ষড়যন্ত্র
দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র বানচাল করতে হবে: মিউনিখে সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আর মাথা তুলে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ যেন দেশকে পিছিয়ে ঠেলে রাজাকারদের দেশে পরিণত করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকুন।’
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন যেখানে প্রতিটি বিশ্বাসের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরে জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনো নিজের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করি না, বরং চিন্তা করি দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতির জন্য আমি কী করতে পারি।’
আরও পড়ুন: জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলাসহ দেশের স্বাধীনতা- সবকিছু পেয়েছে, যেহেতু আওয়ামী লীগ জনবান্ধব দল।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল আছে বলেই কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সব সময় জনগণের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছেন।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এবং মিউনিখের স্থানীয় মেয়র।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুরে নিজ বাসভবন সেনপাড়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, '১৯৯১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা নানাভাবে তার জনপ্রিয়তা খর্ব করার চেষ্টা করেছে।
এখন যে বিভাজনের কথা বলা হচ্ছে, সেই বিভাজনের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেব: জিএম কাদের
বিরোধী দল প্রসঙ্গে জিএম কাদের বলেন, সংসদে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বড় দুটি দল। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা (জাতীয় পার্টি) একমাত্র দল যার ১১ জন সদস্য রয়েছে, আমরা আশা করি জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হবে।
তিনি বলেন, সরকার যদি সেরকম অবস্থান না দেয়, তবু আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র দল হিসেবে সমালোচনা করা, সরকারের খারাপ জিনিস তুলে ধরা এবং সুপারিশ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করে সঠিক পথে পরিচালনা করব।
তিনি বলেন, ‘গত সংসদে আমরা বিরোধী দল ছিলাম। আমরা সব সময় দেশের কল্যাণে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছি, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি, সুপারিশসহ অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেছি। আমরা আগের মতোই কাজ করব।’
এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সংসদে বিরোধী দলে থাকতে চায় জাতীয় পার্টি: জিএম কাদের
সরকার যেখানে যাকে জেতাতে চেয়েছে সে জিতেছে: জিএম কাদের
ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে: কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত কখনো শেষ হয় না। তাই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাঙ্গণে তার নিজ নির্বাচনি এলাকা (গোপালগঞ্জ-৩) কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি নতুন মন্ত্রিসভার শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আরও অনেক কাজ করার আছে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমাদের এটিকে (অগ্রগতি) দীর্ঘস্থায়ী করতে হবে এবং এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসন নিজের শক্ত ঘাঁটি আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার শক্ত ঘাঁটি থাকায় তিনি যেকোনো জায়গায় যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণই তার ক্ষমতার উৎস এবং তিনি এই শক্তি দিয়ে সফলভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
'আমার গ্রাম আমার শহর' কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি গ্রাম গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ সব ধরনের শহুরে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।’
আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই সরকারের প্রধান কাজ: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসংযোগকারী ও তাদের পরিকল্পনাকারীদের শাস্তি দিতে সরকার কোনো আপস করবে না। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের জঘন্য কাজের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমরা আদেশদাতাদের গ্রেপ্তার করছি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজ না করে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে না পারে।’
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি এবং শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের সঞ্চালনা
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আকরাম উদ্দিন আহমেদ, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান এবং প্রধানমন্ত্রীর গোপালগঞ্জ-৩ আসনের রাজনৈতিক প্রতিনিধি শহীদুল্লাহ খন্দকার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: দুই দিনের সফরে শনিবার গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় এসে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
