করোনার বিস্তার রোধে ব্যাপক স্বাস্থ্য সতর্কতা ও নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এ বছরের পবিত্র হজ শুরু হয়েছে।
আরব নিউজ জানায়, মিনায় গিয়ে অবস্থানকারী হজ পালনকারীরা বৃহস্পতিবার সকালে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান নেবেন। সেখানে তারা সকাল থেকে দিনভর ইবাদত-বন্দেগিতে সময় অতিবাহিত করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন তারা।
মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে প্রায় ২৫ লাখ লোকের জন্য তাবু স্থাপিত শহর মিনায় এবার অল্প সংখ্যক হজপালনকারী অবস্থান নেবেন।
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত বিধিনিষেধ থাকলেও এই বছরে সৌদি বা প্রজাতন্ত্রের মধ্য থেকে আগত যাত্রীরা হজ পালন করতে পারবেন।
যারা এই বছরের হজে অংশ নেবেন তাদেরকে মক্কায় আসার পর তাপমাত্রা পরীক্ষা করার পর কোয়ারেন্টেইনে রাখা হয়েছিল। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের লাগেজ জীবাণুমুক্ত করেছেন।
স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কর্মীরা কাবা শরিফের চারদিকে জীবাণুমুক্ত করতে বিশেষভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছেন।
এবারের হজে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তায় এবং কাবা শরিফের পরিচ্ছন্নতায় কোনো হজপালনকারীকে কাবা শরিফ স্পর্শ করতে দেয়া হবে না।
এছাড়াও হজযাত্রীদের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিক এবং অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হজযাত্রীদের মাস্ক পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
সকল হজযাত্রীকে মক্কায় আসার আগে করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ দেখাতে হয়েছে এবং হজ পালনের পর তারা আবার কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।
মিনায় পাথর নিক্ষেপসহ সব কাজের সময় মাস্ক ব্যবহার ও দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মিনায় পাথর নিক্ষেপের নুড়ি হজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যাগের মাধ্যমে সরবারহ করবে।
বৃহস্পতিবার হজের খুতবা শোনার জন্য হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে যাবেন। তারপর তারা মুজদালিফায় যাবেন এবং জামারায় অনুষ্ঠানের পর মিনায় ফিরে আসার আগে রাতে অবস্থান করবেন।
আজারবাইজানের জেলকিন, তিনি জুবাইলে বসবাস করেন এবং কাজ করেন। এ বছর তিনি হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মহামারির মধ্যে এত অল্প সময়ে এই ধরনের ব্যবস্থা করা সত্যিই কঠিন। আমি এটি বিশ্বাস করতে পারছি না (হজের সুযোগ পেয়ে)। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ। এটি আমার ভাগ্য নয়, এটি আল্লাহর ইচ্ছা এবং তার ইচ্ছা আপনাকে মানা উচিত।’