বিএনপি-জামায়াত
প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান: দলীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, অবহেলিতদের অগ্রাধিকার
দেশের মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালানো হবে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে যেসব কর্মকর্তারা গত ১৬/১৭ বছর ধরে ভালো পদায়ন পাননি, তাদের মূল্যায়ন করা হবে। সরিয়ে দেওয়া হবে রাজনৈতিক সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের।
জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ইউএনবিকে জানান, টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসনের সব স্তরে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে তাদের সরানো হচ্ছে। এবার মাঠ প্রশাসনেও এ শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এরইমধ্যে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগ বা প্রশাসনের দপ্তর ও সংস্থা প্রধানসহ বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অপসারণ চলছে। পাশাপাশি যারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ বা পদোন্নতি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিল তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও পদায়ন করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতিবঞ্চিত অবস্থায় অবসরে যাওয়া পাঁচজন অতিরিক্ত সচিবকে চুক্তিতে সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব হিসেবে তাদের নিয়োগ দিয়ে গত শনিবার (১৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরও (ইউএনও) সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। দলীয় সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের অপসারণের জন্য চলছে তালিকা তৈরির কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রাজনৈতিক দলীয়করণে আওয়ামী শাসনামলে প্রশাসনে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন শত শত কর্মকর্তা। দলীয় লোকজনকে করে ভালো ভালো জায়গায় পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মাঠ প্রশাসনে সরকার অনুগত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) পদায়ন করা হয়েছে।
দলীয় কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য কাজ চলছে। এতে করে সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তাও বাস্তবায়ন সহজ হবে বলেও মনে করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
তারা আরও মনে করেন, আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয়করণে গত ১৭ বছর প্রশাসনে যারা পদোন্নতিবঞ্চিত ছিল, বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কর্মকর্তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষ কমানোর জন্যই এই পদোন্নতি ও চুক্তিতে নিয়োগ বা পদায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, যেসব কর্মকর্তা বিএনপি-জামায়াত ঘরানার, তাদের ভালো পোস্টিং থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিবেদনে তাদের নামের সঙ্গে ‘নেগেটিভ’ উল্লেখ থাকায় বঞ্চিত করা হয়। অনেককে বছরের পর বছর ওএসডি থাকতে হয়েছে অথবা গুরুত্বহীন পদে ফেলে রাখা হয়েছে। অনেককে বাধ্যতামূলক অবসরেও পাঠানো হয়েছে। যেসব কর্মকর্তারা গত ১৭ বছর ধরে ভালো জায়গায় পোস্টিং পাননি, তাদের এখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের আমলে দলীয় বিবেচনায় অনেক দলবাজ কর্মকর্তাকে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেককে নিয়োগ ও পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের সব স্তরে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা জনমানুষের দাবি। এ দাবি পূরণে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় প্রশাসনে শুদ্ধি অভিযান চলছে। মাঠ প্রশাসনেও দ্রুতই এ অভিযান শুরু হবে। এসব অভিযানের ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে।’
এদিকে, সচিব বা দপ্তর প্রধান হিসেবে যারা চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে।
বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার ১০ জন সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বাতিল করা হয়েছে। তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন মিয়া, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য (সচিব) মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
এছাড়াও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর ও ভারত মিশনের প্রেস উইংয়ের কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বাতিল হয়।
পর্যায়ক্রমে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়োগও বাতিল করা হবে বলে জানা গেছে।
এছাড়াও পদত্যাগ করেছেন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।
৩ মাস আগে
বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সারা পৃথিবীতে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় আর বিএনপি-জামায়াত এই হত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। তারা ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে হবে।
বুধবার(২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারেরও বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনিসহ বিশ্বের বহু জায়গায় এমনকি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এই ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদের ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হাঁটে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুনসন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।
এ সময় ইসলামের কল্যাণে সরকারের অবদান তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইসলাম ও আলেম সমাজের কল্যাণে যা করেছেন অন্য কোনো সরকার তা করেনি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিদান, প্রতিটি উপজেলায় মনোরম মসজিদ, শিক্ষকসহ মক্তব, আলেমদের সম্মান প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করাই বিএনপির উদ্দেশ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এএএম একরামুল হক ও অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন হেলালী এবং স ম হামেদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজহারী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণের নয়, বিদেশিদের সহযোগিতা চায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
হরতালে চট্টগ্রামে ৩ বাসে আগুন
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে চট্টগ্রামে তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেমাবার (২০ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার কেঁওচিয়ায় মডেল মসজিদের সামনে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এটি দুর্ঘটনা না নাশকতা তা বলতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিসির বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আটক ৩
পুড়ে যাওয়া তিন বাসের মধ্যে দুইটি শ্যামলী ও একটি হানিফ পরিবহনের বাস রয়েছে। এসব বাস চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে গণপরিবহন হিসেবে চলাচল করত।
সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউল হক চৌধুরী বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া বাসগুলো বড়, এগুলো মডেল মসজিদের একটু দক্ষিণে তাদের (মালিক) নিজস্ব ডিপোতে ছিল। ওদেরও পাহারাদার ছিল, তারা কিছু বলতে পারতেছে না। কীভাবে আগুন লেগেছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।’
