আদালত অবমাননা
যুগান্তরের সম্পাদক-প্রকাশকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি
‘ফিরে দেখা বিচার বিভাগ পৃথককরণ’ শিরোনামে প্রকাশিত এক নিবন্ধের জন্য যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলাম ও নিবন্ধ লেখক মোহাম্মদ আবদুস ছালামের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে কেন নিবন্ধ লেখক, যুগান্তরের সম্পাদক ও প্রকাশককে আদালত অবমাননার জন্য অভিযুক্ত করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলে আগামী রবিবারের মধ্যে তাদেরকে এ বিষয়ে হলফনামা আকারে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) আদালত অবমাননার অভিযোগে করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন চেয়ে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
‘ফিরে দেখা বিচার বিভাগ পৃথককরণ’ শিরোনামে মোহাম্মদ আবদুস ছালামের লেখা নিবন্ধ ১ নভেম্বর যুগান্তরে প্রকাশিত হয়। নিবন্ধে বিচার বিভাগ পৃথকরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ও অবমাননাকর বক্তব্য প্রকাশের অভিযোগে গত সোমবার ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানিম হোসেইন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিদুয়ানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম।
নিবন্ধটি তুলে ধরে শুনানিতে আইনজীবী তানিম হোসেইন বলেন, যা লেখা হয়েছে, তা ঘটনাগতভাবে সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গে বড় ধরনের সংস্কার কার্যক্রম চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের জন্য সংস্কার কমিশন হয়েছে। খুবই কৌশলে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গকে মুখোমুখি করে দেওয়ার একটা প্রয়াস মনে হয়েছে। আদালত অবমাননার রুল দেওয়ার আরজি জানান তিনি। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: আটটি গোপন ‘আটক কেন্দ্রের’ সন্ধান পেয়েছে গুম কমিশন
২ সপ্তাহ আগে
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন নুর
আদালত অবমাননার অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিত আবেদন করে ক্ষমা চান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা
তবে ক্ষমা প্রার্থনা করে দেওয়া আজকের আবেদনে ভবিষ্যতে অবমাননাকর বক্তব্য না দেওয়ার কোনও কথা না থাকায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত।
পরে নুরের আইনজীবী নতুন করে আরেকটি আবেদন দেওয়ার জন্য সময় চাইলে হাইকোর্ট সময় দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।
এসময় আদালতেই উপস্থিত ছিলেন নুর।
আদালতে ভিপি নুরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
এর আগে বিচারকদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে নুরুল হক নুরকে গত ১৭ ডিসেম্বর তলব করেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ভিপি নুরের বিরুদ্ধে কুমিল্লার দুই থানায় অভিযোগ
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে ১৭ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়। পরে ১৭ জানুয়ারি হাজির হলে আদালত তাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ফের হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।
এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর ‘বিচারকদের সতর্ক করে ভিপি নুরের আপত্তিকর বক্তব্য’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গত ১৭ ডিসেম্বর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা ওই প্রতিবেদন এই বেঞ্চের নজরে আনলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ভিপি নুরকে হাইকোর্টে তলব
৯ মাস আগে
আদালত অবমাননা: ব্যাখ্যা জানাতে সুরক্ষা সচিবসহ কারা মহাপরিদর্শককে আপিল বিভাগে তলব
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হককে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালত অবমাননার অভিযোগে করা পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ছয় কারা কর্মকর্তার পদোন্নতিসংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে আগামী ৪ ডিসেম্বর তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আলাদা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আলাদা পাঁচটি আবেদন শুনানির জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
জানা যায়, পদোন্নতি নিয়ে ছয় কারা কর্মকর্তার (জেল সুপার) করা পুনর্বিবেচনার আবেদনের (রিভিউ) উপর গত বছরের ২২ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় দেন। রায়ে ১৯৮৪ সালের অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফ (ডিপার্টমেন্ট অব প্রিজন্স) রিক্রুটমেন্ট বিধিমালার আলোকে দ্রুত আবেদনকারীদের (ছয় জেল সুপার, চলতি দায়িত্ব) পদোন্নতির বিষয়টি বিবেচনা করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে পদোন্নতিপ্রত্যাশী মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়াসহ পাঁচ কর্মকর্তা গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আলাদা পাঁচটি আবেদন করেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইব্রাহীম খলিল। কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সফিকুল ইসলাম।
আবেদনকারীদের আইনজীবী ইব্রাহীম খলিল বলেন, আদালত অবমাননার আবেদনগুলো গত ৬ নভেম্বর আপিল বিভাগে শুনানির জন্য উঠে। ওই দিন কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ছয়জনকে পদোন্নতি দিতে রিভিউয়ের রায় বাস্তবায়নের জন্য দুই সপ্তাহ সময় নেন।
তিনি আরও বলেন, সে অনুযায়ী সোমবার ফের শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় আসে। শুনানিতে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির ১৬ নভেম্বরের এক সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী।
ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়- ছয় কর্মকর্তাকে ১৯৮৪ সালের নিয়োগবিধির আওতায় এ পর্যায়ে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ আদালতের রায় সত্ত্বেও এ ধরনের সিদ্ধান্ত ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ বলে মন্তব্য করেন আপিল বিভাগ।
পরে ছয় কর্মকর্তার পদোন্নতির রায় কেন বাস্তবায়িত হয়নি, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হককে ৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদালত সূত্র জানায়, ছয় কর্মকর্তা ২০০৮ সালে জেল সুপারের চলতি দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৪ সালের নিয়োগবিধি অনুসারে পূর্ণ নিয়োগ পেতে তথা পদোন্নতির জন্য ২০১৬ সালে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বিফল হন।
এ নিয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে তাদের পক্ষে রায় পান। এর বিরুদ্ধে সরকারপক্ষ আপিল ট্রাইব্যুনালে গেলে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাতিল হয়।
এর বিরুদ্ধে তারা আপিল বিভাগে আপিল করেন, যা ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল খারিজ হয়। আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ছয় কর্মকর্তা ২০১৯ সালে ছয়টি আবেদন (রিভিউ) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ গত বছরের ২২ এপ্রিল ওই রায় দেন।
আরও পড়ুন: জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
১ বছর আগে
জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
দলের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মিছিল-সমাবেশসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা আবেদনের শুনানি আগামী ৬ নভেম্বর।
এছাড়া, জামায়াতের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় দলটি নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আলাদা আবেদনটিরও শুনানি হবে একই দিন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে গত জুনে পৃথক দুটি আবেদন করেন হাইকোর্টে রিটকারী মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ তিনজন।
আবেদনে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ১০ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে আনা হয়।
আদালত অবমাননার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে জামায়াতের আমীর ডা.শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লা মোহাম্মদ তাহের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমীর হেলাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুককে।
গত ২৬ জুন আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আবেদন দুটি আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর এবং সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাফওয়ান করিম।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জামায়াতের ১৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড জয়নাল আবেদীন তুহিন।
পরে তানিয়া আমীর বলেন, আমাদের দুটি আবেদন। একটি নিষেধাজ্ঞার, অপরটির আদালত অবমাননার। আমরা শুনানিতে দাঁড়ানোর আগে একজন আইনজীবী জামায়াতের সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জন্য আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আদালত কড়াভাবে বললেন, ‘উনি (এ জে মোহাম্মদ আলী) কী আদালত আছেন ডিজিটাল যুগে আদালতের সামনে স্ক্রিন আছে। সব জানা যায়। আমরা সময় দিতে প্রস্তুত না। তখন আমি বললাম, আগস্টেও ওনারা সময় চেয়েছেন। এরপর আমরা জামায়াতের বর্তমান নেতাদের বিবাদী করে যে আবেদন করেছিলাম। সেটি উপস্থাপন করি। আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, আদালত বলছেন যে ওনাদের হাত অনেক লম্বা। আর সময় দেবেন না। এরপর ৬ তারিখ শুনানির জন্য রেখেছেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
পরে হাইকোর্ট দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিতে দলটিকে দুই মাস সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে জামায়াতকে আদালতে সংক্ষিপ্ত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। পরে তারা আদালতে সারসংক্ষেপ জমা দেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিল থেকে জামায়াতের ১৬ কর্মী আটক
১ বছর আগে
সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজ উদ্দীন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে অনতিবিলম্বে জামিনের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়ায় আবেদনটি করেন সুপ্রিমকোর্টের চার আইনজীবী।
আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতে কালো কোট-গাউন পরার আবশ্যকতা নেই: সুপ্রিম কোর্ট
সোমবার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের আপিল বিভাগে এ মামলার আবেদনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা।
অন্য আইনজীবীরা হলেন- মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মাহফুজুর রহমান রোমান ও শফিক রায়হান শাওন।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা বলেন, সুজনের দুজনের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলার আবেদন করেছি।
গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ খাদিজাকে জামিন না দিয়ে তার জামিন আবেদন চার মাসের জন্য মুলতবি করে রাখেন। পরে গত ১২ জুলাই খাদিজার মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দেয় সুজন।
বিবৃতিতে সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দীন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কেবল সরকারবিরোধী প্রচারণা ও কটূক্তির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মাসের পর মাস জামিন না দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
এভাবে জামিন না দিয়ে খাদিজার মতো একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন রাষ্ট্র কোনোভাবেই ধ্বংস করে দিতে পারে না। সুজনের পক্ষ থেকে খাদিজাকে অবিলম্বে জামিন দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুইটি মামলা হয়।
একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ। এ মামলায় প্রায় ১১ মাস ধরে কারাগারে আছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু’র দায় স্বীকার
১ বছর আগে
মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: শুনানি ১৪ আগস্ট
‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামায় দিছিলাম’ এক আলোচনা সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের এমন মন্তব্যে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।
আপিল বিভাগে করা এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৫ জুন) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ১৪ আগস্ট দিন রেখেছেন।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসিতে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে: মেয়র তাপস
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মহসিন রশিদ। সঙ্গে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, মামলার বাদী অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট মামুন মাহবুব।
তাপসের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলালসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত রবিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল এ মামলা করেন।
মামলায় আদালত অবমাননামূলক বক্তব্যের কারণে মেয়র তাপসকে আদালতে তলব করার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
সরকার সমর্থকদের একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে ডাকা তলবি সভা থেকে গঠিত অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহ আহমেদ বাদল।
এর আগ গত ২৩ মে একটি জাতীয় দৈনিকে মেয়র তাপসের ওই বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আমি নগর ভবন থেকে শুনি যে আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেয়া হয়। মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি।
যেখানে মুগুর দেয়ার সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম।
মশিউজ্জামান (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান)কে আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান।
যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো।
আরও পড়ুন: মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
গত ২৪ মে ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’- ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের এই বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে আনেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির তলবী সভার সভাপতি ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম।
এসময় তার সঙ্গে বিএনিপন্থি সব শীর্ষ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপিল বিভাগে ওই বক্তব্য তুলে ধরে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিচার বিভাগের দিকে তাকিয়ে থাকে। মেয়র বলেছেন একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। গর্ব করে, যা দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি পত্রিকায় প্রকাশিত তাপসের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ব্যারিস্টার তাপস তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠনের আগেও অনেক বড় বড় আইনজীবী নেতা ছিলেন। কিন্তু যখন এই সংগঠন গঠন করা হয় তখন কিন্তু এইসব বিজ্ঞ, খ্যাতনামা, প্রাজ্ঞ, বড় বড় নেতাদের বাদ দিয়ে আমাদের মতো ছোট আইনজীবীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ গঠন করা হয়। সুতরাং এগুলো ভুললে চলবে না। সবাই খালি ইতিহাস ভুলে যায়। ইতিহাস ভুললে চলবে না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা একটু দেখি। এখন কোর্টের কাজ করি।’
আইনজীবী শাহ আহমদ বাদল সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছি।
আরও পড়ুন: খালের বর্জ্যের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিও অপসারণ করা হচ্ছে: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
'একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’-ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্যকে আদালত অবমাননা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মেয়র তাপসকে আদালতে তলব করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রবিবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল এ মামলা করেন। সরকার সমর্থকদের একতরফা ভোটের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সদস্যদের তলবী সভা থেকে গঠিত অ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল।
গত ২১ মে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভায় মেয়র তাপস তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন- ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’।
আরও পড়ুন: ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে: মেয়র তাপস
এই বক্তব্য গত ২৩ মে এক দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাপসকে উদ্ধৃত করে সেখানে বলা হয়- ‘মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেওয়ার সেটিও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাবকমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম- ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যেসব সুশীল আমাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেসব সুশীলকে আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব।’
গত ২৪ মে মেয়র তাপসের এই বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে আনেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম। এ সময় তার সঙ্গে বিএনিপন্থী সব শীর্ষ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আদালতে বলেন, ‘মেয়র তাপস বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান) আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো।’
ব্যারিস্টার আমীর বলেন, ‘আমরা সংক্ষুব্ধ। এই বক্তব্যে সিনিয়র আইনজীবীদের হেয় করা হয়েছে।’
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ বিষয়ে বলেন, ‘পত্রিকায় আসা সংবাদটি ভালোভাবে পড়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
আইনজীবী শাহ আহমদ বাদল বলেন, ‘আপিল বিভাগ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা তাপসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছি।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অংশীজনদের থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি: মেয়র তাপস
১ বছর আগে
আদালত অবমাননা: সিডিএ’র চেয়ারম্যান, সচিবসহ ৫ জনকে তলব
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষসহ পাঁচ জনকে তলব করেছে আদালত। আদালত অবমাননার অপরাধে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতের বিচারক মো.তৌফিক আজিজ এই নির্দেশ দেন।
সিডিএ’র চেয়ারম্যান ছাড়াও অন্যান্যরা হলেন- সিডিএ’র সচিব আনোয়ার পাশা, উপসচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) অমল গুহ, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস এবং অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. নাজের।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে
শ্রম আদালেত আসামি পক্ষের আইনজীবী সুখময় চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমের কারণে সিডিএ উচ্চমান সহকারী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ অপসারণ (টারমিনেশন) অর্থ্যাৎ চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের প্রথম শ্রম আদালতে ২০১৪ সালের ১ জুন মামলা দায়ের করেন হাবিবুর রহমান।
গত ২৪ জুলাই অপসারণ আদেশ বাতিল করে রায় দেন আদালত। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে হাবিবুর রহমানের সকল বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান করে স্বপদে ও সবেতনে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন।
গত ২৮ জুলাই রায়ের অনুলিপি সংগ্রহ করে হাবিবুর রহমান সশরীরে সিডিএতে গিয়ে চাকরিতে যোগদানপত্র দাখিল করেন। একই তারিখে যোগদানপত্র যথানিয়মে রেজিস্ট্রি ডাকযোগেও পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী আটক, ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ
গত ৩ আগস্ট পুনরায় যোগদানের জন্য মানবিক আবেদন ডাকযোগে প্রেরণ করা হয়। পাঁচ জনই একে অপরের যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল করেননি।
এরপর গত ৩১ আগস্ট আদালত অবমাননার অভিযোগে ডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ প্রকাশ ডলফিন, সিডিএ’র সচিব আনোয়ার পাশা, সিডিএর উপ সচিব (ভারপ্রাপ্ত সচিব) অমল গুহ, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ও সিডিএর অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রম আদালতে মামলা করেন হাবিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বরখাস্ত
আসামি পক্ষের আইনজীবী সুখময় চক্রবর্তী বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
২ বছর আগে
মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
একটি জমির দখল নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করায় আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বাকি তিনজন হচ্ছেন-আলফাজ, হারুনুর রশিদ ও জফলুল হক।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেয়র জাহাঙ্গীরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রিভিউ আবেদন করবেন আ’লীগের বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর
তিনি জানান, গাজীপুরের সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের একটি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দখলে থাকা ব্যক্তি আশরাফ উদ্দিন আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। তখন হাইকোর্ট তার জমিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে এবং তাকে ওই জমিতে অবস্থানের ক্ষেত্রে কোন ধরণের ডিস্টার্ব না করার নিষেধাজ্ঞা দেন। ওই নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করে গত ২১ জুন মেয়র জাহাঙ্গীর ও তার লোকজন ওই জমি নিজের দাবি করে ব্যবহারে বাধা দেন। তাই জাহাঙ্গীর আলমসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। আজ শুনানি নিয়ে রুল দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জেলার কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আলোচনা চলছে তাকে মেয়র পদ থেকে অপসারণ করার বিষয়েও।
পড়ুন: মেয়র আইভীর ভাইয়ের মামলায় সাংবাদিক কারাগারে
নড়াইলে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা: রিটের শুনানি পেছাল
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে আদালত অবমাননার মামলা এবং গাছ কাটা বন্ধের রিট আবেদনের ওপর শুনানি মূলতবি করেছেন হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার আদালত অবমাননার মামলার শুনানি ২ সপ্তাহ মুলতবি করেছেন বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আর গাছ কাটা বন্ধ চেয়ে ৬টি সংগঠন ও এক ব্যক্তির করা রিট আবেদনের শুনানি ৪ সপ্তাহের জন্য মূলতবি করেছেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। আর রিট আবেদনকারীপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন হাইকোর্টকে বলেন, রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পরিবেশবাদীসহ সকলের সাথে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ না কাটার নির্দেশ হাইকোর্টের
তিনি বলেন, বৈঠকের পরে তারা উদ্যানে গাছ না কাটা এবং ৭ মার্চের ভাষণের আদলে অবকাঠামো নির্মাণসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ এজন্য তিনি সময় চেয়ে দুটি মামলার শুনানি মূলতবির আবেদন জানান।
শুনানিকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব উভয়পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা চাই সেখানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) গাছও থাকবে। আর হাইকোর্টের আগের রায়ের নির্দেশনা অনুসারে কাজও হবে। আর একটা কথা, অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন যে, সরকার এটা নিয়ে পরিবেশবাদীদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান চান। আমরাও চাই, সমস্যার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি হোক। অন্যথায় যারা সংক্ষুব্ধ তারা যেকোনো সময়ই আদালতে আসতে পারবেন।
আদালত অবমাননার মামলা
‘উদ্যানের ঐতিহাসিক স্থানসমুহ যথাযথভাবে সংরক্ষণে ২০০৯ সালের হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো সেখানে গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট ও দোকান বানাচ্ছে’-এই অভিযোগে সরকারের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামিম আখতার এবং প্রধান আর্কিটেক্ট অব বাংলাদেশ মীর মনজুর রহমানের বিরুদ্ধে এই আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় আমাকে জানিয়েছেন যে, এখন গাছ কাটা হচ্ছে না। তিনি পরিবেশবাদীদের সঙ্গে বসতে চান। বসেই সমাধান করতে চান। এজন্য এক মাস সময় চাচ্ছি। এ পর্যন্ত শুনানি মূলতবি রাখা হোক।
এই আবেদনের বিরোধিতা করে মনজিল মোরসেদ বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল যেহেতু বলছেন তাকে মন্ত্রী বলেছেন যে সবাইকে নিয়ে বসতে চান। তাহলে আদালত সময় দিতে পারেন। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে নিশ্চিত করবেন যে আর কোনো গাছ কাটা হবে না।
এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলে।
বেশ কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর আদালত বলেন, যেহেতু অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন যে তারা বসতে চান। তাহলে আমরা শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মূলতবি রাখছি। যদি এর মধ্যে কোনো গাছ কাটা হয় তখন আপনি (মনজিল মোরসেদ) আদালতে আসতে পারবেন। এরপর আদালত আদেশ দেন।
ছয় সংগঠনের রিটের শুনানি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল নকসার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ, উদ্যান সংরক্ষণ এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মূলরুপে রাখার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে পরিবেশবাদী ছয়টি সংগঠন ও একজন ব্যক্তি। এ আবেদনের ওপর বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বেলা একটার দিকে শুনানি শুরু হয়।
শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে শুনানি একমাস মূলতবি রাখার আবেদন জানান।
তিনি বলেন, মন্ত্রী পরিবেশবাদীদের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চান।
সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, এর আগেও মন্ত্রী বলেছিলেন যে আমাদের সঙ্গে ১১ মে বসবেন। কিন্তু বসেননি। সুতরাং এই মুহূর্তে গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিন এবং রুল জারি করুন।
জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মন্ত্রী মহোদয় নিজেই বলেছেন যে গাছ কাটা বন্ধ আছে। আপাতত গাছ কাটবে না।
এ সময় আদালত রিট আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের উদ্বেগ বুঝতে পারছি। যেহেতু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনাদের নিয়ে বসতে চাচ্ছেন। আমরাও চাই আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টির সন্তোষজনক সমাধান হোক। আপনারা সামনা-সামনি বসুন। সকলে মিলে সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান করুন। আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের কথা উল্লেখ করে আদেশ দিচ্ছি। চার সপ্তাহ মূলতবি রাখছি।
আদালতে বলেন, আমরা চাই, আগের রায়ের নির্দেশনার আলোকে সমঝোতার ভিত্তিতে বিষয়টির সন্তোষজনক সমাধান হোক। আর যদি কোনো সমস্যা হয় তবে আদালত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
৩ বছর আগে