ফল
বাগেরহাটে উঠতে শুরু করেছে তরমুজ, কেজি ৫০ টাকা
বাগেরহাটে উঠতে শুরু করেছে তরমুজ। ফলের দোকানে পসরা সাজিয়ে কিংবা ভ্যান করে বিক্রি হচ্ছে রসালো এই ফল। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
বিভিন্ন জাত ও নানা সাইজের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে বাগেরহাট বাজারে। ক্রেতাদের কাছে যেকোনো ফলের চেয়ে তরমুজের চাহিদা বেশি। ইফতারিতে তরমুজের প্রাধান্য বেশি। এছাড়া এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
বাগেরহাট শহরের মিঠাপুকুর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে আলদাভাবে তরমুজ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সাইজের তরমুজ পথচারীদের নজর কাড়ে। পথচারী থেকে শুরু করে করে অনেকে যানবাহন থামিয়ে তরমুজ ক্রয় করছেন। তিন কেজি থেকে শুরু করে আট কেজি ওজনের তরমুজ দেখা গেছে সেখানে।
আরও পড়ুন: চাষ না হলেও দক্ষিণের তরমুজে ভরপুর চাঁদপুর
পথচারী হালিম শেখ বলেন, ‘রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখা এত তরমুজ এই মৌসুমে প্রথম দেখা গেলো। ৫০ টাকা কেজি দরে ৬ কেজি ওজনের একটি ক্রয় করে সে।
মিল্টন, আলম, তৌহিদ, অমলসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতারা জানান, তরমুজ তাদের অনেক পছন্দ। একারণে দাম যাই হোক; তারা তরমুজ ক্রয় করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
তবে কয়েকজন সাধারণ ক্রেতা জানান, ৫০ টাকা তরমুজের কেজি তাদের কাছে বেশি হয়ে গেছে। মৌসুমের প্রথম ফল ও তরমুজ তাদের সবার পছন্দ থাকায় প্রয়োজনের তুলনায় ছোট সাইজের তরমুজ ক্রয় করেছেন।
হাবিব হোসেন পটুয়াখালী চাষিদের জমি থেকে প্রায় দেড় হাজার তরমুজ ক্রয় করে ট্রাকবোঝাই করে বাগেরহাট মিঠাপুকুর পাড়ে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ব্যবসা করছি। মিঠাপুকুর পাড়ে বিক্রি জন্য স্তূপ করে তরমুজ রাখা হয়েছে। ট্রাক থেকে তরমুজ নামানোর পর থেকে ক্রেতারা আসছেন তরমুজ ক্রয় করতে। খুচরা প্রতি কেজি তরমুজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছে। এভাবে তরমুজ বিক্রি করতে পারলে বেশ টাকা লাভ হবে।’
এছাড়া এই মৌসুমে তরমুজ বাজারে প্রথম উঠছে। এ কারণে দাম একটু বেশি বলেও জানান তিনি। কয়েকদিন পরে তরমুজের দাম কমে আসবে বলেও জানান হাবিব হোসেন।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, ‘সারাবছরজুড়ে কমবেশি তরমুজ পাওয়া যায়। তরমুজের প্রধান মৌসুম মার্চ মাস।’
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে তরমুজের বাম্পার ফলন, সেচ-পরিবহন সমস্যায় কৃষকরা
তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় নানা জাতের হাইব্রিড তরমুজ চাষ হচ্ছে। এ বছর তরমুজের ফলনও ভালো। তরমুজ হাট-বাজারে নতুন আসায় এর দামও বেশি।’
উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার আরও বলেন, ‘গ্রীষ্ম ও শীতকালে বেশি তরমুজ চাষ হয়। গ্রীষ্মকালের তরমুজের চারা নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে রোপণ করা হয়।’ এছাড়া ড্রাগন কিং, পাকিজা, বিগফ্যামিলি, এশিয়ান ও বাংললিংকসহ বিভিন্ন নামে হাইব্রিড তরমুজ চাষ করা হয়েছে বলে এই কৃষি কর্মকর্তা জানান।
২১ দিন আগে
সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
প্রতি বছরের মতো এই রমজানেও আগেভাগেই বাড়ছে বিদেশি ফলের দাম। ইফতারের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের পাশাপাশি কমলা, আপেল, আঙ্গুর ও মাল্টার দাম এখন সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। ডলার-সংকট ও বাড়তি দরে শুল্কায়ণের কারণে গত বছরের দামকেও ছাড়িয়ে গেছে এবারের ফলের বাজার। তাই সেহরি ও ইফতারে ফলের চাহিদা মেটানোর একমাত্র উপায় দেশি ফল। এই পরিপ্রেক্ষিতে চলুন জেনে নেই, কোন কোন দেশি ফলগুলো এবারের ইফতার ও সেহরিতে বিদেশি ফলের সেরা বিকল্প হতে পারে।
