বাসিন্দা
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের
দেশের উজানে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সুরমা নদীসহ জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীর পানি কমলেও ভোগান্তি বেড়েছে হাওরপাড়ের বাসিন্দাদের। নদীর পানি ধীরে কমায় ভোগান্তি দীর্ঘ হচ্ছে তাদের।
সরজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের উঁচু এলাকায় পানি অনেকটাই কমেছে, তবে নিচু এলাকায় পানি এখনো স্থির হয়ে রয়েছে। অসংখ্য বাড়িঘরে এখনও পানি রয়েছে। জনবসতি ও সড়কে হাঁটু পানি। এছাড়া ভোগান্তিতে পড়েছেন সুনামগঞ্জ সদর, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ, ছাতক, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩
সদর উপজেলার খাইমতর গ্রামের জহুর উদ্দিন বলেন, ‘বাড়ি থেকে কোথাও বের হওয়া যাচ্ছে না। সকালে কলেজে গেছিলাম পানিতে ভিজে। রাস্তাঘাট ভাঙা, কাদা মাটি ভরা। গাড়ি চলে না। অনেক জায়গা হেঁটে হেঁটে যাওয়া লাগছে।’
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাসননগর এলাকার মামুন আলী বলেন, ‘বন্যার পানি কমায় আমরা খুব অসুবিধায় আছি। ঘরের ভেতর থাকার মতো আর অবস্থা নেই। ঘরে এখনও হাটু পানি, হাওরের ঢেউয়ে ঘরের টিন সব ভেঙে ফেলছে। খাবার দাবারও ঘরে নেই।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের তথ্য মতে, রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় (১৩ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত) সুনামগঞ্জ পৌরশহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি কমেছে ১৭ সেন্টিমিটার। এই ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৩ মিলিমিটার।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করেছে। দেশের উজানে বৃষ্টি কম হচ্ছে। যার কারণে পাহাড়ি ঢলের তোড় কমে আসছে। সুনামগঞ্জেও বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। এখন বন্যা পরিস্থিত উন্নতির দিকে।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে তৃতীয় দফায় বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দি
সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ৩ লাখ ডলার সহায়তা
৪ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধস,বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং
খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করছে প্রশাসন।
পাহাড় ধসের ঘটনাগুলোর মধ্যে সোমবার (১ জুলাই) জেলা শহরের মধ্য শালবন এলাকায় রান্না ঘরের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ে। এতে স্থানীয় বেলালের রান্নাঘরটি ভেঙে গেছে।
এছাড়া সদরের কমলছড়ি ইউনিয়নের ভুয়াছড়ি এলাকার সড়কের উপর পাশের পাহাড় ধসে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে ঐ এলাকার সড়ক পথের চলাচল। এছাড়াও বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। চেঙ্গি, মাঈনি এবং ফেনী নদীর পানি বেড়েছে। বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে গঞ্জপাড়া, মুসলিম পাড়া, দীঘিনালার মেরুং ও মহালছড়ির নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
জেলায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সবুজবাগ, শালবাগান, কুমিল্লাটিলা, কলাবাগানসহ শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ধসের শঙ্কা করছে প্রশাসন।
ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের বিভিন্নভাবে সচেতন করার চেষ্টা করছে প্রশাসন।
এদিকে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সকাল থেকে শালবন, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ ও কুমিল্লাটিলা ঘুরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীতে সরিয়ে নিতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
এ দিকে, ভারী বর্ষণে সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি মহালছড়ি সড়কের মহালছড়ির চব্বিশ মাইলে সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে রাঙ্গামাটির সঙ্গে খাগড়াছড়ির যান চলাচল বন্ধ।
পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে জেলার নদ-নদীতে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে মাইকিং চলছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকায় এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকির পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রেজাউল বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসের ঝুঁকি বাড়ছে। আতঙ্ক নিয়ে বাস করছে মানুষ। প্রতিবছর ছোটখাটো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেই নড়েচড়ে উঠে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। পাহাড় ধসে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে খাগড়াছড়ি থেকে ২ সন্দেহভাজন আটক: ডিবি
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
৪ মাস আগে
