সংবিধান
সংবিধান থেকে ‘জাতির পিতা’, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ বাতিল চান অ্যাটর্নি জেনারেল
সংবিধান থেকে ‘সমাজতন্ত্র’, ‘জাতির পিতা’, ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’র মতো কিছু বিষয় বাদ দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। একইসঙ্গে সংবিধানে গণভোটের বিধান বহালের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের ওপর পঞ্চম দিনের মতো শুনানিতে অংশ নিয়ে বুধবার (১৩ নভেম্বর) এই দাবি জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী বহাল রাখা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ’২৪-এর জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই সংশোধনী বাতিল না হলে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৯ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি চলছে। বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অ্যাটর্নি জেনারেল।
আরও পড়ুন: সাহস থাকলে ফিরে এসে বিচারের মুখোমুখি হোন: হাসিনাকে অ্যাটর্নি জেনারেল
এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এই রুলকে সাপোর্ট করি। পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধংস করা, ফ্যাসিজমকে দীর্ঘায়িত করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলুণ্ঠিত করা, সংবিধানের সুপ্রিমেসি লঙ্ঘন করা হয়েছে। এটা সংবিধানের ওপর প্রতারণার শামিল।’
সংবিধানে ‘জাতির পিতা’ যুক্ত করার ব্যাপারে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু জাতির পিতা নিয়ে সিরিয়াস বিতর্ক আছে; এ বিষয়ে জাতি বিভক্ত।’
‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে উনার অবদান অনস্বীকারর্য। রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবেও উনি অনেক উপরের মানুষ। কিন্তু একজন ব্যক্তি সব কিছু করেছেন– এটা আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনার ধারণা নয়।’
তিনি বলেন, “দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৈরি করা সংবিধানে ‘জাতির পিতা’ টার্মটি ছিল না। এটি পঞ্চদশ সংশোধনীতে ঢোকানো হয়েছে; জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এমনভাবে করা হয়েছে যে, তার (শেখ মুজিব) বিরুদ্ধে কথা বললেই রাষ্ট্রদ্রোহ হবে। অথচ তাকে জাতির পিতা বলা সংবিধানের স্পিরিটের পরিপন্থী।”
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বলেছি, সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে উই দ্য পিপল অব বাংলাদেশ। আমরা সবাই স্বাধীন হয়েছি। এই কথা ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে আপিল বিভাগ বলেছে। ‘উইনেস’ থেকে সরে এসে আমরা ‘আইনেস’ এবং বায়োপিক থিউরিতে গিয়েছি। রাজনৈতিকভাবে এটি আমাদের যেখানে নিয়ে যাচ্ছে, সেটি কাঙ্ক্ষিত নয়। এটি আমাদের দেশ-রাষ্ট্র-সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।”
সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ বাতিল চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এটার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে ভাষা দিয়ে জাতিসত্তা নির্ধারণ করা হয় না।’
সংবিধানের ৭ক ও ৭খ অনুচ্ছেদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার জন্য, গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য করা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে স্বৈরশাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য করা হয়েছে। এটি আইনের শাসনের পরিপন্থী। এছাড়া সংবিধানের মূলনীতি গণতন্ত্র; সমাজতন্ত্র নয়। আমরা সমাজতন্ত্র বাদ দিতে চাচ্ছি।’
অনুচ্ছেদ ৮-এর বিষয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এ আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই দেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। (সংবিধানে) আগে আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথা ছিল। এটা যেভাবে আগে ছিল, সেভাবে চাচ্ছি। আর ২ (ক)-তেই বলা আছে, রাষ্ট্র সকল ধর্ম পালনে সমান অধিকার ও সমমর্যাদা নিশ্চিত করবে। অনুচ্ছেদ ৯-এ ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’-এর কথা বলা হয়েছে। এটিও সাংঘর্ষিক।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে গণতন্ত্রের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে। রায়ের জন্যও অপেক্ষা করা হয়নি। এটা সংবিধানের, মানুষের বুকে কুঠারাঘাত করা হয়েছে। ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্য বহাল রেখে আবার নির্বাচন করা অবৈধ; এটা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে আঘাত করে।’
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদের দোসর বিচারক এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে: অ্যাটর্নি জেনারেল
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান ছিল। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের এই বিধান তুলে দেওয়া হয়েছিল। আমরা গণভোটের এই বিধানটির পুনর্বহাল চাই। যারা নিশিরাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে এমপি হয়েছিলেন, তাদের ভোটেই এই বিধান বাতিল হয়।’
‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে, মৌলিক অধিকার ধ্বংস করা হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না? এটা সংবিধানের অংশ হিসেবে রাখা যাবে না। পঞ্চদশ সংশোধনী রাখা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ’৯০–এর গণ–অভ্যুত্থান ও ’২৪–এর জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই সংশোধনী বাতিল না হলে আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে এটা নয় যে হাজার হাজার মানুষকে গুম করা হবে, ৬০ লাখের বেশি মানুষকে গায়েবি মামলায় আসামি করা হবে, বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হবে। যাদের হাত নেই, এ রকম মানুষকেও আসামি করে বলা হয়েছে তারা বোমা মেরেছেন। হজে থাকা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে এসব হতে পারে না।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং ৩ জুলাই রাষ্ট্রপতি তাতে অনুমোদন দেন।
পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।
এই সংশোধনী বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি। এ বিষয়ে গত ১৯ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। পরে এই রুল সমর্থন করে সহায়তাকারী (ইন্টারভেনার) হিসেবে যুক্ত হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরাম প্রমুখ।
সেগুলোর ওপর আগামী ১৭ নভেম্বর শুনানির তারিখ রয়েছে। পাশাপাশি পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি চলছে হাইকোর্টে।
এদিকে, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না- মর্মে জারি করা রুলে দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলতে ইন্টারভেনার হিসেবে হাইকোর্টে নিজেদের পক্ষভুক্ত করেছেন চার আইনজীবী। তারা হলেন- ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার শাইখ মাহদী, নাফিউল আলম সুপ্ত ও সাইয়েদ আবদুল্লাহ। এখন তারাও এ রিটের ওপর বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিট খারিজ চাইলেন অ্যাটর্নি জেনারেল
১ সপ্তাহ আগে
সংবিধান সংশোধন ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ ৫ দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
একাত্তরের সংবিধান বাতিল, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচটি জরুরি দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে 'ছাত্র ও জনগণের পাঁচ দফা দাবি' শিরোনামে এক ফেসবুক পোস্টে এ দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের নতুন প্রধান হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
পাঁচ দফা দাবি:
১. ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল – দলটি জোর দিয়ে বলছে যে বর্তমান সংবিধান অবশ্যই বাতিল করতে হবে এবং জনগণের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে একটি নতুন সংবিধান দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে হবে।
২. এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ – ফ্যাসিবাদী সংবিধানের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে।
৪. প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা- জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে দলটি এই সপ্তাহে একটি 'প্রজাতন্ত্রের ঘোষণাপত্র' ঘোষণার দাবি জানিয়েছে, যাতে বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে।
৫. জাতীয় নির্বাচন বাতিল- ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্বাচনি প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের ইঙ্গিত দেয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ এসব দাবির গুরুত্ব তুলে ধরে তার পোস্টে লিখেছেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ইতোমধ্যে আগামীকাল আমাদের সঙ্গে আলোচনার সময় নির্ধারণ করেছে। আমরা আশা করব, ছাত্র ও জনগণের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের বিষয়ে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হবে।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনে সংবিধান সংশোধনে মত দিলেন বিশেষজ্ঞরা
সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া রাজনীতিকরণ থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব: ড. আলী রীয়াজ
১ মাস আগে
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সাংঘর্ষিক নয়, হাইকোর্টের রুল
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন (২০১১) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে পাঁচজন বিশিষ্ট ব্যক্তির করা রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফয়েজ আহমেদ।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিটটি করেন। আবেদনকার িঅন্য চারজন হলেন- তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান।
এর আগে ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়; সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয় এ সংশোধনীর মাধ্যমে।
আদেশের পর আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে আছে- একসঙ্গে অনেকগুলো অনুচ্ছেদে পরিবর্তন বা সংশোধনী আনতে হলে গণভোট করতে হবে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের অনেকগুলো অনুচ্ছেদের পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু কোনো গণভোট করা হয়নি। গণভোট না করে সংশোধনী পাস করা সংবিধান পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী সংক্রান্ত মামলার লিখিত সংক্ষিপ্ত আদেশে আপিল বিভাগ বলেছিলেন পরবর্তী দুটি (দশম ও একাদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। কিন্তু সেই আদেশকে অমান্য করে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া হয়। ফলে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না করে দলীয় সরকারের অধীনে করা হয়। যে কারণে পঞ্চদশ সংশোধনী আপিল বিভাগের আদেশের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিপন্থী।
