নভোচারী
নাসার স্পেসএক্স মিশনের নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরছেন
ড্রাগন মহাকাশযানে চড়ে পৃথিবীতে ফিরেছেন নাসার স্পেসএক্স ক্রু মিশনের চার নভোচারী। নাসা জানিয়েছে, শুক্রবার বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফ্লোরিডা উপকূলে নিরাপদে অবতরণ করেন নভোচারীরা।
চার সদস্যের আন্তর্জাতিক ক্রু সদস্যরা হলেন-নাসার মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন, বব হিনস, জেসিকা ওয়াটকিনস এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নভোচারী সামান্তা ক্রিস্টিফোরেটি।
মহাকাশযানটি শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫ এর দিকে ইস্টার্ন টাইম (১৬০৫ জিএমটি) এ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আনডক করা হয়।
গত ২৭ এপ্রিল ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে এই অভিযাত্রীরা যাত্রা করেন।
আরও পড়ুন: মহাকাশযান গ্রহাণুর কক্ষপথ পরিবর্তন করতে সফল হয়েছে: নাসা
দুবাইয়ে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু গাড়ি চালাল চীনা প্রতিষ্ঠান
টেসলার রোবট ‘অপটিমাস’ দেখালেন ইলন মাস্ক
২ বছর আগে
৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
আগামী সপ্তাহে নতুন চন্দ্রাভিযান রকেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, যা পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেবে। তবে আপাতত রকেটটিতে কোনো নভোচারী থাকবে না।
৩২২ ফুট উঁচু রকেটটি প্রাথমিকভাবে খালি ক্যাপসুল (নভোচারীদের জন্য) নিয়ে দূরবর্তী চন্দ্র কক্ষপথ দিয়ে প্রদক্ষিণের চেষ্টা করবে। নাসার বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো’-এর ৫০ বছর পর এই চেষ্টা করা হবে। পুরো পরিকল্পনায় বড় আকারের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সাল নাগাদ নভোচারীরা চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে পারবে এবং ২০২৫ সালে চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে সক্ষম হবে।
সোমবার সকালে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বিষয়টি জানানো হয়। নাসার কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, ছয় সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষামূলক এই উড্ডয়ন ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো বিষয় ব্যর্থ হলে সময় কমিয়ে আনতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
বুধবার নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এপিকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি নিবো এবং পরীক্ষা চালাবো। আমরা যতটা পারি নিরাপদ করার জন্য কোনো নভোচারীকে রাখছি না।’
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা (অবসরপ্রাপ্ত) জন লংসডন বলেন, যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে তাহলে ক্রম বর্ধমান খরচ ও দুটি উড্ডয়নের মাঝে দীর্ঘ বিরতি পুরো প্রক্রিয়া কঠিন করে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদ, মঙ্গল ও এর চেয়েও বড় কোনো অভিযানের টেকসই পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে এটি। তবে বড়ধরনের ত্রুটির সম্মুখীন হলে যুক্তরাষ্ট্র কি চালিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকবে?
একক অভিযানের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এক দশক আগে নানা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
২ বছর আগে
৪ নভোচারীকে নিয়ে ফিরেছে স্পেসএক্স
স্পেসএক্স শুক্রবার মেক্সিকো উপসাগরে চার নভোচারীকে নিয়ে ফেরত এসেছে।
ক্যাপসুলে থাকা তিন মার্কিন মহাকাশচারী এবং একজন জার্মান নাগরিক আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে টাম্পার কাছে ফ্লোরিডা উপকূল পাড়ি দিয়েছে।
নাসার রাজা চারি, টম মার্শবার্ন এবং কায়লা ব্যারন এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ম্যাথিয়াস মাউরকে স্টেশনে থাকা সাত মহাকাশচারী উষ্ণ অর্ভ্যথনা জানান।
ম্যাথিয়াস মাউর বলেন, ‘এটি একটি ছয় মাসের মিশনের সমাপ্তি, কিন্তু আমি মনে করি মহাকাশ স্বপ্ন বেঁচে আছে।’