তিনি টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বাড়িতে রাত কাটান এবং ঢাকায় ফেরার পথে কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত মানবাধিকার দিবসে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বিএনপি ও জামায়াত জোট মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি দল যারা ভুল রাজনীতিতে লিপ্ত এবং জামায়াতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে বিএনপি জনগণের কাছ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। এক পর্যায়ে দেখা যাবে জামায়াত বিএনপির প্রধান নেতৃত্বে থাকবে। বিএনপি জামায়াতের বি-টিম হয়ে যাবে।’
বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও তার আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নিজেরাই বিএনপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে। সাহস থাকলে তারা বেরিয়ে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিরোধী দল থাকবে। তৃণমূল বিএনপি সবচেয়ে বড় জোট, সুপ্রিম পার্টিসহ আরও অনেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর আ. লীগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: ওবায়দুল কাদের
জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের
নির্বাচনকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী নির্বাচন আসন্ন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ জনগণ সবসময় তাদের ভোট নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার ওপর বেশ কয়েকবার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: ফরিদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, বুলেট ও বোমার মুখোমুখি হয়ে তিনি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে রক্ষা করেন। আল্লাহ উপরে এবং আমার দলের নেতা-কর্মীরা আমাকে বাঁচানোর জন্য মাঠে আছেন। আমার ওপর হামলা হলেই আমার দলের লোকজন আমাকে রক্ষা করে।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ২২ জন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা জীবন দিয়ে তাকে মানবঢাল তৈরি করে বাঁচিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার যে আমি জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাদের উন্নত জীবন দিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের কল্যাণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
তিনি টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসনের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সারা দেশের কল্যাণের কথা চিন্তা করে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারলেও বারবার ভোটের মাধ্যমে তাকে নির্বাচিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে গোপনে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের সুর পরিবর্তন করে মন্ত্রীরা এখন গোপন সমঝোতার কথা বলছেন। আসলে, তারা পর্দার আড়ালে ষড়যন্ত্র করছে।’
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এক মিছিলে দেওয়া বক্তৃতায় এই বিএনপি নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন দল নিজেদের গোপন চক্রান্তে ধ্বংস হয়ে যাবে। ‘তারা প্রকাশ্যে ফিরতে পারবে না, কারণ মানুষ তাদের প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, তলে তলে কখনো আপস হয় না, ষড়যন্ত্র হয়। ‘মানুষ তাদের সঙ্গে না থাকায় তারা এখন বিভিন্ন দেশে গিয়ে গোপনে ষড়যন্ত্র করছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকারের সব চক্রান্ত ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের উপযুক্ত জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ঢাকাকে ঘিরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ঢাকা দক্ষিণ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মজনু মুক্তি পরিষদ।
খালেদা জিয়া ও তার অসুস্থতা নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিন্দা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আপনার (প্রধানমন্ত্রী) এখন একমাত্র অবলম্বন হলো অশ্লীল, অশালীন, বেপরোয়া ও বাজে মন্তব্য করা।’
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা হারানোর জন্য সরকার তাদের নার্ভাসনেস ও নিরাপত্তাহীনতায় অনেক বিএনপি নেতাকে কারাগারে রেখেছে।
রিজভী বলেন, সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পুলিশের ওপর নির্ভর করেই ক্ষমতায় টিকে আছে। ‘তাই তারা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী বিরোধী নেতাদের গ্রেপ্তার করছে।’
তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার সব বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, যে তরুণরা রাজপথে নামতে শুরু করেছে, তারা বর্তমান সরকারের পতন নিশ্চিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ছাড়া বাকি সবাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্র থেকে খালি হাতে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল
১/১১-এর মতো সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
১/১১’র পর সেনাবাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ‘অস্বাভাবিক সরকার’ গঠনের গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি) একমাত্র উদ্দেশ্য শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা।