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম হুমায়ুন কার্ণায়েন বলেন, সোমবার ভোরে আমরা খবর পেয়েছি। আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টা হরতালের আগের রাতে ঢাকার গুলিস্তানে বাসে আগুন
১ বছর আগে
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের ৭ কর্মী আটক, আহত ৫ পুলিশ সদস্য
সিলেটে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
জানা যায়, রবিবার দুপুরে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের পিকেটিংয়ের সময় আহত হয়েছেন পাঁচজন পুলিশ সদস্য। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত জোট কেরাণীগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বানিয়েছিল: নসরুল হামিদ
তিনি বলেন, ‘নগরীর বিভিন্ন স্থানে পিকেটিংকালে জামায়াত ও বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। নাম পরিচয় এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আহতদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে রবিবার সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে মিছিল বের করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। কয়েকটি এলাকায় তারা ভাঙচুর চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছুড়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সকাল ৯টার দিকে নগরের জেলরোড এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি কর্মীরা। মহাজনপট্টির গলি থেকে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল মিছিল নিয়ে জেল রোড পয়েন্টে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
এ সময় তারা রিকশা চলাচলে বাধা দেয়। তবে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বিএনপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় পুলিশের দিকেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীরা। তবে বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকতে পারেনি তারা। মিছিল নিয়ে জেলরোডের দিকে চলে যায়।
সকাল সাড়ে ৮টায় জিন্দাবাজার পয়েন্ট ও কাজি ইলিয়াস এলাকায় সড়কে তাঁতিপাড়ার গলি থেকে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী হঠাৎ বের হয়ে পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তবে পুলিশের ধাওয়ায় তারা দাঁড়াতে পারেনি রাস্তায়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের দিকে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ সময় পিকেটারদের ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল পুলিশ জব্দ করে। এদিকে ফাঁকা গুলি করলে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে আশেপাশে অলিগলিতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
সকাল ১০টার দিকে নগরের দরগাহ গেইটে একটি রিকশায় আগুন দেয় পিকেটাররা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে গাছ ফেলে অবরোধ করেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কোহিনূর আহমদ ও সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম। প্রায় একই সময়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার তেতলিতে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সকাল ৯টার দিকে মহানগরের লন্ডনি রোডের হাজীপাড়ার মুখ থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি মোটরসাইকেলে করে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বের হয়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিশ আসার আগেই তারা সেখান থেকে চলে যায়।
নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় দৈনিক খবরের কাগজ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক মামুন হোসেনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিএনপির কর্মীরা।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা মিফতা সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনার কিছুক্ষণ আগে পুলিশ বিএনপির একটি মিছিলে ধাওয়া করে। এর পরপরই খবর আসে বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব আটক হয়েছেন। এই দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতা-কর্মীদের উত্তেজনা থেকে হয়তো ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা বিষয়টি দেখব।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিষয়ে সজাগ থাকুন: শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জন কারাগারে
কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে সিলেটের জকিগঞ্জ কালিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এ ৬৭ জন হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জকিগঞ্জ আদালতের জিআর বাসুদেব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখাকে কেন্দ্র করে জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিলো। তখন আক্রমণকারীরা হামলা চালিয়ে ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছোঁড়ে। সংঘর্ষে পুলিশ-জনতাসহ ৩৫ থেকে ৪০ জন আহত হন।
ঘটনার পরে পুলিশ বাদী হয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা করে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
কয়েকদিন আগে ১৭৪ জনকে অভিযুক্ত করে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।এ মামলায় এর আগে বেশ কয়েকজন আসামি পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
গত ৪ মে বৃহস্পতিবারও ২৯ জন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। সর্বশেষ সোমবার এ ৬৮ জনকে কারাগারো পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বাবাকে হত্যার পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
সামাজিক মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের কথা তুলে ধরুন: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) নেতাকর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং বিএনপি ও জামায়াতের অপকর্ম তুলে ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তৈরি করেছি। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ভেসে যাচ্ছে। আমি আমাদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এসবের উপযুক্ত জবাব দিতে বলতে চাই।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক অঞ্চলে নারী উদ্যোক্তারা বিশেষ সুযোগ পেতে পারেন: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় কাউন্সিলের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যখন আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লেখে, তখন আপনাকে উত্তর দেয়ার দরকার নেই। যদি শুধুমাত্র তাদের অপকর্মের কথা মন্তব্যে উল্লেখ করা যায় (সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা পোস্টের মধ্যে) তারা থামবে।’
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়। বিসিএলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল ২০১৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর: দেড় বিলিয়ন বিনিয়োগ ও লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
ষড়যন্ত্রকারীরা গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের
ষড়যন্ত্রকারীরা গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
৪ বছর আগে