যে দেশি ফলগুলো সেহরি ও ইফতারে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে
বেল
কাঁচা ও পাঁকা দুই অবস্থাতেই সমান জনপ্রিয় ফল বেল। এতে থাকা ট্যানিক এবং ফেনোলিক উপাদান দুটি মূলত উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আলসার, ডায়রিয়া, আমাশয় এবং অন্যান্য হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর চিকিৎসায় অনেক উপকারী। রোযার সময় নতুন খাদ্যাভাসের কারণে অনেকেই প্রথম দিকে নানা ধরণের হজম জনিত জটিলতায় ভুগেন। এমতাবস্থায় বেল হতে পারে সেরা প্রতিষেধক।
বেলে থাকা রাইবোফ্লাভিন এবং থায়ামিন পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বেলের রস কিডনির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এর মধ্যে রয়েছে রেচক বৈশিষ্ট্য। ফলে এটি প্রাকৃতিক ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজম নিয়ন্ত্রণে অংশ নিতে পারে।
বেলের শরবতের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে শরীরের দুর্বলতা এবং ক্লান্তি ভাব দূর হয়। ১১ মাস পর হঠাৎ দিনের একটা বিরাট সময় উপোস থাকার ক্ষেত্রে ক্লান্তি ভাব আসাটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বেলের এই আইটেমটি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
পেঁপে
তরকারি, শুকনো ফল, সালাদ সব ভাবেই প্রতিদিনের আহারে রাখার মতো একটি ফল হচ্ছে পেঁপে। এতে থাকা প্যাপেইন নামক এনজাইমটি হজমে অবদান রাখে। পেঁপেতে যথেষ্ট পরিমাণে পানি ও ফাইবার রয়েছে, যা যুগ্মভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে ও পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন ও পটাশিয়াম। ইফতারের মুখরোচক খাবার যারা একদমি এড়িয়ে যেতে পারেন না, তাদের খাদ্য তালিকায় পেঁপে যোগ করা উচিত। অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া কোলেস্টেরল ও সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সেখানে পেঁপের মতো পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
এই ফলের সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ রাসায়নিক উপাদানটি হচ্ছে কোলিন। একটি স্বাস্থ্যকর ঘুম, পেশীর যথাযথ নড়াচড়া এবং স্মৃতিশক্তির বিকাশে একটি বহুমুখী পুষ্টি উপাদান এই কোলিন। এর কার্যকারিতার মধ্যে রয়েছে কোষ ঝিল্লির গঠন বজায় রাখা, মস্তিষ্কের নিউরনের উন্নয়ন সাধন, চর্বি শোষণ এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমানো।
আরও পড়ুন: অপরাজিতা ফুলের নীল চা: জাদুকরী স্বাস্থ্যগুণ, বানানোর পদ্ধতি
আনারস
ইফতারের আয়োজনে দারুণ এক সংযোজন হতে পারে আনারস। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ম্যাঙ্গানিজ হজমে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোযা অবস্থায় শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এড়াতে সহায়তা করে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস মূলত প্রচুর পরিমাণে ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে ঘটে, যা নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং কিছু কিছু ক্যান্সারের দিকেও ধাবিত করে।
আনারসে ব্রোমেলাইন নামক পাচক এনজাইমের একটি গ্রুপ রয়েছে, যা মাংসের হজম সহজ করতে পারে। ব্রোমেলাইন প্রোটিন অণুগুলোকে ভেঙে দেয়, ফলে ক্ষুদ্রান্ত্রের শোষণ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
তাই সেহরিতে গরু বা মুরগির মাংস দিয়ে ভারী খাবারের পর আনারস খাওয়া যেতে পারে।
এই ফলে আরও আছে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা সামগ্রিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
আরও পড়ুন: কাঁসা, পিতল ও তামার তৈজসপত্র ব্যবহার কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, বিজ্ঞান কী বলে?