৩ মাস আগে
রেলওয়ের ৪০% পোষ্য কোটা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগসংক্রান্ত বিধিমালায় সরাসরি নিয়োগে (১৪তম থেকে ২০তম গ্রেড) মোট শূন্য পদের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার বিধান কেন অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল দেন। রেলসচিব, আইনসচিবসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা–২০২০–এর ৩(৩) উপবিধিতে রেলওয়েতে যারা চাকরি করছেন, তাদের সন্তানদের জন্য ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। এই উপবিধি সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যে কারণে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।’
এর আগে গত ২৬ মে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার ৩(৩) উপবিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী জানান, ৪০ শতাংশ কোটার সংরক্ষিত থাকার ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। কারণ, এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা
৪ মাস আগে
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘কে আয়োজন করছে’ তা ব্যাপার না, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি সংবিধান ও সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
সোমবার (১৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র পক্ষ থেকে প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে পাঠানো চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মুখপাত্ররা এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দল বিএনপির দাবি ‘সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অবৈধ।’
বাংলাদেশের স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শৈশবেই শেখ রাসেল ছিলেন মানবিক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
যা কিছু হবে সংবিধান ও আইনের মধ্যেই হতে হবে: আইনমন্ত্রী
আগামীতে নির্বাচন ও সরকার গঠন সবই সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, এর ব্যত্যয় হলে দেশ আবারও পিছিয়ে পড়বে।
শনিবার (৪ নভেম্বর) ‘জাতীয় সংবিধান দিবস ২০২৩’উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দেওয়া সংবিধানে জনগণকে প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক বানিয়েছেন। এই সংবিধানের ২৬-৪৭ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। সেখানে সব নাগরিকের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, সংসদ কীভাবে গঠিত হবে, সরকার কীভাবে গঠিত হবে, নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে সবই সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামীতে যা কিছু হবে, সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকেই হতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে দেশ আবারও পিছিয়ে পড়বে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিগত অর্ধশত বছরের অভিজ্ঞতা বলে, যখনই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত সাংবিধানিক শাসন থেকে বিচ্যুত হয়েছে, তখনই দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে। দেশে অরাজক ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি স্বাধীনতার মাত্র ১০ মাসের মাথায় একটি গণমুখী ও বিশ্বমানের সংবিধান পেলেও এর পেছনের ইতিহাস অনেক বিস্তৃত। একটি গণমুখী সংবিধান পাওয়ার জন্য তৎকালীন পাকিস্তান আমলে সামরিক ও স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন ও অনেক রক্ত দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা। তিনি নিজেকে কখনই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ দেননি। তিনি তার প্রগাঢ় রাজনৈতিক প্রজ্ঞার মাধ্যমে ধাপে ধাপে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের ভিত্তিকে মজবুত করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, একটি স্থায়ী সংবিধান তৈরির জন্য তিনি ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারি করা বাংলাদেশ গণপরিষদ আদেশের আওতায় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান হতে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের সমন্বয়ে গণপরিষদ গঠন করেছিলেন।
তিনি বলেন, সংবিধানের খসড়া তৈরির জন্য তিনি গণপরিষদের ৩৪ জন সদস্যের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। এ কমিটির মাধ্যমে প্রণীত খসড়া সংবিধান দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আজকের দিনে গণপরিষদে গৃহীত হয়েছিল। তাই আজকের দিনটি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
সেমিনারে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
স্বাগত বক্তব্য দেন- লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের মো. মইনুল কবির এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ।
আরও পড়ুন: ২৩ বছরে জাতিসংঘ মিশন থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আয় ২৭,৯৪১ কোটি টাকা: আইনমন্ত্রী
পুলিশ সদস্য হত্যার বিচার দ্রুত গতিতে করা হবে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে?: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামগীরের কাছে জানতে চাই, নির্বাচন সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে?
