বিএনপি-জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনীতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার তাদের হাত ধরেই হয়েছে। এখনও তারা সেই অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার মহিলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
খুনিরা তাদের ষড়যন্ত্রের জাল এখনও ছড়িয়ে রেখেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে-বিদেশে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। এ দেশের রাজনীতিতে হত্যা, সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর সাম্প্রদায়িকতার বিস্তার তাদের হাত ধরেই। এখনও তারা সে অপচর্চা অব্যাহত রেখেছে। তাই বলব, ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ড ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেমন অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন, তেমনি যে কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে তিনি অপরাধীর দলীয় পরিচয় খোঁজেননি। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখেছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আছেন বলেই ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, জাতির কলঙ্ক মোচন হয়েছে। সেই আত্মস্বীকৃত খুনিরা শত আশ্রয়-প্রশ্রয়েও প্রটেকশন পায়নি জনতার কাছে। আদালতের রায়ে ফাঁসিতে ঝুলেছে খুনিরা। জনগণের ধিক্কার আর ঘৃণাই আজ খুনিদের প্রাপ্য।’
‘যারা লুকিয়ে আছে তাদেরও ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে, ইনশাল্লাহ। ইতোমধ্যে জোরদার করা হয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা,’ যোগ করেন কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটি স্বাধীন দেশে সপরিবারে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডকে মধ্যযুগীয় কায়দায় ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র কথা বলে যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈধতা দিয়েছিল, তারা আজ অপপ্রচার চালায় দেশে ন্যায়বিচার নেই বলে। ন্যায়বিচার তো দূরের কথা, ২১ বছর তো আমরা বিচারই চাইতে পারিনি। সে অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তারা আজ মানবাধিকারের বুলি আওড়ায়।’
‘কারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউর সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে? সেদিন প্রাইম টর্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ এর বুলেট ২০০৪ সালে ফিরে এসেছে গ্রেনেড হয়ে। যখন জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিলেন, আলামত নষ্ট করেছিলেন তখন আপনাদের ন্যায় বিচার কোথায় ছিল,’ প্রশ্ন করেন সেতুমন্ত্রী।