কলা
বারমাসি জনপ্রিয় ফল কলা ইফতার ও সেহরি দুই সময়ের জন্যই ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। ফাইবার ও প্রতিরোধী স্টার্চের উৎস হওয়ায় কলা সারাদিন উপবাস অভ্যাসের সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। প্রতিরোধী স্টার্চ দেহে স্বল্প পরিমাণে পূর্ণতার এক অনুভূতি সৃষ্টি করে।
শুধু তাই নয়, এতে বিদ্যমান পটাসিয়াম তৃষ্ণা নিবারণ করে এবং রোযাদারকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে। এক কথায়, তিন বেলা আহারের বিপরীতে ৮ ঘন্টা দূরত্বে দুই বেলা খাবারের ধাক্কা সামলানোর জন্য কলা একটি সেরা ফল।
পেয়ারা
কমলার চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি, আনারসের চেয়ে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন ও ৪ গুণ বেশি ফাইবার, এবং কলার চেয়ে বেশি পটাসিয়াম। আর এই পরিসংখ্যানই পেয়ারাকে সব ফলের উপরে আধিপত্য দিয়েছে।
ভিটামিন সি-এর কাজ সামঞ্জস্যপূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখা। এর সঙ্গে অতিরিক্ত শক্তি হিসেবে যোগ হয় পেয়ারায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তবে এই ফলের প্রধান পুষ্টি উপাদান হচ্ছে ফাইবার, যা মলকে নরম করে পেট পরিষ্কার ও হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রাথমিক লক্ষণেই শরীরে পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষা গঠন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার
বরই
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে আরও একটি প্রয়োজনীয় ফল বরই। এর প্রধান পুষ্টি উপাদান ফেনোলিক যৌগ এবং ভিটামিন সি সম্মিলিতভাবে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংসে অংশ নেয়। ফলশ্রুতিতে, কোষের ক্ষতি হ্রাস সহ হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে আসে। একই সঙ্গে ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন ও কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে শরীর প্রস্তুত থাকে যে কোন ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য।
এছাড়াও বরইয়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে করে কোলেস্টেরলের অক্সিডেশন রোধ হয়, ফলে রক্ত ধমনীতে প্লেক তৈরির আশঙ্কা দূর হয়। উপরন্তু, এই ফলে উচ্চ মাত্রার ফাইবার অন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণ কমায়, যা রক্তের উন্নত লিপিড প্রোফাইলের নিশ্চায়ক।
বরইয়ের কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ ক্ষমতাও রয়েছে। এর ফাইবার উপাদান অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য পুষ্টি প্রদান করে। এই প্রক্রিয়া পুষ্টি শোষণ, নরম মলত্যাগ ও সঠিক হজমের মাধ্যমে সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সেহরি ও ইফতারের মাঝের সময়গুলোতে খাদ্যতালিকা থেকে অস্বাস্থ্যকর খাবার সরিয়ে বরই যোগ করাটা উত্তম। কেননা এটি উপবাস ছাড়া সময়ে দেহে প্রবেশকৃত খাবারগুলোর সঠিক প্রক্রিয়াকরণ করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাস সতর্কতা: কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার ঝুঁকি
তরমুজ
রমজান মাসে অন্যান্য খাদ্যের সঙ্গে পানি থেকেও বিরত থাকতে হয়। তাই সঠিক বিপাকের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় দেহের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। এই প্রয়োজনীয়তার পুরোটাই পূরণ করতে পারে তরমুজ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি এই ফলে রয়েছে লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি-এর সংমিশ্রণ। তাই আনারস ও বরইয়ের মতো প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে তরমুজও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
তরমুজে বিদ্যমান সিট্রুলাইন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যায়ামের সময় কর্মক্ষমতা উন্নত করা এবং পেশীর ব্যথা কমাতে কাজ করে। তাই খাদ্য তালিকায় তরমুজ থাকলে রোযা রেখে শরীর চর্চা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
তরমুজের মোট ওজনের থেকেও বেশি পরিমাণে পানি আর সঙ্গে অল্প ফাইবার স্বাস্থ্যকর হজমের জন্য উপযোগী। এই পুষ্টি মিশ্রণটি পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে বর্জ্য নিষ্কাশন করে অন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে।
আরও পড়ুন: রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?
আমলকী
বিপাক জনিত যাবতীয় সমস্যা নিরসণে আরও একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল আমলকী। তবে এর শ্রেষ্ঠ ক্ষমতা হচ্ছে এর উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি, যা শরীরকে অন্যান্য পুষ্টি গ্রহণে সব সময় প্রস্তুত রাখে। ১০০ গ্রাম আমলকী থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এটি একজন প্রাপ্তবয়স্কের দৈনিক প্রয়োজনীয় চাহিদার দ্বিগুণেরও বেশি। ভিটামিন সি-এর উচ্চ ঘনত্ব শরীরে নোরপাইনফ্রিন তৈরি করে। এটি মূলত একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যা ডিমেনশিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
আমলকীর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলো সুরক্ষিত থাকে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। তাই রমজান মাসে শরীরকে যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে একটি দুর্গ বানানোর জন্য সেরা ফল আমলকী।
ডাব/নারিকেল
সারাদিন রোযায় শরীরের হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ডাবের পানি খাওয়া। শরীরে প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণের পুরোটাই দিতে পারে এই উপকূলীয় ফলটি। পটাসিয়ামে ভরপুর এই ফল একই সঙ্গে ভারী খাবারেরও পরিপূরক। কেননা এতে আছে উচ্চ ক্যালোরি এবং চিনি। তাই শুধু তৃষ্ণা মেটাতেই নয়, অধিক সময় ধরে দেহে পূর্ণতা বজায় রাখার জন্য ডাবের পানি বা শ্বাস উৎকৃষ্ট খাদ্য।
আরও পড়ুন: শহরে রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
বাঙ্গি
যেহেতু গ্রীষ্ম ও রমজান একসঙ্গেই আসছে, তাই পানিশূন্যতা থেকে শরীরকে বাঁচানোর জন্য খাবারের তালিকায় রাখা যেতে পারে বাঙ্গি। এটি রোদ্রের দাবদাহ থেকে শুধু রক্ষাই করে না, সারা শরীরে শীতল অনুভূতিরও সঞ্চার করে।
ভিটামিন সি সহ এতে থাকা অন্যান্য ভিটামিনগুলো শরীরের শ্বেত রক্তকণিকাকে উদ্দীপিত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন এ এবং ফাইটোকেমিক্যাল অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এছাড়া এর ফাইবার পানির অংশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পেটকে ঠান্ডা রাখে।
প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ বাঙ্গি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। এই পটাসিয়ামে স্ট্রেস উপশমকারী বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এর উপস্থিতি মনোনিবেশ এবং স্বাচ্ছন্দ্য বোধের মানসিক বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
পরিশিষ্ট
সেহরি ও ইফতারের জন্য এই দেশি ফলগুলো দামের দিক থেকে বিদেশি ফলের তুলনায় তুলনামুলক ভাবে বেশ সাশ্রয়ী। তাছাড়া আনারস, কলা, পেঁপে, পেয়ারা, বরই, ও ডাবের যথেষ্ট সরবরাহ থাকায় তা সর্বশ্রেণীর ক্রেতাদের জন্য সহায়ক হবে। ইতোমধ্যে তরমুজও বাজারে চলে আসায় গরম থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও মিলছে।
তৃষ্ণা নিবারণ থেকে শুরু করে হাল্কা নাস্তা; এমনকি ভারী খাবারের চাহিদা পূরণেও এই ফলগুলো যথেষ্ট। অর্থাৎ শুধু মূল্যের দিক থেকেই নয়, এই ফলগুলো দিয়ে অনায়াসেই রোযার মাসটিকে স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব।
আরও পড়ুন: গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যসম্মত খাবার
৩৮৪ দিন আগে
কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিক: বিকল্প কিছু স্বাস্থ্যসম্মত পুষ্টিকর খাবার
প্রায় সব বয়সের লোকেদেরই হাল্কা নাস্তা হিসেবে প্রিয় পছন্দ কেক ও বিস্কুট। জন্মদিন সহ বিভিন্ন উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে সবচেয়ে ভালো লাগা উপহারগুলোর মাঝে অনায়াসেই জায়গা করে নেয় এই মিষ্টি জাতীয় খাবারগুলো। কিন্তু খাবারগুলো যে কতটা ক্ষতিকর তা দুঃখজনকভাবে সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। নিত্য দিনের খাদ্যাভাসে এই খাবার দু’টির উপস্থিতি দীর্ঘ মেয়াদে ভয়াবহ স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। কিন্তু কেক ও বিস্কুটের বিকল্প হিসেবে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা নিমেষেই মুক্তি দিতে পারে সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি থেকে। চলুন, কেক ও বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলোর পাশাপাশি সেই বিকল্প পুষ্টিকর খাবারগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
কেক ও বিস্কুট খেলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হয়
