ফ্লাইওভার
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস, ৮ কর্মকর্তার কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৮ কর্মকর্তার ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বুধবার (১০ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস মামলার রায় ১০ জুলাই
মামলার ৮ আসামি হলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আখতার-পারিসার (জেভি) তৎকালীন প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন সাতজন। গত ২৫ জুন দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আটজন আসামিকে পৃথক ধারায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একটি ধারায় প্রত্যেককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা, সেইসঙ্গে অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। অপর একটি ধারায় প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস মামলার রায় ১০ জুলাই
চট্টগ্রামে বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ১০ জুলাই। এই মামলার আট আসামির সবাই ঠিকাদার মীর আখতার-পারিসার (জেভি) তৎকালীন কর্মী।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারি ওমর ফুয়াদ।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু
আসামিরা হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
এদের মধ্যে রফিকুল ইসলামের নাম মামলার এজাহারে ছিল না। তদন্ত শেষে পুলিশ তার নাম অভিযোগপত্রে যুক্ত করেন।
ওমর ফুয়াদ বলেন, ‘মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাতজন আসামি সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাত কর্মদিবসে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এরপর আদালত ১০ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করেছেন।’
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে ১৩ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশতাধিক।
ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ করছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। তখন সিডিএর চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস ছালাম।
এ ঘটনার পর ২৬ নভেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। মামলা করেছিলেন চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ।
মামলায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
এরা হলেন- প্রকল্প পরিচালক সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
এছাড়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমসের (জেভি) ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ডিপিএমের ১২ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এতে সিডিএর তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১২ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
শরীয়তপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
৪ মাস আগে
খুলে দেওয়া হলো বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ
কাজ শুরুর প্রায় এক দশক পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বাস র্যাপিট ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত একটি ফ্লাইওভারের ময়মনসিংহ মুখী দুইটি লেন।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন অনেকটা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। কমেছে সড়ক ব্যবহারকারীদের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ।
আরও পড়ুন: আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ মঙ্গলবার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এতে ফ্লাইওভারের দুইটি লেন উন্মুক্ত করার পর স্বাভাবিক গতিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন চলাচল করছে।
এর আগে এসব যানবাহন বিকল্প পথে নাওজোড় হয়ে চলাচল করত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী দুইটি লেন খুলে দেওয়ায় এ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি কমেছে।
বিআরটি প্রকল্পের প্রকৌশলী রাসেল রানা জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই ফ্লাইওভারের ঢাকামুখী লেনও খুলে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি ফ্লাইওভার নির্মাণ।
আরও পড়ুন: হানিফ ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সড়কের প্রধান করিডোরের সঙ্গে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ২৫টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ী এলাকায় দুইটি বাস টার্মিনাল নির্মাণ।
বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস নির্মাণ, সড়কের দুই পাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ। ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত নির্মাণ।
এদিকে ৬ বছরে কাজ শেষ করার থাকলেও নানা অজুহাতে সময় বাড়ানো হয়েছে চারবার। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রকল্প ব্যায়। সময় ফুরিয়ে গেলেও কাজ এখনো ফুরোয়নি।
যদিও প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
৮ মাস আগে
মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
রাজধানীর রমনা থানার মৌচাক-রামপুরা প্রধান সড়কের ফ্লাইওভারের নিচ থেকে রবিবার (৮ অক্টোবর) রাতে সাহিদা ইসলাম মীম (২১) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত সাহিদা ইসলাম মীম রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার বাগিচারটেকের মৃত আবু সাঈদের মেয়ে।
রমনা থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোছা. আমেনা খানম জানান, আমরা খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে মৌচাক-রামপুরা প্রধান সড়কের ফ্লাইওভারের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় রাস্তায় লাশ ফেলে পালালেন নারী
