মক্কা
পবিত্র ওমরাতে যাওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি ও কিছু সাবধানতা
ওমরা বিশ্ব জুড়ে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য গভীর তাৎপর্য বহন করে। এই ইবাদতের জন্য বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মুসলমানরা কিবলা কাবা ঘরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। হজ্জ পালনের জন্য মূলত একটি নির্দিষ্ট মৌসুম থাকে। সেখানে সামষ্টিক কার্যক্রম একই হলেও ওমরার জন্য তেমন কোনো মৌসুমের বাধ্যবাধকতা নেই। তাই মুসলিমরা বছরের যেকোনো সময়েই ওমরা করতে পবিত্র শহর মক্কার পথে যাত্রা করতে পারেন। পদ্ধতিগত দিক থেকে এই ইবাদত যথেষ্ট পরিশ্রমের কাজ, যেখানে দরকার পড়ে দৈহিক ও মানসিক সুস্থতার। চলুন, সৌদিআরবে পবিত্র ওমরা পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণের জন্য করণীয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
ওমরায় যাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যগত পূর্বপ্রস্তুতি কেন জরুরি
মক্কা শহরের সাফা ও মারওয়া নামক দুটি পাহাড়ে পায়ে হেঁটে সাতবার উঠা-নামা করা সাঈ নামে পরিচিত। এটি ওমরার সবচেয়ে শ্রমসাধ্য কাজ। এরপর ওমরার কঠিন কাজটি হচ্ছে কাবা শরীফকে ঘিরে সাতবার প্রদক্ষিণ করা, যাকে তাওয়াফ বলা হয়। এই দুই ক্রিয়াকলাপের জন্য শরীর ও মন উভয় ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহনশীলতার প্রয়োজন হয়। যারা কায়িক শ্রমে অভ্যস্ত নন এবং বার্ধক্যপীড়িতদের জন্য এই কাজগুলো চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
তাই যৌবন বা বার্ধক্যে জীবনের যে সময়েই ওমরার পরিকল্পনা করা হোক না কেন, তার জন্য যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। এর ফলে আগে থেকে শরীর গঠনের প্রয়াস পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যগত কোনো জটিলতা থাকলে তার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। এছাড়া ওমরার পূর্বপ্রস্তুতি ইবাদতের প্রতি আন্তরিকতা এবং মনোনিবেশ বৃদ্ধির মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যকেও সমুন্নত করে।
আরো পড়ুন: রমজানে রোজা রাখার প্রস্তুতি: দেহ ও মনকে সুস্থ রাখতে করণীয়
ওমরাতে যাওয়ার আগে শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি
.
স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন
প্রথমেই নজর দিতে হবে শরীরের দিকে। কেননা অদম্য স্পৃহা থাকার পরেও অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য জটিলতা তীর্থযাত্রার প্রধান অন্তরায় হতে পারে। তাওয়াফ এবং সাঈর মতো কঠোর পরিশ্রমের কাজগুলোর জন্য রোগহীন সুগঠিত দেহের কোনো বিকল্প নেই। এই লক্ষ্যে ফ্লাইটের নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি এবং হালকা ব্যায়ামের অভ্যাস করতে হবে। এতে পায়ের পেশী শক্তিশালী হয় এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। একই সঙ্গে পরিবর্তন আনতে হবে নিয়মিত খাদ্যভ্যাসে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকাকে পরিপূর্ণ রাখতে হবে পুষ্টিকর খাবার দিয়ে। দিনে পানি পান করতে হবে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ গ্লাস। চিনি, ক্যাফেইন, স্যাকারিন যুক্ত জুস, অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি ঘুমের ব্যাপারেও যত্নবান হওয়া উচিত। প্রতিদিন রাতে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়া ও ফজর নামাজের সময় ঘুম থেকে ওঠার রুটিন দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করা জরুরি। রাতের ঘুম দুপুর, সন্ধ্যা বা দিনের অন্যান্য সময়ে প্রতিস্থাপন করা যাবে না।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের আবহাওয়ায় যথেষ্ট তারতম্য রয়েছে। দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তির পাশাপাশি এই বিষয়টিও শরীরের উপর প্রভাব ফেলে। সেই আবহাওয়া সহ্য করার মতো শরীরের ন্যূনতম সক্ষমতা রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য শারীরিক অবস্থা সহনীয় মাত্রায় রয়েছে কিনা—তা যাচাই করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রায়ই মেনিনজাইটিস কিংবা মৌসুমী ফ্লুসহ নানা ভ্যাকসিনেশনের প্রয়োজন হয়। পরীক্ষা-নীরিক্ষার প্রতিটি প্রক্রিয়া সতর্কতার সঙ্গে সম্পন্ন করা জরুরি।
মানসিক প্রস্তুতি
ওমরা যেহেতু একটি সমষ্টিগত কার্যক্রম তাই প্রচুর জনসমাগম এবং দীর্ঘ সময় অপেক্ষার বিষয়গুলো খুবই স্বাভাবিক। এগুলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য দরকার হয় ধৈর্য্য, মানসিক সহনশীলতা এবং দুশ্চিন্তাহীনতা। এর জন্য ফ্লাইটের অনেক আগে থেকেই মন নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু অনুশীলন পদ্ধতির শরণাপন্ন হতে হবে।
দৈনন্দিন যেকোনো কাজে অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে সংযম বজায় রাখা সবথেকে অপরিহার্য বিষয়। অপেক্ষার সময়গুলো অপ্রয়োজনীয়, হতাশাজনক এবং বিভ্রান্তিকর কাজ করে বিনষ্ট করা যাবে না। পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানো মনকে পরম প্রশান্তি দেবে। সুষম খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর ঘুম এবং হালকা ব্যায়াম দেহের পাশাপাশি মননশীলতা বিকাশের ক্ষেত্রেও সহায়ক।
ওমরার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় দোয়া শিক্ষা
সহসা এই ইবাদতের সুযোগ হয়ে ওঠে না। সঙ্গত কারণেই ওমরার নিয়মগুলোতে প্রতিদিনের আদায় করা নামাজের মতো অভ্যস্ত থাকা যায় না। তাই পূর্বপ্রস্তুতি নেওয়ার সময় অবধারিতভাবে ওমরার সঠিক প্রক্রিয়া জেনে নিতে হবে।
শুরু থেকে শেষ ওমরার প্রতিটি কার্যকলাপের ইতিহাস এবং তাৎপর্য সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের সময় আত্মিক উন্নয়ন ঘটে। এর ফলে ইবাদতের প্রতি আন্তরিকতা ও মনোনিবেশ আরও বেড়ে যায়। একই সঙ্গে প্রাসঙ্গিক দোয়াগুলো শিখে তা প্রতিনিয়ত আওড়ানো যেতে পারে। অনুশীলনের সুবিধার্তে মোবাইলে রাখা যেতে পারে দোয়া শিখনের বিভিন্ন অ্যাপ। এগুলোর মধ্যে ‘দোয়া অ্যান্ড যিকির (হিসনুল মুসলিম)’ এবং ‘মুসলিম বাংলা কুরআন হাদীস দুআ’ বেশ সহায়ক দুটি অ্যাপ।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
পবিত্র ওমরার জন্য সৌদিআরবে রওনা হওয়ার পূর্বে করণীয়
.
প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নেওয়া
চূড়ান্তভাবে রওনা হওয়ার আগে ব্যাগ গোছানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর তালিকা করে নেওয়া জরুরি। বেশ সময় নিয়ে এই তালিকা করা হলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নজর এড়িয়ে যাবে না। পাসপোর্ট, ভিসা ও হোটেল বুকিংয়ের মতো ভ্রমণ নথিগুলো সবার আগে রাখতে হবে। এরপরেই অগ্রাধিকার পাবে ইহরাম পোশাক, নামাজের ম্যাট, আরামদায়ক জুতা এবং ঔষধপত্র। ঔষধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। এগুলোর সঙ্গে স্থান পাবে বিশুদ্ধ পানির বোতল, টিস্যু এবং ব্যান্ড-এইডস। জরুরি অবস্থায় দ্রুত ব্যবহারের জন্য পুরো ভ্রমণে ছোট্ট একটি ব্যাগ সার্বক্ষণিক সঙ্গে রাখা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের ডিজিটাল কপি রাখা
হজযাত্রীদের ভিসা, পাসপোর্ট, ফ্লাইট টিকিট ও হোটেল রিজার্ভেশনসহ যাবতীয় নথিপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এতে করে যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে এগুলো ব্যবহার করা যাবে। অনলাইনে সংরক্ষণের জন্য গুগল ড্রাইভ বা ড্রপবক্সের মতো বিভিন্ন ধরণের ক্লাউড স্টোরেজ পরিষেবা রয়েছে। এটি আকস্মিক কোনো কাগজপত্র হারানোর ক্ষেত্রে একটি কার্যকর বিকল্প।
জরুরি যোগাযোগ নাম্বারগুলো সংগ্রহে রাখা
দীর্ঘ যাত্রায় নানা ধরণের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় কিছু ফোন নাম্বার অনেক উপকারে আসে। বিশেষ করে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা এবং দূতাবাস বা কন্স্যুলেটের নাম্বারগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। এছাড়াও কাছের হাসপাতালের ফোন নাম্বারও সংগ্রহে রাখা উচিত। স্মার্টফোনে রাখার পাশাপাশি অফলাইনেও ব্যবহারের জন্য নাম্বারগুলো একটি ছোট নোটবুকে লিখে রাখতে হবে।
লাগেজে লেবেল দেওয়া
প্রতি বছর ওমরার অনেকগুলো গ্রুপ সৌদি আরব অভিমুখী হওয়ায় কাস্টমসসহ বিভিন্ন জায়গায় লাগেজ অদল-বদলের ঘটনা ঘটে। তাই রওনা হওয়ার পূর্বে লাগেজে ভালোভাবে লেবেল সংযুক্ত করা অপরিহার্য। একটি টেকসই ট্যাগের মধ্যে তীর্থযাত্রীদের পুরো নাম, হোটেলের ঠিকানা এবং বর্তমানে সঙ্গে বহনকৃত একটি যোগাযোগ নাম্বার থাকবে।
রঙিন ফিতা বা স্টিকারের মতো টোটেমগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে করে ভিড়ের মধ্যে অনেকগুলো একই রকম ব্যাগের মধ্যে নিজের ব্যাগটিকে আলাদা করে চেনা যাবে। এছাড়া স্যুটকেসের ভিতরে প্রয়োজনীয় নথিগুলোর এক সেট অনুলিপি রাখলে সেগুলো পরবর্তীতে শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বেশ উপযোগী হয়।
আরো পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
সৌদিআরবে পবিত্র ওমরাকালীন সতর্কতা
.
পরিশ্রমের ক্ষেত্রে পরিমিতি বজায় রাখা
আগে থেকে ইবাদতের জন্য মনস্থির করা থাকলে ওমরাকালীন পরিশ্রম অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরেও ওমরার সময় নিজের সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। প্রতিটি প্রক্রিয়ায় নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী ছোট ছোট বিশ্রাম নেওয়া উচিত। একটানা না হেঁটে মাঝে মধ্যে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক করে নিতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক এবং দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য জটিলতায় থাকা ব্যক্তিদের এই পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত।
মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাপারে সাবধানতা
হজযাত্রীদের টাকা, পাসপোর্ট এবং মোবাইল ফোন রাখার জন্য নিরাপদ মানিবেল্ট বা লুকানো পাউচ ব্যবহার করা উচিত। নগদ টাকা এবং ব্যয়বহুল সামগ্রী যথাসম্ভব চোখের আড়ালে রাখা উচিত। হোটেলের ভেতরে ও আশেপাশে, স্থানীয় মার্কেট থেকে কেনাকাটার সময়েও এই সতর্কতা আবশ্যক।
অনেক সময় নিজের অসাবধানতার কারণেও সঙ্গে বহন করে চলা জিনিসপত্র পড়ে যায়। তাই শুধুমাত্র নিতান্তই দরকারি জিনিস ছাড়া সবকিছু হোটেলে নিরাপদে রাখা উচিত।
যতটা সম্ভব মাত্রাতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলা
অপ্রয়োজনীয় যানজট এড়াতে হজযাত্রীদের নির্ধারিত নামাজ ও তাওয়াফ এলাকার মধ্যে থাকা উচিত। চলাফেরার সময় হুট করে কোথাও কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়ে গেলেই সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত জটলার সৃষ্টি হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রায় ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত ধাক্কার ঝুঁকি থাকে। তাই এই জায়গাগুলোতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাফেরা বজায় রাখতে হবে। এর জন্য আশেপাশের গতিবিধি সম্পর্কেও সর্বদা সতর্ক থাকা জরুরি।
গ্রুপের সান্নিধ্যে থাকা ও নির্দেশনা অনুসরণ
যেকোনো অপরিচিত পরিবেশে যে গ্রুপ বা সঙ্গীর সঙ্গে ভ্রমণ করা হয়েছে তাদের সান্নিধ্যে থাকাটা অত্যাবশ্যক। বিষয়টি ওমরার ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এখানে বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রীদের সমাগম হওয়ায় আকস্মিক বিচ্ছিন্নতার ঝুঁকি থাকে। এই সমস্যা সমাধানে গ্রুপের প্রধান একটি সাধারণ মিটিং পয়েন্ট নির্ধারণ করে দিয়ে থাকেন। এই নির্দেশনা অনুসরণ করা ঝামেলাবিহীন ওমরার অভিজ্ঞতারই নামান্তর। এর মধ্যেও যেকোনো সন্দেহ তৈরি হলে মোবাইল কলের মাধ্যমে সংযোগ রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: যেসব কারণে রোজা রাখা ডায়েট করা থেকে বেশি উপকারী
শেষাংশ
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ওমরা পালনের জন্য দেহ ও মনকে প্রস্তুত রাখা অপরিহার্য। কেননা এখানে একই সঙ্গে দৈহিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহনশীলতার পরীক্ষা দিতে হয়। শরীর ঠিক রাখার জন্য মনোযোগ দিতে হবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুম ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দিকে। অপরদিকে ওমরার আচার-অনুষ্ঠান ও দোয়া শেখা প্রাথমিকভাবে মানসিক প্রস্তুতি দেবে। উপরন্তু, যাত্রার পূর্বে প্রয়োজনীয় নথি, ওষুধপত্র, ও যোগাযোগ নাম্বার সংগ্রহ, এবং লাগেজ লেবেলিংয়ের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পরিশেষে, সফলভাবে ওমরা পালনের জন্য অতিরিক্ত পরিশ্রম ও ভিড় এড়িয়ে চলা, হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং গ্রুপের সান্নিধ্যে থাকাকে গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক।
৩২ দিন আগে
হজযাত্রীদের জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ: সৌদি মন্ত্রণালয়
এখন থেকে হজযাত্রীরা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে আর কোথাও ভ্রমণ করতে পারবে না বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সৌদি আরব।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবে হজ ভিসায় যাওয়া দর্শনার্থীদের এই তিন শহরের বাইরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই ভিসা শুধু হজ পালনের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে, কোনো কাজে যোগ দেওয়া, বসবাস শুরু করা বা জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণে লাগবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে বিতিাড়িত করা এবং ভবিষ্যতে হজে অংশগ্রহণের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞাসহ আরও গুরুতর শাস্তি হতে পারে।
এছাড়াও মন্ত্রণালয় জানায়, জিসিসি ভুক্ত দেশগুলো যাদের হজ পারমিটের প্রয়োজন নেই, তাদের ছাড়া সব আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের অবশ্যই অফিসিয়াল চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে হজ ভিসা নিতে হবে।
হজ ভিসা নেওয়ার পদ্ধতি সহজ করে তুলতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজ ভিসার জন্য নিবন্ধনের সুযোগ করে দিয়েছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট।
তবে আবেদনকারীদের অবশ্যই যিলহজ্জ মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অথবা হজযাত্রীদের কোটা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন করতে হবে।
ভিসা প্ল্যাটফর্মে লগ ইন করে হজ ভিসা নির্বাচন করে নির্দেশাবলী অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র সরবরাহ করতে হবে।
আবেদনপত্রগুলো তিন কার্যদিবসের মধ্যে তৈরি হয়ে যায়। তবে আবেদনকারীদের যত দ্রুত সম্ভব আবেদন করতে অনুরোধ করা হয় যাতে যথাসময়ে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।
আরও পড়ুন: হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
৩১৯ দিন আগে
মক্কায় ওমরাহ পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন।
ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে পবিত্র মসজিদ আল হারামে ওমরাহ পালন করেন এবং নামাজ আদায় করেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারা বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা ওমরাহ পালন করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী পবিত্র মসজিদুল হারামে জামাতে যোগ দিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমানে মদিনা ত্যাগ করে জেদ্দায় পৌঁছান এবং সেখান থেকে সড়কপথে মক্কায় যান।
৫০২ দিন আগে