রবিবার (১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় কাদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খেলা হবে অক্টোবর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাতাসে ভেসে বা বন্দুকের নল উঁচিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ যদি অবৈধ দল হয়, তাহলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি বা বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হচ্ছে কেন? ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির উচিত সীমারেখা মেনে চলা।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যদি বিদেশে যেতে চান, তাহলে তাকে দেশের প্রচলিত আইন অনুসরণ করে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে একজন দণ্ডিত আসামিকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তা বিশ্বে বিরল।
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা দলের নেতা-কর্মীদের ডাকলে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসের মাধ্যমে সরকারকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে, কিন্তু রাজপথে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলবোর্ড বা পোস্টার লাগিয়ে প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপির হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়: কাদের
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট ষড়যন্ত্র ছিল ২১ আগস্ট: সাক্ষী আহত নাজিব
২১ আগস্টের জঘন্য গ্রেনেড হামলার মুহূর্ত স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও তার সাবেক ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী নাজিব আহমেদ বলেছেন, খুনিরা আসলে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে যা করতে পারিন, তাই করতে চেয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, “এটি রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট চূড়ান্ত ষড়যন্ত্র ছিল (খুনিদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য)। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে এই মামলার রায় কার্যকর করা উচিত।
নাজিব বলেন, ‘আদালতের রায় কার্যকর হলে যাদের আমরা হারিয়েছি তাদের আত্মা শান্তি পাবে।’
২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। প্রধান টার্গেট ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভয়াবহ হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার জন আহত হন। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও বারবার গ্রেনেড বিস্ফোরণে তার শ্রবণশক্তি বিঘ্নিত হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখতে চান মাহাবুবুর রশিদের মা-বাবা
তিনি বলেন, তাদের একটি একক লক্ষ্য ছিল যে তাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া। ‘আমরা সেটা করতে পেরেছিলাম। আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম এবং তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের ছিল। আমরা তাকে একা রেখে পালিয়ে যাইনি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য যে আমরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে খুনিদের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।’
নাজিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জীবিত দেখে তিনি আজ সন্তুষ্ট। ‘আমি তাকে সুরক্ষিত রাখতে যেকোনো যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। এখনো আমার সেই শক্তি ও সাহস আছে।’ সর্ব শক্তিমান আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন।
নাজিব বলেন, ওই হামলার দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে না থাকলে এটা তার জন্য সারাজীবসের কষ্ট হয়ে থাকত।
আরও পড়ুন: আর যেন ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি না হয়: আইইবি নেতারা
তিনি বলেন, ‘ আমি অনুভব করতে পারি আমার শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাঁটতে থাকে। আমরা যারা স্প্লিন্টার সহ্য করছি কেবল ব্যথা বুঝতে পারি। আমরা, যারা আমাদের শরীরে স্প্লিন্টার বহন করছি, এমনকি এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) করতে পারি না, এই কষ্ট অন্য কাউকে বোঝানো যাবে না।’
প্রথমবার যখন বিস্ফোরণ হয়, সেই সময়ের কথা মনে করে নাজিব বলেন, ‘একপর্যায়ে সব নেতা তাদের বক্তৃতা শেষ করেন। বক্তব্যের শেষ অংশে ছিলেন নেত্রী হাসিনা। তিনি জয় বাংলা উচ্চারণ করেন এবং জয় বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করতে থাকেন। ঠিক সেই মুহূর্তে, আমি লক্ষ্য করলাম সিটি হোটেলের সামনে থেকে একটি কালো বস্তু আমাদের দিকে উড়ে আসছে। এক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে।’
সব সময় তার নিরাপত্তার জন্য যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের মধ্যে তিনি নিজেকে সবচেয়ে সিনিয়র বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাধারণত, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে পুলিশ ও আয়ামী লীগ নেতারা একত্রিত হয়, কিন্তু সেই নির্দিষ্ট দিনে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীকে ছাদে থাকতে দেওয়া হয়নি। ছাদে কোনো পুলিশ মোতায়েন ছিল না। আমরা সেই সময় এটিকে খুব বেশি গুরুত্বের সঙ্গে নিইনি তবে এটি আমাদের নজরে এসেছিল।’
