খালিদ মাহমুদ
রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আদি বুড়িগঙ্গা নদীর উন্নয়নে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পুরনো ঢাকার মানুষ আরেকটি হাতিরঝিল পাবে।
তিনি বলেন, সেটি আরও আধুনিক হবে। এলাকার পরিবর্তন হবে। ঢাকার ইতিহাস সংরক্ষণ করা, ঢাকার ইতিহাস চর্চা এবং ঢাকার ডাক শব্দ চর্চার জায়গা তৈরি হলো বুড়িগঙ্গা মঞ্চ।
এছাড়া ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদরা বুড়িগঙ্গা দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন। ঢাকার ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে বুড়িগঙ্গা মঞ্চ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: নদী রক্ষায় ডিসিদের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন: নৌ প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রতিমন্ত্রী পুরান ঢাকার বিআইডব্লিউটিএ’র সোয়ারীঘাট ল্যান্ডিং স্টেশন সংলগ্ন ‘বুড়িগঙ্গা মঞ্চ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ রক্ষক হিসেবে কাজ করবে। মানুষের মনের অজান্তেই বুড়িগঙ্গাকে দূষিত করা হয়েছে। এটিকে রক্ষার জন্য আগে কেউ বলেনি। মানুষকে সম্পৃক্ত করেনি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকাকে রক্ষা করতে হবে। বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ২০০১ সালে নির্বাচনের পর সেসব সুন্দর চিন্তা ভাবনা প্রতিফলিত হয়নি। আবার অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাল বিল ও হাওড় রক্ষার জন্য হাওড় কর্তৃপক্ষ গঠন করেছেন। নদী রক্ষার জন্য নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন। ঢাকার চারপাশের নদী এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী রক্ষার জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছেন। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গাকে আদি অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সার্থক হবো। এ কাজটির সুফল পাচ্ছি। আরও অনেক কিছু পাওয়ার অপেক্ষা করছে। বুড়িগঙ্গায় নৌকা বাইচ হচ্ছে, বিআইডব্লিউটি ‘র কল্যাণে মানুষ মাছ ধরছে, গোসল করছে। যা বিগত সময় দেখিনি। আদি বুড়িগঙ্গার রুপ ফিরে আসবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢাকা শহর বদলে গেছে। ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস, মেট্রোরেল, ১৪ লেনের রাস্তা, মাটির নিচ দিয়ে ট্রন চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরও বদলে যাবে।
তিনি বলেন, রূপান্তরিত বাংলাদেশের মহানায়কের নাম শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর অনেক স্মৃতি পুরনো ঢাকার মানুষের সঙ্গে। তাদের সঙ্গে অনেক মায়া ও ভালোবাসা আছে। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এর প্রতিফলন ঘটাবেন। শেখ হাসিনা যদি থাকে, নৌকা মার্কা যদি থাকে বুড়িগঙ্গা মঞ্চ আরও আলোকিত হবে।
বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- মূল আলোচক অধ্যাপক ডক্টর রতন সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, বুড়িগঙ্গা মঞ্চ এর আহ্বায়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশেদ আলী।
উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এ কে এম ফেরদৌস আলম।
আরও পড়ুন: গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর চেষ্টা থাকবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী
আগামী দিনে নৌবাণিজ্যে মোংলা বন্দর নেতৃত্ব দিবে:নৌ প্রতিমন্ত্রী
১১ মাস আগে
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মেরিটাইম সেক্টর নিয়ে আরও কাছাকাছি আসতে পারে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কেননা করোনা মহামারিসহ অন্যান্য বৈশ্বিক সংকটের কারণে দুই দেশের মধ্যে অনেক আলোচনা স্থবির হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মৃতপ্রায় বিএসসি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কায় কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে সেই সভাটি হয়নি।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার সংকটে বাংলাদেশ তাদের পাশে ছিল। কলোম্বতে পরবর্তীতে যে সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে, সেখানে মেরিটাইম সেক্টরের বিষয়গুলো আমরা চূড়ান্ত করতে পারবো।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং শ্রীলঙ্কার বন্দর, নৌ ও বিমানমন্ত্রী নিমল সিরিপালা ডি সিলভা নিজ নিজ দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, কোস্টাল শিপিং বা উপকূলীয় নৌ চলাচল চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এগুলো চূড়ান্ত হবে আগামী সচিব পর্যায়ের বৈঠকে।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। পায়রা বন্দরে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী। পায়রা বন্দর পরিদর্শনে তাদের একটি প্রতিনিধি দল আসবে।
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এখানে রাজনৈতিক কোনো বিষয় না, দুই দেশ যাতে এগিয়ে যেতে পারে, সেটিই আমাদের মূল্য লক্ষ্য।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী থারাকা বালাসুরিয়া ব্লু অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। এগুলো পরবর্তীতে আলোচনা হবে।
এছাড়া শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন।
শ্রীলঙ্কার বন্দর, নৌ ও বিমানমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে আমরা আরও এগিয়ে যাবো। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে জাহাজ চলাচল বাড়াতে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
এছাড়া কলম্বো বন্দরে লজিস্টিক সহায়তা বাড়ানো হচ্ছে। যে কারণে এটি এখন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরের জায়গা বেড়ে যাওয়ার কারণে সেখানে সহজেই বাংলাদেশের জাহাজ ভিড়তে পারবে। শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীরা তৈরি পোশাক খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে সাড়ে চার দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীরা আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রতি তাদের বিশ্বাস ও আস্থা বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ পেতে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক কাঠামো নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
সেখানে মেরিটাইম খাতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরে বিনিয়োগ করতে শ্রীলঙ্কার প্রাইভেট সেক্টর প্রস্তুত আছে। এটি বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের নতুন দৃষ্টান্ত হবে।
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দুইটি ছোট দেশ হলেও, ভৌগোলিক কারণে আমাদের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