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালন শেষে দাম্মামে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে সৌদি আরবের আল-কাসিম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোবারক হোসেন (৪৮), তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে তানজিল আব্দুল্লাহ (১৭) ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া মাহি (১৪)।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মোবারক হোসেনের স্ত্রী শিখা আক্তার (৪০) ও বড় মেয়ে মিথিলা ফারজানা মীম (১৯)।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
তারা স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মোবারক হোসেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র মক্কার উদ্দেশে রওনা হন।
ওমরাহ্ পালন শেষে শনিবার সৌদি আরব সময় সকাল ১০টার দিকে তারা দাম্মাম শহরের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে আল-কাসিম নামে স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাদের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে তাদের গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং গাড়িতে থাকা পাঁচজন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
মোবারক হোসেন ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের গাজিরটেক গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখের বড় ছেলে।
তার পাঁচ ভাই আর তিন বোনের মধ্যে চার ভাই সৌদি প্রবাসী।
মোবারক হোসেন প্রায় দুই যুগ ধরে পরিবার নিয়ে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে তার একটি কার রিপেয়ার শপ (গাড়ি মেরামতের দোকান) রয়েছে।
প্রায় ৩০ বছর সৌদি আরবে বসবাস তাদের। গত চার মাস আগেও পরিবার নিয়ে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন তারা।
নিহতের পিতা শেখ মোহম্মদ আলী ওরফে মোহন শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বড় নাতনি মিমের কানাডা যাওয়ার সব প্রস্তুতি শেষ করেছিল।
তার আগে তারা পরিবার নিয়ে ওমরাহ করতে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে আর দুই নাতির জীবন শেষ হয়ে গেল এই দুর্ঘটনায়। আমি আর কী বলব।’ একথা বলে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।
নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত বুধবার রাতে বড় ভাই মোবারক হোসেন তাদের ফোন করে জানান যে, তারা পরের দিন ওমরাহ করতে যাবেন।
তার ভাইয়ের বড় মেয়ের কানাডা যাওয়া এবং বাচ্চাদেরও পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা সপরিবারে ওমরায় যাচ্ছেন বলে জানান। এটিই ছিল তাদের সঙ্গে শেষ কথা।
এরপর দুর্ঘটনার দুই ঘণ্টা পরে জানতে পারি গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করেছে তারা। তবে তারা মারা গেছেন একথা প্রথমেই জানতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাংলাদেশ থেকে নিহতের শ্যালক গিয়েছেন সৌদি আরবে। এ ছাড়া প্রবাসে থাকা দুই ভাই আহত ও নিহতদের কাছে রয়েছেন।
তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার লাশটি যেন সরকার দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আরও পড়ুন: জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৬
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
৫৯৪ দিন আগে
সৌদির সঙ্গে নিরপত্তা ইস্যুতে ২ চুক্তি সই করবে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ এবং কিংডম অব সৌদি আরব (কেএসএ) নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং ‘রুট টু মক্কা’ পরিষেবা সংক্রান্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই করবে যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও সুসংহত করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নারী পুলিশসহ পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় সৌদি উপ-অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ড. নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এটি নতুন চালু করা। আমাদের নারী পুলিশরা ভালো করছে। এটা (এ ধরনের সহযোগিতা) ভালো।’
উভয় পক্ষ শ্রমিক সমস্যা এবং কেএসএ থেকে কম দামে এলএনজি আমদানি নিয়েও আলোচনা করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে সৌদি আরবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
ঢাকা-রিয়াদ নিরাপত্তা সহযোগিতা ও রুট টু মক্কা উদ্যোগের দুটি চুক্তি সই করবে।
মোমেন বলেন, আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উপমন্ত্রী অভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য সৌদি আরবের আগ্রহের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ শিগগিরই সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করছে।
