবে। আমাদের প্রস্তাবনায় যেটা আছে সেখানে আদালতকে সরাসরি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে আদালত যদি মনে করেন, তাহলে তারা এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কনসার্ন অথরিটির কাছে সুপারিশ করতে পারেন।’
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ সহ মোট ১০টি অধ্যাদেশ প্রণয়ণে ভেটিং সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৯৫টি প্রজ্ঞাপন, ৩৩টি বৈদেশিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ভেটিং করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই-তিন দিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
১৪৮ দিন আগে
বিচারপতি গোলাম মর্তুজাকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান এবং বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীকে সদস্য করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুর্নগঠনের নথিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এই অনুমোদন দিয়েছেন তিনি। আজই তাদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
ট্রাইব্যুনালে তিন বিচারক নিয়োগের ফলে অচিরেই জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আসিফ নজরুল আরও জানান, অধস্তন আদালতের বিচার কাজের স্থবিরতা দূরীকরণে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সারাদেশের অধস্তন আদালতগুলোতে জিপি-পিপি নিয়োগের কাজ শেষ করার চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ ববি হাজ্জাজের
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সময়োপযোগী করতে সংশোধনী প্রস্তাব
১৮৪ দিন আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সময়োপযোগী করতে সংশোধনী প্রস্তাব
‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সংশোধন করতে খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠিত হতে পারে: চিফ প্রসিকিউটর
প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনীতে ৪এ, ১৩এ ও ২০এ নামে ৩টি নতুন ধারা ও ৩(৩) ও ১২(২) নামে ২টি নতুন উপধারা যুক্ত করা হয়। ধারা ৩(২)(এ), ৪(২) ও ১৯ ধারায় সংশোধন আনার প্রস্তাব করা হয়।
এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ, শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব (চলতি দায়িত্ব) ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ২২৭ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৫ অভিযোগ
এছাড়া আরও ছিলেন- নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার, সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম-সচিব (মতামত) এস. এম. সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব (বাজেট ও উন্নয়ন) রুহুল আমীন, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দীকা, রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব (ড্রাফটিং) মো. রফিকুল হাসান, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ড. জাহেদুর রহমান, সানজিদা ইসলাম ও শরিফ ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: ফারহান হত্যার ঘটনায় হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের
২০৬ দিন আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্গঠিত হতে পারে: চিফ প্রসিকিউটর
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
রবিবার দুপুরে হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে চিফ প্রসিকিউটর বেলা ১১টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) যান। পরিদর্শন শেষে দুপুর ২টার পর হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে ব্রিফিং করেন তিনি। এ সময় প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম ও বি এম সুলতান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগরের নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক
ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে গত সপ্তাহে আইন উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে।...উনি (আইন উপদেষ্টা) আশ্বস্ত করেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সম্ভবত পুনর্গঠন (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) হবে। আদালত পুনর্গঠিত হলে বিচারের যে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, সেটি শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিমের কার্যক্রম চলমান থাকলেও ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি না থাকায় বিচার কার্যক্রম থমকে আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার গত ১৩ জুলাই অবসরে গেছেন। অন্য এক সদস্য বিচারপতি হাইকোর্টে ফিরে গেছেন। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে কোনো বিচারপতি নেই। নতুন বিচারপতি নিয়োগের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে।
বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর সময়কাঠামো (টাইম ফ্রেম) প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত এখনো গঠিত হয়নি।...ছয়জনমাত্র তদন্তকারী কর্মকর্তা এখন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।...প্রসিকিউশনে ২০ থেকে ২৫ জন প্রসিকিউটর দরকার। আমরা মাত্র এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি, চারজন যোগদান করেছেন।…এর বাইরে তথ্যপ্রমাণ (এভিডেন্স) সংগ্রহের ব্যাপার রয়েছে।’ তিনি বলেন, বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর সময়কাঠামো নিয়ে এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা যায় না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটরসহ ১৩ জন প্রসিকিউটর একযোগে পদত্যাগ করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের প্রসিকিউশন টিম গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রণালয়। এ টিমের সদস্য সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ১০ জন কর্মকর্তা ছিলেন। এর মধ্যে ৪ জন ছিলেন চুক্তিভিত্তিক। সরকার পরিবর্তনের পর তাদের চুক্তি বাতিল হয়। বর্তমানে ৬ জন তদন্ত কর্মকর্তা আছেন। যারা গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত করছেন। জানা গেছে, শিগগির তদন্ত সংস্থায় আরও কয়েকজন তদন্ত কর্মকর্তাও নিয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা চাইলে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারেন: চিফ প্রসিকিউটর
২১৩ দিন আগে