চেরাপুঞ্জিতে ঢল, ফের পানিবন্দি সুনামগঞ্জের বাসিন্দারা
প্রথম দফার ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবারও বন্যার কবলে পড়ছে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সকল নদনদীর পানি।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ডুবেছে সুনামগঞ্জ শহরসহ জেলার নিম্নাঞ্চল। সেইসঙ্গে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক। আর এতে আবারও বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন ভাটির এ জেলার ২৫ লাখ মানুষ।
আরও পড়ুন: সিলেট-সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার আশঙ্কা
এদিন ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর, সাহেববাড়ি ঘাট ও পুরানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট।
এমনকি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূর্গাপুর সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে আবারও তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক এখন পানির নিচে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ওইসব অঞ্চলের পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, ‘সকল নদীর পানি আবারও বাড়ছে। সড়কে পানি ওঠায় জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন সুনামগঞ্জে যেতে হচ্ছে নৌকায়। বন্যা আমাদের অবস্থা একদম নাজেহাল করে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা
সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলে ফের বন্যার আশঙ্কা
৪ মাস আগে
ভারী বৃষ্টির কারণে ২৭ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে চীন
সর্বশেষ দফায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ফুজিয়ানের নানপিং, সানমিং ও অন্যান্য শহরের প্রায় সাড়ে ৫১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে প্রায় ২৭ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
প্রাদেশিক বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বলছে, ভারী বর্ষণের এই সময়ের মধ্যে ফুজিয়ানে ৩ হাজার ১৩৩ হেক্টরেরও বেশি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
গত ৯ জুন সকাল ৮টা থেকে ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত ফুজিয়ানের ৫৫টি কাউন্টির ৩৮৬টি শহরতলিতে ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নানপিং শহরের হুয়াংকেং টাউনশিপে সবচেয়ে বেশি ৫৮১ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
প্রদেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরঞ্জাম ও জেনারেটরের সাহায্যে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে স্থানীয় জরুরি মেরামত কর্মীরা নানপিংয়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় নিহত ২০, নিখোঁজ ২৭
৫ মাস আগে
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্দেশে গাজার বাসিন্দাদের উত্তর থেকে দক্ষিণে স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক।
কয়েক দিনের বিমান হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা সিটি ও এর আশেপাশের ফিলিস্তিনিদের ওই অঞ্চলের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উল্লেখ করে গুতরেস বলেন, ‘খাবার, পানি বা বাসস্থান নেই- অবরুদ্ধ করে রাখা এমন অঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা অত্যন্ত বিপজ্জন এবং কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভবও।’
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলো ইতোমধ্যে পূর্ণ হয়েছে এবং উত্তরাঞ্চল থেকে যাওয়া হাজার হাজার নতুন রোগী গ্রহণ করতে পারবে না। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে। মর্গগুলো উপচে পড়ছে; দায়িত্ব পালনকালে ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৩৪টি হামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গাজার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এবং বিদ্যুৎ পাম্প ও ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা পানি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে।
গুতেরেস বলেন, গাজার পরিস্থিতি একটি বিপজ্জনক নতুন নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
তিনি বলেন, শনিবার ইসরায়েলে হামাসের ভয়াবহ আকস্মিক হামলায় এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে এবং গাজায় ইসরায়েলের তীব্র বোমা বর্ষণে ইতিমধ্যে এক হাজার ৮০০ জন নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন।
গুতেরেস গাজায় অবিলম্বে মানবিক প্রবেশাধিকারের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে জ্বালানি, খাদ্য এবং পানি সংকটে থাকা লোকদের সরবরাহ করা যায়। তিনি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও মানবাধিকার আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানান। অবিলম্বে গাজায় জিম্মিদের মুক্তিরও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হামাসকে 'ধ্বংস' করার অঙ্গীকার নেতানিয়াহুর : গাজা আক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে
গুতেরেস বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষ এবং তাদের ওপর যাদের প্রভাব রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা জরুরি।’
জাতিসংঘ মহাসচিব মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বজুড়ে সংঘাতের কারণে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধেও সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সহিংসতাকে উস্কে দেয় এমন অমানবিক ভাষা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি সকল নেতাদেরকে ইহুদিবিদ্বেষ, মুসলিমবিদ্বেষ গোঁড়ামি এবং সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং মৃত্যু ও ধ্বংসের এই অন্তহীন চক্রের স্থায়ী সমাধান খুঁজতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
১ বছর আগে
কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
কুমিল্লার বুড়িচং সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারত যাবার সময় ৩০ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার খাড়েরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক হওয়া রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের টেকনাফের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে মাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাঁচটি পরিবার অবৈধ ভাবে ভারতে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্যে ছয় জন পুরুষ,আট জন নারী এবং ১৬ জন শিশু। এসব রোহিঙ্গারা বুধবার সড়ক পথে যানবাহন পাল্টে-পাল্টে কক্সবাজার থেকে কুমিল্লা আসে। বৃহস্পতিবার তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
ওসি আরও বলেন, সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় খাড়েরা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে বুড়িচং থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
তাদেরকে কক্সবাজারে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে শিশু নিহত
বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি: ২৯ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৩
২ বছর আগে
জৈন্তাপুরে নদী ভাঙনের কবলে কয়েক গ্রামের বাসিন্দা
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াগাং ও সবুড়ী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন চলাচলের রাস্তা ও বাড়িঘর সহ ফসলি জমি।
নদী ভাঙ্গনে বাউরভাগ, মল্লিফৌদ, কাটাখাল ও লামনী গ্রামের গ্রামীণ রাস্তাসহ শতাধিক বাড়ী সহ কয়েক হাজার একর ফসলি জমি হুমকির মুখে রয়েছে। নদীর সর্বগ্রাসী ভাঙ্গনে কাটাখাল রাস্তার দেড় কিলোমিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
সরেজমিনে নদী ভাঙ্গনের খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদীর তীরবর্তী মোয়াখাই, লামনী, কাটাখাল, মল্লিফৌদ গ্রামগুলো রক্ষা করতে জরুরী ভাবে ব্লক স্থাপন প্রয়োজন। নতুবা পুনরায় বন্যা দেখা দিলে এসব এলাকার মানুষ সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে এবং ফসলী জমি চলে যাবে নদী গর্ভে। ইতোমধ্যে কাটাখাল গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যার পরিস্থিতির উন্নতি, গ্রামাঞ্চলে অপরিবর্তিত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীর উভয় পাশে অন্তত দুই হাজার মানুষের বসতবাড়ি ও তাদের ধানের ফসলি জমি রয়েছে। নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বসতভিটা ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্য স্থানে চলে যাচ্ছে অনেকেই। গ্রামবাসী নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে গ্রামের মানুষকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থায়ী ভাবে নদী তীরবর্তী ব্লক স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহনের দাবী জানান।
এলাকাবাসী জানান, ওয়াপদা বেড়ী বাঁধের কারনে নয়াগাং নদীর পানি স্বাভাবিক গতির চেয়ে বেশি গতিতে প্রবাহ হচ্ছে। ফলে নদীর প্রবল স্রোত এবং দীর্ঘ সময়ে নদীতে পানি থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষের বসতভিটা, চলাচলের রাস্তাঘাট ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।
এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হওয়ায় জনগণের প্রত্যাশা তিনি শিগগির নদী ভাঙ্গনের কবল হতে মানুষের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, চলাচলের রাস্তা রক্ষায় এগিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বাড়ছে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি
২ বছর আগে
করোনার বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রাস্তায় ঢাকার বাসিন্দারা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে নগরবাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
৪ বছর আগে