তিনি বলেন, দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একটি চিহ্নিত মহল অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় বসার স্বপ্নে বিভোর। তার দেশের পবিত্র সংবিধান ও আইনের তোয়াক্কা করে না।
আমি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামগীরের কাছে জানতে চাই, নির্বাচন সংবিধানের বিধান ছাড়া কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে?
শনিবার (৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুলের বক্তব্যকে ‘বাস্তবতা বিবর্জিত অর্বাচীন’ বলে নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আরও পড়ুন: ১/১১-এর মতো সরকার গঠনের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘আপনাদের ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তায় কোনো পাতানো নির্বাচন?’ বাংলার মাটিতে জনগণ তা আর কোনো দিন হতে দেবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় ভিন্ন উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে। সে কারণে জনগণ বারবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তি ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব ও ব্যর্থ রাজনৈতিক দল বিএনপির মুখে প্রবল আন্দোলন'-এর কথা মানায় না। তাদের তথাকথিত লাগাতার আন্দোলন, কঠোর আন্দোলন, এক দফার দুর্বার আন্দোলন!
তিনি আরও বলেন, সবকিছু ব্যর্থ হওয়ার পরও তারা ক্ষমতা দখলে উদ্ধত ও মরিয়া। সেই কারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক বাস্তবতা উপলব্ধি না করে ক্রমাগতভাবে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য প্রদান করছে। রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের সক্ষমতার পারদ যত নিম্নগামী হচ্ছে ততই তারা মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ব্যতীত বিএনপির পুরো টিমই রাজনীতির মাঠে যথেচ্ছভাবে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে সারাদেশে স্বাধীনভাবে সভা সমাবেশ করছে। একুশে আগস্টের মাস্টারমাইন্ড দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমান বিদেশে বসে লাগাতারভাবে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাস না রেখে উস্কানির মাধ্যমে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অপরাজনীতি করে আসছে। তাদের নেত্রীর প্রতি তাদের ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ না থাকার কারণে তারা খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করছে। খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করে তার উপর শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা বিএনপি নেতৃাদের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন: সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বেগ নেই, সবার সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
১ বছর আগে
চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন শুরু ২২ অক্টোবর
জাতীয় সংসদে আগামী ২২ অক্টোবর অধিবেশন শুরু হবে। এটিই ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) ধারা অনুযায়ী তার ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২২ অক্টোবর (রবিবার) বিকাল ৪টায় অধিবেশন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: শেষ হলো জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বর্তমান সংসদের ২৪তম অধিবেশন ৯টি বৈঠকের পর স্থগিত করা হয়।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদ তার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হলে সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সে অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
৩১ মে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
১ বছর আগে
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই কারা নির্বাচনে অংশ নেবে বা কারা অংশ নেবে না সেদিকে নজর দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির উদ্বোধনী সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বাস্তবতার আলোকে গণতন্ত্রের পথ অনুসরণ করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
জো বাইডেন বলেছেন তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন, কারণ ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। সেজন্য তার বয়স কোনো বিষয় নয়। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আজ বলছি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। আমাদের অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরও অ্যাকশনে যেতে হবে। ওই রকম ইশতেহার করেন। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ভাবতে হবে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ভাবতে হবে। ২০২৬ সাল, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। সর্বোপরি ২০৪০ সাল আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চেয়েছিল: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান দেশের সংবিধান পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন। আর এখন তার সন্তানরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন ও সংগ্রামের দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধু জীবনে কখনো কোনোদিন পাকিস্তানিদের সঙ্গে আপস করেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে ঘোষণাপত্র, ইস্তেহার ও স্বাধীনতার ঘোষণা মেনেই রাজনীতি করার সুযোগ আছে। এর ব্যত্যয় ঘটালে দেশে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অর্থনীতির প্রধান হাতিয়ার হতে পারে মেরিটাইম সেক্টর: নৌপ্রতিমন্ত্রী
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, সেই সময় দেশে জিয়াউর রহমান সান্ধ্যআইন জারি করেছিলেন। যার কারণে সাধারণ জনগণ রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে বের হতে পারত না। অথচ তারাই এখন গণতন্ত্রের কথা বলে দেশি-বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে আর মিথ্যাচার করছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দিনাজপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, সিভিল সার্জন ডা. বোরহান উল ইসলাম, উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী শামীম এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এনএমআই স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সমুদ্রের সুনিল অর্থনীতি বাংলাদেশকে ধনী দেশে পরিণত করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে