মহাকাশ
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে ফ্রান্সের আগ্রহ প্রকাশ
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স।
বুধবার (২১ জুন) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীর জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার
সাক্ষাতকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক তুলে ধরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্স বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং অকৃত্রিম বন্ধু।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত সাড়ে ১৪ বছরে ডিজিটালাইজেশনের ধারাবাহিকতায় বিস্ময়কর অগ্রগতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ বর্তমান সরকারের অন্যতম অর্জন। এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট ক্লাবের ৫৭তম গর্বিত সদস্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ দেশের টেলিভিশন চ্যানেলসমূহের সম্প্রচারসহ দুর্গম অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে অভাবনীয় ভূমিকা রাখছে।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ স্থাপনের কার্যক্রম চলছে।
মন্ত্রী টেলিযোগাযোগ খাতসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি জায়গা। তাই সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতি কাজে লাগিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতে ফ্রান্স বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
এসময় জনাব মোস্তাফা জব্বার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে স্যটেলাইট যুগে বাংলাদেশের প্রবেশে ফ্রান্সের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: প্রচলিত গণমাধ্যমের বিদ্যমান ধারা ভবিষ্যতে সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে: মোস্তাফা জব্বার
আমরা ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ শুরু করেছি: মোস্তাফা জব্বার
১ বছর আগে
পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত ২০২১ সালের 'ডন্ট লুক আপ' সিনেমাটি দেখেছেন? যেখানে দু'জন জ্যোতির্বিজ্ঞানী পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ধুমকেতুর বিষয়ে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করে!
সিনেমাটি না দেখে থাকলেও সমস্যা নেই। একটু ভাবুনতো, গ্রহাণু বা ধুমকেতু প্রবল বেগে ধেয়ে এসে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে! ভাবতেই গায়ে কাটা দেয় তাই না! মার্কিন মহাকাশ সংস্থাও (নাসা) বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তাভাবনা করেছে এবং অনেক আগে থেকেই তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
মহাকাশে পৃথিবী থেকে ৭০ লাখ মাইল দূরে বহুকাল ধরে ভেসে বেড়াচ্ছিল একটি গ্রহাণু। এটিকে লক্ষ্য করেই নাসার এক মহাকাশযান প্রতি ঘণ্টায় ১৪ হাজার মাইল বেগে তেড়ে যায়। লক্ষ্যবস্তুর সাথে বাঁধে সংঘর্ষ। বলে রাখা ভালো, এই সংঘর্ষ কিন্তু সুপরিকল্পিত।
নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (ডার্ট) মহাকাশযান ও ডিমরফোস নামক ৫২৫ ফুট চওড়া গ্রহাণুর মধ্যে সোমবার পূর্ব সময় (ইটি) সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে প্রথমবারের মতো মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মহাকাশীয় বস্তুর গতিপথ পরিবর্তন করেছে। তাছাড়া এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে যেকোনো মহাকাশীয় বস্তু ধেয়ে আসলে তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলকে কাজে লাগিয়ে ধ্বংস করে সজীব এই গ্রহকে রক্ষা করা যাবে।
তবে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী ১০০ বছরে বড় আকারের কোনো গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করছে না। তাছাড়া অনায়াসে অন্যান্য গ্রহ, গ্রহাণু বা মকাশীয় বস্তুর গতিপথ মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে পারে বড় ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে ছোটখাটো কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
ডার্ট মিশনকে পরিচালনাকারী মেরিল্যান্ডের লরেলে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারের (এপিএল) একজন হচ্ছেন ন্যান্সি চ্যাবট। তিনি বলেন, ‘গ্রহাণু দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার বিষয়ে আমি সত্যিই ঘুম হারাচ্ছি না, তবে আমি এমন একটি বিশ্বে বাস করার বিষয়ে উত্তেজিত যেখানে আমরা ভবিষ্যতে এটিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র প্রথম পদক্ষেপ, কিন্তু এটা কি উত্তেজনাপূর্ণ নয় যে আমরা কল্পবিজ্ঞান থেকে বাস্তবতায় যাচ্ছি?’
সেই বাস্তবতাকে রূপ দেয়ার অনুশীলন হিসেবেই নাসা ডার্টকে গ্রহাণুটি ধ্বংস করার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। এই প্রথম প্রচেষ্টার মিশনটির জন্য খরচ করতে হয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ, পরবর্তী চেষ্টা কয়েক সপ্তাহ পর
নাসা: ইঞ্জিন ত্রুটি সাড়ার পর শনিবার নতুন চন্দ্রযান রকেট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ
২ বছর আগে
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
জ্বালানি ট্যাংকে ছিদ্র থাকার কারণে সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযানের রকেট উৎক্ষেপণ বাধাগ্রস্ত হয়।
ত্রুটি টের পেয়ে উৎক্ষেপণ নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে ট্যাংকটি বন্ধ করে দেন।
উপকূলে বজ্রপাতের কারণে ইতোমধ্যে তাদের ঘণ্টাখানেক দেরি হয়ে যায়। এরপর ফের পুরো প্রক্রিয়া চালু করলে অ্যালার্ম বেজে ওঠায় আবারও তাদের থামতে হয়।
মহাকাশ সংস্থাটির দাবি ৩২২ ফুট এই রকেটটি এপর্যন্ত নাসার তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। এমনকি ‘স্যাটার্ন ভি’ নামের যে রকেটটিতে করে অর্ধ শতাব্দী আগে নভোচারীরা চাঁদে গিয়েছিল সেটির চেয়েও শক্তিশালী।
এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ যদি সফল হয় তাহলে রকেটে নভোচারী বিশিষ্ট ক্যাপসুল (কক্ষ) স্থাপন করা হবে। যা ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার চাঁদের কক্ষপথ (লুনার অরবিট) প্রদক্ষিণ করবে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
পরীক্ষামূলক এই উৎক্ষেপণ প্রস্তুতিতে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে অবস্থিত রকেটটির ক্যাপসুলে কোনো নভোচারী ছিল না। এর পরিবর্তে মানব আকৃতির তিনটি ডামি রাখা হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে সেগুলো ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হবে।
এখনও কোনো উৎক্ষেপণ না করা হলেও স্পেস লঞ্চ সিস্টেম দেখতে হাজার হাজার মানুষ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে ভিড় করছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার স্বামীর সঙ্গে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে এসেছিলেন নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। কিন্তু উৎক্ষেপণে বাধা পড়ায় তাদের যাত্রা বাতিল করতে হয়।
জানা যায়, আগামী শুক্রবারের আগে পরবর্তী উৎক্ষেপণ চেষ্টা করা হবে না।
আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
২ বছর আগে
মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
প্রথমবারের মতো মহাকাশের রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। সোমবার প্রকাশিত এই ছবিটি নাসার ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা।
ছবিটিতে গ্যালাক্সিতে ভরপুর মহাবিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম চেহারা দেখা যায়। এতে প্রচুর নক্ষত্র, সামনের অংশে বিশাল গ্যালাক্সি এবং অস্পষ্ট ও অত্যন্ত দূরবর্তী ছায়াপথগুলো স্পষ্ট দেখা যায়।
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক আয়োজনে স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা ছবিটি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ছবিটি দেখে বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘মহাবিশ্বের ইতিহাসে ১৩ বিলিয়নেরও বেশি পুরানো আলো দেখা যায়, আমি আবার বলছি ১৩ বিলিয়ন বছর আগের! এটা বিশ্বাস করা কঠিন।’
নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেছেন, এটিই এখন পর্যন্ত গ্যালাক্সি ক্লাস্টারের পাওয়া সবচেয়ে স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছবি। শত শত দাগ, রেখা, সর্পিল ও সাদা, হলুদ, কমলা এবং লালের ঘূর্ণায়মান চিত্রটি ‘মহাবিশ্বের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র’।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী দিমিতার সাসেলভ বলেন, ‘আমরা আজকে যা দেখেছি, তা হল প্রাথমিক মহাবিশ্ব।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী এই স্পেস টেলিস্কোপটি গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। জানুয়ারিতে পৃথিবী থেকে ১ মিলিয়ন মাইল (১ দশমিক ৬ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূরের তার লুকআউট পয়েন্টে এটা পৌঁছে। তারপরে ক্যামেরার লেন্সগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রজেক্ট বিজ্ঞানী ক্লাউস পন্টোপিডান ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, যেহেতু বিজ্ঞানীরা আরও গভীরে যেতে ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২১ ফুট ওয়েবের সোনার ধাতুবেষ্টিত ফুলের আকৃতির আয়নাটি মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সংবেদনশীল ওয়েব টেলিস্কোপ। এটি ১৮টি সেগমেন্ট নিয়ে গঠিত।
নাসার এই অভিযানে ইউরোপীয় ও কানাডিয়ান মহাকাশ সংস্থাগুলোও সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
২ বছর আগে
মহাকাশ স্টেশনে ৬ মাস অবস্থানের পর ফিরলেন ৩ চীনা নভোচারী
চীনের তিন নভোচারী দেশটির নতুন মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাস থাকার পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। শনিবার মহাকাশ যান শেনঝু ১৩-তে করে তারা মঙ্গোলিয়ার উত্তরাঞ্চলের গোবি মরুভূমিতে অবতরণ করেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সরাসরি তাদের অবতরণের ভিডিও দেখানো হয়েছে।
এই মিশনের তিন মহাকাশচারী হলেন- ওয়াং ইয়াপিং, ক্রুমেট ঝাই ঝিগাং ও ইয়ে গুয়াংফু।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হাইনানের দক্ষিণ দ্বীপের ওয়েনচাং-এ উৎক্ষেপণ স্থান পরিদর্শন করেন। যেখান থেকে তিয়ানহে মডিউলটি কক্ষপথে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এই তিন মহাকাশচারী চীনের মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং বা স্বর্গীয় প্রাসাদে থাকা দ্বিতীয় ধাপের মহাকাশযাত্রী। ২০২১ সালের এপ্রিলে এর মূল মডিউল তিয়ানহে চালু করা হয়েছিল।
তিয়ানগং এর উদ্দেশে পরবর্তী মহাকাশযাত্রার তারিখ কর্তৃপক্ষ এখনও ঘোষণা করেনি।
আরও পড়ুন: তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অস্বস্তির কারণে চীনকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেয়া হয়। কারণ চীনের সামগ্রিক মহাকাশ কর্মসূচি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখা পিপলস লিবারেশন আর্মি পরিচালনা করে।
তিয়ানগং চীনের তৃতীয় মহাকাশ স্টেশন। এর আগে ২০১১ সালে এবং ২০১৬ সালে চীন দুটি মহাকাশ স্টেশন উৎক্ষেপণ করে। ২০২০ সালে দেশটির সরকার ঘোষণা করেছিল চীনের প্রথম পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযানটি একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের পরে সফলভাবে মহাকাশে অবতরণ করেছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে চীন মহাকাশে নভোচারী পাঠায়।
২০০৩ সালে চীন প্রথমবারের মতো মহাকাশে নভোচারী পাঠায় এবং ২০১৩ সালে চাঁদে এবং ২০২১ সালে মঙ্গলে চীনের রোবট রোভার অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: মহাকাশ পরিভ্রমণ করা চীনের প্রথম নারী ওয়াং ইয়াপিং
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
২ বছর আগে
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
মহাকাশ থেকে চার নভোচারী পৃথিবীতে ফিরেছেন। সোমবার নাসার নভোচারী শেইন কিমব্রোগ, মেগান ম্যাকআর্থার, জাপানের আকিহিকো হশিডি ও ফ্রান্সের থমাস পেসকুট পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তবে উচ্চ বাতাসের কারণে তাদের পৃথিবীতে অবতরণ বিলম্ব হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আলাদা হওয়ার ফলে তাদের পরিবর্তে বুধবার চার জন পাঠানোর পথ প্রশস্ত হয়েছে।
