উন্নয়ন প্রকল্প
উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বৃক্ষ নিধন পরিহারের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যথাসম্ভব বৃক্ষ নিধন পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় জায়গা থাকলে অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নকারী প্রকল্প পরিচালক কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও কর্মসম্পাদনে সফলতা বিবেচনায় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-'২৫ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থবছরের শুরুতেই কর্মপরিকল্পনা করে সেই মোতাবেক কাজ করতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতার হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করতে হবে। মন্ত্রী প্রকল্পগুলোর বর্তমান অবস্থা, অর্জন ও চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি: পরিবেশমন্ত্রী
৪ মাস আগে
খুলনায় ২৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রধানমন্ত্রীর
খুলনায় একদিনের সফরে ২ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং আরও পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো: গণহত্যা ও নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ভবন, সিভিল সার্জন অফিস ভবন ও বাসভবন, পাইকগাছা উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খুলনা শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ অফিসের সংস্কার ও আধুনিকায়ন, খুলনা বিএসটিআইয়ের আঞ্চলিক অফিসের ১০ তলা ভবন, ১০ তলা বিশিষ্ট মহিলা হোস্টেল ভবন, পাইকগাছা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণকাজ (সিভিল, স্যানিটারি ও ইলেকট্রিক্যাল) এবং দৌলতপুরে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৪ তলা বয়েজ হোস্টেল নির্মাণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবশ্যই অগ্নিসংযোগ সহিংসতা কাটিয়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর (ইইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত অন্যান্য ১১টি প্রকল্প হলো: ৫তলা বিশিষ্ট ডুমুরিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ একাডেমিক কাম ৪তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, খুলনা কলেজিয়েট স্কুলের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, সরকারি এলবিকে ডিগ্রি মহিলা কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৬ তলা একাডেমিক ভবন, তালিমুল মিল্লাত রহমতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ৬ তলা একাডেমিক ভবন, নজরুল নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, আরআরএফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ তলা একাডেমিক ভবন, আগর ঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন, পাইকগাছা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ তলা একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ভবন।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) কর্তৃক খালিশপুর বিআইডিসি সড়কের ড্রেন, ফুটপাথ, রাস্তা প্রশস্তকরণ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত ডুমুরিয়া উপজেলার বসুন্দিয়াডাঙ্গা বাজার-মুগুর খালি ইউপি অফিস সড়কে ভদ্রা নদীর উপর সেতু (৩১৫.৩০ মিটার), সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের শেখেরটেক ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) কর্তৃক নবনির্মিত ৬ তলা খুলনা আঞ্চলিক অফিস।
কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাথাভাঙ্গা এলাকায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল, ইইডির দিঘলিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৫ তলা একাডেমিক ও ৪ তলা প্রশাসনিক ও ওয়ার্কশপ ভবন, বিআইডব্লিউটিএ’র সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় রাজা বোহ্যংতো রায়ের স্মৃতিসৌধ এবং এলজিইডির কুরুলিয়া নদী সেতু (৭৪৮.৯০ মিটার)।
আরও পড়ুন: স্থানীয়ভাবে কুষ্ঠ রোগের ওষুধ উৎপাদন করুন: ওষুধ কোম্পানিগুলোকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
১ বছর আগে
উদ্বোধন হওয়া ৩ উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যৌথভাবে উদ্বোধন করা ভারতের সহায়তায় ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প এই উপ-অঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের জনগণকে উপকার করবে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আমি ১ নভেম্বর যৌথভাবে ৩টি উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছি। আমি আশা করি এই প্রকল্পগুলো উভয় দেশ এবং এই উপ-অঞ্চলের জনগণের উপকার করবে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী একজন 'গ্লোবাল স্টার': মোমেন
প্রকল্প ৩টি হলো- ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার আখাউরা-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন; এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২।
প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সাল থেকে শুরু হওয়া ৫ বছরের মেয়াদে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের নতুন আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের প্রার্থিতা সমর্থন করায় ভারত সরকার ও নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির আসল চরিত্র বিশ্বের সামনে তুলে ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শেখ হাসিনার একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ নেপালের একমাত্র প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেই সাধারণ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের একে অপরের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিৎ।’