তিনি বলেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যখন বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটল, তখনই আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা-কর্মীরা তিন দিক থেকে শেখ হাসিনাকে ঘিরে ফেলেন। সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রাকে ছিলাম। হানিফ ভাই, মায়া ভাই ও স্কোয়াড্রন লিডার মামুন তিন দিক থেকে আপাকে (হাসিনা) রক্ষা করেছেন।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘তার সামনের দিকে একটি টেবিলের মতো কিছু ছিল।এ কারণে তার শরীরের অর্ধেক অংশ ঢাকা থাকলেও অর্ধেক অংশ ফাঁকা ছিল। আমি সামনের দিকটি অবরুদ্ধ করেছিলাম। যে কোনো মূল্যে তাকে রক্ষা করার জন্য আমরা একটি মানবঢাল তৈরি করেছি।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহকে স্মরণ করতে বলেন। ‘শুধু আল্লাহই আমাদের রক্ষা করতে পারেন।তখন আমরা একত্রে দোয়া ইউনুস পাঠ করছিলাম। আমাদের উপর আবার হামলা হয় এবং স্প্লিন্টারটি আমাকে এবং অন্যদের আঘাত করে।’
তারা ট্রাক থেকে নেমে হাসিনাকে এসইউভিতে নিয়ে যেতে সক্ষম হযন। মেজর মামুন দৌড়ে গিয়ে গাড়ির বাম দরজা খুলে দেন। শেখ হাসিনা তার ভেতর ঢুকে পড়েন। নাজিব, তারেক, শোয়েব, মামুন ও মায়া তাকে অনুসরণ করেন।
তারা ভীতিকর দৃশ্য দেখেছে এবং আহতদের মধ্যে কয়েকজন রাস্তায় পড়ে আছে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে, কেউ জমাট রক্তের উপর বসে কাঁদছে এবং কিছু স্থির দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম আইভি চাচি (আইভি রহমান) রক্তাক্ত নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি আমার চাচাতো ভাই বাহাউদ্দিন নাসিম রক্তাক্ত অবস্থায় উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছে।’
গাড়ি থেকে নেমে হাসিনা তার দলের লোকদের কিছু টাকা দেন এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই ২১ আগস্ট দিনের বেলায় আইভি রহমানসহ আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিচার হয়েছে। এর (ট্রায়াল কোর্ট) রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায় শিগগিরই কার্যকর করা উচিত।’
ঢাকার একটি আদালত এর মধ্যে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাদের মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ ১৮ দণ্ডিত আসামি পলাতক রয়েছেন।
বর্তমানে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানি চলছে উচ্চ আদালতে। আজকের আলোচনায় সভাপতিত্ব করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলার কিছু সাজাপ্রাপ্ত আসামি এখন কারাগারে থাকলেও মূল হোতা দেশের বাইরে থাকেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী আজ
বিএনপি নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি দেশবাসীকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এবং তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে বাংলাদেশ এতদিনে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো।
স্বাধীনতাবিরোধী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও দেশের অভিন্ন শত্রু বলেও জানান কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপিতে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট: সজীব ওয়াজেদ
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তহীনতা ও ষড়যন্ত্র প্রকট হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ।
বুধবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া একটি রাজনৈতিক দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির জন্য বিপর্যয় ঘটতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অর্থাৎ বিএনপি সব সময় ব্যর্থ। দেশে জাতীয় নির্বাচন আসার পর বেগম খালেদা জিয়ার দলটি খুব ধ্বংসাত্মক হয়ে গিয়েছিল।‘
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যার কলঙ্কজনক অধ্যায় জিয়ার হ্যাঁ/না গণভোট: জয়
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের এখন বিএনপিতে একইরকম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তহীনতা ও ষড়যন্ত্র স্পষ্ট।
২০১৪ সালে বিএনপির আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ লিখেন, ‘এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করার নামে দলটি অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনগণের ক্ষতি করেছিল। অগ্নিদগ্ধ হামলার শিকার হয়েছে শত শত সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে ২০১৮ সালে অংশগ্রহণ সত্ত্বেও তাদের মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচন লাইনচ্যুত এবং বিতর্ক সৃষ্টি করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা।‘
তার পোস্টের সাথে অতীতের কার্যকলাপ প্রদর্শনের একটি ভিডিও ছিল।
আরও পড়ুন: বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়াকে ৪৫ বার ফোন করেছিলেন তারেক: সজীব ওয়াজেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘২০২৩ নতুন অর্জনে পূর্ণ’ করার অঙ্গীকার সজীব ওয়াজেদের