কেক ও বিস্কুট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, কারণ এতে থাকে প্রচুর চিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অধিক পরিমাণে খাওয়া হলে চূড়ান্ত পর্যায়ে ডায়াবেটিস, স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ হতে পারে।
এ ধরণের বেকারি পণ্যগুলোতে সাধারণত তরল উদ্ভিজ্জ তেল, মাখন, পাম এবং নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। ফলে, এগুলোতে থাকা চর্বিগুলো কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল (এলডিএল) বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য, পাম তেল সস্তা এবং খাওয়ার জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক তেলগুলোর মধ্যে একটি। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
এছাড়া শর্করা এবং স্টার্চ সম্পন্ন খাবারের কারণে দাঁতে ক্যাভিটিস হতে পারে। কেক ও বিস্কুটের কার্বোহাইড্রেট এবং চর্বি ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: জবা ফুলের চা: গুণাগুণ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও বানানোর পদ্ধতি
সাধারণ মিষ্টি বিস্কুটে প্রতি ২৫ গ্রামে শূন্য দশমিক ৪ গ্রাম লবণ থাকে। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়া এতে দেহে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, বিধায় শরীর ভরপুর অনুভূত হয় এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।
এ ধরণের বেকারি পণ্যে থাকে বিউটিলেটেড হাইড্রোক্সাইনিসোল (বিএইচএ) এবং বুটিলেটেড হাইড্রোক্সিটোলুইন (বিএইচটি)। এগুলো হলো প্রিজার্ভেটিভস যা মানুষের রক্তের জন্য ক্ষতিকর।
৫৭১ দিন আগে
খাবার-ফল নিয়ে আমানকে দেখতে হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান (লিকু) জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে দেখতে যান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো দুপুরের খাবার, বিভিন্ন প্রকার মৌসুমি ফল ও জুস, একটি বুকেট তুলে দেন এপিএস-২।
গাজী হাফিজুর রহমান আমানউল্লাহ আমানকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য এসব খাবার, ফল ও জুস পাঠিয়েছেন এবং আপনার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর জানতে চেয়েছেন। তিনি আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।’
লিকু আরও বলেন, চিকিৎসার জন্য দেশের ভেতরে অন্য যেকোনো হাসপাতালে আমানউল্লাহ আমান যেতে চাইলে তারও সুব্যবস্থা করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আমানউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার গ্রহণ করেন এবং মানবতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
৬০৮ দিন আগে
এসএসসির ফল প্রকাশ ২৮ জুলাই
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আগামী ২৮ জুলাই।
বুধবার (১৯ জুলাই) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর কারণে তা শুরু হয় ৩০ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ
এ বছর দেশের সবকটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ আজ, মোবাইলে ফলাফল জানবেন যেভাবে
৬১৮ দিন আগে
গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে ফল ব্যবসায়ী নিহত
গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে এক ফল ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ জুলাই) ভোরের দিকে গাজীপুর মহানগরীর হানকাটা এলাকার ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোমেন মিয়ার বাড়ি জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামে।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে ক্রেনের তার ছিঁড়ে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত
স্থানীয়রা জানান, তিনি শুক্রবার ভোরে অটোরিকশা যোগে জেলা শহরের চান্দনা চৌরাস্তায় আসছিলেন ফল কেনার উদ্দেশ্যে। মহানগরীর হানকাটা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে ৫ জন যুবক এসে পথরোধ করেন।
এ সময় তারা টাকা দাবি করে। মোমেন মিয়া তাতে বাধা দিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে, তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিহত ২
নাটোরে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, নৌবাহিনীর সদস্য নিহত
৬২৩ দিন আগে