কারণ বাংলাদেশের অনেক রপ্তানি পণ্য কলম্বো বন্দর হয়ে যায়। আমরা এর পরিমাণ আরও বাড়াতে চাই। এতে বাংলাদেশের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, শ্রীলঙ্কার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী থারাকা বালাসুরিয়া, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এযমিরাল এম সোহায়েল, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার নিযুক্ত হাইকমিশনার অধ্যাপক সুদর্শন সেনেভিরতে প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিদল ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ভারত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক দেশগুলোর সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
মাতারবাড়ী বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম ২০২৬ সালে শুরু হবে: খালিদ মাহমুদ
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর দৃশ্যমান হয়ে গেছে। ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে আগামী জুলাই নাগাদ জেটি ও কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল আসবে। অর্থ ও সময় বাঁচবে। যা অর্থনীতিতে সুপ্রভাব ফেলবে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মাতারবাড়ীতে বন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জিয়া ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি: খালিদ মাহমুদ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটি অনুমোদনের পরে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে ড্রইং ডিজাইনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত এবং ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে দুই হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সকল বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ; এখনকার স্মার্ট দেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। মাতারবাড়ী বন্দর বাণিজ্যিক হাব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির লাইফ লাইন; মাতারবাড়ী বন্দরও প্যারালাল অর্থনীতির লাইফ লাইন হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের সক্ষমতা তৈরি হয়ে গেছে। গত এক মাসে পশ্চিমা দেশের ভিআইপি পারসনরা দেশে এসেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের কথা জেনে গেছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, মাতারবাড়ী বন্দর প্রকল্পের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মো. ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশ এখনও মুক্ত হতে পারেনি: খালিদ মাহমুদ
১ বছর আগে
নদী দখলকারীদের খসড়া তালিকা প্রস্তুত: নৌপরিবহনমন্ত্রী
সারাদেশে যারা স্থানীয়ভাবে নদ-নদী দখল করেছে সরকার তাদের তালিকা করেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর নাব্যতা ও নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, সুপারিশ ও বাস্তবায়নে গঠিত টাস্কফোর্সের সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদ-নদী রক্ষায় আমরা মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি, যা আমাদের একটি সফলতা। এক সময় একটা কথা ছিল, যা কিছু নষ্ট, সবকিছু পানিতে ফেলে দাও। কিন্তু এখন আর তা নেই। সবাই পানি পবিত্র রাখেন। এখন সবাই সচেতনভাবে পানির পবিত্রতা রক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী রক্ষায় আমরা কাজ করছি। এখানে ওয়াকওয়ে থেকে শুরু করে ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। এর বাইরেও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে প্রধান করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার চারপাশ ও কর্ণফুলী নদী রক্ষায় এই টাস্কফোর্স কাজ করবে। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে যারা নদী দখল করেছে, তাদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নদী রক্ষা কমিশনও এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু এটা দীর্ঘদিনের একটি বোঝা, কাজেই আমরা এর সমাধান করতে চাই। আমরা নাব্যতা বাড়াতে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, নদীর নাব্যতা বাড়াতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করে দিয়েছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত সাতটি ড্রেজার আটটিতে পৌঁছায়নি।
বর্তমান সরকার ৮০টি ড্রেজার সংগ্রহের চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরইমধ্যে ৫০টির মতো ড্রেজার আমাদের সংগ্রহে চলে এসেছে। কাজেই বোঝা যায়, নদীর গতিপথ বাড়াতে আমরা কতটা সচেষ্ট, তা এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়। আমরা অনেকগুলো চ্যানেল উদ্ধার করছি, তাতে নৌচলাচল করছে। অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল নতুন এক উচ্চতায় চলে গেছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবস্থাপনায় মার্কিন সহযোগিতাকে স্বাগত জানালেন খালিদ মাহমুদ
১ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না: খালিদ মাহমুদ
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা অস্বীকারকারীদের কাছ থেকে জনগণ গণতন্ত্রের সংজ্ঞা শুনতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকতে হলে তিনটি চেতনার (বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা) প্রতি অবিচল থাকতে হবে এবং সেই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সরকারকে মেনে নিতে হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাপ্তাহিক ‘সাপ্তাহিক দাবানল’-এর সুবর্ণজয়ন্তী সংখ্যার প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন বলে পিআইডির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচুর অপপ্রচার হয়েছে। অপপ্রচারকে রুখে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও চেতনা মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে দাবানলের মতো বেশ কয়েকটি পত্রিকা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা: ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধারের আকুতি নাবিকদের
পত্রিকাটি নতুন মাত্রা নিয়ে আবারও গৌরবময় ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন খালিদ মাহমুদ।
প্রতিমন্ত্রী ‘দাবানল’-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক ও পৃষ্ঠপোষক শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর নাতি শেহেরিন সেলিম রিপনের ‘দাবানল’ পুনঃ প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এসময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন এমন মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি এবং দাবানল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মো. শেহেরিন সেলিম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটকে পড়া ১১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন
'আর ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না', ছোট ভাইকে বলেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর
২ বছর আগে
জিয়া ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি: খালিদ মাহমুদ
জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের খুনি এবং খুনিদের মদদদাতা বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
৪ বছর আগে