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের মা আজিমুন ইসলাম জানান, আমার মেয়ে এখন পড়াশোনা করে না। আগে পড়াশোনা করত। বর্তমানে নাচ করত। গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফোন করে ওর এক বন্ধু বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আমার মেয়েকে বারে বারে ফোন দিলেও ফোন ধরেনি।
তিনি বলেন, রাতে পুলিশ ফোন দিয়ে আমায় বলে আপনি একটু থানায় আসেন। পরে আমরা থানায় গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ঘোড়ার গাড়ির চালকের লাশ উদ্ধার
রাজশাহীতে মা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে তিন ব্যক্তি একটি মোটরসাইকেলে চেপে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিলেন। আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভারের ওপর মোটরসাইকেলটিকে একটি ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলে দুই যুবক মারা যায়। অজ্ঞান অবস্থায় অপরজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ নিহত ২
সিরাজদিখান হাইওয়ে পুলিশের হাসারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসিফুজ্জামান আসিফ জানান, নিহতদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর হবে। এখনও নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, নিহত ও আহতের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে শনিবার দুপুরে হাইওয়ে থানার পুলিশ বাদী হয়ে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালক নিহত
খুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক ভাই নিহত, অপর ভাই আহত
১ বছর আগে
ফরিদপুরে বাসচাপায় প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসচাপায় দুই ভাই নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা হাইওয়ে এক্সপ্রেসের ফরিদপুরে ভাঙ্গা গোল চত্বর ফ্লাইওভার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ২ ভাই হলেন- মেহেরপুর সদর থানার নতুন দরবেশপুর গ্রামের আদম আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৯) ও তার ছোট ভাই হামিম (১৪)।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাসচাপায় স্ত্রী নিহত, স্বামী আহত
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল জানায়, দুপুরে ট্রেনে দুই ভাই ভাঙ্গা রেল স্টেশনে নেমে ভাঙ্গা গোল চত্বর ফ্লাইওভারের হাইওয়ে এক্সপ্রেস পার হচ্ছিলেন। সে সময় ঢাকাগামী ইলিশ পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৬০৫৭) দুই ভাইকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সে সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করলে বাসটি ফেলেই চালক পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, পুলিশ বাসটি জব্দ করে লাশ দুইটি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। তারা এলেই লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরে সহযোগিতা করবে জাপান: নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাসচাপায় ২ পথচারী নিহত
১ বছর আগে
মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে লোহার রড পড়ে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে লোহার রড পড়ে আঘাত পেয়ে সোমবার ১২ বছরের অজ্ঞাতনামা এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আব্দুল কাদের ইমন জানান, সকাল ১০টার দিকে মহাখালী এলাকার নিউ ডিওএইচএস রোডে রডটি শিশুটির গলায় বিদ্ধ হয়।
আহত ছেলেটিকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আদাবরে ভবনের আগুন দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর শাহবাগ থেকে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ (রবিবার) মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেছেন। মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাতায়াতের সুবিধার্থে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বালুর মাঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে এক অনুষ্ঠান থেকে ফ্লাইওভারটি যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন।
ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং কালশী সার্কেলে ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় দুই হাজার ৩৩৫ মিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারটি ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি একনেকের (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদন পায়।
প্রকল্পের আওতায় ইসিবি চত্বর থেকে কালশী পর্যন্ত তিন দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) প্রায় এক হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি দেখতে ইংরেজি বর্ণমালা 'ওয়াই'র মতো। যাতায়াতের সুবিধার্থে পূর্বের চার লেনের সড়কগুলোকে ছয় লেনে প্রশস্ত করা হয়েছে।
মূল চার লেনের ফ্লাইওভারটি ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ও মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে এবং কালশী মোড় থেকে কালশী রোড পর্যন্ত দুই লেনের র্যাম্প (ঢাল) নেমে আসে।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে একটি পিসি গার্ডার সেতু সম্প্রসারণ, দুটি ফুটব্রিজ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি সাত দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন ও সসার ড্রেন, একটি এক হাজার ৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, রিটেইনিং ওয়াল, তিন হাজার ৩৮৩ মিটার কমিউনিকেশন ডাক্ট, আট লাখ লিনিয়ার মিটার বালু কম্প্যাকশন পাইল, পৃথক সাইকেল লেন ও ছয়টি বাস বে।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুর রুটে নবনির্মিত ৩ রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দরে যানবাহন চলাচল সহজ হবে।
এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বালুর মঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে একটি অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী যান চলাচলের উদ্বোধন করবেন।
দুই হাজার ৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কয়ার থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কালশী সার্কেল ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারে একনেকে অনুমোদন পায়।
এটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত তিন দশমিক ৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) প্রায় এক হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
প্রকল্পের তথানুযায়ী, ফ্লাইওভারটি দেখতে ইংরেজি বর্ণমালা ‘ওয়াই’-এর মতো।
যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এর আগে চার লেনের রাস্তাগুলোকে ছয় লেনে প্রশস্ত করা হয়েছে।
প্রধান চার লেনের ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী এবং মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে সংযু্ক্ত হয়েছে এবং একটি দুই লেনের র্যাম্প কালশী মোড় থেকে কালশী রোড পর্যন্ত নেমেছে।
আরও পড়ুন: সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পের মধ্যে একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, দুটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি সাত দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন এবং প্রসস্ত ড্রেন, একটি একহাজার ৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, রিটেইনিং ওয়াল, তিন হজার ৩৮৩ মিটার যোগাযোগ নালা, ৮ লাখ-লিনিয়ার মিটার বালির কম্প্যাকশন পাইল, পৃথক সাইকেল লেন এবং ছয়টি বাস বে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই
১ বছর আগে
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তায় কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট ও নাচগানের আয়োজন করা যাবে না।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা ও আনুষঙ্গিক বিষয় সংক্রান্ত সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, সবসময় এ ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনের সময় আমরা বসি। আমরা দুর্গোৎসবের সময় বসেছিলাম, আমাদের ধারণা ছিল, ৩১ হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ হবে। সেই অনুযায়ী প্রায় ৩২ হাজারের কাছাকাছি দুর্গোৎসবের পূজামণ্ডপ হয়েছে।
এছাড়া এবার তেজাগাঁও ও রমনাসহ পাঁচ হাজার ৬৮২টি (দু-একটি বেশি-কম হতে পারে) গির্জায় বড়দিন পালন হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোনোভাবেই রাজপথে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সবগুলো গির্জার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।
বড় গির্জাগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে স্বেচ্ছাসেবী থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
কূটনৈতিক পাড়ায় বেশিরভাগ কূটনীতিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
গির্জাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে।
গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে সুইপিং করা হবে, ভিআইপিদের চলাচলের সময় যেটা করা হয়। ডগ স্কোয়াডও থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা পার্শ্ববর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদাপোশাকের গোয়েন্দারাও থাকবে। প্রতিটি শহরে র্যাবের টহল থাকবে। খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে র্যাবের টহল জোরদার করা হবে।
এছাড়া কোনো অঘটন ঘটলে ৯৯৯-এ ফোন দেয়া যাবে। সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা জানেন, ২৫ ডিসেম্বরের পরে থার্টি ফার্স্ট নাইট হয়ে থাকে। এদিন আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না-ফোটাতে আমরা অনুরোধ রাখছি। এগুলো ফুটিয়ে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফ্লাইওভার ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আায়োজন করা যাবে না।
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি যাতে ঢুকতে না পারেন, সে জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে প্রবেশ সীমিত করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে,’ জানান আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য অপব্যহাররোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলবে। যে কোনো নাশকতারোধে সারা দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উৎযাপনে গির্জা ও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে, তার ব্যবস্থা থাকবে।
‘৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা সব বার বন্ধ থাকবে। দেশের পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ সময় অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় উদ্ধার টিমসহ অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ও অগ্নিনির্বাপণ কর্মী সতর্ক থাকবেন।’
মাঠে কনসার্ট করা যাবে কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। কোনো রাস্তায় যানজট করা যাবে না। কেউ যাতে অবৈধভাবে মাদক কারবারী করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।
তবে এই উৎসব উপলক্ষ্যে কোনো থ্রেট (হুমকি) আছে কিনা; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কিছু নেই। আমরা মনে করছি, জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আগেই তা চিহ্নিত করেছি।
তারপরেও আমরা সবাই সজাগ থাকবো, যাতে কোনো অঘটনা না ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফারদিন নূর: র্যাব, ডিবি'র তদন্তে আস্থা প্রকাশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
১ বছর আগে