মামলা বাতিল
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা ১১ মামলা বাতিল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার ১০টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী মো. জাকির হোসেন, ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী, আইনজীবী তারেক ভূইয়া ও আইনজীবী এম সাব্বির আহমেদ।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
আইনজীবীরা বলেন, ২০১৫ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি ও দারুস সালাম থানায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় এফআইআরে খালেদা জিয়ার নাম ছিল বা অভিযোগপত্রে তার নাম ঢুকানো হয়। দীর্ঘদিন থেকে হাইকোর্টের আদেশে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে নাশকতার ১০ মামলা বাতিল করলেন হাইকোর্ট।
এদিকে, হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করেছেন।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, নাশকতার অভিযোগে করা মামলাগুলোর একটিতেও খালেদা জিয়া ঘটনাস্থলে ছিলেন বা কোনো নির্দেশ দিয়েছেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। পুলিশ অহেতুক মামলাগুলোতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। এসব মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি ছিল। আজ রুলগুলো অ্যাবসুলেট ঘোষণা করেছেন। এর অর্থ মামলাগুলোর কার্যকারিতা বাতিল করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
১ মাস আগে
যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর শাহবাগ থানায় কোটাবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও হামলার অভিযোগ তুলে যে মামলা হয়েছে, তার যৌক্তিকতা না থাকলে বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রবিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যুবসমাজ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
শিক্ষার্থীরা বুঝে এসব করছে বলে মনে হয় না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগামী ৮ আগস্ট শুনানি হবে। শুনানিতে তাদেরও (শিক্ষার্থীদের) অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তারা সেগুলো না করে রাস্তা অবরোধ করছে। এগুলো সবকিছু এখন বিচার বিভাগের কাছে। সরকারের হাতে কিছু নেই।
শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা করতে পারে। মামলা তদন্তের পর যদি ম্যারিট (যৌক্তিতা) না থাকে তবে অটোমেটিক বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কিংবা ২৪ দিনের কোনো প্রশ্ন আসে না।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুল পথে নেওয়ার লোকের অভাব নেই। সেই ধরনের ঘটনা ঘটছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারা উসকানি দিয়েছে এবং কারা দায়ী সবগুলো বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে, সেটি তদন্ত হবে। তদন্তের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তদন্তের আগে আমি কিছু বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আছাদুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতির অভিযোগ অনুমাননির্ভর: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার হাতিয়ার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: বিএনপি
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আইনের আওতায় থাকা সব মামলা বাতিলের দাবি করেছেন।
৪ বছর আগে