তবে প্রথমে নতুনদের পাঠানোর কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়া ও এক নভোচারীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অপ্রকাশিত তথ্যের জন্য নাসা আদেশে পরিবর্তন আনে।
এক টুইট বার্তায় পেসকুট বলেন, ‘আরও এক রাত এই মোহনীয় দৃশ্যের মাঝে। কে অভিযোগ করতে পারে? আমি আমাদের স্পেসশিপ মিস করবো।’
তবে নভোচারীদের জন্য যাত্রাটি সুখকর ছিল না। তাদের বহন করা নভোযানের শৌচাগার অকেজো থাকায় পৃথিবীতে ফেরত আসার আট ঘণ্টার যাত্রায় তাদের ডায়াপারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
৩ বছর আগে
মহাকাশ পরিভ্রমণ করা চীনের প্রথম নারী ওয়াং ইয়াপিং
দেশের মহাকাশ স্টেশনের ছয় মাসের মিশনের অংশ হিসাবে স্পেসওয়াক পরিচালনা করা প্রথম চীনা নারী হয়েছেন ওয়াং ইয়াপিং।
চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সির মতে, ওয়াং ও তার সহযাত্রী নভোচারী ঝাই ঝিগাং রবিবার সন্ধ্যায় স্টেশনের প্রধান মডিউল ছেড়ে যান। সরঞ্জাম ইনস্টল করা ও স্টেশনের রোবোটিক পরিসেবার পরীক্ষা চালাতে তারা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেন।
সিএমএস তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ক্রুর তৃতীয় সদস্য ইয়ে গুয়াংফু, স্টেশনের ভিতরে থেকে সহায়তা করেছিলেন।
ওয়াং ও ঝাই উভয়ই চীনের পরীক্ষামূলক স্পেস স্টেশনগুলিতে ভ্রমণ করেছিলেন এবং ঝাই ১৩ বছর আগে চীনের প্রথম স্পেসওয়াক পরিচালনা করেছিলেন।
এই তিনজন স্থায়ী স্টেশনের দ্বিতীয় ক্রু। ১৬ অক্টোবর তাদের আগমনের সাথে শুরু হওয়া মিশনটি চীনা মহাকাশচারীদের জন্য মহাকাশে এখনও পর্যন্ত দীর্ঘতম সময়ের মিশন।
আরও পড়ুন: ড্রোন হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন ‘ব্যর্থ’: গ্রেটা থুনবার্গ
৩ বছর আগে
গবেষণার জন্য স্কুইডকে মহাকাশে প্রেরণ
হাওয়াই থেকে কয়েক ডজন সামুদ্রিক প্রাণী বাচ্চা স্কুইড গবেষণার জন্য মহাকাশে রয়েছে।
বাচ্চা হাওয়াইয়ান ববটাইল স্কুইডকে হাওয়াইয়ের কেওয়ালো মেরিন ল্যাবরেটরিতে বড় করা হয়েছিল এবং এ মাসের গোড়ার দিকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে স্পেসএক্স পুনর্নির্মাণ মিশনে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, মহাকাশ অভিযানের সময় নভোচারীদের দেহে কী ধরনের প্রভাব পড়ে এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা
সোমবার হোনোলুলু স্টার-অ্যাডভাইটাইজার জানিয়েছে, হাওয়াই ইউনিভার্সিটিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনকারী গবেষক জেমি ফস্টার যিনি দীর্ঘ মহাকাশ মিশনের সময় মানব স্বাস্থ্যের উন্নতি করার আশায় স্পেসফ্লাইট কীভাবে স্কুইডকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে গবেষণা করছেন।
তিনি বলেন, ‘স্কুইডের প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়াগুলোর সাথে একটি সিম্বিওটিক সম্পর্ক রয়েছে যা তাদের বায়োলুমিনেসেন্স নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্গারেট ম্যাকফ্যাল-এনগাই বলেন, নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার পর মানবদেহে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে সামুদ্রিক প্রাণী স্কুইড পাঠানোর এই মিশন থেকে সে বিষয়ে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: স্টুডিওতে নয় মহাকাশে বানানো হবে সিনেমা
করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে ৬৫ শতাংশ এন্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে: গবেষণা
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি যে মানুষের জীবাণুগুলোর সাথে সিম্বিওসিসটি মাইক্রোগ্রাভিটিতে বিভ্রান্ত হয়েছে এবং জেমি দেখিয়েছে যে এটি স্কুইডে সত্য। কারণ এটি একটি সহজ সিস্টেম, কী ভুল হচ্ছে তার নীচে পৌঁছে যেতে পারে।’
ফস্টার বলেন, মহাকাশে স্কুইডের কী ঘটে তা বোঝা মহাকাশচারীদের মুখোমুখি হওয়া স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে।
জুলাই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসবে স্কোয়াড।
৩ বছর আগে
তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা
চীন প্রথমবাবের মতো নিজেদের মহাকাশ গবেষণার অংশ হিসেবে তিনজন মানুষসহ মহাকাশে যান প্রেরণ করলো।
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন ক্রয়, যৌথ উৎপাদনের লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা চলছে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বৃহস্পতিবার চীনের স্থানীয় সময় সকাল ৯ টা ২২ মিনিটে জিকুয়ান স্পেস সেন্টার থেকে শেনঝু-১২ ক্যাপসুল নিয়ে লং মার্চ টুএফ রকেটের মাধ্যমে তিন চীনা নভোচারী সফলভাবে যাত্রা শুরু করে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে আসার মুহূর্তে চীনের রকেটের অধিকাংশ পুড়ে যায়
এসময় এই নভোচারীদের মহাকাশ গবেষণা কর্মকর্তা, সামরিক কর্মকর্তা ও শিশুরা শুভেচ্ছা ও বিদায় জানায়।বর্তমান অভিযানে তিন নভোচারী চীনের প্রথম স্পেস সেন্টার তিয়ানহে তে তিন মাসের জন্য অবস্থান করবে। এসময়ে তারা বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, মেরামত কাজসহ স্পেস সেন্টারটিকে আরও দু’টি মডিউল যোগ করার জন্য প্রস্তুত করে তুলবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে চীনের এক নাগরিক নিহত, আটক ১
যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী বিরোধিতার পরেও চীন তার মহাকাশ গবেষণায় সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু সমালোচনা থাকলেও ইতোমধ্যেই বেশ সফলতা লাভ করেছে দেশটি। চাঁদ থেকে নমুনা নিয়ে আসা, মঙ্গল গ্রহে সফল রোবট প্রেরণ ইত্যাদি চীনের সফলতার নমুনা।
৩ বছর আগে
পৃথিবীতে আসার মুহূর্তে চীনের রকেটের অধিকাংশ পুড়ে যায়
চীনের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, রবিবার মধ্য রাতের দিকে পৃথিবীতে প্রবেশের সময়েই চীনের সবচেয়ে বড় রকেটটির ধ্বংসাবশেষের অধিকাংশই পুড়ে যায়। রকেটটির ধ্বংসাবশেষ মালদ্বীপের ওপর দিয়ে ভারত মহাসাগরে এসে পড়ে।
রকেটের ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করতে সক্ষম হওয়া হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক জনাথন ম্যাকডোয়েল টুইটারে বলেন, ‘পরিসংখ্যানগতভাবে রকেটের ধ্বংসাবশেষ সাগরে এসে পড়াটা ভাল দিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বলা যেতে পারে চীন তাদের চেষ্টায় সফল....কিন্তু এটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ এবং বেপরোয়া কাজ।’
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, শনিবার (৮ মে) স্থানীয় সময় রাত ৭টা ২৪ মিনিটে রকেটটির পুনরায় পৃথিবীতে প্রবেশ করে। তবে পুনরায় প্রবেশ করার আগেই এর অধিকাংশ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মহাকাশে চীনের প্রথম প্রাইভেট রকেট পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ
কিন্তু মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কর্মকর্তা বিল নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, এটা পরিষ্কার যে চীন তাদের রকেটের ধ্বংসাবশেষ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে।
সাধারণত রকেটের ধ্বংসাবশেষ মহাশূন্যে ভ্রমণ না করে পৃথিবীতে চলে আসে এবং জলভাগে এসে পড়ে। কিন্তু গত ২৯ এপ্রিল চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা লং মার্চ ৫বি রকেটটি মহাশূন্যে হারিয়ে যায়।
৩ বছর আগে