স্পেসএক্স গত সপ্তাহে একটি চার্টার ট্রিপ শেষ করেছে।
মাস্কের কোম্পানি দুই বছরেরও কম সময়ে ২৬ জনকে মহাকাশে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আটজন মহাকাশ পর্যটক ছিলেন।
আরও পড়ুন: মারিউপোলে ইস্পাত কারখানায় অবরুদ্ধ সেনাদের আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি
তেল আবিবের কাছে ছুরিকাঘাতে ৩ ইসরাইলি নিহত
২ বছর আগে
মহাকাশ স্টেশনে ৬ মাস অবস্থানের পর ফিরলেন ৩ চীনা নভোচারী
চীনের তিন নভোচারী দেশটির নতুন মহাকাশ স্টেশনে ছয় মাস থাকার পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন। শনিবার মহাকাশ যান শেনঝু ১৩-তে করে তারা মঙ্গোলিয়ার উত্তরাঞ্চলের গোবি মরুভূমিতে অবতরণ করেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে সরাসরি তাদের অবতরণের ভিডিও দেখানো হয়েছে।
এই মিশনের তিন মহাকাশচারী হলেন- ওয়াং ইয়াপিং, ক্রুমেট ঝাই ঝিগাং ও ইয়ে গুয়াংফু।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হাইনানের দক্ষিণ দ্বীপের ওয়েনচাং-এ উৎক্ষেপণ স্থান পরিদর্শন করেন। যেখান থেকে তিয়ানহে মডিউলটি কক্ষপথে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
এই তিন মহাকাশচারী চীনের মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং বা স্বর্গীয় প্রাসাদে থাকা দ্বিতীয় ধাপের মহাকাশযাত্রী। ২০২১ সালের এপ্রিলে এর মূল মডিউল তিয়ানহে চালু করা হয়েছিল।
তিয়ানগং এর উদ্দেশে পরবর্তী মহাকাশযাত্রার তারিখ কর্তৃপক্ষ এখনও ঘোষণা করেনি।
আরও পড়ুন: তিন নভোচারী নিয়ে চীনের প্রথম মহাকাশ যাত্রা
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অস্বস্তির কারণে চীনকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বাদ দেয়া হয়। কারণ চীনের সামগ্রিক মহাকাশ কর্মসূচি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সামরিক শাখা পিপলস লিবারেশন আর্মি পরিচালনা করে।
তিয়ানগং চীনের তৃতীয় মহাকাশ স্টেশন। এর আগে ২০১১ সালে এবং ২০১৬ সালে চীন দুটি মহাকাশ স্টেশন উৎক্ষেপণ করে। ২০২০ সালে দেশটির সরকার ঘোষণা করেছিল চীনের প্রথম পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযানটি একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের পরে সফলভাবে মহাকাশে অবতরণ করেছে।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে চীন মহাকাশে নভোচারী পাঠায়।
২০০৩ সালে চীন প্রথমবারের মতো মহাকাশে নভোচারী পাঠায় এবং ২০১৩ সালে চাঁদে এবং ২০২১ সালে মঙ্গলে চীনের রোবট রোভার অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: মহাকাশ পরিভ্রমণ করা চীনের প্রথম নারী ওয়াং ইয়াপিং
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
২ বছর আগে
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন ৪ নভোচারী
মহাকাশ থেকে চার নভোচারী পৃথিবীতে ফিরেছেন। সোমবার নাসার নভোচারী শেইন কিমব্রোগ, মেগান ম্যাকআর্থার, জাপানের আকিহিকো হশিডি ও ফ্রান্সের থমাস পেসকুট পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তবে উচ্চ বাতাসের কারণে তাদের পৃথিবীতে অবতরণ বিলম্ব হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আলাদা হওয়ার ফলে তাদের পরিবর্তে বুধবার চার জন পাঠানোর পথ প্রশস্ত হয়েছে।
তবে প্রথমে নতুনদের পাঠানোর কথা থাকলেও খারাপ আবহাওয়া ও এক নভোচারীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অপ্রকাশিত তথ্যের জন্য নাসা আদেশে পরিবর্তন আনে।
এক টুইট বার্তায় পেসকুট বলেন, ‘আরও এক রাত এই মোহনীয় দৃশ্যের মাঝে। কে অভিযোগ করতে পারে? আমি আমাদের স্পেসশিপ মিস করবো।’
তবে নভোচারীদের জন্য যাত্রাটি সুখকর ছিল না। তাদের বহন করা নভোযানের শৌচাগার অকেজো থাকায় পৃথিবীতে ফেরত আসার আট ঘণ্টার যাত্রায় তাদের ডায়াপারের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
৩ বছর আগে
মহাশূন্যে হাঁটাহাঁটি করা বিশ্বের প্রথম নারী দলের ইতিহাস সৃষ্টি
কেপ ক্যানাভেরাল, ১৮ অক্টেবার (এপি/ইউএনবি)- পৃথিবীর অনেক ওপরে শুক্রবার বৈদ্যুতিক সংযোগের ভাঙা অংশ মেরামতের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মহাশূন্যে হাঁটা বা স্পেসওয়াক করা বিশ্বের প্রথম নারী দল।
৫ বছর আগে