বিজয়নগরে বছরে ৫০ কোটি টাকার ফল বিক্রি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলার বিজয়নগর ফলের স্বর্গ রাজ্য নামে পরিচিত। জেলা সদর থেকে দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। বর্তমানে এখানে দেশি ও বিদেশি অনেক ধরনের ফলেরই বাণিজ্যিক চাষ হচ্ছে। এছাড়া এই উপজেলায় প্রতি বছর প্রায় ৫০ কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রয় হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উৎপাদিত দেশি ফলের মধ্যে রয়েছে লিচু, কাঁঠাল, আম, জাম ও লটকন। বিদেশি ফলের মধ্যে রয়েছে মাল্টা কমলা, আপেল, আঙ্গুর, ড্রাগন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বিজয়নগরে ৪১৪ হেক্টর জমিতে লিচু, ৩১৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল ও ৬৫ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রায় ১৮ হেক্টর জমিতে লটকনের চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই লকটন বিক্রিও শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি লটকন পাইকারিভাবে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীন, তীব্র তাপদাহে রোপা আমন ও সবজি নিয়ে বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা
সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি বছর বিজয়নগরে প্রায় কোটি টাকার লটকন বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় লটকনের চাষ নিয়ে চাষিদের মধ্যেও আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষি অফিস জানায়, লটকনের রয়েছে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ। ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ এই ফল প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখা যায়। ১০০ গ্রাম পাকা লটকনে আছে খাদ্যশক্তি ৯১ কিলোক্যালোরি। এছাড়া আমিষ আছে এক দশমিক ৪২ গ্রাম, চর্বি শূন্য দশমিক ৪৫ গ্রাম, ভিটামিন-সি ৫৫ মিলিগ্রাম। লটকনের বৈজ্ঞানিক নাম ব্যাকারিয়াস্যাপাডিয়া। ইংরেজিতে লটকনকে বলা হয় বার্মিজ গ্রেপ। বাংলাদেশে লটকন এলাকাভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন-হাড় ফাটা, ভুবি, কানাইজু, লটকা, লটকাউ, লোটকা ইত্যাদি।
জানা গেছে, এই বছর বিজয়নগরে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি কাঁঠাল, প্রায় ১৫ কোটি টাকার লিচু ও প্রায় ১৩ কোটি টাকার মাল্টা বিক্রি করা হয়েছে। চলতি বছর এক কোটি টাকার লটকন বিক্রি করা হবে বলে আশাবাদ করা যাচ্ছে। বিজয়নগর উপজেলার ১৮ হেক্টর লটকন বাগানের মধ্যে প্রায় ১০ হেক্টর লটকনের বাগান রয়েছে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে।
এই ইউনিয়নের বামুটিয়া গ্রামের লকটন চাষি তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার বাগানে মাল্টা, লটকন, কমলা, কয়েক জাতের আম, লিচু, পেঁপে, কাঁঠাল, ড্রাগন ও সৌদি আরবের খেজুর গাছ রয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি আম ‘মিয়াজাকি’ ধরে আছে তার বাগানে। মিয়াজাকি আমকে বাংলাদেশে সূর্যডিম আম হিসেবে পরিচিত।
৯৭২ দিন আগে
তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও দাম অস্বাভাবিক কম থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছেন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা খুলনার তরমুজ চাষিরা।
লাভের বদলে চাষিরা এখন তাদের উৎপাদন খরচ তোলা নিয়ে চিন্তিত। তারা তরমুজের দাম কম হওয়ার জন্য আংশিকভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের জোটকে দায়ী করছে।
তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট খুব কম দামে ফল কিনে বেশি মুনাফা নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে।
মধ্যস্বত্বভোগীদের ফাঁদ এড়ানোটা যতটা সহজ ভাবা হয়, আসলে বিষয়টা ততটা সহজ নয়। কিছু কৃষকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দেখা গেছে, তাদের তরমুজ পরিবহনের জন্য ট্রাক ভাড়া দেয়ার পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন দিতে হয় ১৪-২৫ হাজার টাকা। অধিকাংশ চাষিই এই খরচ বহন করতে পারে না।
আরও পড়ুন: বাড়িরপাশে মরিচের আড়ৎ, ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষক
রমজান মাসের পর তরমুজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় এবং স্থানীয় বাজারে তরমুজের বিক্রি কম হয়।
লোকসান পুষিয়ে নিতে কয়েকজনকে তাদের পণ্য ঢাকা ও খুলনা শহরে নিয়ে যেতে দেখা গেলেও কাঙ্খিত দাম পেতে ব্যর্থ হয়।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কৃষকরা ১৩ হাজার ৯৯০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।