সৌদি উপমন্ত্রী তার ব্যস্ততার মধ্যেও তাকে গ্রহণ করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে সৌহার্দ্যপূর্ণ সমর্থনের জন্য সৌদি বাদশাহ, যুবরাজ ও সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশকে বাণিজ্যিকভাবে এলএনজি সরবরাহে সহায়তার আশ্বাস সৌদি আরবের
৮৬১ দিন আগে
সৌদি আরবে আরও ৩ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশ হজ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত গত চার দিনে সৌদি আরবের মক্কায় আরও তিনজন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন-ঢাকার তপন খন্দকার (৬২), মাদারীপুরের লায়লা আক্তার (৫২) ও রংপুরের মো. খায়বার হোসেন (৫৫)।
পোর্টালে তথ্য অনুযায়ী, খায়বার হোসেন রবিবার এবং তপন ও লায়লা শুক্রবার মক্কায় মারা যান।
তাদের মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
চলতি বছরের ১১ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত সৌদি আরবে চার নারীসহ ১২ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।
এ বছর প্রায় ৬০ হাজার ২৫৬ বাংলাদেশি হজ করবেন।
আরও পড়ুন: হজ: সৌদি আরবে আরও ৩ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১৩ হাজারের বেশি হজযাত্রী
৯৯২ দিন আগে
হজ: সৌদি আরবে আরও ৩ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
আসন্ন হজ পালন করতে যাওয়া মক্কায় আরও তিন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ পোর্টাল জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন-ঢাকার ফাতেমা বেগম (৬০) পাসপোর্ট নম্বর ইই০৩৮২৮৪৩, সিরাজগঞ্জের রফিকুল ইসলাম (৪৭) পাসপোর্ট নম্বর বিটি০৪৮৫৪৩৩ এবং টাঙ্গাইলের মো আব্দুল গফুর মিয়া (৬২) যার পাসপোর্ট নম্বর বিওয়াই০০৬২২০২।
পোর্টাল অনুযায়ী ফাতেমা ও রফিকুল বৃহস্পতিবার এবং গফুর মঙ্গলবার মারা যান।
শুক্রবার পোর্টাল জানিয়েছে, মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সৌদি আরবে চলতি বছরের ১১ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তিন নারীসহ মোট নয়জন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
পড়ুন: ৪১৯ যাত্রী নিয়ে সিলেট থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট ছাড়লো
৯৯৫ দিন আগে
করোনা মহামারির মধ্যেই হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
করোনা ভাইরাসের টিকা প্রাপ্ত কয়েক হাজার মুসল্লি নিয়ে মুসলমানদের পবিত্র নগরী মক্কায় শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র হজ্জ। সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরিধানের মধ্য দিয়ে করোনা মহামারির মধ্যেই দ্বিতীয়বারের মতো হজ্জ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রবিবার থেকে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সৌদি হজ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠক
এই বছর করোনা মহামারি সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে সৌদি কর্তৃপক্ষ হজ্জে শুধুমাত্র ৬০ হাজার সৌদি জনগণ এবং দেশটিতে বসবাসকারী করোনার টিকাপ্রাপ্ত বাসিন্দাদের অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছে।
যদিও সৌদি আরব হজ্জের আয়োজন করছে, তবে ভ্যাকসিন, পাসপোর্ট, ভ্যাকসিন হার ইত্যাদি ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও রূপরেখা প্রদান করেনি দেশটি।
আরও পড়ুনঃ হজ্জ ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন করতে সংসদে বিল উত্থাপন
এইবার হজ্জ পালনকারীদের একধরনের ‘স্মার্ট ব্রেসলেট’ দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে হাজীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা, ভ্যাকসিন ডাটা জানা যাবে এবং হাজীরা তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য গ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়া দিনের মধ্যে কয়েকবার করে কাবা প্রাঙ্গন ও আশেপাশের এলাকা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
অলিস গুল নামে কাবার এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি শিফটে ২-৩ বার করে ফ্লোর সেনিটাইজ এবং তরল পরিষ্কারক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
১৩৪২ দিন আগে
৭ মাস পর মক্কায় মুসল্লিদের ওমরাহ পালন শুরু
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় সাত মাস পর সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহ পালন শুরু করেছেন মুসল্লিরা।
১৬৩০ দিন আগে
হজ পালনে মিনায় ১০০০ হাজি
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই এ বছরের হজে অংশ নিতে প্রায় ১ হাজার হাজি বুধবার মক্কার মিনায় পৌঁছেছেন।
১৬৯৭ দিন আগে