সাক্ষাৎকালে দু'দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার অবস্থা নিয়ে দু'জনেই সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের জন্য আরও ১০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে পাবনা জেলার উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ শেষে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন।
উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পাবনা জেলার সড়ক যোগাযোগ, পানি উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অবকাঠামো উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন স্থানীয় চাহিদা ও জনস্বার্থ বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বল্পমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান, কারণ সব প্রকল্প একযোগে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন এনএসইউ’র ভিসি
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি কর্মকর্তাদের মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রকল্পগুলো শেষ করার নির্দেশ দেন।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (অতিরিক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবন তোষাখানা জাদুঘরের প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা জোরদার করুন: দুদকের প্রতি রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে
উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুধু উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নই আপনার দায়িত্ব নয়, জনগণ যাতে উন্নয়নের সুফল পায় তাও নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর: অ্যাটর্নি জেনারেল
বুধবার রাষ্ট্রপতি তার নামে একটি মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।
তিন দিনের সফরে বিকালে মিঠামইনে পৌঁছান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জনপ্রতিনিধিদের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য তাদের কল্যাণে কাজ করা।
এ সময় সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন ও রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে নীরব বিএনপি
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অপ্রত্যাশিত: সিইসি
১ বছর আগে
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী নগরীসহ সারা জেলায় রবিবার এক হাজার ৩১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে তিনি রাজশাহী নগরী ও জেলায় নতুন তথ্য ভবন কমপ্লেক্সসহ ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয়টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
সম্প্রতি সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মোহনপুর রেলক্রসিংয়ে ফ্লাইওভার, রাজশাহী পুলিশ সদর দপ্তর ভবন, রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিস ভবন, শেখ রাসেল শিশু পার্ক, রাজশাহী সরকারি বালিকা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ছয় তলা ফাউন্ডেশনসহ দোতলা হোস্টেল, রাজশাহী চারঘাট টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাঁচতলা একাডেমিক ভবন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বহুমুখী ভবন, রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধ, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ভূমি পুনরুদ্ধার ও নৌচলাচল বৃদ্ধি।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রকল্পগুলো উদ্বোধন শেষে বিকালে রাজশাহী মাদরাসা মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
সারদা পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের প্রবেশনারি সহকারী পুলিশ সুপারদের পাসিং আউট প্যারেডে যোগ দিয়ে রাজশাহী সফর শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৩৮তম ব্যাচের মোট ৯৭ জন এএসপি সারদা পুলিশ একাডেমিতে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: একনেকে ৬ উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন
রাঙামাটিতে ৬ কোটি টাকার ৫ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
১ বছর আগে
রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি: প্রধানমন্ত্রী
রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল। রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য ও সার কিনতে। রিজার্ভের টাকা জনগণের কল্যাণে ও আমদানিতে ব্যয় হয়েছে। কেউ এই অর্থ আত্মসাৎ বা অপব্যবহার করেনি।’
বৃহস্পতিবার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে পায়রা বন্দরে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মানুষের উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ দিতে হবে: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
উদ্বোধন করা অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আটটি জাহাজ, ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমবারের মতো ‘বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড’ (বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল) এর অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে। এই অর্থ দিয়েই বন্দরের ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বন্দরকে ন্যূনতম সুদের হারে ঋণ দিয়েছি। এক শতাংশ সার্ভিস চার্জের সঙ্গে তাদের দিতে হবে মাত্র দুই শতাংশ সুদ।’
দেশের অর্থ বাংলাদেশেই থাকবে বলেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বিদেশি তহবিল নেয়ার সময় বাংলাদেশকে যেসব ঝামেলা পোহাতে হয় তা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সেই বিবেচনায় আমরা একটি তহবিল তৈরি করেছি-বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল। আমরা আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভ অর্থ ব্যবহার করে এই তহবিল তৈরি করেছি। যা ব্যবহার করেই পায়রা বন্দরের ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন হাজার ৫৯৮ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এক বছর আগে যা ছিল চার হাজার ৬১৯ কোটি মার্কিন ডলার (২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর)।
আরও পড়ুন: প্রফিট শেয়ার করার জন্য হাওয়া ভবন ও পিএমওতে উন্নয়ন উইং নেই: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
সিলেটে ভারতের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন
ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সিলেটে সরকারি সফর করেছেন। এ সময় তিনি চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
দোরাইস্বামী সিলেটের চালিবন্দরে উমেশ চন্দ্র-নির্মলবালা ছাত্রবাস প্রাঙ্গণে নির্মিত পাঁচতলা মহিলা হোস্টেলটির উদ্বোধন করেন।
ভারত সরকারের ৪.৩৫ কোটি টাকার আর্থিক অনুদানে উমেশ চন্দ্র-নির্মলবালা ছাত্রবাস ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত অলাভজনক এই মহিলা হোস্টেলে ১৬০ জন ছাত্রী থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি: দোরাইস্বামী
এছাড়া বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে আরও তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
২ বছর আগে
পানি সংরক্ষণে সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার ভূপৃষ্ঠের পানির যথাযথ ব্যবহার এবং ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পানির আরেক নাম জীবন, আমরা ভূ-পৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো এবং ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছি, সবাইকে এই বিষয়টির দিকে নজর দিতে হবে।
সোমবার ২০২২ সালের বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় শহরের গ্রিন রোডের পানি ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ভূগর্ভস্থ পানি:অদৃশ্য সম্পদ,দৃশ্যমান প্রভাব’।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন,বিশ্বে দুই বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছে।
তিনি বলেন,যদি আমরা এই সম্পদকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের দেশের মানুষের কোন দুর্ভোগ থাকবে না। এবং আমরা বিশ্বে নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে পারব।এটা মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে নদী থেকে পানি পরিশোধন করে সরবরাহ শুরু করেছে।এমনকি জেলা পর্যায়েও ভূগর্ভস্থ পানি সংরক্ষণের জন্য সরকার নদী থেকে পানি পরিশোধন করে সরবরাহ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন,আমরা ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার সীমিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বেড়ে উঠুক অটিজম শিশুরা: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
জনগণ আমলাতন্ত্রের কাছে জিম্মি: ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ
ময়মনসিংহ-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ আমলাদের কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, জনগণ আমলাতন্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমলাতন্ত্রের কাছে জিম্মি। আমলাতন্ত্র থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
সোমবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে নাজিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন আমলাতান্ত্রিক সমস্যায় ভুগছি। আমলারা যেভাবে কথা বলেন তাতে মনে হয় তাদের কাছে সংসদ সদস্যদের কোনো মূল্য নেই। সংসদ সদস্য হিসেবে তাদের কাছে গেলে কোনো সম্মান পাই না।’
এই সাংসদ বলেন, ‘তার নির্বাচনী এলাকায় হাসপাতাল, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ভবন, রাস্তা-মসজিদসহ অনেক উন্নয়ন প্রকল্প অর্ধেকে থমকে আছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় টিকে থাকতে আ’লীগ আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘একের পর এক সব উন্নয়ন কাজ বন্ধের পথে। ঠিকাদারদের অভিযোগ, তারা বিল পাচ্ছেন না এবং টাকা ছাড়া প্রকল্পের কাজ করতে পারছেন না।’
নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘যদি এমন হয়, তাহলে আমরা ভোটের সময় জনগণের কাছে জবাব দিতে পারব না। কারণ পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র দুই বছর।’
তিনি বলেন, ‘একজন সাংসদকে তার প্রাপ্য মর্যাদা খুব কমই দেয়া হয়। এমনকি সরকারি দপ্তরের পিয়নও এমপিদের যথাযথ মূল্যায়ন করে না।’
আরও পড়ুন: ভারতের আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়েছে রূপপুরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রকল্প
এছাড়া ইউটিউবের মাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো হয় অভিযোগ করে নাজিম উদ্দিন সরকারকে ইউটিউব বন্ধের দাবিও জানান।
২ বছর আগে