সবচেয়ে বেশি দাকোপে সাত হাজার ৬২৫ হেক্টরে। এছাড়া বটিয়াঘাটায় তিন হাজার ৬০০, পাইকগাছায় এক হাজার ৫১০, কয়রায় ৮৯৫, ডুমুরিয়ায় ৩৫০, রূপসায় পাঁচ, তেরখাদায় তিন ও ফুলতলা উপজেলায় এক ও মেট্রো থানায় আরও এক হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।
২০২১ সালে মোট সাত হাজার ৫১২ হেক্টর জমি তরমুজ চাষের আওতায় আনা হয়েছিল এবং তরমুজ চাষ লাভজনক হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায় কৃষকরা তাদের চাষ সম্প্রসারিত করেছে।
এ বছর জেলায় আনুমানিক চার লাখ ১৫ হাজার টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে।
১০৪৮ দিন আগে
পর্যাপ্ত সরবরাহ সত্ত্বেও রমজানে বেড়েছে ফলের দাম
বাজারে ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও গত বছরের তুলনায় এবারের রমজানের শুরুতে দেশি ও আমদানি করা ফলমূলের দাম বেড়েছে।
ফল আমদানিকারকরা বেশি জাহাজ ভাড়া এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বেশি পরিবহন ব্যয়কে ফলমূলের দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন।
রবিবার রমজানের প্রথম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ প্রতিবেদক দেখেছেন, আমদানি করা আপেল মানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা, নাশপাতি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, ডালিম ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মাল্টা ১৬০ থেকে ২১০ টাকা, কমলা ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, আঙ্গুর ২০০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রমজান জুড়ে মাঠে থাকবে বাজার মনিটরিং টিম
খেজুরের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে এবং আমদানি করা এই ফল গুণমানের ভিত্তিতে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পুরান ঢাকার খুচরা বাজারে আজোয়া খেজুর প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, দাব্বাস খেজুর ২৮০ টাকা, ক্কালমি খেজুর ৩০০ টাকা, ফরিদা খেজুর ২৮০ টাকা এবং বরই খেজুর ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও লিবিয়ার উন্নত মানের খেজুর ও মারিয়াম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ১২৫০ টাকায়।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস
এছাড়া দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারা (থাই) প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কলা ডজন প্রতি ৬০ থেকে ১২০ টাকা, তরমুজ ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, আনারস প্রতি পিস ৩০ থেকে ৫০ টাকা, আম (সবুজ) কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ৩০০ এবং ড্রাগন ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফআইএ) সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, এই রমজানে বিদেশি ফলের সরবরাহ স্থিতিশীল রয়েছে।
তিনি বলেন, বেশি জাহাজ ভাড়া ও বাংলাদেশের মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি করা ফলের দাম বেড়েছে।
একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পরিবহন খরচ বেড়েছে যা ফলের দামকে প্রভাবিত করেছে বলেও জানান তিনি।
১০৯০ দিন আগে
এইচএসসির ফল প্রকাশ রবিবার
২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত হবে।
শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের ইউএনবিকে বলেন, ‘রবিবার এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি ভোকেশনাল, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
করোনা মহামারির কারণে সাত মাস বিলম্বের পর, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও এর সমমানের পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এরপর সরকার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১৩ ফেব্রুয়ারি
গত ১৪ নভেম্বর শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর এবং এইচএসসি পরীক্ষা ৩০ ডিসেম্বর শেষ হয়।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
অবশেষে, করোনা পরিস্থিতি উন্নতির পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সরকার স্কুল ও কলেজ খুলে দেয়।
গত বছর পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়েছিল। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বুধবার সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ ডিএমপির
আগামী বছরের মাঝামাঝি হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
১১৩৯ দিন আগে